ঢাকা ৮ চৈত্র ১৪৩১, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
English

চিটাগংয়ের হৃদয়ে ভেঙে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা

প্রকাশ: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫১ পিএম
আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৬ পিএম
চিটাগংয়ের হৃদয়ে ভেঙে বরিশালের টানা দ্বিতীয় শিরোপা
ছবি: সংগৃহীত

মেগা ফাইনালে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি গড়ল চিটাগং কিংস। বিপিএল ইতিহাসে দলটির প্রথম শিরোপার স্বপ্নে যেন জোর হাওয়াই লাগল তাতে। কিন্তু বড় লক্ষ্য তাড়ায় ফরচুন বরিশালের জবাবটাও হলো জুতসই। ম্যাচের শেষ হাসিটা তাই তাদেরই। অর্থাৎ বিপিএলের একাদশ আসরের চ্যাম্পিয়ন বরিশাল। 

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠিত ফাইনালে ৩ উইকেটের জয় পেয়েছে বরিশাল। ১৯৫ রানের বড় লক্ষ্য তারা পেরিয়েছে ৩ বল হাতে রেখে। বিপিএল ফাইনালে এতো বড় লক্ষ্য তাড়া করার রেকর্ড এটিই প্রথম।

এনিয়ে প্রতিযোগিতায় টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপার স্বাদ পেল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন বরিশাল।

উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান যোগ করে বরিশালকে জয়ের ভিত এনে দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। নবম ওভারের প্রথম বলে তামিমের বিদায়ের মাধ্যমে জুটির পতন হয়।

শিরোপা নির্ধারণী মঞ্চে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম। ২৯ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি ৯ চার ও ১ ছক্কায়। একই ওভারে হৃদয় ফেরেন ২৮ বলে ৩২ রানের ইনিংস খেলে। তবে এরপর কাইল মেয়ার্স ২৮ বলের ৪৬ রানের ইনিংসে দলকে টেনে নিয়েছেন।

শেষ দিকে বরিশালের দ্রুত ৩ উইকেট পতনে ম্যাচ জমে উঠেছিল। তবে চিটাংগের ভাগ্যের শিকে ছিঁড়েনি। রিশাদ শেষ দিকে ৬ বলে ২ ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাতেই শেষের শঙ্কা কাটিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর করে বরিশাল।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেটে ১৯৪ রানের পুঁজি গড়ে চিটাগং। ৪৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৮ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ হোসেন ইমন। ৬টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি।

আরেক ওপেনার খাওয়াজা নাফের ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬৬ রান। তিনে নেমে ২৩ বলে তিনটি ছক্কা ও দুটি চারে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।

তোফায়েল/এমএ/

ইতিহাস লিখতে চলেছে ওল্ড ট্রাফোর্ড

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:০৫ এএম
ইতিহাস লিখতে চলেছে ওল্ড ট্রাফোর্ড
প্রস্তাবিত মাঠের বাইরের দৃশ্য

স্টেডিয়ামগুলো ফুটবলের কেন্দ্রবিন্দু, যা ভক্তদের তাদের আবেগ প্রকাশ করতে এবং স্মৃতি তৈরি করতে দেয়। তাই প্রতিটি স্টেডিয়াম গড়ে উঠে নিজস্ব নকশায় এবং দলের রঙে। আধুনিক যুগে এটা আরও বেশি বিকশিত হয়েছে। নতুনত্বের ছোঁয়ায় পুরোনো স্টেডিয়ামগুলো বহুকেন্দ্রিক এবং বিলিয়ন খরচে শোভা পাচ্ছে আধুনিক স্থাপত্য ও হচ্ছে বৃহদাকৃতির। যেমন- টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম। সংস্কার কাজ শেষে এই মাঠটি এখন ফুটবলের পাশাপাশি অন্যান্য খেলায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। এমনই এক প্রজেক্ট হাতে নিয়েছেন স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের নতুন মালিক ঘোষণা করেছেন- ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১ লাখ আসনসংখ্যার নতুন স্টেডিয়াম তৈরি করবেন তিনি, যার খরচ পড়বে ২ বিলিয়ন পাউন্ড। র‌্যাটক্লিফের এমন ঘোষণা সাড়া ফেলেছে বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে। কেননা, তার প্রস্তাবি প্রজেক্ট শেষে ওল্ড ট্রাফোর্ড বনে যাবে ফুটবল বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল এবং বড় স্টেডিয়াম। বিশ্বের ব্যয়বহুল পাঁচটির একটি।

