ঢাকা ৯ চৈত্র ১৪৩১, রোববার, ২৩ মার্চ ২০২৫
English

চল্লিশে চালশে নয়

প্রকাশ: ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫০ এএম
চল্লিশে চালশে নয়
ছবি : সংগৃহীত

পর্তুগালের রাজধানী থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরে ফুনচালের মনোরম দ্বীপ মাদেইরা। সেখানেই জন্ম ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর। তার বাবার প্রিয় অভিনেতা ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান। তার নামের সঙ্গে মিল রেখেই ছেলের নাম রেখেছিলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। 

রোনালদোর শৈশবটা কেটেছে চরম দারিদ্রের মধ্যে। তিন ভাইবোন থাকতেন ছোট্ট একটি কক্ষে। সেখান থেকেই স্বপ্ন দেখতেন তারকা ফুটবলার হওয়ার। ছোটবেলায় রোনালদোর আদর্শ ছিলেন ব্রাজিলের রোনালদো ও রোনালদিনহো। ১২ বছর বয়সে যোগ দেন স্বদেশি ক্লাব স্পোর্টিং ক্লাবে। সে লক্ষ্যে একাই পাড়ি জমান লিসবনে। ফুটবলে পুরোপুরি মনোনিবেশ করতে ১৪ বছর বয়সে স্কুল ছেড়ে দেন রোনালদো। বাকিটা ইতিহাস।

স্পোর্টিং লিসবন থেকে স্যার আলেক্স ফার্গুসনের অধীনে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে পদার্পণ। ২০০৯ সালে রেকর্ড অর্থে রিয়াল মাদ্রিদে গমন। গোল আর নানা কীর্তি গড়া রোনালদো এরপর জুভেন্টাস ও ম্যানইউ ঘুরে এখন খেলছেন সৌদি ক্লাব আল নাসর। জাতীয় দলের জার্সিতে বিশ্বকাপ জিততে না পারলেও একটি ইউরো জিতেছেন সময়ের এই তারকা ফুটবলার। গতকাল চল্লিশে পা দেওয়া রোনালদো এখনো যেন আগের মতোই টগবগে, অপ্রতিরোধ্য। চল্লিশে চালশে নয়, চিরায়ত এই প্রবাদ বাক্য ছুড়ে ফেলা সিআরসেভেনের চল্লিশতম জন্মদিনে এক নজরে দেখে নেওয়া যাক রোনালদোর কীর্তিগাঁথা। 

রেকর্ডস

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ গোলের মালিক রোনালদো (১৩৫)। তার পেছনে লিওনেল মেসি (১১২) ও ইরানের আলী দাঈ (১০৮)।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলা ফুটবলার রোনালদো (২১৭)। এখনো খেলে যাওয়া ফুটবলারদের মধ্যে রোনালদোর কাছাকাছি কেবল মেসিই (১৯১)। 

২১ বছর ১৩১ দিন বয়সে পর্তুগালের হয়ে সবচেয়ে কম বয়সে বিশ্বকাপে গোল করেছিলেন রোনালদো (২০০৬ বিশ্বকাপ, ইরানের বিপক্ষে)। 

৩৩ বছর ১৩০ দিন বয়সে স্পেনের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী হ্যাটট্রিকম্যান রোনালদো। 

৪৭ ম্যাচে ৩৬ গোল করে বিশ্বকাপের ইউরোপিয়ান বাছাইপর্বের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদো। তার পরেই রবার্ট লেভানডোভস্কি (৩০)। 

কাতার বিশ্বকাপে ঘানার বিপক্ষে পেনাল্টি থেকে গোল করে বিশ্বকাপের পাঁচ আসরে গোল করা প্রথম ফুটবলার রোনালদো। 

রোনালদো বিশ্বকাপের ইতিহাসে তৃতীয় বয়স্কতম গোলদাতা (৩৭ বছর ২৯২ দিন)। তার চেয়ে বেশি বয়সে গোল করেছেন পেপে (৩৯ বছর ২৮৩ দিন) এবং রজার মিলার (৪২ বছর ৩৯ দিন)।

ইউরো ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

ইউরো ফুটবলে সর্বোচ্চ ১৪ গোলের মালিক রোনালদো। দ্বিতীয় স্থানে ফ্রান্সের মিশেল প্লাতিনি (৯টি)

৪৫০ গোল করে রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা। তার পরেই আছেন করিম বেনজেমা (৩৫৪) এবং রাউল (৩২৩)।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ ১৪০ গোলের রেকর্ড রোনালদোর। এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ১৭ গোল করার কীর্তিও তার দখলে।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ সাত গোলের রেকর্ড রোনালদোর। 

