
এটা যেন এক রকম অলিখিত নিয়মে পরিণত হয়ে গিয়েছে। আইসিসির কোনো টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দল নিজেদের সামর্থ্যের কথা না ভেবে সংবাদ সম্মেলনে বড় বড় বুলি ছাড়ে। ফাইনালে খেলবে, চ্যাম্পিয়ন হবে। পরে দেখা যাবে গ্রুপ পর্বই পার হতে পারেনি। আর পারলেও কোনো রকমে। এক সময় বাংলাদেশে দলের এ রকম কথায় ক্রিকেট প্রেমীরা আশাবাদী হয়ে উঠলেও এখন আর এসব কথাকে মোটেই আমলে নেন না। তারা বুঝে গেছেন এ সবই কথার কথা। অতীতের মতো এবারও চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে যাওয়ার আগে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আগে বিভিন্ন অধিনায়কের বলা সব কথাকে পেছনে ফেলে এক কদম এগিয়ে বলেছেন চ্যাম্পিয়ন হবেন।তার মুখ থেকে বের হয়েছে, ‘আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি।’
এটা ঠিক একটা সময় বাংলাদেশ দল ওয়ানডে ক্রিকেটে বেশ অবস্থানে ছিল। কিন্তু তাও চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো অবস্থানে ছিল না। এখনতো সেই অবস্থানের অবনমন হয়েছে। সর্বশেষ দুইটি ওয়ানডে সিরিজই তারা হেরেছে। তারপর আবার খেলতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট নিয়ে। যেখানে আবার ব্যাটাররা নেই ফর্মে। সবচেয়ে বাজে অবস্থানে আছে অধিনায়ক নিজেই। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন আসে নাজমুল হোসেন শান্তর এই কথা বলার সারমর্ম কী? পরে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি একটু ঘুরিয়ে বলেন, ‘৮ দলই ডিজার্ভ করে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার। সবাই কোয়ালিটি টিম। আমাদের দলের ঐ সামর্থ্য আছে আমি বিশ্বাস করি। সবাই এটাই চায় মনেপ্রাণে। বিশ্বাস করে সামর্থ্য আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কি লিখে রেখেছেন জানা নেই। আমরা মেহনত করছি। সততার সঙ্গে কাজ করছি। প্রত্যেকে বিশ্বাস করি লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারব।’ দলের সবার প্রতি তার আত্মবিশ্বাস আছে। তিনি বলেন, ‘ যে ১৫ জন স্কোয়াডে আছে সবাইকে নিয়ে খুবই খুশি ও আত্মবিশ্বাসী। যেই খেলবে একা ম্যাচ জেতাতে পারে, এই সামর্থ্য সবার আছে।’
এভাবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য থাকলে প্রতিটি ম্যাচ জেতাই তখন জরুরি হয়ে পড়ে। প্রথম টার্গেট থাকে সেমিফাইনালে যাওয়ার। চার দলের গ্রুপে অন্তত দুইটি ম্যাচ জেতা বাধ্যতামূলক হয়ে পড়ে। এতে করে জয়ের জন্য দলের ওপর একটা বাড়তি চাপ পড়ে। কিন্তু অধিনায়ক মনে করেন এতে করে কোনো চাপ তৈরি হবে না। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে বাড়তি চাপ মনে হয় না। বাড়তি চাপ কেউ অনুভব করবে না।’ লক্ষ্য বাস্তবায়ন করতে হলে ম্যাচ জেতার সঠিক পরিকল্পনায় এগুতে হবে। নাজমুল হোসেন শান্ত তাও ঠিক করে ফেলেছেন। তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান আশা করছি ৩০০ + উইকেট হবে। এ ধরনের স্কোর করতে হবে আগে ব্যাট করলে। ডিফেন্ড করার ক্ষেত্রেও এমন রান লাগবে। দুবাইতে একেক সময় একেক রকম হয়। তাও আমার মনে হয় ২৬০-২৮০ এর ভেতরেই থাকবে। নির্দিষ্ট দিনে কত রান করা দরকার বা কত রানে আটকানো দরকার এসব এনালাইসিস করব। দলের পাশে এত রান জমা করতে হলে ব্যাটারাদের রান করতে হবে। কিন্তু সেখানেইতো ঘাটতি। টি-টোয়েন্টি খেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে যাচ্ছে। অধিনায়ক মনে করেন এটা কোনো সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, ‘ফরম্যাট অনুযায়ী একটু তো ভিন্নতা আছেই। তবে যেভাবে ব্যাটাররা খেলেছে, উইকেট ভালো ছিল, যে কন্ডিশনে খেলব এর চেয়ে হয়তো ভালো উইকেট থাকবে। প্রস্তুতি ভালো নিয়েছে ব্যাটাররা, লম্বা সময় খেলা জরুরি। ৫০-৬০ রানকে ১০০-১২০ করতে হবে। ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস হচ্ছে। প্রস্তুতির দিক দিয়ে ভালো অবস্থানে আছি। হাতে আরও ৬-৭ দিন আছে, এই সময়ে আমরা আরও গুছিয়ে নিতে পারব।’ অথচ দুই দিন আগে এই নিয়ে আক্ষেপ করে গেছেন দলের কোচ ফিল সিমন্স। নাজমুল শান্ত-এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, ‘কোচ এমন কিছু মিন করেছে মনে হয় না।’
একোতো বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি, প্রস্তুতি বলতে যা তা শুধু বিপিএলে। কিন্তু বাজে ফর্মের কারণে এই বিপিএলও খেলা হয়নি অধিনায়কের। এটাতো দলের জন্য অনেক বড় টেনশনের কারণ। কিন্তু নাজমুল হোসেন শান্ত এই না খেলাটাকে তার জন্য ‘ইতিবাচক’ হয়েছে বলে মনে করেন। দল থকে বাদ পড়ার পর তিনি নিয়মিত অনুশীলন করেছেন, ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,’ আলহামদুলিল্লাহ, বিশ্বাস করছি ভালো অবস্থানে যাওয়া সম্ভব। ম্যাচ খেলতে পারিনি এখানেও ইতিবাচক দিক ছিল। নিয়মিত অনুশীলন করেছি। ফিটনেস নিয়েও কাজ করেছি। সব ঠিকঠাক থাকলে আশা করছি টুর্নামেন্ট ভালো যাবে।’ নিজেকে ফিরে পাওয়ার টনিক হিসেবে তিনি নিজের খেলা সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটাকে সামনে নিয়ে এসেছেন, যে ম্যাচ খেলার পর ইনজুরির কারণে তিনি দল থেকে ছিটকে গিয়েছিলেন। ৭৬ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন। দলও জিতেছিল ৬৮ রানে। সিরিজে এসেছিল সমতা। পরে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ হেরেছিল। নাজমুল বলেন, ‘লাস্ট ওয়ানডে ম্যাচে ভালো ইনিংস খেলেছিলাম আফগানিস্তানের সঙ্গে। গত বছর রান মোটামুটি করেছি তবে স্ট্রাইক রেট ওরকম আপ টু দা মার্ক ছিল না। আমি বিশ্বাস করি আমি এর চেয়েও ভালো ব্যাটার। ওয়ানডে ফরম্যাট ভালো যাচ্ছে। অনেক দিন পর ম্যাচ খেলব। এখানে ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস হচ্ছে, আজও হবে। সামনে প্র্যাকটিস ম্যাচও আছে। এই ফরম্যাট ছোট বেলা থেকে খেলি। এডজাস্টমেন্টে সমস্যা হয় না।’
চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গতবার সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। সেমিতে খেলার পেছনে সাকিব আল হাসানের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ডের ২৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে সাকিব পঞ্চম উইকেট জুটিতে ২২৪ রান করে দলকে ৫ উইকেটে জিতিয়ে সেমিতে নিয়ে যান। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ ১০২ রান করে অপরাজিত ছিলেন। এবারে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলার পেছনেও রয়েছে সাকিবের বিশেষখ অবদান। ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঐতিহাসিক ম্যাচটি না জিতলে বাংলাদেশকে দর্শক হয়ে থাকতে হতো। সেই ম্যাচে ইতিহাসে প্রথমবারের ম্যাথিউসের বিপক্ষে সাকিবের সেই বিখ্যাত টাইম আউট ঘটনা দেখেছিল ক্রিকেট বিশ্ব। ম্যাচে সাকিব বল হাতে ২ উইকেট নেয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে খেলেছিলেন ৬৫ বলে ৮২ রানের ইনিংস। নাজমুলের সঙ্গেই তৃতীয় উইকেট জুটিতে করেছিলেন ১৪৯ বরে ১৬৯ রান। সেই সাকিবই নেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। তাকে কী মিস করবেন অধিনায়ক। এ রকম প্রশ্নে কিছুটা বিব্রত হয়ে পড়েন নাজমুল। নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি বলেন, ‘এই প্রশ্ন কেন করলেন আমি জানি না। অবশ্যই সাকিব ভাইকে মিস করব। থাকলে ভালো হতো। অনেকবার উত্তর পেয়েছেন। আমার মনে হয় না এক টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে এই প্রসঙ্গে বলা যৌক্তিক হবে। ঐ ম্যাচে ব্রিয়ালিয়ান্ট ব্যাটিং করেছেন। দলকে জেতাতে অনেক সহায়তা করেছে।’ সাকিবের পরিবের্ত যে যে দায়িত্ব পাবে সেই সাকিবের রোল প্লে করবে বলে জানান নাজমুল। সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার না থাকলেও মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের অভিজ্ঞতাকে তিনি কাজে লাগাতে চান। তরুণ ক্রিকেটারদের মাঝে বিলিয়ে দিতে চান।
টিভিতে আজকের দিনে যত খেলা দেখবেন, দেখে তিনি সেই তালিকা।
ফুটবল (সরাসরি)
ইউরোপা লিগ
মিডজিল্যান্ড-সোসিয়েদাদ, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
ইউনিয়ন সেন্ট-আয়াক্স, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
ফেরেনবাখ-আন্ডারলেখট, রাত ১১টা ৪৫ মিনিট
পোর্তো-রোমা, রাত ২টা
এজেড-গালাতাসারে, রাত ২টা
টুয়েন্টি-বোডো, রাত ২টা
সনি টেন ১, ২ ও ৫
এবারের বিপিএলে মানহীন ক্রিকেটারে ভরপুর থাকার পরও চার-ছক্কার বৃষ্টি দর্শকদের মন জয় করেছিল। কিন্তু সেখানে মানহীন ক্রিকেটাররা নিজেদের মানসম্মত করে তুলতে পারেননি। দেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি, মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটাররা জমিয়ে তুলেছিলেন আসর। এবারের মতো এত বেশি পরিমাণে মানহীন ক্রিকেটার অতীতে বিপিএলে কখনো খেলতে দেখা যায়নি। যে কারণে কোনো দল একাধিক ক্রিকেটারকে এক ম্যাচের বেশি খেলাতে সাহস করেননি। মানহীন ক্রিকেটার সবচেয়ে বেশি খেলেছেন সিলেট ও ঢাকায়। অন্য দলগুলোতেও কম-বেশি নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলেছেন। শুধু রংপুরে নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলতে দেখা যায়নি কাউকে। এক নজরে চোখ বুলিয়ে দেখা যাক এসব নামসর্বস্ব ক্রিকেটারের মাঠের পারফরম্যান্সের।
ফরচুন বরিশাল
চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিদেশি ক্রিকেটার খেলেছে মোট ৯ জন। মানহীন ক্রিকেটার বলতে গেলেন ছিলেন একজনই পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইমরান। পাকিস্তানের বাইরে বিপিএলই ছিল তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। তিনি এসেছিলেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। বরিশালের হয়ে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি শুধু খেলেছিলেন। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য নিতে পারেননি।
চিটাগং কিংস
রানার্সআপ চিটাগং কিংসে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোট ১০ জন ক্রিকেটার খেলেছেন। নামসর্বস্ব ক্রিকেটার ছিলেন শ্রীলঙ্কার লাহিরু মিলানথা ও দক্ষিণ আফ্রিকার থমাস ও’কনেল। লাহিরুর শ্রীলঙ্কার বাইরে যুক্তরাস্ট্রের মেজর লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। চিটাগং তাকে ১টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। রান করেছিলেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার থমাস ও’কনেল বিপিএলে খেলার আগে অস্ট্রেলিয়াতে মাত্র ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। বিগব্যাশে তার দল মেলবোর্ন স্টার্স। তাকেও ১টি ম্যাচ খেলানো