ব্যয়বহুল ১০টি ফুটবল স্টেডিয়াম

স্টেডিয়াম            দেশ        ব্যয় (পাউন্ড)            আসনসংখ্যা
ইয়াঙ্কি স্টেডিয়াম        যুক্তরাষ্ট্র        ১.৫ বিলিয়ন        ৪৬,৫৩৭
মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্টেডিয়াম    যুক্তরাষ্ট্র        ১ বিলিয়ন        ৭১,০০০
সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল স্টেডিয়াম সিঙ্গাপুর            ১ বিলিয়ন        ৫৫,০০০
টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম যুক্তরাজ্য            ১ বিলিয়ন        ৬২,৮৫০
ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম        যুক্তরাজ্য            ১ বিলিয়ন        ৯০,০০০
অলিম্পিক স্টেডিয়াম        কানাডা        ১ বিলিয়ন        ৫৬,০০০
এস্তাদিও ন্যাশনাল        ব্রাজিল        ৬০০ মিলিয়ন    ৩৭,৫৯৩
সান্তিয়াগো বার্নাব্যু        স্পেন                ৫০০ মিলিয়ন        ৮১,০০০
ক্রেসতোভিস্কি স্টেডিয়াম    রাশিয়া        ৫০০ মিলিয়ন    ৬৮,০০০
লন্ডন স্টেডিয়াম        যুক্তরাজ্য            ৪৮৬ মিলিয়ন    ৬২,৫০০

বিশ্বের চতুর্থ ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম হবে

র‌্যাটক্লিফের নতুন প্রজেক্ট ম্যানইউর বর্তমান মাঠটির ইতি ঘটাবে, যা ১৯১০ সাল থেকে ক্লাবের প্রধান মাঠ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। দীর্ঘ আলোচনা এবং অনেক ভাবনার পরই রেড ডেভিলস একটি নতুন স্টেডিয়াম নির্মাণের সিদ্ধান্তে এসেছে। নতুন প্রজেক্টে স্টেডিয়ামটি পাবে ছাতার আকৃতি, যেখানে থাকবে একটি বিশাল পাবলিক প্লাজা এবং ওল্ড ট্রাফোর্ডকে দেবে নতুন রূপ। বিশাল এই প্রজেক্টের জন্য অর্থায়ন কীভাবে হবে তা জানাতে পারেনি ক্লাব কর্তৃপক্ষ, যাদের মাথায় ইতোমধ্যে ১ বিলিয়ন ইউরোর ঋণের বোঝা রয়েছে। তবে এটা নিশ্চিত যে তারা রাষ্ট্রীয় তহবিলের আশায় রয়েছে। যাই হোক সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হচ্ছে- ম্যানইউর নতুন স্টেডিয়ামটি বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে কোথায় স্থান পাবে?

বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল ১০টি স্টেডিয়ামের বেশির ভাগই মার্কিন মুল্লুকে। এই তালিকায় সেরা দশে রয়েছে ফুটবলের দুটি স্টেডিয়াম: টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়াম নবম স্থানে এবং ওয়েম্বলি সপ্তম স্থানে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম হলো লস অ্যাঞ্জেলেসের সোফি স্টেডিয়াম, যা র‌্যামস এবং চার্জেসের হোম গ্রাউন্ড। ৫.০৫ বিলিয়ন ইউরো খরচে এনএফএলের ভেন্যুটি উম্মুক্ত করা হয় ২০২০ সালে। ম্যানইউর নতুন স্টেডিয়ামটি খরচের দিক থেকে সোফি স্টেডিয়ামের ধারেকাছেও পৌঁছাতে পারবে না।

দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউইয়র্কে ইয়াঙ্কি স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুটির খরচ ২.১ বিলিয়ন ইউরো। বিলাসবহুল স্টেডিয়ামের মধ্যে আরেকটি হলো ইনটুইট ডোম। মাত্র ১৮ হাজার ধারণক্ষমতার এই মাঠ নির্মাণে ব্যয় করা হয়েছিল ১.৮৩ বিলিয়ন ইউরো। এখন প্রস্তাবিত প্রজেক্ট অনুযায়ী সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বিশ্বের চতুর্থ ব্যয়বহুল স্টেডিয়াম হবে ওল্ড ট্রাফোর্ড। কারণ ইউরো বিবেচনায় এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নের ব্যয় ধরা হয়েছে ১.৮ বিলিয়ন, যা পেছনে ফেলবে লস ভেগাসের অ্যালেজিয়েন্ট স্টেডিয়ামকে। লস ভেগাস রাইডার্সের হোম গ্রাউন্ডটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছিল প্রায় ১.৭৪ বিলিয়ন ইউরো।