রোনালদো পাঁচবার (আইএফএফএইচএস) বিশ্বের সেরা গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন। মেসি ও লেভানডোভস্কি জিতেছেন দুবার করে। 

রোনালদো তার ক্যারিয়ারে রেকর্ড ৯২৩টি আনুষ্ঠানিক গোল করেছেন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিওনেল মেসির গোল ৮৫০।

রোনালদোর উদযাপন

রোনালদো প্রথমবার ২০১৩ সালে তার বিখ্যাত ‘সিউউউ’ উদযাপন করেন, যা স্প্যানিশ ভাষায় ‘হ্যাঁ’ বলার একটি বিশেষ ভঙ্গি। এটি ক্রীড়াজগতের অন্যতম জনপ্রিয় উদযাপনে পরিণত হয়েছে। 

ফিফা বর্ষসেরা 

ফিফার বর্ষসেরা ফুটবলারের খেতাব রোনালদো জিতেছেন পাঁচবার (২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ এবং ২০১৭)। তার ওপরে শুধু লিওনেল মেসি। আর্জেন্টাইন ফুটবলার এই পুরস্কারটি জিতেছেন আটবার। 

খ্যাতি 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে সামাজিক মাধ্যম প্ল্যাটফর্মগুলোতে মোট এক বিলিয়ন অনুসারী অর্জন করে প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ইতিহাস সৃষ্টি করেন রোনালদো। 

ইনস্টাগ্রামে রোনালদোর অনুসারী সবচেয়ে বেশি (৬৩৮ মিলিয়ন)। তার পরই আছেন লিওনেল মেসি (৫০৪ মিলিয়ন), সেলেনা গোমেজ (৪২২ মিলিয়ন)। 

ফেসবুকে রোনালদো ১৭১ মিলিয়ন লাইক নিয়ে সবচেয়ে পছন্দনীয় ব্যক্তি। দ্বিতীয় স্থানে আছেন শাকিরা (১২৩ মিলিয়ন)। এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে রোনালদো ১১৫ মিলিয়ন অনুসারী নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন। তার আগে আছেন বারাক ওবামা (১৩১ মিলিয়ন) এবং ইলন মাস্ক (২১৬ মিলিয়ন)।

২০২৪ সালের আগস্টে চালু হওয়া রোনালদোর ইউটিউব চ্যানেল ‘ইউআর ক্রিশ্চিয়ানো’ মাত্র ৯০ মিনিটের মধ্যে এক মিলিয়ন সাবস্ক্রাইবার অর্জন করে, যা ইউটিউবের ইতিহাসে দ্রুততম।

রোনালদো ফোর্বসের বিশ্বের সর্বোচ্চ আয়কারী ক্রীড়াবিদদের তালিকায় চারবার (২০১৬, ২০১৭, ২০২৩ এবং ২০২৪) শীর্ষস্থান অর্জন করেছেন। গত ১২ বছরে প্রতিবারই শীর্ষ তিনে অবস্থান ছিল তার। 

ব্যক্তিগত জীবন

রোনালদোর মা মারিয়া ডোলোরেস একবার বলেছিলেন, ফুটবলার না হলে তার ছোট ছেলে হয়তো একজন রাজমিস্ত্রি হতেন।

রোনালদোর প্রিয় খাবার ব্রাস শৈলীর কড মাছ। এটি কড ফিশ, পাতলা কাটা আলু, পেঁয়াজ, ডিম, জলপাই এবং পার্সলে দিয়ে তৈরি।

রোনালদোর গাড়ির সংগ্রহ চোখ ধাঁধানো! তার কাছে প্রায় ২৮ মিলিয়ন ডলারের গাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে দামি বুগাট্টি সেন্টোদিয়েচি, যার দাম ৯ মিলিয়ন ডলার। এই গাড়ি বানানোই হয়েছিল মাত্র ১০টি। 

রোনালদোর বোন কাটিয়া আভেইরো লাতিন পপ গায়িকা ছিলেন এবং এক সময় ‘Ronalda’ নামে পরিচিত ছিলেন।

রোনালদো যেসব পর্যটন গন্তব্য পছন্দ করেন সেগুলো হলো আলউলা, দুবাই, লন্ডন, মাদেইরা, নিউ ইয়র্ক, প্যারিস এবং রেড সি।

তার গানের পছন্দ অনেক বৈচিত্র্যময়। তিনি হিপ-হপ, আরএন্ডবি, রেগেটন, সাম্বা, ল্যাটিন এবং ইলেকট্রনিক ড্যান্স মিউজিক শুনতে পছন্দ করেন।

রোনালদো তার প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজকে ২০১৬ সালে প্রথম দেখেন, যখন তিনি গুচি স্টোরে একটি স্যুট কিনতে গিয়েছিলেন। সেই সময় জর্জিনা সেখানে শপ অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজ করতেন।

ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্য ফেনোমেনন অব ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো নামে একটি সমাজবিজ্ঞান কোর্স পড়ানো হয়!

