ঢাকা ৭ চৈত্র ১৪৩১, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
English
শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

উৎসবের দিনে ‘জাল টিকিটের’ জ্বালা

প্রকাশ: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:২৯ পিএম
আপডেট: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
উৎসবের দিনে ‘জাল টিকিটের’ জ্বালা
ছবি : খবরের কাগজ

এবারের বিপিএলে বিতর্ক যতই থাকুক না কেন, মাঠের ক্রিকেট দর্শকদের মন ভরাতে পেরেছে। মাঠে টেনে নিয়ে আসতে পেরেছে। আসরের শুরুর দিন তো টিকিট না পেয়ে দর্শকরা টিকিট কাউন্টার ভাঙচুর করার মতো ঘটনাও ঘটিয়েছিলেন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে সেই চাহিদা ক্রমেই বেড়েছে। ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সর্বত্রই টিকিটের চাহিদা ছিল আকাশচুম্বী। যে কারণে কালোবাজারে চড়া মূল্যে টিকিট বিক্রি হয়েছে। এবারের বিপিএল নিয়ে দর্শকদের আগ্রহের মাত্রা এত বেশি ছিল, কালোবাজারে চড়া দামে টিকিট কিনতেও দ্বিধা করেননি। তার পরও দেখা গেছে, টিকিট না পেয়ে দর্শকরা মাঠে বসে খেলা দেখতে পারেননি। এই চাহিদা বেশি ছিল প্লে-অফের ম্যাচগুলোতে। যে কারণে ফাইনাল খেলা নিয়ে দর্শকদের আগ্রহ তুঙ্গে ওঠে। আর এই সুযোগে একটি অসাধু গোষ্ঠী জাল টিকিট ছাপিয়ে কালোবাজারে দ্বিগুণের বেশি দামে দেদারছে বিক্রি করে ফাইনাল খেলা দেখতে আসা দর্শকদের সঙ্গে প্রতারণা করে। কারণ জাল টিকিট কিনে কোনো দর্শকই মাঠে প্রবশে করতে পারেননি। পরে প্রতারিত দর্শকরা জাল টিকিট বিক্রিকারী কয়েকজনের সন্ধান পেয়ে তাদের উত্তম-মধ্যম দেন।

খবরের কাগজের হাতে কয়েকটি জাল টিকিট এসেছে। দেখে মনেই হবে না জাল টিকিট। কারণ মূল টিকিট আর জাল টিকিটের সঙ্গে পার্থক্য বের করা সাধারণ দর্শকদের পক্ষে সম্ভব না। এই জাল টিকিট ধরা পড়ে মাঠে প্রবেশ করতে গিয়ে কিউআর কোড স্ক্যানিং করার সময়। টিকিট জাল হওয়াতে কিউআর কোড স্ক্যানিং হয়নি। বিভিন্ন গেটে দায়িত্ব পালনরত কমিটির সদস্যরা জাল টিকিট চিহ্নিত করে সেই সব দর্শকদের ফিরিয়ে দেন। দর্শকরাও তখন বুঝতে পারেন, তারা প্রতারিত হয়েছেন। তারিক হাসান মিথুন, সাজিদ, মারুফ, রঞ্জন এ রকমই ৭ জন বন্ধু এসেছিলেন বেইলি রোড থেকে। তারা পূর্ব গ্যালারির ৪০০ টাকা দামের টিকিট প্রতিটি কিনেছিলেন ১১০০ টাকা করে, ফাইনালের আগের দিন বৃহস্পতিবার। ৭,৭০০ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার চেয়েও তাদের আফসোস ছিল ফাইনাল খেলা মাঠে বসে দেখতে না পারাতে। তারিক হাসান মিথুন বলেন, ‘ফাইনাল খেলা দেখার জন্য আমরা বন্ধুরা আগে থেকেই অনেক প্ল্যান করে রেখেছিলাম। যে কারণে ৭০০ টাকা বেশি দিয়েও আমরা টিকিট কিনতে দ্বিধা করিনি। ফাইনালের দিন টিকিট না পেতে পারি এই শঙ্কা থেকে ঝুঁকি এড়াতে আমার আগের দিনই মিরপুরে এসে টিকিট কিনে রেখেছিলেম। এখন টাকাও গেল, টিকিট গেল, খেলাও দেখা হলো না। আর পরিশ্রম তো আছেই।’ মারুফ বলেন, ‘আগেও ব্লাকে টিকিট বিক্রি হয়েছে। জাল হয়েছে। কিন্তু এখন এসব করছে কারা। বিসিবিতে কী দেখার কেউ নেই।’ সাজিদ বলেন, ‘আগেও জাল টিকিট বিক্রি হয়েছে। কিন্তু এবারের মতো এত অধিক পরিমাণে এবং ওপেন বিক্রি আগে কখনো হয়নি। বিসিবিকে কঠোরভাবে বিষয়টি দেখা উচিত।’ তাদের কাছেই জানা যায়, আরেক গ্রুপ ১৩ হাজার টিকিট কিনে প্রতারিত হয়েছেন।