আসনসংখ্যায় সেরা ১০-এর বাইরে

সবচেয়ে ব্যয়বহুল স্টেডিয়ামগুলোর মধ্যে ওয়েম্বলি, টটেনহাম হটস্পার এবং সিঙ্গাপুর জাতীয় স্টেডিয়াম। এই ভেন্যুগুলোতে ধারণক্ষমতা ৫৫ হাজার থেকে ৯০ হাজার পর্যন্ত। সবগুলোকে ছাড়িয়ে নতুন ইতিহাস খেলবে ওল্ড ট্রাফোর্ড। যদিও বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনে আসন সংখ্যায় সেরা ১০-এর বাইরেই থাকবে ম্যানইউর প্রস্তাবিত মাঠটি।

স্টেডিয়াম            দেশ        আসনসংখ্যা
নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়াম    ভারত        ১,৩২,০০০
রানরাডো ফাস্ট মে স্টেডিয়াম নর্থ কোরিয়া ১,১২,২৮১
মিশিগান            যুক্তরাষ্ট্র        ১,০৭,৬১০
বিয়াভার স্টেডিয়াম        যুক্তরাষ্ট্র        ১,০৭,২৮২
ওহিও স্টেডিয়াম        যুক্তরাষ্ট্র        ১,০২,৭৮০
কাইল ফিল্ড            যুক্তরাষ্ট্র        ১,০২,৭৩৩
টাইগার স্টেডিয়াম        যুক্তরাষ্ট্র        ১,০২,২৩১
নেইল্যান্ড স্টেডিয়াম        যুক্তরাষ্ট্র        ১,০১,৯১৫
টেক্সাস মেমোরিয়াল        যুক্তরাষ্ট্র        ১,০০,১১৯
ব্রায়ান্ট-ডেনি স্টেডিয়াম    যুক্তরাষ্ট্র        ১,০০,০০৭

পাঁচ বছরের চ্যালেঞ্জ

ম্যানইউ কর্তৃপক্ষ তাদের মেগা প্রজেক্টকে বলেছে, ম্যানচেস্টারে হবে ‘নর্থ অব দ্য ওয়েম্বলি’। তাদের বিশ্বাস যে নতুন স্টেডিয়ামটি পাঁচ বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা যাবে। যদিও এই আকারের একটি প্রজেক্ট সম্পন্ন করতে প্রায় ১০ বছর সময় লাগে। তবে ক্লাবটি মনে করে, ম্যানচেস্টারে জাহাজের যে বাড়তি সুবিধা রয়েছে তার মাধ্যমে অর্ধেক সময়ে কাজ শেষ করা সম্ভব। 

র‌্যাটক্লিফ বলেছেন, ‘সাধারণত যদি আপনি স্থলভাগের মাধ্যমে ১ লাখ আসনের একটি স্টেডিয়াম তৈরি করেন, তা হলে এটি একটি ১০ বছরের প্রকল্প। কিন্তু যদি আমরা সরকারকে সঙ্গে রেখে এগিয়ে যাই তবে আমি মনে করি এটি একটি পাঁচ বছরের প্রজেক্ট, ১০ বছরের প্রজেক্ট নয়।’

ব্যর্থ হলে বিদায় নেবে মাস্টারমাইন্ড

স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ বলেছেন, ক্লাবের ভাগ্য পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হলে তিনি ম্যানইউ ছেড়ে চলে যাবেন। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসী যে তারা সঠিক পথেই আছেন।

র‌্যাটক্লিফের আইএনইওএস ২০২৪ ফেব্রুয়ারিতে গ্লেজার পরিবারের কাছ থেকে ওল্ড ট্রাফোর্ড ক্লাবের সিংহভাগ অংশীদারিত্ব কিনে ক্লাবটির ফুটবল কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকেই উচ্চাভিলাষী স্বপ্ন দেখছেন র‌্যাটক্লিফ। সম্প্রতি দ্য টাইমসকে তিনি বলেছেন, ‘সত্যি বলতে, যদি আমি ব্যর্থ হই তা হলে পদত্যাগ করব। কিন্তু আমার মনে হয় না আমি ব্যর্থ হব। যত তাড়াতাড়ি আমরা ভালো ফুটবল খেলতে শুরু করব এবং জিততে শুরু করব, তত তাড়াতাড়ি পরিস্থিতি বদলে যাবে।’

