ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন ভারত

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
আপডেট: ০৯ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন ভারত
ছবি: সংগৃহীত

নিজ দেশে নীল সাগরে ঢেউ তুলেতে পারেনি ভারত। কোটি কোটি ভারতবাসীকে কাঁদিয়ে সেখানে অস্ট্রেলিয়া তুলেছিল হলুদ ঢেউ। কিন্তু নিজ দেশে না পারলে কী হবে, মরুর বুকে ঠিকই রোহিত শর্মারা নীল ঢেউ তুলেছেন। সেখানে কিইউ পাখিদের ডানা মেলে উড়তে দেননি। ভারতবাসীকে আনন্দে ভাসিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে তারা ফাইনাল জিতেছে ৪ উইকেটে। লো-স্কোরিংয়ের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ৭ উইকেটে করা ২৫১ রান ভারত অতিক্রম করে ৪৯ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৫৪ রান করে।

অধিনায়ক রোহিত শর্মা ও শুবমান গিলের উদ্বোধনী জুটিতে ১০৫ রানই ভারতের জয়ের রাস্তা মসৃণ করে দেয়। ১ রানের ব্যবধানে প্রথমে গিল ৩১ রান, পরে রোহিত শর্মা ৭৬ রান করে আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলিও কোনো রান না করে আউট হয়ে গেলে ভারত কিছুটা চাপে পড়ে। পরবর্তিতে  শ্রেয়াস আইয়ার ৪৮, অক্ষর প্যাটেল ২৯, লুকেশ রাহুল অপরাজিত ৩৪ হার্দিক পান্ডিয়া ১৮ রান করলে ভারতের জয় সহজ হয়ে যায়। ব্রেসওয়েল ২৮ ও স্যান্টনার ৪৬ রানে নেন ২টি করে উইকেট।

এই এক শিরোপায় ভারতের এক যুগের অবসান  হয়েছে। ২০১৩ সালে তারা সর্বশেষ এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আবার ২০২৩ সালে নিজ দেশে ৫০ ওভারের ফাইনালে হারের যে ক্ষত অন্তরে তুষের আগুনের মতো জ্বলছিল, তার অনেকটা লাঘব হয়েছে। মাঝে তারা গত বছর টি-টোয়েন্টি শিরোপাও জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে। কিন্তু ওয়ানডে বিশ্বকাপের ট্রফির সঙ্গে যেন কোনোটিরই তুলনা চলে না। কারণ এইটি যে আইসিসির আদি আসর।

ফাইনালে নিউজিল্যান্ড লড়াই-ই করতে পারেনি। কারণ ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনের সামনে ২৫১ রানের সম্বল যে কখনো ভরসা যোগায় না। দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ফাইনালের আগে একই মাঠে অস্ট্রেলিয়ার করা ২৬৪ রানও তারা আরামছে অতিক্রম করেছিল। এবারতো সে তুলনায় রান ছিল আরো কম। সেখানে আবার চলতি আসরে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার পেসার হ্যানরিকে ছাড়াই খেলতে নেমেছিল। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যাচ ধরতে গিয়ে তিনি চোট পেয়েছিলেন। এক আসরে নিউজিল্যান্ডকে দুইবার হারাল ভারত। এর আগে গ্রুপ পর্বে তারা ম্যাচ জিতেছিল ৪৪ রানে।

দুবাইয়ে শুধুমাত্র ভারতই তাদের সব ম্যাচ খেলেছে। কোনো ম্যাচেই বড় স্কোর হয়নি। ফাইনালেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বোলারদের দাপট গ্রপ পর্বের ম্যাচের মতো ফাইনালেও অব্যাহত ছিল। বোলারদের দাপটের মাঝে আবার সেখান আধিপত্য ছিল স্পিনারদের। তা দুই দলেরই। নিউজিল্যান্ডের ইনিংসের যে ৭টি উইকেটর পতন হয়েছে তার ৫টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। ১টি ছিল রানআউট। একইভাবে ভারতের ইনিংসের পতন হওয়া ৬ উইকেটের মাঝে  নিউজিল্যান্ডের স্পিনাররা নিয়েছেন ৫টি। 