অবসরে রোনালদো পোকার এবং টেবিল টেনিস খেলতে, বিলাসবহুল ঘড়ি সংগ্রহ করতে, ডকুমেন্টারি ও সিরিজ দেখতে, টেনিস, এনবিএ ও ইউএফসি অনুসরণ করতে পছন্দ করেন।

উক্তি

বিগত বছরগুলোতে অনেক খেলোয়াড়কে ‘নতুন জর্জ বেস্ট’ বলা হয়েছে, কিন্তু এবারই প্রথম এটি আমার জন্য সত্যিকারের প্রশংসা।
-জর্জ বেস্ট, ১৮ বছর বয়সী রোনালদোর সম্পর্কে

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো আমার চেয়ে অনেক ভালো। পরিসংখ্যানই তা প্রমাণ করে। তিনি ফুটবল ইতিহাসের সেরা খেলোয়াড়। 
-জিনেদিন জিদান

বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সবগুলো ম্যাচ টি-টোয়েন্টি!

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজের সবগুলো ম্যাচ টি-টোয়েন্টি!
ছবি : সংগৃহীত

ব্যর্থ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শেষে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ব্যস্ত সময় পার করছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল)। লিগের মাঝপথে শেষে আগামী মাসে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে সিরিজ। ঘরের মাঠে হতে যাওয়া এই সিরিজে খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা।

ঘরের মাঠে হতে যাওয়া সেই সিরিজে দুটি টেস্ট ম্যাচ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। দুটি টেস্টই হতে যাচ্ছে ঢাকার বাইরে সিলেট ও চট্টগ্রামে।

এই সিরিজের পর মে মাসে পাকিস্তান সফরে যাবে বাংলাদেশ। মাসখানেক পর জুলাই মাসে আবার পাকিস্তান ক্রিকেট দল সফর করবে বাংলাদেশ।

তবে সিরিজটি এফটিপির বাইরের। দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই ওয়ানডে সংস্করণে হওয়ার কথা ছিল। তবে এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। 

জানা গেছে, সিরিজের সবগুলো ম্যাচ হতে পারে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কা আয়োজন করবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। সেই বিশ্ব আসরকে সামনে রেখেই দুই দলের ৮ ম্যাচের দুই সিরিজের সবগুলো ম্যাচই টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হতে পারে।

গুঞ্জন ছড়ালেও বিসিবি কিংবা পিসিবি কারো পক্ষ থেকেই অফিশিয়ালি কোনোকিছু জানানো হয়নি। 

আইপিএল নাম কাটা গেল ধারাভাষ্যকার ইরফানের

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
আপডেট: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
নাম কাটা গেল ধারাভাষ্যকার ইরফানের
ছবি : সংগৃহীত

ইরফান পাঠান নিয়মিতই এখন ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করেন থাকেন। আন্তর্জাতিক ম্যাচ থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট, সব জায়গাতেই তার দেখা মেলে। তবে এবারের আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের প্যানেলদের তালিকা থেকে বাদ পড়লেন তিনি।

গত শুক্রবার সদ্য শুরু হওয়া আইপিএলের ধারাভাষ্যকারদের নাম প্রকাশ করা হয়। যেখানে ভারতীয়-বিদেশি, সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে সংখ্যাটা ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব ক্রিকেটার। সেই তালিকায় ছিল না ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ইরফান পাঠানের নাম।

পরে জানা গেছে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের অভিযোগের ভিত্তিতেই ইরফানকে রাখা হয়নি এবারের প্যানেলে। ‘মাইখেল’ এর বরাত দিয়ে এমন সংবাদ প্রচার করেছে ভারতের বেশকিছু সংবাদমাধ্যম।

স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক আইপিএলের অফিশিয়াল সম্প্রচারকারী প্রতিষ্ঠান ইরফানের না থাকা নিয়ে মাইখেল সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, বেশ কিছু ক্রিকেটার অভিযোগ করেছেন – তিনি ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থেকে সিদ্ধান্ত টেনে আনেন। 

এমনকি সবশেষ বোর্ডার-গাভাষ্কার ট্রফিতে অস্ট্রেলিয়ায় ভারতের এক ক্রিকেটারকে নিয়ে সমালোচনামূলক কথা ভালোভাবে নেননি সেই তারকা। এমনকি সূত্রের দেওয়া তথ্যমতে সেই ক্রিকেটার ইরফানকে ব্লক করে দিয়েছেন ফোনেও। 

