
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ‘বি’ গ্রুপের লড়াই দারুণ জমে উঠেছে। সেমিফাইনালে ওঠার রেসে টিকে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং আফগানিস্তান। ধারণা করা হচ্ছে, শেষ পর্যন্ত নেট রানরেটে হিসাব মেলাতে হতে পারে। ক্রিকেট টুর্নামেন্টে নেট রানরেট (এনআরআর) মূলত টাইব্রেকার, যা প্রায়ই ভক্তদের বিভ্রান্ত করে। ক্রিকেটপ্রেমী অনেকেই জানেন না এটা বের করার পদ্ধতি। আসুন জেনে নিই এনআরআর বের করার নিয়ম।
এনআরআর কীভাবে গণনা করা হয়?
এনআরআর=(মোট রান করা / মোট ওভার মুখোমুখি)-(মোট রান দেওয়া/মোট ওভার করা)
এর অর্থ হলো, একটি দলের প্রতি ওভারে করা গড় রান এবং তাদের প্রতি ওভারে দেওয়া গড় রানের মধ্যে পার্থক্য।
যদি কোনো দল তাদের সব ওভার খেলার আগেই অলআউট হয়ে যায়, তাহলে কী হবে?
যদি কোনো দল তাদের সব ওভার শেষ করার আগেই অলআউট হয়ে যায়, তাহলে এনআরআর গণনা করা হয় মোট ওভারের ওপর ভিত্তি করে। প্রকৃতপক্ষে তারা যত ওভার মোকাবিলা করেছে তার ওপর নয়।
উদাহরণ:
‘এ’ দল ৪০ ওভারে অলআউট হয় ২০০ রানে (৫০ ওভারের ম্যাচে)।
তাহলে এনআরআর হবে = ২০০/৫০ = ৪.০০
যখন কোনো দল ম্যাচ জিতে যায় তখন এনআরআর কীভাবে প্রভাব রাখে?
দ্রুত লক্ষ্য তাড়া করে ম্যাচ জেতা এনআরআর-কে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি করতে পারে। বিপরীতে, ধীর গতিতে তাড়া করলে প্রভাব কম হতে পারে।
উদাহরণ:
‘এ’ দল ৫০ ওভারে ২৫০ রান করে।
‘বি’ দল এটা তাড়া করে ৪০ ওভারে।
‘বি’ দলের রানরেট: ২৫০/৪০ = ৬.২৫
‘এ’ দলের রানরেট: ২৫০/৫০ = ৫.০০
‘বি’ দলের এনআরআর হবে: (৬.২৫–৫.০০) = +১.২৫
ডাকওয়ার্থ/লুইস দ্বারা কোনো ম্যাচ প্রভাবিত হলে এনআরআর কীভাবে গণনা করা হয়?
যদি কোনো ম্যাচ সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং ডাকওয়ার্থ/লুইস-এর মাধ্যমে ফলাফল অর্জন করা হয়, তাহলে এনআরআর বের করতে ভিন্ন নিয়ম অনুসরণ করা হয়।
উদাহরণ:
‘এ’ দল ৫০ ওভারে ২৮০ রান করে।
বৃষ্টির কারণে ‘বি’ দলের ইনিংস ৪০ ওভারে নেমে আসে এবং নতুন টার্গেট হয় ২২০।
‘বি’ দল যদি ৪০ ওভারে ২০০ রান করে, তাহলে তাদের রানরেট হবে ২০০/৪০ =৫.০০। এনআরআর বের করার ক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে যে ‘বি’ ৪০ ওভারে ২২০ রান দিয়েছে।