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় স্কোয়াডে অবিশ্বাস্যভাবে স্পিনার ছিল ৫ জন। যার ৪ জনকেই তারা ফাইনালসহ শেষ ৩ ম্যাচে খেলিয়েছে। আর কোনো দলই কিন্তু এভাবে স্কোয়াডে ৫ জন স্পিনার রাখার সাহস দেখাতে পারেনি। এই না পারার কারণ ভেন্যু। কারণ একমাত্র ভারতই জানতে তাদের সবগুলো খেলা দুবাইয়ে হবে। যে  কারণে দুবাইয়ের উইকেট বিবেচনা করে সেভাবে দলে স্পিনারদের মিছিল রাখে। বাকি দলগুলোকে পাকিস্তানের কন্ডিশন মাথায় রেখে পেস ও স্পিনের ভারসাম্য রেখে দল গড়তে হয়েছে। যে কারণে অন্য দলগুলো চাইলেও ভারতের মতো চারজন স্পিনার খেলাতে পারেনি। আর এই সুবিধাটিই ভারত গ্রুপ পর্বের শেষ দুই ম্যাচের মতো ফাইনালেও কাজে লাগিয়েছে। চার স্পিনারই তাদের ম্যাচ আধিপত্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। নতুবা নিউজিল্যান্ড যেভাবে শুরু করেছিল, তাতে করে তাদের বড় সংগ্রহের আভাস ছিল। সেখানে তাদের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৫১ রান।

নিউজিল্যান্ডের  ইনিংসে  ভারতের চার স্পিনার মিলে ৩৮ ওভার বোলিং করে ১৪৪ রান দিয়ে  উইকেট নেন ৫টি, সেখানে দুই  পেসার ১২ ওভারে ১০৪ রান দিয়ে উইকেট নেন ১টি। এতেই বুঝা যায় স্পিনারদের কী পরিমাণ অভয়ারণ্য ছিল উইকেট। কুলদ্বীপ, বরুন ও জাদেজা ১০ ওভারের কোটা পূরণ করে যথাক্রমে ৪০, ৪৫ ও ৩০ রান দিয়ে উইকেট নেন ২টি, ২টি ও ১টি। অক্ষর প্যটেল ৮ ওভারে ২৯ রান দিয়ে থাকেন উইকেট শূন্য। মোহাম্মদ শামি ৯ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া উইকেট শূন্য থাকেন ৩ ওভারে ৩০ রান দিয়ে।

টস জিতে ব্যাট করতে নামার পর নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল উড়ন্ত। দুই পেসার মোহাম্মদ সামি ও  হার্দিক পান্ডিয়াকে পাত্তা না দিয়ে তারা দ্রুত রান সংগ্রহ করতে থাকেন। ৫ ওভারেই রান ছিল  বিনা উইকেটে ৩৭।  বাধ্য হয়ে ৬ষ্ঠ ওভারেই অধিনায়ক রোহত শর্মা  স্পিন আক্রমণ নিয়ে আসেন। কিন্তু বরুণকে আক্রমণে এনেও নিউজিল্যান্ডের রান সংগ্রহের গতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়নি। ফলে ১০ম ওভার থেকে রোহিত শর্মা দুই প্রান্তে স্পিন আক্রমণ শুরু করেন, তা চলতে থাকে  ৪৩ ওভার পর্যন্ত। চার স্পিনার বরুণ-কুলদ্বীপ-অক্ষর-জাদেজা চেপে ধরেন নিউজিল্যান্ডের ব্যাটারদের। তাদের বল খেলা দুষ্করই হয়ে পড়ে তাদের। রোহিত এই চার স্পিনারকেই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ব্যবহার করতে থাকেন। পেসারদের সাবলিল খেলে যেখানে দুই ওপেনার উইল ইয়াং ও রাচিন রবীনন্দ্র সহজেই রান সংগ্রহ করছিলেন, সেখানে তারা দুই জনেই কাটা পড়েন স্পিনে। জুটিতে ৫৭ রান আসার পর প্রথমে আউট হন উইল ইয়াং (১৫) বরুনের  ভেল্কিতে এলবিডব্লিউ শিকার হন। আসরে একমাত্র ব্যাটার হিসেবে ২ সেঞ্চুরি করা রাচিন রবীন্দ্র ২৯ বলে ৩৭ রান করার পর কুলদ্বীপের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান। কুলদীপ তার পরের ওভারে নিজেই ক্যাচ ধরে ফিরিয়ে দেন সেমিতে সেঞ্চুরি করা অভিজ্ঞ কেন উইলিয়ামসনকে (১১)। ১৮ রানে কিইউরা হারায় ৩ উইকেটে। ফলে বিনা উইকেটে ৫৭ রান থেকে দলের সংগ্রহ পরিণত হয় ৩ উইকেটে ৭৫। উড়ন্ত সূচনায় ছেদ পড়ে নিউজিল্যান্ডের। পড়ে যায় চাপে।