ফাইনালের দিন মিরপুর স্টেডিয়ামের সামনে দর্শকদের লম্বা সারি। ছবি : খবরের কাগজ।

স্টেডিয়ামের ৪ ও ৫ নম্বর গেটের মাঝামাঝি জাল টিকিট বিক্রি করা নারী ও পুরুষ দুজনকে ধরে প্রতারিত হওয়া দর্শকদের কয়েকজন বেশ উত্তম-মধ্যম দেন। ফুটপাতের একটি হোটেলের ভেতর আশ্রয় নেওয়া জাল টিকিট বিক্রি করা পুরুষকে প্রতারিত দর্শকরা প্রথমে বের করে নিয়ে আসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সঙ্গে থাকা নারী নিয়ে আসতে বাধা দিলে দর্শকরা পরে তার ওপরও চড়াও হন। ধানমণ্ডি থেকে আসা নাবিল নামের এক ছাত্র তার জাল টিকিট উঁচিয়ে ধরে বলতে থাকেন, ‘এই দেখেন আমার টিকিট জাল। ঢোকার সময় জাল টিকিট ধরা পড়ে। পরে এটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা তো নিজ থেকেই বেশি দাম দিয়ে টিকিট কিনেছি খেলা দেখার জন্য। কিন্তু ওরা জাল টিকিট বিক্রি করে আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করবে কেন?’ এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে আশপাশে দেখা যায়নি। 

জাল টিকিটের ফাঁদে পড়ে দর্শকরা প্রতারিত হলেও ফরচুন বরিশাল ও চিটাগং কিংসের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য দর্শকদের ঢল নেমেছিল। দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়ে মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর থেকে যান-চলাচল মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়। এক পাশের রাস্তা তো বন্ধই হয়ে যায়। জাল টিকিটের বিষয়টি ছাড়া গতকাল মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের ভেতর ও বাইরে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। বিপিএলের শেষ দিন হওয়াতে দুই দলের জার্সিও কম দামে বিক্রি করা হয়। ৪০০ টাকার জার্সি ৩০০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। দর্শকরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে দুই দলের জার্সি কিনেছেন। বেশি বিক্রি হয়েছে বরিশালের জার্সি। মাঠে বরিশালের দর্শক উপস্থিতিও ছিল বেশি। সাপ্তাহিক বন্ধের দিন হওয়াতে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে খেলা দেখতে আসেন।

জাল টিকিট। ছবি : খবরের কাগজ।

এদিকে স্টেডিয়াম পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়াতে টিকিটি কেটেও অনেকে মাঠে প্রবেশ করতে পারেননি। গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। একদিকে জাল টিকিট কিনে প্রতারিত দর্শকদের প্রতিবাদ অন্যদিকে আবার টিকিটি কেটে ঢুকতে না পারাদের ক্ষোভ, সব মিলে বাইরের পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠে। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা লাঠিপেটা করে উত্তেজিত দর্শকদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। টিকিট কেটে ভেতরে ঢোকা প্রচুর দর্শককে দাঁড়িয়ে খেলা দেখতে হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৬ হাজার ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামে দর্শক ৩০ হাজারের বেশি ছিলেন! এত দর্শক কোথা থেকে কীভাবে এলেন- এ নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও বিসিবির কাউকে পাওয়া যায়নি।

বাংলা সিনেমায় জোলির জীবনের গল্প

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৫ পিএম
বাংলা সিনেমায় জোলির জীবনের গল্প
ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কলকাতার খ্যাতিমান পরিচালক সৃজিত মুখার্জি। এ নির্মাতা এবার হলিউড অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবন থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নতুন একটি সিনেমা তৈরি করছেন। ছবির নাম ‘কিলবিল সোসাইটি’। এটি ২০১২ সালে একই নির্মাতার সুপারহিট ছবি ‘হেমলক সোসাইটি’-এর সিকুয়েল। গত বুধবার এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পরিচালক নিজেই এসব খবর জানিয়েছেন।

