
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বশেষ আইসিসি ইভেন্টের চ্যাম্পিয়নও। ২০২৩ সালে গোটা ভারতে শোক নামিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল তারা। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তৃতীয় শিরোপার খোঁজে নামবে অজিরা।
টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই খর্বশক্তির দলে পরিণত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। একাধিক ইনজুরিতে ছিটকে গেছেন তাদের তারকা ক্রিকেটাররা। নিয়মিত অধিনায়ক প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে নেতৃত্বভার স্টিভ স্মিথের কাঁধে। দুই পেসার- মিচেল স্টার্ক এবং জশ হ্যাজলউড নেই চোটের কারণে। অলরাউন্ডার মিচেল মার্শও সাইডলাইনে। আর হঠাৎ করেই অবসর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কাস স্টয়নিস। এমতাবস্থায় ১৫ সদস্যের দলে একাধিক ব্যাক-আপ খেলোয়াড়কে রেখেছে অজিরা।
চোটগ্রস্ত হলেও অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছেন অস্ট্রেলিয়ান শিবিরে। স্মিথের পাশাপাশি, ওপেনার ট্রাভিস হেড এবং বিস্ফোরক অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আছেন, যারা ২০২৩ বিশ্বকাপে দারুণ অবদান রেখেছিলেন। মূলত তারাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অজিদের মূল অস্ত্র। তাদের দলে মার্নাস লাবুশানে, অ্যালেক্স ক্যারি এবং অ্যাডাম জাম্পা হলেন অন্য অভিজ্ঞের নাম। সবমিলিয়ে পূর্ণশক্তি না হলেও লড়াই করার মতো একটি দল রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার।
অস্ট্রেলিয়ার অভিযান শুরু হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। ‘বি’ গ্রুপে তাদের প্রথম ম্যাচ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। ভেন্যু লাহোর। রাওয়ালপিন্ডিতে ২৫ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ম্যাচে লড়বে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। এরপর লাহোরে ২৮ ফেব্রুয়ারি অস্ট্রেলিয়া গ্রুপ পর্বে তাদের শেষ ম্যাচে খেলবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে।
ব্যাটিংয়ে নেতৃত্ব দেবেন স্মিথ-হেড
বড় ম্যাচের মহানায়ক ট্রাভিস হেড, ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার আস্থার কেন্দ্র। এশিয়ার মাটিতে তার কাছে স্বাভাবিকভাবেই ভক্তদের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। একই রকম চাপ থাকবে স্মিথের ওপর। এক কথায়, বড় রান করার দায়িত্ব দুজনের ওপর। টপঅর্ডারে দায়িত্ব নিতে হবে মার্নাস লাবুশানেকে এবং মিডল অর্ডারে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটার ম্যাক্সওয়েল, যিনি যেকোনো মুহূর্তে যেকোনো ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন।
স্পিনভাগে ভরসা জাম্পা
পাকিস্তানে সর্বশেষ ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে বোলারদের জন্য তেমন কোনো কিছু ছিল না। একচেটিয়া সুবিধা পেয়েছে ব্যাটাররা। যদি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও উইকেটের আচরণ এ রকম থাকে, তবে টুর্নামেন্টজুড়ে সংগ্রাম করতে হবে বোলারদের। যদি স্পিন-বান্ধব উইকেট হয়, যেমনটা এশিয়ায় হয়ে থাকে, তাহলে স্পিনভাগে অস্ট্রেলিয়ার ভরসা অ্যাডাম জাম্পা। কেননা, তিনিই দলের একমাত্র বিশেষজ্ঞ স্পিনার।
জয়ে ফিরতে পারবে তো?
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগ মুহূর্তে ধাক্কা খেয়েছে টিম অস্ট্রেলিয়া। যে শ্রীলঙ্কা টুর্নামেন্টে খেলার সুযোগ পায়নি তাদের কাছেই ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে অজিরা। এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরতে পারবেন তো স্মিথরা?
লঙ্কানদের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নাকাল হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওয়ানডেতে তাদের বোলিং ইউনিট ভালো করেছিল। শ্রীলঙ্কাকে গুটিয়ে দেয় ২১৪ রানে। সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ১৬৫ রানে গুটিয়ে যায় অজিরা। দ্বিতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে দুই বিভাগেই ব্যর্থ ছিল সফরকারীরা। প্রথমে তাদের ২৮১ রানের কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয় স্বাগতিকরা। লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ১০৭ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। এমন ব্যর্থতা নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মিশন শুরু করার অপেক্ষায় স্মিথ ও তার দল।
অস্ট্রেলিয়া দল: স্টিভ স্মিথ (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যালেক্স ক্যারি, বেন ডোয়ার্শিয়াস, নাথান এলিস, জ্যাক ব্রেজার-ম্যাকগার্ক, অ্যারন হার্ডি, ট্রাভিস হেড, জশ ইংলিশ, স্পেন্সার জনসন, মার্নাস লাবুশানে, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, তানভীর সাংঘা, ম্যাথু শর্ট এবং অ্যাডাম জাম্পা।