ক্রমাগত স্পিন আক্রমণের পাশাপাশি উইকেট পড়তে থাকার কারণে নিউজিল্যন্ডের রান যেখনে ছিল ওভার প্রতি সাতের উপরে, সেখানে পাঁচের নিচে নেমে আসে। এ সময় ড্যারেল মিচেল ও গ্লেন মিচেল জুটি গড়ে উদ্বোধনী জুটির সমান ৫৭ রান যোগ করার পর তাদের মাঝে বিচ্ছেদ আসে। বিচ্ছেদ ঘটান বরুন ফিলিপসকে ৩৪ রানে বোল্ড করে। ব্রেসওয়েলকে নিয়ে মিচেল আরেকটি জুটি গড়ার চেষ্টা করেন। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৬ রান আসার পর এবার মিচেলই আউট হয়ে যান। স্পিন দিয়ে নিউজিল্যান্ডের রানের  চাকা আটকে রাখার পর ৪৪ ওভারে আবার অধিনায়ক রোহিত শর্মা মোহাম্মদ সামিকে আক্রমণে আনার পর তিনি ফিরিয়ে দেন মিচেলকে। ৯১ বলে হাফ সেঞ্চুরি করার পর আউট হন ১০১ বলে ৩ চারে ইনিংসের সর্বোচ্চ ৬৩ রান করে। শেষ  ৫ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৫০ রান যোগ করে মূলত ব্রেসওয়েল  ৪০ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারে  অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেললে।

এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিব

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই সাকিব ছিলেন কানাডায় ছিলেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ি টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরে যেতে হয়েছে দুবাই থেকে।

দেশে হওয়া সবশেষ তিন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই নির্বাচনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকাকালিন অংশ নিয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে সাকিব মনে করেন তার আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাক্ষাৎকারে সম্মুখীন হয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল নাকি সঠিক এমন প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি রাজনীতিতে যাওয়া ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে গেলে সেটাও ভুল হবে। একজন ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী—যেই হোক, রাজনীতিতে যাওয়া তার অধিকার। মানুষ চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে দেবে না।’ 

আবারও মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করলে জয়ের বিশ্বাসটা রয়েছে তার মাঝে, ‘আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কারণ আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি আবার নির্বাচন করলে কেউ আমাকে হারাতে পারবে না।’

সেই সাক্ষাৎকারে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল কারণও খোলাস করেছেন, ‘মূলত জনগণের জন্য কাজ করতেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন যে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা আর পারেননি। সাকিবের কথা, ‘যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়ালাম, তখন শুধু একটা সুযোগ চেয়েছিলাম—মানুষের জন্য কাজ করার। দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এটা আমি মেনে নিচ্ছি।’

রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। খেলতে পারেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।

প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।

যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি। 

মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে। 

বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। 

অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।

পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ এএম
পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বরাবরই একজন লেগ স্পিনারের সংকটে ছিল। সেই সংকট নিরসন হয়েছে রিশাদ হোসেনকে পাওয়ার পর। তরুণ এই লেগি দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরের দলগুলোরও চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএলে) খেলতে গিয়ে তিনি এখন আছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট পাওয়ার পর ‘পিএসএল ক্লাসিকো’তেও করাচি কিংসের বিপক্ষে তার শিকার ৩ উইকেট। 