হয়েছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। বল হাতে ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আফগানিস্তানের জোবায়েদ আকবারিকেও অনেকটা একই কাতারে ফেলা যায়। দেশের হয়ে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছিলেন মাত্র ৮। তার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ২৭টি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ ওপেনিংয়ে নেমে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর চুর্নামেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত এই তিন ক্রিকেটারই দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো ম্যাচ আর খেলানো হয়নি।
খুলনা টাইগার্স
সবচেয়ে বেশি ১১ জন ক্রিকেটার খেলেছেন খুলনা টাইগার্সে। দলের ইংল্যান্ডের পিটার শিবলীকে মানহীন ক্রিকেটারের তালিকায় ফেলা যাবে না। কারণ তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনো ম্যাচ খেলেননি। তার টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ৪৬টি ম্যাচের। সব কটিই ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্টে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি দেশের বাইরে বিপিএলেই প্রথম খেলেছেন। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ৩।
দুর্বার রাজশাহী
এবারের আসরে সবচেয়ে বিতর্কিত দল রাজশাহীর রায়ান বার্ল ও মোহাম্মদ হারিসকে বাদ দিলে বাকি সবাই ছিলেন নামসর্বস্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক দিয়াল বিপিএল খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি ম্যাচ খেলে। তবে সেগুলো জাতীয় দলের হয়ে নয়। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩ রান করেন। মিগুয়েল কামিন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৪ টেস্ট ও ১১ ওয়ানডে খেললেও কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। এবার ১ ম্যাচ খেলে ৮ রান করেন, উইকেট নেন ১টি। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধর্সানা সামারাক। বিপিএলেও তিনি ১ ম্যাচ খেলে রানও করতে পারেননি,উইকেটও পাননি। আফতাব আলম আফগানিস্তানের হয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১২টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩টি।
ঢাকা ক্যাপিটালস
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে ছিল এবারের বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত দল ঢাকা ক্যাপিটালস। যে কারণে তাদের ভরাডুবিও হয়েছে। ভারতে জন্ম নেওয়া সুবহাম রঞ্জন মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ খেলে থাকেন। কিন্তু পরিসংখ্যান জানান দেয় খুব একটা ভালো করতে পারেননি। বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। যেখানে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ছিল মাত্র একটি। এবার ৩ ম্যাচ খেলে ৬২ রান করেন, উইকেট নেন ৩টি। আফগানিস্তানের ফারমানউল্লাহকে কেন নিয়ে আসা হয়েছিল, তা ঢাকা ক্যাপিটালসের কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন। আফগানিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন। ৩৮৬ রানের পাশে উইকেট আছে ১২টি। এমন ক্রিকেটারকে এনে ঢাকা ৭টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। দলকে উপহার দিয়েছেন তিনি ৫৫ রান ও ৫টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিফেন এসকিনাজি ১১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও দেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এমন কি নিজ দেশে এসএ২০ টুর্নামেন্টেও খেলার সুযোগ পাননি। বিপিএলে ৪ ম্যাচ খেলে ৬৮ রান করেন।