এর আগে ২০০৩ সালে দ্য ফেস ম্যাগাজিনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জোলি জানিয়েছিলেন, ২২ বছর বয়সে তিনি স্বেচ্ছায় মৃত্যুর কথা ভেবেছিলেন কিন্তু আত্মহত্যা করতে চাননি। কেননা আত্মহত্যা করলে বিষয়টি তার মায়ের জন্য মানসিকভাবে বড় এক আঘাত হতো। তাই নিজেকে হত্যা করার জন্য একজনকে নিয়োগও করেছিলেন তিনি! 

জোলি বলেছিলেন, ‘এটা পাগলামি শোনালেও আমার মনে হয় ছোটবেলায় অনেকের ভাবনাতেই আত্মহত্যার মতো বিষয়টি ঘুরপাক খায়।’
পরিবারের সদস্যরা যেন তিনি মারা গেলে অপরাধবোধে না ভুগেন এ জন্য এ অভিনেত্রী একটি সহিংসতার ঘটনাও সাজিয়েছিলেন। এমনকি খুনিকে টাকা দেওয়ার জন্য তিনি টাকার বন্দোবস্ত করাও শুরু করেছিলেন। তবে খুনি এমন কাজ করতে মোটেই রাজি ছিলেন না। তিনি জোলিকে দুই মাস ভাবার জন্য সময় নিতে বলেন এবং শেষ পর্যন্ত এ হলিউড তারকা আত্মাহুতির সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। পরবর্তীতে তিনি হলিউডের অন্যতম সফলতম অভিনেত্রীতে পরিণত হন। 

জানা গেছে, অ্যাঞ্জেলিনা জোলির জীবনের এই ঘটনা থেকে অনুপ্রেরণা নিয়েই ‘কিলবিল সোসাইটি’ সিনেমাটি নির্মাণ করছেন সৃজিত মুখার্জি। ইতোমধ্যে গত বুধবার (১৯ মার্চ) ছবিটির প্রথম গানটিও প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ১১ এপ্রিল ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি দেওয়া হবে। ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও কৌশানি মুখার্জি। 

/শাকিল  

বিসিসিআইয়ের ৫৮ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন রোহিতরা

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৫৪ পিএম
আপডেট: ২০ মার্চ ২০২৫, ০৩:০০ পিএম
বিসিসিআইয়ের ৫৮ কোটি টাকা বোনাস পাচ্ছেন রোহিতরা
ছবি :সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপাও জিতেছে রোহিত শর্মার নেতৃত্বাধীন ভারত। টানা দুই আইসিসি শিরোপা জিতে প্রশংসায় ভাসছে ভারত। দারুণ পারফরম্যান্স করা ভারত দলকে স্বীকৃতি দিতে বিরাট আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছে বিসিসিআই।

বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) এক বিবৃতিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ী ভারত দলের সকল সদস্যদের ৫৮ কোটি রুপি পুরস্কারের কথা জানিয়েছে বিসিসিআই।

বিসিসিআই তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার ভারত দলকে ৫৮ কোটি রুপি পুরস্কার দেওয়া হবে। স্কোয়াডের ১৫ সদস্য ছাড়াও কোচ গৌতম গম্ভীর, কোচিং স্টাফের অন্য সদস্য এবং সাপোর্ট স্টাফরও রয়েছেন এই তালিকায়।

শুধু তাই নয়, অজিত আগারকারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় দলের নির্বাচকরাও এই পুরস্কারের অর্থের ভাগিদার পাবেন। যদিও কার জন্য বরাদ্দ কত শতাংশ তা উল্লেখ করা হয়নি বিবৃতিতে।

যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে হওয়া সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর ১২৫ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে বোর্ড। স্কোয়াডের সদস্যরা ৫ কোটি। প্রধান কোচ রাহুল দ্রাবিড়ও পান সমপরিমাণ টাকা। তবে নিজের কোচিং টিমের সদস্যদের সঙ্গে টাকা সমহারে বণ্টনের ঘোষণা দেন রাহুল। অজিত আগারকারসহ নির্বাচকদের দেওয়া হয় ১ কোটি টাকা করে। রিজার্ভ দলের সদস্যরাও সেবার বোনাস পেয়েছিলেন।

