ঢাকা ৫ চৈত্র ১৪৩১, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫
English

যে চ্যানেলে দেখবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

প্রকাশ: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
যে চ্যানেলে দেখবেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি
ছবি : সংগৃহীত

আর মাত্র ৪ দিন পর মাঠে গড়াবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। ১৯ ফেব্রুয়ারি স্বাগতিক পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে ক্রিকেটের এই মিনি বিশ্বকাপের এবারের আসর। করাচিত হবে আসরের প্রথম ম্যাচ।

ভেন্যু ও সময় সবকিছুই জানা রয়েছে সমর্থকদের। তবে টিভি পর্দায় কোন চ্যানেলে খেলা দেখাবে সেটি জানার অপেক্ষায় ছিল ভক্তরা। সেই অপেক্ষা আজ ফুরিয়েছে আইসিসির নির্দেশনা আসার পর।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আইসিসি ই-মেইলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সম্প্রচারমাধ্যমগুলোর নাম প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেখানেই জানানো হয়েছে কোন চ্যানেল ও অ্যাপসে দেখা যাবে খেলা।

বাংলাদেশের দর্শকরা খেলতে দেখতে পাবেন টি-স্পোর্টস ও নাগরিক টিভিতে। এর বাইরে টফি অ্যাপে সাবসক্রিপশন কিনে মোবাইলে খেলা দেখা যাবে।

ভারতের টেলিভিশন চ্যানলের মধ্যে স্টার স্পোর্টস ও স্পোর্টস-১৮ তে খেলা দেখা যাবে। জিওস্টারেও দেখা যাবে খেলা। ভারতীয় চ্যানেলগুলো মোট ৯টি ভাষায় ধারাভাষ্য দেবে। 

সেই ভাষাগুলো হলো – ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, মারাঠি, হরিয়ানভি, ভোজপুরি, তামিল, তেলেগু ও কন্নড়। প্রথমবারের মতো এবার নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ।

স্বাগতিক দেশ পাকিস্তানের পিটিভি স্পোর্টস ও টেন স্পোর্টসে দেখা যাবে খেলা। অনলাইন স্ট্রিমিংয়ের জন্য মাইকো ও তামাশা অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে।

এছাড়া বিশ্বব্যাপী ভক্তদের খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছে আইসিসি। আইসিসি.টিভি (icc.tv) এর মাধ্যমে ৮০টিরও বেশি অঞ্চলে সরাসরি অডিও সম্প্রচার করা হবে। এছাড়া আইসিসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইট icc-cricket.com এ বল-বাই-বল সরাসরি ধারাভাষ্য শোনা যাবে।

নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন নাইম

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০৩:৩৫ পিএম
নতুন চ্যালেঞ্জ নিলেন নাইম
ছবি : সংগৃহীত

এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে দারুণ ছন্দে আছেন নাইম শেখ। খেলেছেন একাধিক বিধ্বংসী ইনিংস। বিশেষ করে ১৭৬ রানের ইনিংসটিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সবাইকে। 

এছাড়া তিনি খেলেছেন ৮১ রানের আরেকটি ঝলমলে ইনিংসও খেলেছেন। প্রাইম ব্যাংকের দলের চাহিদা মেটাতে দারুণ দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছেন তিনি।

তবে নাইম এবার কিছুটা ভিন্ন লক্ষ্য স্থির করেছেন জাতীয় দলের একসময়ের টি-টোয়েন্টির নিয়মিত ওপেনার। চলমান প্রিমিয়ার লিগে ১০০ চার ও ৫০ ছক্কা হাঁকাতে চান তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের সেই লক্ষ্যের কথা জানিয়েছেন নাইম নিজেই।

এক ফেসবুক পোস্টে নাইম লিখেছেন, ‘চলতি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আমি ১০০ চার এবং ৫০ ছক্কা হাঁকাতে চাই। আমি নিজেকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমি কি পারব? আপনারা কি মনে করছেন?’

