ঢাকা ৫ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

নামসর্বস্ব বিদেশিরা মাঠেও ছিলেন নিষ্প্রভ

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৪ এএম
আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:১৬ এএম
নামসর্বস্ব বিদেশিরা মাঠেও ছিলেন নিষ্প্রভ
সংগৃহীত

এবারের বিপিএলে মানহীন ক্রিকেটারে ভরপুর থাকার পরও চার-ছক্কার বৃষ্টি দর্শকদের মন জয় করেছিল। কিন্তু সেখানে মানহীন ক্রিকেটাররা নিজেদের মানসম্মত করে তুলতে পারেননি। দেশি ক্রিকেটারদের পাশাপাশি, মানসম্মত বিদেশি ক্রিকেটাররা জমিয়ে তুলেছিলেন আসর। এবারের মতো এত বেশি পরিমাণে মানহীন ক্রিকেটার অতীতে বিপিএলে কখনো খেলতে দেখা যায়নি। যে কারণে কোনো দল একাধিক ক্রিকেটারকে এক ম্যাচের বেশি খেলাতে সাহস করেননি। মানহীন ক্রিকেটার সবচেয়ে বেশি খেলেছেন সিলেট ও ঢাকায়। অন্য দলগুলোতেও কম-বেশি নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলেছেন। শুধু রংপুরে নামসর্বস্ব ক্রিকেটার খেলতে দেখা যায়নি কাউকে। এক নজরে চোখ বুলিয়ে দেখা যাক এসব নামসর্বস্ব ক্রিকেটারের মাঠের পারফরম্যান্সের।

ফরচুন বরিশাল 
চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের বিদেশি ক্রিকেটার খেলেছে মোট ৯ জন। মানহীন ক্রিকেটার বলতে গেলেন ছিলেন একজনই পাকিস্তানের বাঁহাতি পেসার মোহাম্মদ ইমরান। পাকিস্তানের বাইরে বিপিএলই ছিল তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। তিনি এসেছিলেন পাকিস্তানের ঘরোয়া ৫৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। বরিশালের হয়ে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচটি শুধু খেলেছিলেন। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য নিতে পারেননি।

চিটাগং কিংস
রানার্সআপ চিটাগং কিংসে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে মোট ১০ জন ক্রিকেটার খেলেছেন। নামসর্বস্ব ক্রিকেটার ছিলেন শ্রীলঙ্কার লাহিরু মিলানথা ও দক্ষিণ আফ্রিকার থমাস ও’কনেল। লাহিরুর শ্রীলঙ্কার বাইরে যুক্তরাস্ট্রের মেজর লিগ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তিনি বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে। চিটাগং তাকে  ১টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। রান করেছিলেন ৬। অস্ট্রেলিয়ার থমাস ও’কনেল বিপিএলে খেলার আগে অস্ট্রেলিয়াতে মাত্র ৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন। বিগব্যাশে তার দল মেলবোর্ন স্টার্স। তাকেও ১টি ম্যাচ খেলানো হয়েছিল খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে। ব্যাট হাতে প্রথম বলেই আউট হয়ে গিয়েছিলেন। বল হাতে ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন। আফগানিস্তানের জোবায়েদ আকবারিকেও অনেকটা একই কাতারে ফেলা যায়। দেশের হয়ে ৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে তিনি রান করেছিলেন মাত্র ৮। তার টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ২৭টি। ঢাকা ক্যাপিটালসের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ ওপেনিংয়ে নেমে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর চুর্নামেন্ট শেষ হওয়া পর্যন্ত এই তিন ক্রিকেটারই দলের সঙ্গে ছিলেন, কিন্তু তাদের কোনো ম্যাচ আর খেলানো হয়নি।