ধারণা করা হচ্ছে আগের মতোই পুরস্কার অর্থ বণ্টন হবে। তবে টাকার পরিমাণ কমবে যেহেতু আগেরবারের অর্ধেকের চেয়েও কম এবারের বোনাস।

বিসিসিআই সভাপতি রজার বিনি বলছেন, ‘পরপর আইসিসি ট্রফি জেতাটা সত্যিই স্পেশ্যাল। এই পুরস্কার ক্রিকেটারদের লড়াই এবং পরিশ্রমের স্বীকৃতি।’ বোর্ড সচিব দেবজিৎ সাইকিয়ার বক্তব্য, ‘ক্রিকেটার এবং সাপোর্ট স্টাফদের এই পুরস্কার দিতে পেরে বিসিসিআই গর্বিত। এটা বহু বছরের কঠোর পরিশ্রম এবং সুপরিকল্পিত কৌশলের ফল।’

কোপার ফাইনালে রেফারি আর্জেন্টিনার পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রদ্রিগেজের

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ০১:১৫ পিএম
কোপার ফাইনালে রেফারি আর্জেন্টিনার পক্ষ নেওয়ার অভিযোগ রদ্রিগেজের
ছবি : সংগৃহীত

বিশ্ব ফুটবলে এই মুহূর্তে আর্জেন্টিনার চেয়ে প্রভাবশালী দল দ্বিতীয়টি নেই মাঠের ফুটবল। বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা ধরে রেখেছে কোপা আমেরিকার শিরোপাও। গেল বছরের জুলাইয়ে কলম্বিয়া ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে সর্বোচ্চ ১৬ শিরোপা আর্জেন্টিনার।

তবে সেই আসরে আর্জেন্টিনার পক্ষে রেফারি অবস্থান নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছেন কলম্বিয়ার অধিনায়ক হামেস রদ্রিগেজ। তিনি দাবি করেন, ম্যাচ পরিচালনা করা ব্রাজিলিয়ান রেফারি হোদোলফো তস্কি আর্জেন্টিনার পক্ষ নিয়েছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রে মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে হওয়া ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের ১১২ মিনিটে লাউতারো মার্তিনেজের গোলে শিরোপা অক্ষুণ্ন রাখে লিওনেল মেসিরা। সেই ম্যাচের রেফারির দিকে এতদিন পর আঙুল তুললেন কলম্বিয়ান তারকা।

কোপা আমেরিকার সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা রদ্রিগেজ স্প্যানিশ সাংবাদিক এদু আগিরেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দাবি করেছেন, বাড়তি সুবিধা পেয়েছিল আর্জেন্টিনা।

তিনি বলেন, ‘কোপা আমেরিকা আমাদের দারুণ কেটেছিল। বাইরের কিছু ব্যাপার জড়িত না থাকলে আমরাই হয়তো জিততাম। ব্রাজিলিয়ান রেফারি (ভিএআর) হোদোলফো তস্কির অনেক বড় প্রভাব ছিল। তিনি একটি বা দুটি পেনাল্টি দেননি। আমার মতে, এটা খুবই পরিষ্কার ছিল।’

কেবল মাঠের ফুটবল নয়। আর্জেন্টিনাকে সুবিধা দেওয়া হয়েছিল টুর্নামেন্টের সূচিতেও, এমন অভিযোগ করেন রদ্রিগেজ, ‘আমরা এমন সব শহরে খেলেছিলাম, যেগুলো একটা থেকে অন্যটা অনেক দূরে। সে তুলনায় আর্জেন্টিনা অনেক কম ভ্রমণ করেছে। আমরা খুব ভালো ছন্দ নিয়ে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে এসেছিলাম। ফাইনালে খুব ভালো খেলছিলাম। কিন্তু সব কিছু ওদের পক্ষে গেছে। আমি বলছি না, জয় ওদের প্রাপ্য নয়, তবে সত্যিটা হচ্ছে বাইরের প্রভাব ছিল এবং সেটাই আমাদের পিছিয়ে দিয়েছিল।’

ফের আর্জেন্টিনা শিবিরে দুঃসংবাদ

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১২:২২ পিএম
ফের আর্জেন্টিনা শিবিরে দুঃসংবাদ
ছবি : সংগৃহীত

হাতে নেই বেশি সময়। উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের ম্যাচকে ঘিরে চলছে আর্জেন্টিনার প্রস্তুতি। কিন্তু চোটের কারণে দলটি পাচ্ছে না তাদের সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসি। তবে কেবল মেসিই না, ছিটকে গেছেন এবার লাউতারো মার্তিনেজও।