নাইম এরই মধ্যে প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচ খেলে ৩৪টি চার এবং ১৭টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। 

রোজা রেখে খেলতে একটুও কষ্ট হয় না ইয়ামালের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
রোজা রেখে খেলতে একটুও কষ্ট হয় না ইয়ামালের
ছবি : সংগৃহীত

লামিনে ইয়ামালের মাঠের ফুটবলে বোকা বনে যান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। গোল এবং অ্যাসিস্টে বার্সেলোনার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠা ইয়ামালের মাঝে অনেকেই দেখতে পান লিওনেল মেসির ছায়া।

মুসলমান ঘরে জন্ম নেওয়া ইয়ামাল দিনকয়েক আগে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচে। সেই ম্যাচের মাঝপথে তিনি ইফতার করেছিলেন। রোজা রেখেও অনায়াসে খেলা চালিয়ে গেছেন। কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি তার পারফরম্যান্সে। 

রোজার প্রতি তার নিবেদন দেখে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সবাই। যাতে করে ইয়ামালের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার খাবারের পুষ্টিগুণের ব্যাপারে নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ক্লাবের জার্সি গায়ে রোজা রেখে খেলার পর এবার তিনি রোজ়া রেখে মাঠে নামবেন জাতীয় দলের হয়েও। উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। সেই দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে আছেন ইয়ামাল। 

প্রথম লেগের খেলা ২০ মার্চ ও ২৩ মার্চ মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের অনুশীলনে রোজা রাখা ছাড়াও, মূল ম্যাচেও রোজ়া রাখবেন তিনি। সাধারণত টানা শারীরিক কসরতের খেলা ফুটবলে রোজা রেখে মাঠে নামা সহজ কথানয়। 

তবে ফুটবলের মতো খেলায়ও কিভাবে কিছু না খেয়ে কাটিয়ে দেন, এমন প্রশ্নে ইয়ামাল বলেছেন, ‘একদমই কষ্ট হয় না।’

এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন, ‘মনেই হবে না যে ক্ষুধার্ত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শরীরে পানিশূন্যতা না রাখা। বার্সায় আমি এই ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। ফজরের সময়ে ইলেক্ট্রোলাইট পান করি। এটা সারাদিন শরীরকে পানিতে পূর্ণ রাখবে। ইফতারের সময় আমি চিনি না খাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবর্তে প্রচুর পানি খাই। সবকিছু তাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

রোজা রেখে বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নামা ইয়ামালের পারফরম্যান্স ছিল ঠিকঠাক। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ও পেয়েছিল বার্সা। এবার জাতীয় দলের হয়ে পালা।

হামজার প্রতি মাশরাফির শুভকামনা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম
হামজার প্রতি মাশরাফির শুভকামনা
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে হামজা চৌধুরী। তাকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশ ফুটবলের ভক্ত ও সমর্থকদের মাঝে। সিলেট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর থেকেই সিলেট ও তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মানুষের উদযাপন চলেছে তাকে নিয়ে।

কেবলই সিলেট ও হবিগঞ্জের ফুটবল সমর্থকরাই নন। তাকে নিয়ে রোমাঞ্চিত দেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও। হামজাকে নিয়ে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা।

শেফিল্ডের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে নিয়ে মাশরাফি লম্বা এক পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশ ফুটবলে তার সামনের দিনের যাত্রার প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।

খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য মাশরাফির পুরো পোস্টটি তুলে ধরা হলো – 

বাংলাদেশের ফুটবলে আপনাকে স্বাগত হামজা দেওয়ান চৌধুরি!

আপনার আগমনে প্রথম প্রেমের সেই রোমাঞ্চ যেন আবার টের পাচ্ছি, যে প্রেমের নাম ফুটবল! আমাদের ছেলেবেলায়, শৈশব-কৈশোরে ফুটবল ঘিরে যে উন্মাদনা ছিল, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে যেন দিনগুলোই ফিরে এসেছে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একজন ফুটবলার আমাদের দলে খেলেন, লেস্টার সিটি বা শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলায় তার নামের পাশে আমাদের দেশের নামও উচ্চারিত হবে, এই দেশের জন্য এটা বড় পাওয়া। 

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে শেকড়ের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে, সেই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

আপনি এসেই জাদুকরী কিছু করে রাতারাতি দেশের ফুটবল বদলে দেবেন, এমন আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা আমার নেই। মাঠে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকাও আমার জানা আছে। স্রেফ আশা করব, আপনার ছোঁয়ায় দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণের জোয়ার আসবে, লোকের আগ্রহ বাড়বে, শিশু-কিশোররা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দল বা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ফুটবলকে আপন করে নেবে। আশা করব, আপনাকে ঘিরে দেশের ফুটবলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে, আপনার পায়ে পায়ে দেশের সামগ্রিক ফুটবল এগিয়ে যাবে। 

জামাল ভূঁইয়া, তারেক কাজীসহ প্রবাসী যারা এসে দেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন, আরও যারা আসবেন, সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। 

ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। ফুটবলে এই নতুন দিনের গান আমাদের মনেও নতুন স্বপ্নের দোলা দিচ্ছে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য শুভকামনা হামজা। শুভকামনা বাংলাদেশ ফুটবল দল।