৬ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তার দল লাহোরও জয় পেয়েছে ৬৫ রানের ব্যবধানে। আরেক লেগি আবরার  যিনি খেলছেন কোয়েটার হয়ে। রিশাদের ইকোনমি  ও গড় ভালো হওয়ায় শীর্ষে তাকেই রাখা হয়েছে।

পিএসএল অভিষেকেও ৩ উইকেট পেয়ে দলের জয়ে রেখেছিলেন ভূমিকা। তবে করাচির বিপক্ষে এই ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি ১১ বলের ব্যবধানে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।

এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় করাচি। দলীয় অর্ধশতকেই ৭ উইকেট হারানো করাচির হয়ে খুশদিল ৩৯ ও হাসান আলী ২৭ রান করেন। যা তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ দুই ইনিংস।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর। দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড

জ্যোতির ঝলকে বিশ্বকাপের কাছাকাছি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
জ্যোতির ঝলকে বিশ্বকাপের কাছাকাছি বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

আরও একবার জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়েও রাখলেন দারুণ ভূমিকা। তার ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ দাঁড় করায় ২৭৬ রানের রেকর্ড পুঁজি। পরে জয় এসেছে ৩৪ রানের। এটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ নারী দলের টানা তৃতীয় জয়।

জয়ের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের অবস্থানও সবার ওপরে। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে অবস্থান করছে স্বাগতিক পাকিস্তান। বিশ্বকাপের কাছাকাছি চলে এসেছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (১৫ পেরিল) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাব দিতে নেমে ৫০ ওভার পুরো ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪২ রানের বেশি করতে পারেনি স্কটিশরা।

বাংলাদেশের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি খেলেন ঝোড়ো ৮৯ রানের ইনিংস ৫৯ বলে। তবে শুরুটা নড়বড়ে ছিল জ্যোতিদের। 

দলীয় সংগ্রহ অনুযায়ী বড় হয়নি উদ্বোধনী জুটি। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ইসমা তানজিম ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছেন ফারজানা হক। এদিনও খেলেন ৮৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। শারমিনও আছেন সেই ধারবাহিক পারফর্মারের তালিকায় ৭৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। তাদের জুটি হয় ১০৩ রানের। এরপরের গল্পটা নিগারের ৮৩ রানের ইনিংসের। যেই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চারে।

এই লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে অভিজ্ঞ নাহিদা আক্তারের তোপে পড়ে স্কটিশরা। তিনি একাই শিকার করেন ৪০ রানে ৪ উইকেট। তবে শুরুটা করেছিলেন মারুফা আক্তার দ্রুম্মডকে ফিরিয়ে। জোড়া উইকেট শিকার করেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। ১ উইকেট পেয়েছেন রাবেয়া ও মারুফা।

তিন ম্যাচে এক শতক ও দুই অর্ধশতকে ২১৭.৫০ গড়ে জোতি বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২৩৫ রান নিয়ে তিনি ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন।

টিভিতে আজকের খেলা (১৬ এপ্রিল)

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:০৯ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (১৬ এপ্রিল)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (১৬ এপ্রিল) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

আইপিএল

দিল্লি-রাজস্থান
রাত ৮টা, টি-স্পোর্টস
স্টার স্পোর্টস ১

পিএসএল

ইসলামাবাদ-মুলতান
রাত ৯টা, নাগরিক টিভি
টি স্পোর্টস অ্যাপ

ফুটবল (সরাসরি)

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

ইন্টার মিলান-বায়ার্ন মিউনিখ
রিয়াল মাদ্রিদ-আর্সেনাল
রাত ১টা, সনি টেন ১/২, সনি লাইভ

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ

নিউক্যাসল-ক্রিস্টাল প্যালেস
রাত ১২টা ৩০ মিনিট
স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ১

এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ২

সিডনি-লিয়ন সিটি
বিকেল ৪টা, স্টার স্পোর্টস সিলেক্ট এইচডি ২