সিলেট স্ট্রাইকার্স
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পয়েন্ট টেবিলে সবার তলানিতে ছিল। এতেই বুঝা যায় তারা কী মানের দল গড়েছিল? পাকিস্তানের আহসান ভাট্টিকে নিয়ে এসেছিল, যার অভিজ্ঞতা ছিল ঘরোয়া মাত্র ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের। সিলেটও তাকে ২টি ম্যাচ খেলিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজরে লুক জাগেসার বিপিএল খেলতে আসার আগে ঘরোয়া ২১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। কোনো বিবেচনায় এ রকম ক্রিকেটারকে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলভুক্ত করেছেন, সে ব্যাখ্যা তারাই ভালো দিতে পারবেন। ৫ লাখ টাকার ওপরে শুধু বিমান ভাড়া দিয়ে তাকে উড়িয়ে এনে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলানো হয়। রান করেন ৫ রান ও উইকেট নেন ২টি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার খাদেম আলিয়ান। ৩ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন মাত্র ১০। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ঘরোয়া মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে। কোনো হাফ সেঞ্চুরি ছিল। না। কিন্তু তবুও তাকে মনে ধরেছিল সিলেটের মালিকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার রাকিন কর্নওয়েল। খেলা দিয়ে নয়, বিশাল শরীর দিয়ে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডই তাকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করে থাকে। অথচ সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে টি-টোয়েন্টির জন্য মহামূল্যবান মনে করেছেন! এমন নয় যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে তার সুখ্যাতি আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার একমাত্র ঠিকানা।
প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর চিটাগং কিংসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল বিপিএল চলাকালীন মঈন আলী তাদের হয়ে খেলতে আসবেন। এমন কি আরও বড় তারকারাও আসবেন খেলতে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মঈন আলী কিংবা অন্য কোনো বড় তারকা তাদের দলে পরে আর খেলতে আসেননি। মঈন আলী দক্ষিণ আফ্রিকায় এসএ২০ আসরে জুবার্গ সুপার কিংসের হয়ে খেলায় ব্যস্ত ছিলেন। বিপিএল চলাকালীন এসএ২০ আসর ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইএলটি২০ আসরও চলমান ছিল। যে কারণে শুধু মঈন আলী নয়, এ রকম বিশ্বমানের অনেক ক্রিকেটারের পক্ষেই বিপিএল খেলা সম্ভব হয়নি। যারা ছিলেন বিপিএলের নিয়মিত মুখ। এই দুই আসরের কারণে এবারের বিপিএলে মান সম্মত বিদেশি ক্রিকেটারদের শূন্যতা দেখা দেয়।
বিদেশি ক্রিকেটারদের কোটা পূরণ করতে গিয়ে বিপিএলের এক একটি ফ্র্যাঞ্চাইজিদের মানহীন বিদেশি ক্রিকেটারদের নিয়ে এসেছেন। হাতে গোনা কয়েকজন ক্রিকেটার বাদ দিলে বাকিরা ছিলেন চূড়ান্তভাবে ব্যর্থ। এ সব মানহীন ক্রিকেটারদের পদচারণে বিপিএল হয়ে উঠেছিল যেন বিদেশি ক্রিকেটারদের পুনর্বাসন কেন্দ্র। এ রকম অনেক ক্রিকেটার আছেন, যাদের বিপিএল দিয়েই দর্শকরা জানতে পেরেছেন যে তারা ক্রিকেট খেলেন!