এ বিষয়ে পাঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও মন্তব্য পায়নি সংবাদমাধ্যমটি।

সূত্র এমনও জানিয়েছে যে, নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও আইপিএল চলাকালিন নির্দিষ্ট কিছু ক্রিকেটারের সঙ্গে আলাপচারিতায় ইরফানের ‘অ্যাটিটিউট’ ভালোভাবে নেয়নি বিসিসিআই। এমনটা না হলে তিনি এবারও ধারাভাষ্যকার হিসেব থাকতেন আইপিএলে। সবশেষ দুই বছরে নির্দিষ্ট কিছু খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত এজেন্ডা কায়েম করছে, যেটা ভালোভাবে নেওয়া হয়নি।’

উল্লেখ্য, ক্রিকেটারদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে হার্শা ভোগলে এবং সঞ্জয় মাঞ্জরেকারদের মতো ধারাভাষ্যকারদেরও বাদ পড়ার ঘটনা ঘটেছিল। রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জেরে ২০২০ সালে ভারতের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ থেকে বাদ দেওয়া হয় সঞ্জয়কে। ২০১৬ আইপিএল শুরুর কিছুদিন আগে কোনো রকম ব্যাখ্যা দেওয়া ছাড়াই ধারাভাষ্য প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল হার্শা ভোগলেকে। 

সেই সময় তিনি ফেসবুক পোস্টে জানান, ‘আমাকে কেন আইপিএলে রাখা হয়নি আমি এখনও জানি না। মানুষ আমাকে পছন্দ করে না সেটি আমি মানছি। কিন্তু আমি আশা করব না যে কোনো ক্রিকেটারের অভিযোগের কারণে এমনটা ঘটেনি।’

অভিমানের সুরে সাকিব বললেন, ‘অভিযোগ নেই’

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ০১:০৫ পিএম
অভিমানের সুরে সাকিব বললেন, ‘অভিযোগ নেই’
ছবি : সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কথাটা তিনি গেল বছর ভারতের নাগপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাকিবই ছিলেন না কিছুদিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে।

সেই স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার একটা বড় কারণ ছিল বোলিং অ্যাকশন। সেই পরীক্ষায় তখন পাশ না করতে পারা সাকিবকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে দলে জায়গা দিতে রাজি ছিল না নির্বাচকরা।

পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া সেই আসরে বাংলাদেশ দল দেওয়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করেছিল কিনা, এ নিয়ে রয়েছে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল। 

এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন সাকিব নিজেই। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে তিনি কথা বলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগে কতটুকু যোগাযোগ হয়েছে তার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না থাকায় বোর্ডের প্রতি তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্নে সাকিব জানিয়েছেন, ‘দেখুন, আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে যদি সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও ভালো হতো, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম।’

সেই প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও  সাকিবের শৈশবের পরামর্শদাতা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে এক সপ্তাহ ক্যাম্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটিও করা সম্ভব হয়নি। বিসিবি তার অনুরোধটি উপেক্ষা করে। পরে বোলিং পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দিয়েই ঘোষণা করা হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সাকিব অবস্থান করছিলেন কানাডায়। সেখানে তিনি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছিলেন। দেশের হয়ে সাদা জার্সি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললেও রাজনৈতিক বাস্তবতায় আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি তার। এমনকি দেশের মাটিতে টেস্ট অবসরের ইচ্ছাও এখনও ঝুলে আছে।

জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপনে সাকিব

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:৫০ এএম
জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপনে সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

বেটিং কোম্পানির শুভেচ্ছাদূত হয়ে বছর দুয়েক আগে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। বিসিবির চাপে পড়ে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে সাকিব নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিতে বাধ্য হন। 

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করায় ২০১৯ সালের শেষদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন এক বছরের জন্য। সেই সাকিব বেটিং কোম্পানি ‘বেট উইনার নিউজ’ এর শুভেচ্ছাদূত হওয়ায় অবাক হয়েছিল সবাই।

বর্তমানে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন সাকিব। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তার দেশে ফেরার পথ বন্ধ হয়ে গেছে। নাম নেই তার বিসিবির কেন্দ্রিয় চুক্তিতেও। ক্রিকেট থেকে দূরে থাকায় বন্ধ তার বেশিরভাগ  দূতিয়ালি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শুভেচ্ছাদূত হওয়ার কার্যক্রমও। 