ভারতবধের স্বপ্ন নিয়ে শিলংয়ে হামজারা

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:০০ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ১১:০১ এএম
ভারতবধের স্বপ্ন নিয়ে শিলংয়ে হামজারা
ছবি: সংগৃহীত

দলের সঙ্গে এখন পর্যন্ত একটি মাত্র অনুশীলন সেশন করেছেন হামজা চৌধুরী। আর এই এক সেশনেই সতীর্থ সবার মন জয় করে নিয়েছেন শেফিল্ড ইউনাইটেডের এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। শুধু তাই নয়, দলে অন্যরকম আত্মবিশ্বাসও সঞ্চার করে ফেলেছেন ২৭ বছর বয়সী তারকা। সব ঠিক থাকলে আগামী ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে লাল-সবুজ জার্সিতে অভিষেক হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজার। এই ম্যাচটি জয়ে রাঙানোই একমাত্র লক্ষ্য হামজার সতীর্থদের। ভারতবধের মাধ্যমে হামজার অভিষেক ম্যাচটা স্মরণীয় করতে চান তারা।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি খেলতে গতকালই শিলং পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। মেঘালয় রাজ্যের এই শহরটির জওহর লাল নেহরু স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার লড়াই। এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে নিজেদের মিশন শুরু করবে হাভিয়ের কাবরেরার দল। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে আরও আছে হংকং ও সিঙ্গাপুর। এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হবে। হামজা যোগে বদলে যাওয়ার স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ দল কতটা কী করতে পারবে, তা হয়তো ভারত ম্যাচ থেকেই কিছুটা আঁচ করা যাবে।

এ বছর এটিই হবে বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ। আর এই ম্যাচেই অভিষেক হবে হামজার। দলের সিনিয়র সদস্য সোহেল রানা তো বলছেন, ভারতের বিপক্ষে নতুন এক বাংলাদেশকেই দেখা যাবে। এই মিডফিল্ডারের প্রতিশ্রুতি, ‘ভারতের সঙ্গে অবশ্যই চাইব নতুন বাংলাদেশ হিসেবে খেলতে। যেহেতু হামজা চৌধুরী এসেছে। আমরা চাইব ভালোভাবে শুরু করতে। জয় দিয়ে যেন শুরু করতে পারি। হামজাকে যেন আমরা দেশি খেলোয়াড়রা জয় উপহার দিতে পারি।’ 

শিলংয়ের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ার আগে সোহেল বিমানবন্দরে আরও বলেছেন, ‘হামজা খুবই তাড়াতাড়ি আমাদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পেরেছে। মনে হচ্ছে যে ও আমাদের সঙ্গে অনেক দিন ধরে খেলছে।’ 

লেস্টার সিটির হয়ে প্রিমিয়ার লিগ খেলা হামজা এখন ধারে চ্যাম্পিয়নশিপের দল শেফিল্ডে খেলছেন। বিমানবন্দরে ম্যানেজার আমের খানের কণ্ঠেও ছিল হামজা স্তুতি, ‘হামজা খুব বিনয়ী। তার দিক থেকে এ রকম কোনো অহমিকা নেই যে, আমি প্রিমিয়ার লিগে খেলি। ও আসায় টিম বন্ডিংটা অনেক ভালো হয়েছে।’ 

বাংলাদেশ দলের রক্ষণে অনেক দিন ধরেই সবচেয়ে বড় সেনানী তপু বর্মন। এখন থেকে হামজার মতো হাইপ্রোফাইল একজন ডিফেন্ডারকে পাশে পাবেন তিনি। দলের প্রস্তুতিও পরিপূর্ণ মনে হচ্ছে তার কাছে। তপুর কণ্ঠে তাই ভারতের বিপক্ষে জয় ছাড়া অন্য কোনো ভাবনা নেই, ‘এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইয়ারের সূচি যখন তৈরি হয়, তখনই জানতে পারি প্রথম ম্যাচটি আমাদের ভারতের বিপক্ষে। আমাদের ট্রেনিং ক্যাম্পটাও শুরু হয় অনেক আগে এবং সময় নিয়ে। এ জন্য আমাদের প্রস্তুতি বলেন, আমাদের মানসিক দৃঢ়তা বলেন, চিন্তাধারা বলেন, সম্পূর্ণ ভিন্ন। এটাই আমার কাছে মনে হয় বড় ব্যাপার। আমাদের চিন্তা-ভাবনা হলো উইনিং মেন্টালিটি।’

