
বাংলাদেশ ক্রিকেটের তিন বড় তারকা হলেন – সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা। তিনজনই জিতিয়েছেন বাংলাদেশকে অনেক ম্যাচ। ভক্তের সংখ্যাও অনেকবেশি তিন সিনিয়র ক্রিকেটারের। তবে এই ভক্তরাই কখনো কখনো হয়ে দাঁড়ায় তাদের ও বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য বিড়ম্বনার কারণ।
গতকাল (৭ ফেব্রুয়ারি) টানা দ্বিতীয়বার ফরচুন বরিশালের হয়ে বিপিএলের শিরোপা জয়ের পর ভক্তদের খেলোয়াড় নির্ভরতা নিয়ে সমালোচনা করেন তামিম ইকবাল।
তামিমিয়ান কিংবা সাকিবিয়ান এই ফ্যানবেজগুলো দলের চেয়েও বেশি নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ভালো পারফরম্যান্সের আশায় ব্যস্ত থাকে। মাঝেমধ্যেই তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়ে এক ক্রিকেটারের ফ্যানরা আরেক ক্রিকেটারের ফ্যান ও ক্রিকেটারকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে মন্তব্য করে। বিশেষ করে তামিম ইকবালের অবসরকাণ্ড ও বিশ্বকাপে তার না খেলার সিদ্ধান্তের পরই তা বিরাটাকারে রূপ ধারণ করে। তামিমের ভক্তরা মনে করেন সাকিবের কারণেই অবসর নিয়েছেন তামিম এবং বিশ্বকাপেও তার জায়গা হয়নি। দুই পক্ষ নিয়মিতই কাদা ছোড়াছুড়ি করে,
তবে এই কাদা ছোড়াছুড়ি বা বিভাজন দিনশেষে ক্ষতি বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্যই। ভক্তরা বিভক্ত হয়ে গেলে দিনশেষে বাংলাদেশ ক্রিকেটেরই ক্ষতি। সেই বিষয়েই গতকাল সমর্থক ও ভক্তদের সচেতন করার চেষ্টা করেছেন তামিম ইকবাল।
বিদায়বেলায় তিনি ভক্তদের জানালেন, সবার আগে ক্ষুদ্র পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের সমর্থক হতে। তিনি বলেন, ‘তামিমিয়ান, সাকিবিয়ান, মাশরাফিয়ান বলে কিছু নেই। সবাই বাংলাদেশের সমর্থক।’
কেবল একজন নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের ভক্ত হওয়ার কারণে যে তা দেশের ক্রিকেটের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন তামিম, ‘এটা (নির্দিষ্ট খেলোয়াড়ের ভক্ত হওয়া) বাংলাদেশের ক্রিকেটকে ধ্বংস করেছে। এসব জিনিস তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করে! দয়া করে এটা বন্ধ করুন!’
দেশসেরা এই ওপেনার আরও বলেন, ‘আপনি আমার ভক্ত হতে পারেন, আপনি সাকিবের ভক্ত হতে পারেন, আপনি মাশরাফির ভক্ত হতে পারেন কিন্তু দল যখন খেলে তখন বাংলাদেশের ভক্ত হন।’
‘দয়া করে তরুণ দলকে সমর্থন করুন, তারা ভুল করবে। তবে দয়া করে তাদের সমর্থন করুন, এটি আপনার দল। দয়া করে একসাথে থাকুন।’