খুলনা টাইগার্স
সবচেয়ে বেশি ১১ জন ক্রিকেটার খেলেছেন খুলনা টাইগার্সে। দলের ইংল্যান্ডের পিটার শিবলীকে মানহীন ক্রিকেটারের তালিকায় ফেলা যাবে না। কারণ তিনি ইংল্যান্ডের হয়ে ২২টি টেস্ট খেলেছেন। কিন্তু ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি কোনো ম্যাচ খেলেননি। তার টি-টোয়েন্টি খেলার অভিজ্ঞতা ছিল ৪৬টি ম্যাচের। সব কটিই  ইংল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট টুর্নামেন্টে। ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে তিনি দেশের বাইরে বিপিএলেই প্রথম খেলেছেন। চিটাগংয়ের বিপক্ষে ১টি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ৩।

দুর্বার রাজশাহী
এবারের আসরে সবচেয়ে বিতর্কিত দল রাজশাহীর  রায়ান বার্ল ও মোহাম্মদ হারিসকে বাদ দিলে বাকি সবাই ছিলেন নামসর্বস্ব। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মার্ক দিয়াল বিপিএল খেলতে এসেছিলেন ৪৬টি ম্যাচ খেলে। তবে সেগুলো জাতীয় দলের হয়ে নয়। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে মাত্র ১৩ রান করেন। মিগুয়েল কামিন্স ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১৪ টেস্ট ও ১১ ওয়ানডে খেললেও কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেননি। এবার ১ ম্যাচ খেলে ৮ রান করেন, উইকেট নেন ১টি। শ্রীলঙ্কার হয়ে ১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ধর্সানা সামারাক। বিপিএলেও তিনি ১ ম্যাচ খেলে রানও করতে পারেননি,উইকেটও পাননি। আফতাব আলম আফগানিস্তানের হয়ে ২০১২ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ১২টি। সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন ২০১৮ সালে। বিপিএলে ৩ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩টি।

ঢাকা ক্যাপিটালস 
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে বেশ এগিয়ে ছিল এবারের বিপিএলের সবচেয়ে আলোচিত দল ঢাকা ক্যাপিটালস। যে কারণে তাদের ভরাডুবিও হয়েছে। ভারতে জন্ম নেওয়া সুবহাম রঞ্জন  মূলত যুক্তরাষ্ট্রে মেজর লিগ খেলে থাকেন। কিন্তু পরিসংখ্যান জানান দেয় খুব একটা ভালো করতে পারেননি। বিপিএলে খেলতে এসেছিলেন ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে। যেখানে পঞ্চাশোর্ধ ইনিংস ছিল মাত্র একটি। এবার ৩ ম্যাচ খেলে ৬২ রান করেন, উইকেট নেন  ৩টি। আফগানিস্তানের ফারমানউল্লাহকে কেন নিয়ে আসা হয়েছিল, তা ঢাকা ক্যাপিটালসের কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন। আফগানিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেট ৩৭টি ম্যাচ খেলেছেন।  ৩৮৬ রানের পাশে উইকেট আছে ১২টি। এমন ক্রিকেটারকে এনে ঢাকা ৭টি ম্যাচ খেলিয়েছিল। দলকে উপহার দিয়েছেন তিনি ৫৫ রান ও ৫টি উইকেট। দক্ষিণ আফ্রিকার স্টিফেন এসকিনাজি ১১৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও দেশের হয়ে কোনো ম্যাচ খেলতে পারেননি। এমন কি নিজ দেশে এসএ২০ টুর্নামেন্টেও খেলার সুযোগ পাননি। বিপিএলে ৪ ম্যাচ খেলে ৬৮ রান  করেন।