এবারের বিপিএলে চিটাগংয়ে ১০ জন, খুলনায় ১১ জন, বরিশাল, ঢাকা ও সিলেটে ৯ জন করে, রংপুরে ৮ জন ও রাজশাহীতে ৬ জন বিদেশি ক্রিকেটার খেলেছেন। এসব দলে নামসর্বস্ব এমন অনেক ক্রিকেটার খেলেছেন, যাদের এক ম্যাচের বেশি খেলাতে সাহস করেননি ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। এ রকম ক্রিকেটার ছিলেন বরিশালের মোহাম্মদ ইমরান, চিটাগংয়ের লাহিরু মিলানথা, থমাস ও’কনেল, রংপুরের টিমোথি হেইস ডেবিড, রাজশাহীর ধর্সানা সামারাক, আফতাব আলম, সিলেটের লুক জাগেসার।
এদের ছাড়াও একাধিক ম্যাচ খেলাও অনেক ক্রিকেটার আছেন যাদের নাম আগে কখনো শুনা যায়নি। যেমন ঢাকার স্টিফেন সিন এসকিনাজি, সোবহাম সুবাস রঞ্জন, ফারমানউল্লাহ সাফি, খুলনার আলেকজান্ডার আয়ান রোজ, রংপুরের স্টিভন টেইলর,সিলেটের আহসান ভাট্টি। আবার অনেক ক্রিকেটারকে দলভুক্ত করা হয়েছে যারা দেশের হয়ে টেস্ট ও ওয়ানডে খেললেও কখনো টি-টোয়েন্টি খেলেননি। এ রকম ক্রিকেটার ছিলেন সিলেটের বিশালদেহের অধিকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের রাকিন কর্নওয়েল, ইংল্যান্ডের পিটার শিবলী, রাজশাহীর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিগুয়েল কামিন্স।
শুধু তাই নয় এমন অনেক অখ্যাত ক্রিকেটার আনা হয়েছে, যাদের দেশে ক্রিকেট এখনো সেভাবে প্রচলন হয়নি, আবার হলেও আছে দুর্বল অবস্থানে, সেই সব দেশ থেকেও ক্রিকেটার আনা হয়েছে। এ রকম ক্রিকেটার হলেন রংপুরের হয়ে একটি ম্যাচ খেলা সিঙ্গাপুরের টিমোথি হেইস ডেবিড, ঢাকার হয়ে ৩ ম্যাচে ২২ রান করা নামিবিয়ার জিন পিয়েরি কোটজি। তিনি দেশের হয়ে ৪৪ ম্যাচে ৭৯০ রান করেছেন। আবার এ রকম কিছু ক্রিকেটার খেলতে এসে নিজেদের মেলে ধরতে পেরেছেন। যেমন বরিশালের মোহাম্মদ আলী মাত্র ২ ম্যাচ খেলে ৬ উইকেট নেন। যার ৫টিই ছিল আবার এক ম্যাচে। চিটাগংয়ের পাকিস্তানের খাজা নাফি (৫ ম্যাচে ২০১ রান) ও দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রায়াম ক্লার্ক (১৪ ম্যাচে ৪৩১ রান), খুলনার অস্ট্রেলিয়ার বসিস্তো (১০ ম্যাচে ২৯৮ রান ও ২ উইকেট), পাকিস্তানের সালমান ইরশাদ (৭ ম্যাচে ৯ উইকেট), রংপুরের পাকিস্তানের আকিফ জাভেদ (১১ ম্যাচে ২০ উইকেট)।
তারকা ক্রিকেটারদের মাঝে নিজেদের মান ধরে রাখতে পেরেছেন বরিশালের ইংল্যান্ডের ডেবিড মালান (৯ ম্যাচে ৩১৬ রান), ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্স (৭ ম্যাচে ২০৯ রান ও ৫ উইকেট), ঢাকার শ্রীলঙ্কার থিসারা পেরেরা (১২ ম্যাচে ২১২ রান ও ৪ উইকেট। অপরাজিত ১০৩ রানের একটি সেঞ্চুরিও আছে), রংপুরের পাকিস্তানের খুশদিল শাহ (১০ ম্যাচে ২৯৮ রান), ইংল্যান্ডের আলেক্স হেলস (৬ ম্যাচে ২১৮ রান) পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ (১২ ম্যাচে ৩০৫ রান ও ৫ উইকেট),খুলনার মোহাম্মদ নেওয়াজ (১২ ম্যাচে ৮৮ রান ও ১০ উইকেট)।
খুশদিল শাহ ও অ্যালেক্স হেলস আসরের মাঝপথে চলে যান। জেসন রয় চলে যান ২ ম্যাচ খেলে। তারকা ক্রিকেটারদের মাঝে হতাশ করেন বরিশালের আফগানিস্তানের মোহাম্মদ নবী। ১১ ম্যাচ খেলে ব্যাটে মাত্র ৫৭ রান ও বল হাতে ৮ উইকেট নেন। একই দলের হয়ে খেলা পাকিস্তানের শাহীন শাহ আফ্রিদি হতাশ করেন সবাইকে। তিনি ৫ ম্যাচে ৩৫ রান করার পাশাপাশি উইকেট নেন মাত্র ৪টি। অথচ অতীতে বিপিএলে বিশ্বমানের অনেক তারকা ক্রিকেটারদের উপস্থিতি ছিল নিয়মিত।