তবে গতকাল একটি জুয়া কোম্পানির বিজ্ঞাপনে দেখা গেল সাকিবকে। দীর্ঘদিন পর কোনো কোম্পানির শুভেচ্ছাদূতের কাজ করতে যাচ্ছেন তিনি।  ‘১এক্সব্যাট’ নামে বেশ পরিচিত এই জুয়ার কোম্পানির বিজ্ঞাপন সাকিবের ফেসবুক পোস্ট করা হয়েছে। 

গতকাল থেকে শুরু হয়েছে আইপিএলের ১৮তম আসর। সেই আসরকে সামনে রেখেই হয়তো বাংলাদেশের বিপুল দর্শকদের লক্ষ্য করে সাকিবকে দিয়ে এই প্রচারণা শুরু করেছে ‘১এক্সব্যাট’।

সাকিব এখন বিসিবির চুক্তিতে নেই। অদূর ভবিষ্যতে কেন্দ্রিয় চুক্তির বিষয়টি অনিশ্চিত। এমন অবস্থায় এই ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশ নিতে বাধা নেই তার।

তবে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনে প্রকাশ্যে জুয়া-সম্পর্কিত যেকোনো কার্যক্রম নিষিদ্ধ। সাকিবের এই বিজ্ঞাপন নিশ্চয়ই তার বাংলাদেশি অনুসারীদের লক্ষ্য করে দেওয়া হয়েছে।

সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে আছেন পরিবারের সঙ্গে। কদিন আগে তিনি ইংল্যান্ডে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় উতরে গেছেন। ক্রিকেটে আগের মতো খেলার ছাড়পত্র পেলেও কবে মাঠে ফিরছেন, সেটি এখনো নিশ্চিত নয়। জাতীয় দলে আর আদৌ খেলতে পারবেন কি না, বলার উপায় নেই এই মুহূর্তে।

উড়ন্ত শুরু বেঙ্গালুরুর

প্রকাশ: ২৩ মার্চ ২০২৫, ১১:১০ এএম
উড়ন্ত শুরু বেঙ্গালুরুর
ছবি : সংগৃহীত

ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা ঠিকঠাক দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও হতাশা নিয়ে মাঠে ছেড়েছে। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েও কলকাতাকে হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। ফলে টুর্নামেন্টে দারুণ শুরু করেছে রজত পাতিদাররা।

১৭৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বিরাট কোহলি ও ফিল সল্টের দারুণ উদ্বোধনী  জুটি সহজ করে দেয় ম্যাচ। ৯৫ রানের জুটিতে ৯ চার ও ২ ছয়ে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন সল্ট। তবে কোহলি অপরাজিত ছিলেন ৩৬ বলে ৫৯ রান করে। দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি ৩ ছয় ও ৪টি চারের মারে। 

১৬ বলে ৩৪ করেন অধিনায়ক রজত পাতিদার। দেবদূত পাদিক্কাল করেন ১০ রান। ৫ বলে ১০ রান করে অপরাজিত ছিলেন লিয়ান লিভিংস্টোন। 

এর আগে, আজিঙ্কা রাহানে আর সুনিল নারিনের ব্যাটে চড়ে ৮ উইকেটে ১৭৪ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছিল কলকাতা।

তবে অভিজ্ঞ অধিনায়ক আজিঙ্কা রাহানে দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে খেলেন দারুণ এক ইনিংস। তার ব্যাটে আসে ৩১ বলে ৫৬ রান। তাকে সঙ্গ দেওয়া সুনিল নারাইন আউট হন ২৬ বলে ৪৪ রান করে। তার আউটের ২ রান পরই রাহানে আউট হলে ১০৯ রান রাইডার্সদের পতন হয় ৩ উইকেটের। তাদের জুটি হয় ১০৩ রানের।

দ্রুত ২ উইকেট হারানো কলকাতার ইনিংস মেরামত করতে ব্যর্থ হন ভেঙ্কটেশ আয়ার। ৭ বলে ৬ রান করেই ক্রুনাল পান্ডিয়ার বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। পান্ডিয়া বোল্ড করেন রিঙ্কু সিংকেও (১০ বলে ১২)।

মারকুটে আন্দ্রে রাসেল হন ব্যাট হাতে ব্যর্থ। ৩ বলে ৪ করে সুয়েশ শর্মার বলে বোল্ড ক্যারিবীয় অলরাউন্ডার। শেষদিকে ২২ বলে ৩০ রানের ইনিংস খেলেন আঙ্গকৃষ রঘুবানসি।

বেঙ্গালুরুর ক্রুনাল পান্ডিয়া ২৯ রানে শিকার করেন তিনটি উইকেট।