সিলেট স্ট্রাইকার্স 
মানহীন ক্রিকেটার খেলানোর ক্ষেত্রে সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স। পয়েন্ট টেবিলে সবার তলানিতে ছিল। এতেই বুঝা যায় তারা কী মানের দল গড়েছিল? পাকিস্তানের আহসান ভাট্টিকে নিয়ে এসেছিল, যার অভিজ্ঞতা ছিল ঘরোয়া মাত্র ২টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের।  সিলেটও তাকে ২টি ম্যাচ খেলিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজরে লুক জাগেসার বিপিএল খেলতে আসার আগে ঘরোয়া ২১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার প্রথম কোনো টুর্নামেন্ট। কোনো বিবেচনায় এ রকম ক্রিকেটারকে সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলভুক্ত করেছেন, সে ব্যাখ্যা তারাই ভালো দিতে পারবেন। ৫ লাখ টাকার ওপরে শুধু বিমান ভাড়া দিয়ে তাকে উড়িয়ে এনে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলানো হয়। রান করেন ৫ রান ও উইকেট নেন ২টি।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার খাদেম আলিয়ান। ৩ ম্যাচ খেলে তিনি রান করেন মাত্র ১০। তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল ঘরোয়া  মাত্র ১৮টি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা থেকে। কোনো হাফ সেঞ্চুরি  ছিল। না।  কিন্তু তবুও তাকে মনে ধরেছিল সিলেটের মালিকদের। ওয়েস্ট ইন্ডিজের আরেক ক্রিকেটার রাকিন কর্নওয়েল। খেলা দিয়ে নয়, বিশাল শরীর দিয়ে তিনি ক্রিকেট বিশ্বে পরিচিতি পেয়ে গেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডই তাকে শুধু টেস্ট ক্রিকেটের জন্য বিবেচনা করে থাকে। অথচ সিলেটের ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে টি-টোয়েন্টির জন্য মহামূল্যবান মনে করেছেন! এমন নয় যে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে তার সুখ্যাতি আছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বাইরে বিপিএলেই তার একমাত্র ঠিকানা।

নিগারদের হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৮ পিএম
নিগারদের হারিয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ছবি : সংগৃহীত

টানা ৩ ম্যাচ জিতে প্রায় বিশ্বকাপের মূলপর্বে খেলা নিশ্চিত করে ফেলেছিল বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। কিন্তু আজ চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩ উইকেটে পরাজিত হয়েছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই জয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) লাহোরের সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন মাঠে য়াগে ব্যাটিং করে বাংলাদেশের দাঁড় করায় ২২৭ রানের দলীয় সংগ্রহ। সেটি ৩ উইকেট হারিয়ে টপকে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এটি ক্যারিবীয় নারীদের চতুর্থ ম্যাচ দ্বিতীয় জয়।

বাংলাদেশ হারলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে লড়াই করতে হয়েছে এই জয় পেতে। ৭৪ রানের আগে ৩ উইকেট হারালেও সেই ধকল সামাল দেয় তারা স্টাফানি টেইলর ও অধিনায়ক হেইলি ম্যাথিউসের ৬৬ রানের জুটিতে। মারুফা আক্তার সেই জুটি ভাঙেন হেইলি ম্যাথিউস ব্যক্তিগত ৩৩ রানে নাহিদা আক্তার আউট করলে। ফলে চতুর্থ উইকেটের পতন ঘটে।

দলীয় ১৪৭ রানে নিজের বলে নিজের ক্যাচে পরিণত করে স্টাফানি টেইলরকে ফেরান মারুফা আক্তার। তিনি করেন ৩৬ রান। তাতে ১৪৭ রানে ৫ উইকেট হারায় উইন্ডিজরা। 

শুরুর ৩ ব্যাটারের দুইজন কিয়ানা জোসেফ ও শামাইন ক্যাম্পবেল ৩১ ও ২৪ রান করে। জাইদ জেমস করেন ৯ রান। 

দলীয় ১৯৭ রানে শাবাইকা গজনবি রিতু মনির বলে ক্যাচ দেন জান্নাতুল ফেরদৌসের কাছে ২০ রান করে। জয় থেকে ২ রান আগে থাকতেই আলিয়া অ্যালিন ১১ রান করে ফিরলে সপ্তম উইকেটের পতন ঘটে। তবে তাতে কোনো সমস্যা হয়নি জয় পেতে। ৩ উইকেটের জয়ে নিজেদের দ্বিতীয় দলগত সাফল্য ধরা দেয় উইন্ডিজ মেয়েদের। ৪ ম্যাচে ২ জয়ে তাদের এখন পয়েন্টও ৪।

