ঢাকা ৪ বৈশাখ ১৪৩২, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫
English
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

তুমি রবে নীরবে

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৪৬ এএম
আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২৫, ১১:৩২ এএম
তুমি রবে নীরবে
ছবি : সংগৃহীত

তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে-মম
তুমি রবে নীরবে
নিবিড় নিভৃত, পূর্ণিমা নিশীথিনী-সম
তুমি রবে নীরবে-

রবীন্দ্রনাথের এই লাইনগুলো যেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সঙ্গে অনেকটা মিলে যায়। কারণ তিনি যে ছিলেন ‘সাইলেন্ট কিলার’। বিদায়ও নিয়েছেন সাইলেন্টলি ফেসবুকে কয়েকটি বর্ণমালায়।

কেন তিনি রবেন নীরবে হৃদয়ে? পঞ্চপাণ্ডবের এক পাণ্ডব মাহমুদউল্লাহ। বাকি চারজনকে নিয়ে যে রকম আলোচনা-সমালোচনা ও মাতামাতি, সেখানে মাহমুদউল্লাহ ছিলেন অনেকটা পেছনে। কিন্তু এসব নিয়ে তার খুব একটা ভাবাবেগ ছিল না। কারণ তিনি যে উপাধি পেয়েছিলেন সাইলেন্ট কিলার। ২২ গজে রানের মালা গেঁথে যাওয়াই যেন ছিল তার কাজ। আবার দলের প্রয়োজনে বল হাতে সাফল্য পাওয়াও। এ সবই তিনি করেছেন নীরবে। কিন্তু এই নীরবতার মাঝেই কিছু কিছু ক্ষেত্রে তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তার এই ছাড়িয়ে যাওয়াটা ছিল যেকোনো ক্রিকেটারের চির আরাধ্য। বিশেষ করে একজন ব্যাটারের। বৈশ্বিক আসরে তার আগে যে দেশের হয়ে তিন অঙ্কের মালা গাঁথতে পারেননি কেউ। আবার তার চেয়ে বেশি শতকও নেই কারও। সংখ্যার মালায় চারটি। লক্ষণীয় বিষয় ওয়ানডে ক্রিকেটে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরিও এই চারটি। তারচেয়ে বড় কথা তার এই চার সেঞ্চুরির তিনটিই বাংলাদেশের ক্রিকেটে মাইলফলক হয়ে আছে। বৈশ্বিক দুটি আসরে বাংলাদেশকে সেরা সাফল্য এনে দিয়েছিল।

১৯৯৯ সাল থেকে বাংলাদেশ প্রতিবারই ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে আসছে। এ সবই ছিল শুধুমাত্র অংশগ্রহণের মাঝে সীমাবদ্ধ। মাঝে মাঝে বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া জয়ই যেন কুঁড়ে ঘরে প্রদীপ জ্বালানোর মতো হয়ে উঠত উল্লাস করার উপলক্ষ। ১৯৯৯ সালে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারানো আর ২০০৭ সালে গ্রুপ পর্বে ভারতকে হারিয়ে সুপার এইটে সুযোগ করে নিয়ে সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় ছিল বাংলাদেশের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে অন্যতম স্বাগতিক হয়েও বাংলাদেশ সবাইকে হতাশ করেছিল। সব হতাশা পরে দূর হয়ে যায় ২০১৫ সালের আসরে। বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো খেলে কোয়ার্টার ফাইনাল। যার নেপথ্যে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। অ্যাডিলেডে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তার ১০৩ রানের ইনিংস বাংলাদেশের ১৫ রানের জয়ে রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৭৫ রানের জবাব দিতে নেমে বোলারদের দৃঢ়তায় ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছিল ২৬০ রানে। বেজেছিল তাদের বিদায় ঘণ্টা। মাহমুদউল্লাহর ২ ছক্কা ও ৭ চারে ১৩১ বলে করা সেঞ্চুরি ছিল আইসিসির কোনো ইভেন্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরি। হ্যামিল্টনে পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিনি আবার করেন অপরাজিত ১২৮ রান। এটি তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ইনিংসও। আইসিসি ইভেন্টে বাংলাদেশের যেকোনো ব্যাটারেরও সর্বোচ্চ। ম্যাচটি অবশ্য বাংলাদেশ জিততে পারেনি। বাংলাদেশের ৭ উইকেটে করা ২৮৮ রান নিউজিল্যান্ড অতিক্রম করে ৭ উইকেটে ২৯০ রান করে। বিশ্বকাপে পরপর দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি ২০১৯ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত পরের আসরে সাকিব আল হাসান করেছিলেন যথাক্রমে কার্ডিফে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২১ ও টনটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ১২৪ রান। এই সাকিব আল হাসানই আইসিসির ইভেন্টে ৩ সেঞ্চুরি করে ঠিক মাহমুদউল্লাহর পেছনেই আছেন।