উরুগুয়ে ও ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে দুই ম্যাচেই অনিশ্চিত মেসি। আর চোটের কারণে উরুগুয়ের ম্যাচে অনিশ্চিত মার্তিনেজকে নিয়ে আর্জেন্টিনার আশা ব্রাজিল ম্যাচে পাওয়ার। তবে এতে করে উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে শক্তি কিছুটা কমে গেল দলটির। 

আক্রমণভাবে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন লাউতারো মার্তিনেজ। তার গোলেই টানা দ্বিতীয়বার কোপা আমেরিকার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল আর্জেন্টিনা। 

ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগের ম্যাচে ফেনুইর্দের বিপক্ষে ম্যাচসেরা হন লাউতারো মার্তিনেজ। সেই ম্যাচেই মাংসপেশির চোটে পড়ে খেলা হয়ন পরের লেগে। তবে সে ম্যাচটি তার দল জিতেছিল ৪-১ ব্যবধানে। 

গতকাল দলের সঙ্গে অনুশীলন করলেও মাংসপেশির চোটে অস্বস্তিতে আছেন আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়। মেসি-দিবালার পর মার্তিনেজের ছিটকে যাওয়া আর্জেন্টিনার জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। উরুগুয়ের বিপক্ষে ছিটকে গেলেও সম্ভাবনা রয়েছে ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামার।

এদিকে মার্তিনেজ না থাকলে তার জায়গায় কাকে খেলানো হবে সেটা নিয়েও ভাবতে হচ্ছে স্কালোনিকে। এক্ষেত্রে নিকোলাস গঞ্জালেসকে ভাবা হচ্ছে। জুভেন্তাসের এই তারকাকেই বাছাইয়ের ম্যাচে প্রতিপক্ষের রক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যেতে পারে।

উল্লেখ্য, আগামী ২২ মার্চ উরুগুয়ের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে আগামী ২৬ মার্চ ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠে নামবে আর্জেন্টিনা।

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:১৯ এএম
ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের চূড়ান্ত স্কোয়াড
ছবি : সংগৃহীত

আনুষ্ঠানিক ফটোসেশনের ২৭ জন ছিলেন অনুশীলনেও। কিন্তু সবাইকে নিয়ে তো আর স্কোয়াড ঘোষণা করা সম্ভব নয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী ভারতের বিপক্ষে ২৪ সদস্যের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন ৩ জন।

গতকাল রাতেই দল থেকে বাদ পড়ার খবর পান আরিফ, পিয়াস আহমেদ নোভা ও তাজ উদ্দিন। সকালে ফ্লাইট ধরার আশায় থাকা এই তিন ফুটবলার শেষ পর্যন্ত বাদ পড়লেন স্কোয়াড থেকে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতিকে সামনে রেখে ৩০ জন ফুটবলারকে ক্যাম্পে ডেকেছিলেন কোচ হ্যাভিয়ের ক্যাবরেরা। নতুন করে যেই ৪ জন ডাক পেয়েছিলেন ক্যাম্পে। তাদের দুইজনে জায়গা হয়নি চূড়ান্ত স্কোয়াডে।

সৌদি আরবের ক্যাম্প থেকে ঢাকায় আনা হয়নি ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহমিদুলকে। তায়েফ থেকে সরাসরি ইতালি ফিরে যান তিনি। 

নতুন মুখ হিসেবে চূড়ান্ত স্কোয়াডে আছেন হামজা দেওয়ান চৌধুরী ও আল আমিন। 

ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের ২৪ সদস্যের স্কোয়াড

মিতুল মারমা, সুজন হোসেন, মেহেদী হাসান শ্রাবণ, রহমত মিয়া, শাকিল হোসেন, ইসা ফয়সাল, কাজী তারিক রায়হান, তপু বর্মন, সাদ উদ্দিন, শাকিল আহাদ তপু, মোহাম্মদ হৃদয়, সৈয়দ শাহ কাজেম কিরমানি, সোহেল রানা, সোহেল রানা জুনিয়র, চন্দন রায়, মজিবুর রহমান জনি, শেখ মোরসালিন, জামাল ভূইয়া, হামজা চৌধুরী, ফয়সাল আহমেদ ফাহিম, রাকিব হোসেন, শাহরিয়ার ইমন, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, আল আমিন।