মারুফা আক্তার ২ উইকেট পেয়েছেন। স্বর্ণা আক্তার ছাড়া বাকি ৫ বোলারের সবাই পেয়েছেন ১টি করে উইকেট।

বাংলাদেশ হারলেও এখনও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। শেষ ম্যাচের পাকিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বিশ্বকাপের মূলপর্ব। বাংলাদেশ পরের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হারলে এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড দুই দলই যদি জয় পায় তখন নেট রানরেটে এগিয়ে থাকা দল যাবে বিশ্বকাপের মূলপর্বে। 

সাকাকে ‘থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন মিকেল আর্তেতা

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪১ পিএম
সাকাকে ‘থাপ্পড়’ মারতে চেয়েছিলেন মিকেল আর্তেতা
ছবি : সংগৃহীত

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে কোয়ায়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে রিয়াল মাদ্রিদকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে আর্সেনাল। আগের লেগে ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জয়ের পর দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে জিতে ১৬ বছর পর শেষ চারে গেছে আর্সেনাল।

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে স্বাগতিক রিয়াল মাদ্রিদকে হারানো মোটেও সহজ কাজ নয়। আছে বহু অবিশ্বাস্য জয়ের কীর্তি তাদের। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও এই কারণেই সম্ভবত দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের আগে তেমন উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি গানার্সদের। 

তবে সবকিছু ছাপিয়ে ২-১ ব্যবধানে জিতে শেষ চারে জায়গা নিশ্চিত করেছে আর্সেনাল। যদিও ম্যাচের ১৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েও পানেনকা শট নিয়ে গোল করতে ব্যর্থ হন বুকায়ো সাকা। শটটি ঠেকিয়ে দেন রিয়ালের গোলকিপার থিবো কোর্তোয়া। 

সাকার সেই মিস অবশ্য ম্যাচে প্রভাব ফেলেনি। এই মিসের কারণে রিয়াল বাড়তি কোনো সুবিধা আদায় করতে পারেনি। কোর্তোয়া সেই শট ঠেকিয়ে দলকে উজ্জীবিত করলেও দল আর জেতেনি। আবার জিতলেও প্রথম লেগের ৩ গোলের বাধা অতিক্রম করতে হতো স্বাগতিকদের। যার কিছুই করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

বুকায়ো সাকা সেই গোল মিস না করলে ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। ম্যাচের শুরুর দিকে এই মিসের সময় কি চলছিল আর্সেনাল কোচ মিকেল আর্তেতার মনে ?

ম্যাচ শেষে আর্সেনালের কোচের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল সেটাই। প্রশ্ন শুনে মজার ছলে আর্তেতা বলেছেন, ‘আমি মরতে চাইনি, তবে তাকে থাপ্পড় দিতে চেয়েছিলাম। সে এমন (পানেনকা) সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সে এভাবে মারতে বেশ সাহসী ছিল কিন্তু মিস করে। আমি শুধু ইমোশনাল মুহূর্তটি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন ছিলাম। (গোল হলে) আমাদের জন্য কী হতে পারত। এখানে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে এই বয়সে সে যে ব্যক্তিত্ব দেখিয়েছে তা সত্যি অবিশ্বাস্য।’

তবে পেনাল্টি মিসে পরে পুষিয়ে দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সী এই ইংলিশ উইঙ্গার। দ্বিতীয়ার্ধের ৬৫ মিনিটে তিনিই দলের হয়ে করেন প্রথম গোলটি। সেই গোলটি আবার শোধ দিয়ে দেয় ভিনিসিয়ুস জুনিয়ার মিনিট দুয়েক পর ম্যাচের ৬৭ মিনিটে। কিন্তু যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে রিয়ালকে তাদের মাঠেই স্তব্ধ করে দেন গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লি। ২-১ গোলের জয়ে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-১ ব্যবধানে ১৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে আর্সেনাল। 