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইল থেকে শুরু করে, ডি ভিলিয়ার্স, রাইলি রুশো, শহিদ আফ্রিদি, রশিদ খান, মজিবুর রহমান, ড্যারেন সামি, বাবর আজম, মোহাম্মদ সামি, সাঙ্গাকারা, তিলকরত্নে দিলশান, অজন্তা মেন্ডিস, ব্রান্ডেন টেলর, সোহেল তানভীর, স্কট স্টাইরিস, ব্রাড হজ, আহমেদ শেহজাদ, জেসন রয়, ডুয়াইন ব্রাভো, মুরালিধরন, মারলন স্যামুয়েলস, চন্দরপল, হার্সলে গিবস, আন্দ্রে রাসেল, আজহার মাহমুদ, পোলার্ড, ইমরান নাজির, নাসির জামসেদ, কামরান আকমল, হ্যামিলটন মাসাকাদজা, রবি বোপারা, জ্যাকব ওরাম, শন টেইট, ডোয়াইন স্মিথ, মোহাম্মদ নবী, শোয়েব মালিক, স্যামুয়েলস, নিকোলাস পুরান, মোহাম্মদ শাহজাদ, জোফরা আর্চার, লাসিথ মালিঙ্গা, ব্রান্ডেন ম্যাককুলাম, সুনীল নারিন, জস বাটলার, এভিন লুইস, আদিল রশিদ, উপল থারাঙ্গা, আন্দ্রে ফ্লেচার, জনসন চার্লস, থিসারা পেরেরা, সিকান্দার রাজা, মোহাম্মদ হাফিজ, ডেবড ওয়ার্নার, স্টিভেন স্মিথ, মোহাম্মদ আমির, ডেডিব মালান, ফজলহক ফারুকী, করিম জানাতের মতো ক্রিকেটাররা খেলে গেছেন।
বিপিএল যে তারকা ক্রিকেটারদের পছন্দের তালিকায় পেছনের কাতারে চলে গেছে তা বোঝা যায় ফরচুন বরিশালের হয়ে খেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাইল মায়ার্সের দিকে ফিরে তাকালে। তিনি শুরুতে বরিশালের হয়ে খেললেও আইএলটি২০ আসরে আবুধাবী নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলতে চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই আসর শেষ হলে তিনি আবার বিপিএলে খেলতে চলে আসেন। তারপর খেলেন ফাইনাল পর্যন্ত।
মানহীন নামসর্বস্ব যেসব ক্রিকেটারকে বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলিয়েছেন, তাদের পেছনে কিন্তু টাকা ঠিকই ব্যয় করতে হয়েছ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে এ রকম যেসব ক্রিকেটার নিয়ে আসা হয়েছে তাদের পেছনে শুধু বিমান ভাড়া বাবদ ৫ লাখ টাকার ওপরে গুনতে হয়েছে। তারপর থাকা-খাওয়া, দৈনিক ভাতার সঙ্গে পারিশ্রমিক তো আছেই। কিন্তু এই ক্রিকেটারদের না এনে ভালোভাবে হোম ওয়ার্ক করলে পাকিস্তান, ইংল্যান্ড এমনকি অস্ট্রেলিয়া থেকে অনেক ভালো খেলোয়াড় আনা সম্ভব হতো বলে মনে করেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, ‘মানহীন বিদেশি ক্রিকেটার না এনে সেরা একাদশে প্রয়োজনে একজন বিদেশি কম খেলিয়ে দেশি একজন বেশি খেলানো যেত পারে। তা ছাড়া ভালোভাব হোম ওয়ার্ক করলে পাকিস্তানের পিএসএল, ইংল্যান্ডের কাউন্টি ক্রিকেট, এমন কি অস্ট্রেলিয়ার বিগব্যাশ থেকেও এ সব ক্রিকেটারের চেয়ে অনেক ভালো ক্রিকেটার নিয়ে আসা সম্ভব।’
তারুণ্যের উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টে বালক (অনূর্ধ্ব-১৭) দলের মধ্যে রাজশাহী বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নাটোর জেলা বালক দল।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজশাহী শারিরীক শিক্ষা মাঠে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়।
উত্তেজনাপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে নাটোর জেলা বালক দল টাইব্রেকারে ৪-৩ ব্যবধানে সিরাজগঞ্জ জেলা বালক দলকে পরাজিত করে।
ম্যাচজুড়ে নাটোরের খেলোয়াড়দের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ও লড়াকু মনোভাব দর্শকদের মুগ্ধ করেছে।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন বলেন, ‘বিজয়ী দলের প্রতিটি খেলোয়াড়, কোচ ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে ফুলেল সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। তাদের কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানাই।’
জেলা ক্রীড়া অফিসার তারিকুল ইসলাম জানান, এই তরুণ প্রতিভারা নাটোর জেলার গর্ব। তাদের কঠোর পরিশ্রম ও আত্মবিশ্বাসই এই সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
কামাল মৃধা/সুমন/