মাহমুদউল্লাহর পরের সেঞ্চুরি আইসিসির ইভেন্টে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দলগত অর্জনের সেরা সাফল্যের স্বীকৃতি হয়ে আছে। ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তার হার না মানা অপরাজিত ১০২ রান বাংলাদেশকে নিয়ে গিয়েছিল প্রথমবারের মতো কোনো আসরের সেমিফাইনালে। নিউজিল্যান্ডের করা ৮ উইকেটে ২৬৫ রানের জবাব দিতে নেমে বাংলাদেশ মাত্র ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ভাসছিল অথৈ সাগরে। সেখান থেকে মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব মিলে দলকে উদ্ধার করেন পঞ্চম উইকেট জুটিতে রেকর্ড ২২৪ (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে যেকোনো জুটিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ) রান করে দলকে ৫ উইকেটের জয় এনে দেয়। সাকিব ১১৪ রান করে আউট হয়েছিলেন। 

মাহমুদউল্লাহর এমন সেঞ্চুরিগুলোর সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন মাশরাফি। তাই তো অবসরের পর তার এমন ইনিংসগুলো নিয়ে মাশরাফি ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘মাঠের ভেতরে-বাইরে তোর সঙ্গে কত স্মৃতি! কত কত আনন্দ আর হতাশায় একাকার হয়েছে আমাদের সময়! অ্যাডিলেইড আর কার্ডিফে তোর সেঞ্চুরির কথা আজ আবার মনে পড়ছে। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান, তোর এই অর্জন কেড়ে নিতে পারবে না কেউ। তবে আশা করি, তোকে আদর্শ মেনে বৈশ্বিক আসরে তোর চার সেঞ্চুরির রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে দেশের অনেকে। বড় মঞ্চে তুই যেভাবে নিজের সেরাটা মেলে ধরেছিস, সেই পথ অনুসরণ করবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম।’

মাহমুদউল্লাহর অপর সেঞ্চুরিটি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে। তার ক্যারিয়ারের শেষ সেঞ্চুরিটি ছিল অবশ্য শুধুই সান্ত্বনার। মুম্বাইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের নিয়মরক্ষার ম্যাচে তিনি খেলেছিলেন ১১১ রানের ইনিংস। তারপরও বাংলাদেশ ম্যাচ হেরেছিল ১৪৯ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ৫ উইকেটে ৩৮২ রান। বাংলাদেশ ২৩৩ রানে অলআউট হয়েছিল। কিন্তু এমন সেঞ্চুরি করেও মাহমুদউল্লাহ বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছিলেন। দল টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়লেও এমন কি হার নিশ্চিত হওয়ার পরও মাহমুদউল্লার উচ্ছ্বাসের কারণ ছিল বিশ্বকাপে তার দলে জায়গা পাওয়া নিয়ে। কারণ তিনি দল থেকে বাদ পড়ে সুযোগ পেয়েছিলেন স্কোয়াডে। তাই তো তার এমন উচ্ছ্বাস।