চাকরি হারালেও রিয়ালকে ধন্যবাদ দেবেন আনচেলত্তি

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
চাকরি হারালেও রিয়ালকে ধন্যবাদ দেবেন আনচেলত্তি
ছবি : সংগৃহীত

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদ প্রত্যাবর্তনের গল্প লিখেছে একাধিকবার। তবে গতকাল তা আর হয়নি। আর্সেনালের কাছে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে হারার পর দ্বিতীয় লেগে ঘরের মাঠেও ২-১ ব্যবধানে হেরে বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদের।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে সর্বাধিক ১৫ শিরোপা জেতা রিয়াল মাদ্রিদের বিদায়ে হতাশ সমর্থকরা। নিশ্চিতভাবেই মন খারাপ দলের সদস্যদের। আলোচনা উঠেছে এই বিদায়ে কি বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে কোচ কার্লো আনচেলত্তিরও?

এমনটা যদি বাস্তবে রূপও নেয় তা একেবারে হাসিমুখেই মেনে নেবেন আনচেলত্তি। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের এই মৌসুমে মাঠের পারফরম্যান্স মোটেও ধারাবাহিক ছিল না। সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগসহ সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তাদের হার ১২ ম্যাচে। অথচ আগের মৌসুমে তাদের হার ছিল মাত্র ২ ম্যাচে।

আগের মৌসুমটা দাপটের সঙ্গে কাটানোর পর এই মৌসুমে দলের বাজে অবস্থার দায় কোচের ওপরও আসে। দলের এমন পারফরম্যান্সে চাকরি হারানোটাও স্বাভাবিক ভাবছেন আনচেলত্তি।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) আর্সেনালের কাছে হেরে বিদায় নেওয়ার পর সংবাদ সম্মেলনে আনচেলত্তি বলেন, ‘কোচ বদলের সিদ্ধান্ত ক্লাব নিতে পারে, হতে পারে এই বছর অথবা পরের বছর যখন আমার চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে, তাতে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি যখন এখান থেকে বিদায় নেব, তখন ক্লাবকে শুধু ধন্যবাদই দিয়ে যাব। এটা আগামীকাল হতে পারে, ১০ দিনের মধ্যে, ১ মাস পরে বা ১ বছর পরে, কিন্তু আমি শুধু ক্লাবকে ধন্যবাদই জানাব। আমার চুক্তি শেষ হচ্ছে কি না, সেটা আমার কাছে কোনো বিষয় নয়।’

আর্সেনালের কাছে দুই লেগেই হেরে বাদ পড়লেও শীষ্যদের চেষ্টায় কমতি ছিল না বলে মনে করেন আনচেলত্তি, ‘আমাদের মানসিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না। কিন্তু আমরা পারিনি। সত্যি বলতে, আর্সেনাল খুব ভালোভাবে ডিফেন্ড করেছে, সুযোগ তৈরি করা সহজ ছিল না। আমাদের আক্রমণাত্মক মানসিকতা বেশিই ছিল, কিন্তু সেটা যথেষ্ট ছিল না।’

রিয়াল মাদ্রিদের পরবর্তী কোচ হিসেবে বায়ার লেভারকুসেনের কোচ জাবি আলোনসো ও লিভারপুলের সাবেক কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের নাম শোনা যাচ্ছে।

বাংলাদেশের বোর্ডে ২২৭

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০২ পিএম
আপডেট: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০২:১৪ পিএম
বাংলাদেশের বোর্ডে ২২৭
ছবি : ফাইল

নারী বিশ্বকাপ বাছাইয়ে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল।

বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) লাহোর সিটি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন গ্রাউন্ডে টস জিতে আগে ব্যাটিং করে শারমিন আক্তারের সর্বোচ্চ ৬৭ ও ফারজানা হক পিংকির ৪২ রানের সুবাদে এই সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