শিলং যাওয়ার আগে ভারত ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াড ২৪ সদস্যে নামিয়ে এনেছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। সবশেষ ৩০ সদস্যের যে স্কোয়াড ছিল, সেখান থেকে ইতালি প্রবাসী ফাহামিদুল ইসলামের বাদ পড়ার বিষয়টি আগেই জানা গিয়েছিল। চোটের কারণে ছিটকে গিয়েছিলেন মিডফিল্ডার পাপন সিং ও ডিফেন্ডার সুশান্ত ত্রিপুরা। আর ঢাকা ছাড়ার আগে আরও তিনজনকে ছাঁটাই করেছেন কাবরেরা। তারা হলেন- দুই ফরোয়ার্ড পিয়াস আহমেদ নোভা ও আরিফ হোসেন এবং ডিফেন্ডার তাজউদ্দিন। এখন ২৪ সদস্যের দল থেকে ভারত ম্যাচের আগে আরও একজনকে ছাঁটাই করতে হবে কাবরেরাকে।

ভারতের মাঠে বাংলাদেশ সবশেষ খেলেছে ২০১৯ সালের অক্টোবরে। কলকাতার সল্ট লেকে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের সেই ম্যাচটি ১-১ ড্র করেছিল জামাল ভূঁইয়ারা। ওই ম্যাচটি বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন প্রাণের সঞ্চার করেছিল। ২০২১ সালের জুনে কাতারের মাঠে ফিরতি পর্বে অবশ্য ২-০ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে একই বছর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে ১-১ গোলে রুখে দেয় বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে দুই দলের ৩১ দেখায় বাংলাদেশের জয় মাত্র ২টি। বাকির ম্যাচগুলোর ১৩টি ড্র হয়, ভারত জিতেছে ১৬টি। বাংলাদেশ দুই জয়ের প্রথমটি পায় ১৯৯১ সালে। সর্বশেষটি ১৯৯৯ সালে। অর্থাৎ হামজার অভিষেক ম্যাচ জামালরা জয়ে রাঙাতে পারলে ২৬ বছর পর ভারত বধের গল্প রচিত হবে।

২৪ সদস্যের দল-

গোলরক্ষক: মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ

ডিফেন্ডার: শাকিল আহাদ তপু, রহমত মিয়া, তারিক কাজী, তপু বর্মণ, সাদ উদ্দিন, ঈসা ফয়সাল, শাকিল হোসেন

মিডফিল্ডার: হামজা চৌধুরী, জামাল ভূঁইয়া, চন্দন রায়, মোহাম্মদ সোহেল রানা, সোহেল রানা, মোহাম্মদ হৃদয়, মজিবুর রহমান জনি, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, শেখ মোরছালিন

ফরোয়ার্ড: ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, শাহরিয়ার ইমন, আল আমিন ও রাকিব হোসেন।

ভিনির শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:১২ এএম
আপডেট: ২১ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৯ এএম
ভিনির শেষ মুহূর্তের গোলে ব্রাজিলের জয়
ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কলম্বিয়ার বিপক্ষে জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিল। ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের শেষ মুহূর্তের গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে দরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে কলম্বিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে ব্রাজিল।

ম্যাচের শুরুতেই পেনাল্টিতে গোল আদায় করে ব্রাজিলকে এগিয়ে নেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রাফিনহা। তবে সেই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। প্রথমার্ধ শেষের আগেই সমতায় ফেরে কলম্বিয়া।

৪১ মিনিটে লুইস দিয়াজের দারুণ গোলে ১-১ সমতায় বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে সেভাবে সুযোগ করতে পারেনি তারা। মনে হচ্ছিল ম্যাচ ড্র-ই হবে। নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে আরও ১০ মিনিট যোগ করেন রেফারি।

ম্যাচের ৯৮ মিনিট পর্যন্ত ছিল ১-১ সমতা। কিন্তু ৯৯তম মিনিটে দারুণ এক গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। তার গোলে পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ব্রাজিল।

এই জয়ে ১৩ ম্যাচে ব্রাজিলের পয়েন্ট এখন ২১। তারা পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এসেছে। অন্যদিকে ১৩ ম্যাচে ১৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয়ে নেমে গেছে কলম্বিয়া। ১২ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে আর্জেন্টিনা।