আইসিসির ইভেন্টে তার এই অবদানের জন্যই তিনি বাংলাদেশের কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর অন্তরে চির জাগ্রত হয়ে থাকবেন অনাগত কাল। শুধু কী এ জন্যই? আরও অনেক কিছুই তিনি সঙ্গী করে বিদায় নিয়েছেন। দেশের হয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি ১৪১টি ম্যাচ খেলা, একই ফরম্যাটে সবচেয়ে বেশি ৭৭টি ছক্কা মারা ও সবচেয়ে বেশি ৪৩টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া, তিন ফরম্যাটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২০৮টি ছক্কা হাঁকানো কিংবা ফিল্ডার হিসেবে সবচেয়ে বেশি ১৭১টি ক্যাচ নেওয়া- এসব অর্জনে তিনি নাম্বার ওয়ান। তাকে মনে রাখার মতো আছে আরও কিছু কীর্তি। যেমন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্টে তার ১৫০ রানের ইনিংস। যেখানে বাংলাদেশের আর কোনো ক্রিকেটারের হাফ সেঞ্চুরিও নেই। তিনি আট নম্বরে নেমে করেছিলেন এই সেঞ্চুরি। আটে নেমে এ রকম সেঞ্চুরি করা ব্যাটার বিশ্বে খুব বেশি নেই। মাত্র ছয়জন। টেস্ট অভিষেক ইনিংসে ৫১ রানে ৫ উইকেট কিংবা অভিষেক টেস্টে ১১০ রানে ৮ উইকেট নেওয়াটাও তাকে স্মৃতির পাতায় ধরে রাখবে। অভিষেক টেস্টে তার চেয়ে বেশি উইকেট আছে শুধু সোহাগ গাজীর ২১৯ রানে ৯টি। এই টেস্ট ক্রিকেটেই নবম উইকেট জুটিতে তাসকিনকে নিয়ে তার করা ১৯১ রান দ্বিতীয় সেরা। মাত্র ৫ রানের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও প্যাট সিমকক্সকে ছাড়িয়ে সবার ওপরে যেতে পারেননি। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ার ছিল দিনের হিসাবে ১৭ বছর ২১৪ দিন। বাংলাদেশের হয়ে তারচেয়ে বেশি ক্যারিয়ার আছে তারই আত্মীয় ভায়রা ভাই মুশফিকুর রহিমের। মাহমুদউল্লাহর এক সপ্তাহ আগে ওয়ানডে থেকে বিদায় নেওয়ার দিন মুশফিকের ক্যারিয়ারের বয়স ছিল ৩৯ বছর ২০ দিন। টি-টোয়েন্টিতে মাহমুদউল্লাহর ২৪৪৪ রান বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার থেকে বেশি আছে শুধু সাকিবের ২৫৫১ রান। ২০০৭ সালে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে পথ চলা শুরু করে আবার সেই ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়েই ফুলস্টপ টেনে দেওয়া মাহমুদউল্লাহ তিন ফরম্যাট মিলে ম্যাচ খেলেছেন মোট ৪৩০টি। তার ওপরে আছেন মুশফিক ৪৭০টি ও সাকিব ৪৪৭টি। এ সবই থাকবে তার নামের পাশে। 

বিদায় মাহমুদউল্লাহ
যেতে নাহি দিব। হায়,
তবু যেতে দিতে হয়,
তবু চলে যায়।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রেমোন্তাদা নাকি রিয়ালের বিদায়?

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
রেমোন্তাদা নাকি রিয়ালের বিদায়?
ছবি : সংগৃহীত

২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরে এসেছিল বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ফিরতি লেগে জয়ের ব্যবধানটা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ন্যু ক্যাম্প বলেই ঝলসে উঠতে পেরেছিল কাতালানরা। নেইমারের শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে ৬-১ গোলে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনের নতুন সংজ্ঞাই তৈরি করেছিল বার্সা। স্মরণীয় এই প্রত্যাবর্তনকে স্প্যানিশ মিডিয়া নাম দিয়েছিল রেমোন্তাদা, মানে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসা। 

ন্যু ক্যাম্পের সেই আবহ নিয়েই আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে এমবাপ্পেদের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে যারা স্বপ্ন দেখছে সেমিতে যাওয়ার। স্বপ্নিল প্রত্যাবর্তন নাকি বিদায় ঘণ্টা বাজবে আজ চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের? কোটি টাকার প্রশ্ন এটি। তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ বার্নাব্যুতে। অন্যদিকে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতা ইন্টার মিলানকে আজ ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়ালের মতো জার্মান জায়ান্টদেরও আজ ঘরের মাঠে ফিরে আসার গল্প লিখতে হবে। না হলে নিতে হবে বিদায়। 

আলোচনায় ফ্রি কিক

রিয়ালের সবচেয়ে আলোচিত তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে এখনো সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে গোলের খাতা খুলতে পারেননি। অথচ আর্সেনালের ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ডের কেনা ডেক্লান রাইস তাকে (এমবাপ্পে) যেন শেখাতে এসেছিলেন সেট-পিসের পাঠ! মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে দুটি দারুণ ফ্রি-কিকে গোল করে তাক লাগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। তার অসাধারণ দুই গোলেই এমিরেটসে বাজেভাবে হারতে হয় রিয়ালকে। বার্নাব্যুতে তাই আজ থাকবে ফ্রি কিকের চ্যালেঞ্জও। 

প্রত্যাবর্তন

রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপীয়ান কাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র পাঁচবারই প্রথম লেগে তিন বা ততোধিক গোলের ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল। এর মধ্যে চারবারই বেজেছে বিদায় ঘণ্টা। ব্যতিক্রম একবারই। সেটাও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগে ৫-১ জিতে কোয়ালিফাই করেছিল রিয়াল। তার মানে ইতিহাস খুব একটা রিয়ালের পক্ষে নেই। 