১৬ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে সোবহানা মোস্তারি ৬ রান করে আউট হলে। সেখান থেকে ১১৮ রানের জুটি গড়েন ফারজানা হক ও শারমিন আক্তার। যা কিনা যেকোনো উইকেটে উইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রানের জুটি।

এক বলের ব্যবধানে অবশ্য দুজনই আউট হলে ১৩৫ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ নারী দল। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি মাত্র ৫ রান করে দলীয় ১৪২ রানে ধরেন সাজঘরের পথ।

১৩৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর পর ৪৯ রানের মধ্যে আরও ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রানে ৮ উইকেটের দলের পরিণত হয় নিগাররা। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের নায়ক রিতু মনি এই ম্যাচে করেন ১৫ রান।

নাহিদা ও রাবেয়ার ব্যাট থেকে আসে ২৫ ও ২৩ রান। ১১ ব্যাটারের মধ্যে পাঁচজন কেবল ছুঁতে পেরেছেন দুই অঙ্কের ঘরের রান। বাকি ৬ ব্যাটার আউট হয়েছেন এক অঙ্কের ঘরেই। এরমধ্যে একজন মেরেছেন ডাক। 

অতিরিক্ত রানের সংখ্যা ২৪ না হলে ২০০ পার হতেই থেমে যেতো বাংলাদেশের ইনিংস। অলআউট না হলেও ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৭ রান করে বাংলাদেশের মেয়েরা। ২৫০ এর বেশি দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করানো সম্ভাবনা জাগিয়েও মাঝে ধস নামায় তা আর সম্ভব হয়নি।

আলিয়া অ্যালিন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন উইন্ডিজের হয়ে। জোড়া উইকেট শিকার করেন অ্যাফি ফ্লেচার ও হ্যালেই ম্যাথিউস। ১ উইকেট শিকার করেন কিনেল্লে হেনরি।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি?

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
সেমিফাইনালে কে কার মুখোমুখি?
ছবি : সংগৃহীত

নতুন সংস্করণে হওয়া উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ প্রায় শেষদিকে। টিকে আছে এখন মাত্র সেমিফাইনালের ৪ দল। কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগ শেষে সেমিতে জায়গা করে নিয়েছে বার্সেলোনা, পিএসজি, আর্সেনাল ও ইন্টার মিলান। 

গতকাল রাতে রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে দ্বিতীয় জয় পেয়ে ১৬ বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে আর্সেনাল। প্রথম লেগে ৩-০ ব্যবধানে জেতার পর দ্বিতীয় লেগে এসে জয়টা ২-১ ব্যবধানে। দুই লেগ মিলিয়ে তাদের জয় ৫-১ ব্যবধানে।

আর্সেনাল প্রতিপক্ষ হিসেবে পেতে যাচ্ছে পিএসজিকে। যারা কিনা অ্যাস্টন ভিলাকে হারিয়ে জায়গা নিশ্চিত করেছে সেমিফাইনালে। এই দুই দলের প্রথম লেগ অনুষ্ঠিত হবে ৩০ এপ্রিল রাত ১টায়, আর্সেনালের এমিরেটস স্টেডিয়ামে। ফিরতি লেগে ৮ মে একই পিএসজির ঘরের মাঠ পার্ক দে প্রিন্সে।

অন্যদিকে ৬ বছর পর সেমিফাইনালে উঠেছে বার্সেলোনা। কোয়ার্টারে তারা হারিয়েছে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে। গতরাতে শেষ চার নিশ্চিত করা ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান খেলবে বার্সার বিপক্ষে সেমিতে।

দুই লেগের সেমির প্রথম ম্যাচটি হবে ১ মে রাত ১টায়, বার্সার ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে। ফিরতি লেগে ৭ মে একই সময়ে সান সিরোতে লড়বে এই দুই ক্লাব। 

সব উত্তেজনার শেষ হবে ১ জুন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এবারের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে জার্মানির বায়ার্ন মিউনিখের ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায়।