সৌদির লিগে ইংল্যান্ডের আপত্তি

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১২:১০ পিএম
সৌদির লিগে ইংল্যান্ডের আপত্তি
ছবি : সংগৃহীত

একের পর এক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের কারণে ব্যস্ততা বেড়েছে ক্রিকেটারদের। জাতীয় দলের চেয়ে এখন এসব লিগ খেলাতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় অনেক ক্রিকেটারকে। পয়সার ঝনঝনানিতে সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়ে এসব লিগে। ক্রিকেটের ব্যাপ্তিতেও অবশ্য ভূমিকা আসছে টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগকে (আইপিএল) টক্কর দিতে নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছে সৌদি আরবের রাষ্টায়ত্ত ক্রীড়া বিনিয়োগকারী সংস্থা এসআরজে স্পোর্টস। যার বিনিয়োগ ধরা হয়েছে ৫০ কোটি ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা কিনা ৬০৬৯ কোটি ৫২ লাখ টাকা।

এই খবরটি প্রচার করেছে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য এজের’ প্রতিবেদনে। তবে সৌদির এই পরিকল্পনায় আপত্তি জানিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি। 

গতকাল অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম সিডনি মর্নিং হেরাল্ডকে ইসিবির প্রধান নির্বাহী রিচার্ড গুল্ড বলেছেন, ‘ব্যস্ত আন্তর্জাতিক সূচি, বিশ্বব্যাপী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ এবং খেলোয়াড়দের ওয়ার্কলোড নিয়ে অনেক উদ্বেগ কাজ করছে। তাতে এমন পরিকল্পনার কোনো সুযোগই নেই। এমন কিছুকে আমরা সমর্থন দেব না।’

কবে নাগাদ সৌদি এই লিগ চালু করবে তা এখনও নিশ্চিত নয়। কোনো লিগ আয়োজনের ক্ষেত্রে অনুমতি নিতে হয় আইসিসির। বর্তমানে আইপিএলের চেয়ে প্রভাবশালী লিগ নেই। সৌদির এই লিগটি সাজানো হয়েছে গ্র্যান্ড স্লামের আদলে। যাতে বিনিয়োগও আইপিএলের চেয়ে বেশি। সাধারণত ভারত আইসিসি থেকে সর্বোচ্চ সুবিধা পেয়ে থাকে। তাই ইংল্যান্ডের মতো ভারতও আপত্তি জানালে অবাক হওয়ার কিছুই থাকবে না।

উল্লেখ্য, ‘দ্য এজ’-এর শনিবারের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক বোর্ড সদস্য নিল ম্যাক্সওয়েল গত এক বছর ধরে কাজ করছেন এই লিগ নিয়ে।

এই লিগ আয়োজনের মূল লক্ষ্য নতুন রাজস্বের উৎস সৃষ্টি করা এবং ক্রিকেটের বিশ্বায়ন করা। বিশেষ করে ভারত, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের বাইরে ক্রিকেটের অর্থনৈতিক ভিত্তি শক্ত করার বড় চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এটি দারুণ অবদান রাখতে পারে।

আজ অনুশীলনে যোগ দেবেন হামজা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ এএম
আজ অনুশীলনে যোগ দেবেন হামজা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ফুটবল এখন হামজা দেওয়ান চৌধুরীতে মুখর। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা এই ফুটবলার গত সোমবার ইংল্যান্ড থেকে পিতৃনিবাস সিলেটের হবিগঞ্জে আসেন। মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেওয়া। দুই দিন পরিবারের সঙ্গে কাটিয়ে গতকাল মঙ্গলবার রাতেই ঢাকায় টিম হোটেলে উঠেছেন এই ২৭ বছর বয়সী ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। আজ প্রথম বাংলাদেশ দলের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দেবেন তিনি।

বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল আজ অনুশীলন করবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। ভারতে উড়ে যাওয়ার আগে এ দফায় ঢাকায় এই একটি মাত্র অনুশীলন সেশনই পাচ্ছেন কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। আগামীকাল ভারতের শিলং উড়ে যাবে দল। ২৫ মার্চের ম্যাচটির আগে সেখানেই শেষ সময়ের জন্য দলকে প্রস্তুত করবেন তিনি।