দুই দলের হালহকিকত

গত রবিবার আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে ক্যামাভিঙ্গার গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে রিয়াল। যে ম্যাচে এমবাপ্পে লাল কার্ড দেখেন। তবে ইউরোপীয় ম্যাচে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। তবে প্রথম লেগে হলুদ কার্ডের কারণে নিষিদ্ধ ক্যামাভিঙ্গা থাকবেন না দ্বিতীয় লেগে। ইনজুরিতে রয়েছেন এদার মিলিতাও ও দানি কারভাহাল। শঙ্কায় আছেন ফেরলান মেন্ডি ও লুনিনও। 

আর্সেনালের জন্য বড় ধাক্কা ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জর্জিনহো ও পার্টের চোট। যদিও গুরুতর কিছু নয়। বেঞ্চে থাকা জুরিয়েন টিম্বার ফিরছেন মূল একাদশে। বেঙ্কস থেকে ফিরবেন সাকা, ওডেগার্ড, মেরিনোরা। তবে ইনজুরি তালিকায় আছেন জেসুস, গ্যাব্রিয়েল, হ্যাভার্টজ, টমিয়াসু ও ক্যালাফিওরি।

মার্সেলোর হুমকি

রিয়াল মাদ্রিদের অনেক স্মরণীয় সাফল্যের সাক্ষী মার্সেলো। এর মধ্যে আছে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ কিছু রঙিন অধ্যায়ও। এখন তার তিনি রিয়ালে নেই। তবে ব্রাজিলের সাবেক এই ফুটবলারের বিশ্বাস, রিয়াল ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। 

তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদকে কখনোই বিবেচনার বাইরে রাখা যাবে না। যদিও ৩ গোল মানে অনেক বড় কিছু। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে ভাবনায় রাখতেই হবে এবং আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। রিয়াল মাদ্রিদ ইজ রিয়াল মাদ্রিদ এবং তারা সবসময় ঘুরে দাঁড়ায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিরতি লেগ হচ্ছে বার্নাব্যুতে। সমর্থকেরা দারুণ প্রেরণা জোগাবে এবং ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা পারবে। অবশ্যই আমরা জানি না, মাঠে ফল কী হবে। তবে আমাদের সবটুকু বিশ্বাস আছে, রিয়াল মাদ্রিদ পারবে ঘুরে দাঁড়াতে।’

রিয়াল মাদ্রিদ: ব্যাক টু দ্য ওয়াল

মনস্তাত্ত্বিক চাপ: প্রথম লেগে বাজে হারের পর আর কিছু নেই হারানোর, এটাই হতে পারে মাদ্রিদের জন্য বড় মোটিভেশন।

রাতের জাদু: অতীতে বার্নাব্যুতে যে কত অঘটন ঘটেছে, তার সাক্ষী পুরো ফুটবল বিশ্ব। তবে রাতের জাদুতে এগিয়ে থাকছে রিয়ালই। 

দুর্বলতা: রক্ষণভাগ ভঙ্গুর। ১০টি টানা হোম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা গোল হজম করেছে। তা ছাড়া ইনজুরিতে ভুগছেন মেন্ডি, লুনিন; কারভাহাল। 
তরুণ রক্তে ভরসা: বেলিংহ্যাম-ভিনিসিউস-রদ্রিগো-এমবাপ্পে— একেকজন একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

আর্সেনাল: শান্ত, সচেতন, সাহসী

দারুণ ফর্মে: টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত, আক্রমণভাগে ধারাবাহিকতা।

রাইস ও মেরিনো ফ্যাক্টর: রাইস যেমন মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি মেরিনো এবার চারবার গোল করেছে রিয়ালের বিপক্ষে- এটা কিন্তু তুরুপের তাস!

চ্যালেঞ্জ: লিড ধরে রাখা, রক্ষণে মনোযোগ ও ইনজুরি সমস্যা সামাল দেওয়া।

উইং গেম দুর্দান্ত: সাকা-মার্তিনেল্লির গতি রিয়ালের ফুল-ব্যাকদের হিমশিম খাওয়াতে পারে।

সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সারাদেশ তখন উত্তাল ছিল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। বড় হচ্ছিল লাশের মিছিলও।

এমন সময় সাকিব আল হাসান ছিলেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে তিনি ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন সাফারি পার্কে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় তার প্রতি ক্ষোভের মাত্রাটা বেড়ে যায় সাধারণ মানুষের। 

হাসিমুখে তোলা সাকিবের সেই ছবি তখন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। দেশের তরুণরা তখন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মাঠে জীবন দিচ্ছিলেন। সেসময় বহু তরুনের আইডল হয়েও সাকিব কীভাবে ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।