সালমান/ 

বাংলা সিনেমায় জোলির জীবনের গল্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
বাংলা সিনেমায় জোলির জীবনের গল্প
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতার খ্যাতিমান পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এ নির্মাতা এবার হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন একটি সিনেমা তৈরি করছেন। ছবির নাম ‘কিলবিল সোসাইটি’। এটি ২০১২ সালে একই নির্মাতার সুপারহিট ছবি ‘হেমলক সোসাইটি’-এর সিকুয়েল। গত বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পরিচালক নিজেই এসব খবর জানিয়েছেন।

এর আগে ২০০৩ সালে দ্য ফেস ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোলি জানিয়েছিলেন, ২২ বছর বয়সে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর কথা ভেবেছিলেন কিন্তু আত্মহত্যা করতে চাননি। কেননা আত্মহত্যা করলে বিষয়টি তার মায়ের জন্য মানসিকভাবে বড় এক আঘাত হতো। তাই নিজেকে হত্যা করার জন্য একজনকে নিয়োগও করেছিলেন তিনি! 

জোলি বলেছিলেন, ‘এটা পাগলামি শোনালেও আমার মনে হয় ছোটবেলায় অনেকের ভাবনাতেই আত্মহত্যার মতো বিষয়টি ঘুরপাক খায়।’
পরিবারের সদস্যরা যেন তিনি মারা গেলে অপরাধবোধে না ভুগেন এ জন্য এ অভিনেত্রী একটি সহিংসতার ঘটনাও সাজিয়েছিলেন। এমনকি খুনিকে টাকা দেওয়ার জন্য তিনি টাকার বন্দোবস্ত করাও শুরু করেছিলেন। তবে খুনি এমন কাজ করতে মোটেই রাজি ছিলেন না। তিনি জোলিকে দুই মাস ভাবার জন্য সময় নিতে বলেন এবং শেষ পর্যন্ত এ হলিউড তারকা আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরবর্তীতে তিনি হলিউডের অন্যতম সফলতম অভিনেত্রীতে পরিণত হন। 

জানা গেছে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনের এই ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ‘কিলবিল সোসাইটি’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সৃজিত মুখার্জি। ইতোমধ্যে গত বুধবার (১৯ মার্চ) ছবিটির প্রথম গানটিও প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানি মুখার্জি। 

/শাকিল  

বিসিসিআইয়ের ৫৮ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন রোহিতরা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
বিসিসিআইয়ের ৫৮ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন রোহিতরা
ছবি :সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও জিতেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত। টানা দুই আইসিসি শিরোপা জিতে প্রশংসায় ভাসছে ভারত। দারুণ পারফরম্যান্স করা ভারত দলকে স্বীকৃতি দিতে বিরাট আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারত দলের সকল সদস্যদের ৫৮ কোটি রুপি পুরস্কারের কথা জানিয়েছে বিসিসিআই।

বিসিসিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার ভারত দলকে ৫৮ কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। স্কোয়াডের ১৫ সদস্য ছাড়াও কোচ গৌতম গম্ভীর, কোচিং স্টাফের অন্য সদস্য এবং সাপোর্ট স্টাফরও রয়েছেন এই তালিকায়।

শুধু তাই নয়, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দলের নির্বাচকরাও এই পুরস্কারের অর্থের ভাগিদার পাবেন। যদিও কার জন্য বরাদ্দ কত শতাংশ তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে হওয়া সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১২৫ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে বোর্ড। স্কোয়াডের সদস্যরা ৫ কোটি। প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পান সমপরিমাণ টাকা। তবে নিজের কোচিং টিমের সদস্যদের সঙ্গে টাকা সমহারে বণ্টনের ঘোষণা দেন রাহুল। অজিত আগারকারসহ নির্বাচকদের দেওয়া হয় ১ কোটি টাকা করে। রিজার্ভ দলের সদস্যরাও সেবার বোনাস পেয়েছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে আগের মতোই পুরস্কার অর্থ বণ্টন হবে। তবে টাকার পরিমাণ কমবে যেহেতু আগেরবারের অর্ধেকের চেয়েও কম এবারের বোনাস।

বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি বলছেন, ‘পরপর আইসিসি ট্রফি জেতাটা সত্যিই স্পেশ্যাল। এই পুরস্কার ক্রিকেটারদের লড়াই এবং পরিশ্রমের স্বীকৃতি।’ বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার বক্তব্য, ‘ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের এই পুরস্কার দিতে পেরে বিসিসিআই গর্বিত। এটা বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং সুপরিকল্পিত কৌশলের ফল।’