এদিকে সিলেট ও হবিগঞ্জে রাজসিক সংবর্ধনা পেয়েছেন হামজা। লেস্টার সিটি থেকে এখন ধারে শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলা এই ফুটবলার আগেও বাংলাদেশে এসেছেন। তবে এবার যেহেতু লাল-সবুজের জার্সি গায়ে দেওয়া তার উদ্দেশ্য, এ কারণেই তাকে অন্যভাবে বরণ করে নিয়েছে মানুষ। দেশজুড়েই এই উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে গেছে। ঢাকাতেও হামজাকে বড় ধরনের সংবর্ধনার পরিকল্পনা ছিল বাফুফের। কিন্তু সময় স্বল্পতায় সেই ভাবনা থেকে সরে এসেছে সংস্থাটি। কারণ ভারত ম্যাচের আগে এখন আর হাতে সময় নেই। বড় কোনো সংবর্ধনা আয়োজনে অনুশীলনে ব্যাঘাত ঘটুক, এমনটা চায় না দেশের ফুটবলের অভিভাবক সংস্থা। তবে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশ দলের সদস্য হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হবেন হামজা। দুপুরে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে এক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে বাফুফে। মূলত ভারত ম্যাচ নিয়ে দলের সার্বিক বিষয় অবহিত করা হবে এই সংবাদ সম্মেলনে। জানা গেছে, এই সংবাদ সম্মেলনেই দলের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন হামজা।

এদিকে সৌদি আরবে প্রায় দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্প শেষে গতকাল সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। ঢাকা থেকে মোট ২৮ ফুটবলার সৌদি আরবের ক্যাম্পে যোগ দেন। ইতালি থেকে সেখানে দলের অংশ হন ফাহামিদুল ইসলাম। তিনি ইতালির চতুর্থ স্তরের দল ওলবিয়া কালসিওতে খেলেন। তবে ক্যাম্পে হাভিয়ের কাবরেরার মন জয় করতে পারেননি তিনি। আগে থেকেই ঢাকায় দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল হামজার। এখন তিনি যোগ দিলে ভারত ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডের সদস্য হবে ২৯ জন। তবে আজই অনুশীলন সেশন শেষে ২৩ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড় সাজাবেন কাবরেরা।

ঢাকায় ফিরে কাবরেরা জানিয়েছেন সৌদি আরবে তার দলের প্রস্তুতিটা বেশ ভালো হয়েছে। তার কথায়, ‘পরিপূর্ণ একটা ক্যাম্প হয়েছে। সৌদি আরবে ১২ দিন উন্নত সুবিধা নিয়ে অনুশীলন করতে পারায় আমরা খুবই ভাগ্যবান। আরও একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা আমরা মিস করেছি। কিন্তু সত্যি বলতে প্রস্তুতি নিয়ে অনেক খুশি আমি। ভারতের বিপক্ষে বড় ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য আমি খুবই রোমাঞ্চিত এবং শিহরিত।’

হামজার অন্তর্ভুক্তি কাবরেরার এই রোমাঞ্চ আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সবাই হামজার সঙ্গে সাক্ষাৎ ও ট্রেনিং করার জন্য খুবই রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছে। গত এক সপ্তাহ ধরে তার সঙ্গে আমার যোগাযোগ রয়েছে। আমিও তার সঙ্গে দেখা করার জন্য, একসঙ্গে কাজ করার জন্য এবং কীভাবে ভারতকে সামনের সপ্তাহে হারাতে পারি, তা নিয়ে পরিকল্পনা সাজাতে উন্মুখ হয়ে আছি।’ হামজা যুক্ত হওয়ায় দলের শক্তি যে বাড়বে এটা উল্লেখ করতেও ভোলেননি কাবরেরা, ‘হামজার অভিজ্ঞতার প্রভাব নিশ্চিতভাবেই আমাদের দলে পড়বে। তার নেতৃত্ব, তার পেশাদারত্ব এবং আমি মনে করি জাতীয় দলের হয়ে সেও খেলতে মুখিয়ে আছে। দলের অন্য খেলোয়াড়রাও একইভাবে তার সঙ্গে খেলতে উন্মুখ। এতে করে আমার মনে হচ্ছে, অবশ্যই ভালো কিছু বেরিয়ে আসবে।’

এদিকে সিলেট পৌঁছানোর পরই হামজা বলেছিলেন, ‘ইন্শাআল্লাহ, আমরা উইন করমু।’ ভারত ম্যাচ নিয়েই এটা বলেছিলেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে এই ম্যাচ দিয়েই এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডে নিজেদের মিশন শুরু করবে বাংলাদেশ। ‘সি’ গ্রুপে বাংলাদেশ ও ভারতের সঙ্গে আরও আছে হংকং ও সিঙ্গাপুর।