সেই ছবি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ইংরেজি এক পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।

সেই ছবি সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আসলে আমি বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেছি, তারপর কানাডায় গিয়েছি। ওই ছবিটা কানাডায় তোলা হয়েছিল। আমি নিজে সেটা পোস্ট করিনি। তবুও, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে দায়টা আমি নিচ্ছি। এটা ছিল একটা আগে থেকে নির্ধারিত পারিবারিক ভ্রমণ। পরে ভেবে এখন বুঝতে পারছি — সময়টা ভালো ছিল না। একজন সাংসদ, একজন তারকা হিসেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আমি সেটা মেনে নিচ্ছি।’

সেসময় ছবিটি ভাইরাল হয়ে এতবড় প্রতিক্রিয়া হবে সেটা তিনি ভাবেননি, ‘সত্যি বলতে, আমি কল্পনাও করিনি যে ব্যাপারটা এত বড় হবে। যখন দেখলাম সমালোচনা হচ্ছে, তখন বুঝলাম মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে কতটা আঘাত পেয়েছে। অনেকে বলেছেন, ছবিটার টাইমিং খুব খারাপ ছিল। হ্যাঁ, এটা আমার ভুল। হয়তো অন্য কারও ছবি এই সময়ে এভাবে নজরে আসতো না। কিন্তু আমি সাকিব বলেই ব্যাপারটা এত আলোচিত হয়েছে। আমি আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। সেই দাপটে এসেছে জয়ও। ৩-২ ব্যবধানে ভিলা পার্কে ঘরের মাঠে। কিন্তু এ জয় আনন্দের উপলক্ষ হতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধাতে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে মিলিয়ে ৫-৪ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটিই।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভিলা পার্কে ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোলের পর ২৭ মিনিটে নুনো মেন্ডেজের গোল পিছিয়ে দেয় অ্যাস্টন ভিলাকে।

দুই গোল হজম করে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের দুই লেগ মিলিয়ে। স্বাগতিকরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে ৩৪ মিনিট থেকে। ইউরো টিউয়েলেমানসে শট নিলে সেটি আগে পিএসজির ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লাগে এরপর জড়ায় জালে। একটি গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা, কমায় ব্যবধানও।

প্রথমার্ধের খেলা অবশ্য ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে ফিরলে ৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন জন ম্যাকগিন।

দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সমতা ফেরার দুই মিনিট পরই সেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ভিলা। মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল করেননি এজরি কনস্টা। 

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া পর আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় দলটি। কিন্তু একাধিক আক্রমণ করেও পিএসজির ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারেনি। নিশ্চিত দুটি গোল আটকে দেন তিনি।

ঘরের মাঠে জয়ের পরও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় বাদ পড়তে হয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে পিএসজি।

ম্যাচশেষে পানির বোতলে লাথি মেরে রাগ প্রকাশ করেন ভিলার কোচ উনাই এমিরি। কিছুক্ষণ পর হতাশায় তিনি মাটিতে শুয়েই পড়েন। গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ খেলা শেষে বেশ কিছুক্ষণ মাঠে বসে ছিলেন।

এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই সাকিব ছিলেন কানাডায় ছিলেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ি টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরে যেতে হয়েছে দুবাই থেকে।

দেশে হওয়া সবশেষ তিন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই নির্বাচনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকাকালিন অংশ নিয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে সাকিব মনে করেন তার আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাক্ষাৎকারে সম্মুখীন হয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল নাকি সঠিক এমন প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি রাজনীতিতে যাওয়া ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে গেলে সেটাও ভুল হবে। একজন ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী—যেই হোক, রাজনীতিতে যাওয়া তার অধিকার। মানুষ চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে দেবে না।’ 

আবারও মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করলে জয়ের বিশ্বাসটা রয়েছে তার মাঝে, ‘আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কারণ আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি আবার নির্বাচন করলে কেউ আমাকে হারাতে পারবে না।’

সেই সাক্ষাৎকারে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল কারণও খোলাস করেছেন, ‘মূলত জনগণের জন্য কাজ করতেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন যে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা আর পারেননি। সাকিবের কথা, ‘যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়ালাম, তখন শুধু একটা সুযোগ চেয়েছিলাম—মানুষের জন্য কাজ করার। দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এটা আমি মেনে নিচ্ছি।’

রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। খেলতে পারেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।

প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।

যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি। 

মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে। 

বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। 

অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।