ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

প্রথমবার রানহীন সুপার ওভার

প্রকাশ: ১৫ মার্চ ২০২৫, ০১:৫৫ পিএম
প্রথমবার রানহীন সুপার ওভার
ছবি : সংগৃহীত

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ফলাফল বের হয়ে উপায় নেই। দুই দলের দলীয় সংগ্রহ সমান হয়ে গেলে সুপার ওভারে খেলার ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। এমনিতেই সংক্ষিপ্ত সংস্করণে সুপার বাড়িয়ে দেয় ম্যাচের উত্তেজনা।

সুপার ওভারের ৬ বলে যে দল যতটা সম্ভব সর্বোচ্চ সংগ্রহ দাঁড় করানোর চেষ্টা করে। তবে মাঝেমধ্যে ব্যতিক্রমও ঘটে, যা অবাক করে দেয় সবাইকে। যেমন এবার যা ঘটেছে যা আগে কখনোই দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) মালয়েশিয়ার মাঠে সুপার ওভারে কোনো রান হয়নি। শুনে অবিশ্বাস্য মনে হলেও এমনটাই ঘটেছে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাহরাইন ও হংকংয়ের মধ্যকার ম্যাচে ঘটেছে এমন ঘটনা। 

হংকংয়ের বিপক্ষে সুপার ওভারে কোনো রান না করেই গুটিয়ে যায় বাহরাইন। সুপার ওভারে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেব এমন ঘটনা এবারই প্রথম।

সুপার ওভারে আগে ব্যাটিং করতে নামা বাহরাইনের ব্যাটারদের বোলিং করেন হংকংয়ের এহসান খান। প্রথম বলটি ডট দেওয়ার পরের দুই বলে নেন ২ উইকেট। বাবর হায়াতকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন আমের বিন। পরের বলে সোহাইল খানও ক্যাচ দেন। সেটি তালুবন্দি করেন নিজাকাত খান। 

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, সুপার ওভার দুই উইকেটের খেলা হয়। ফলে তিন বলের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে অলআউট হয় বাহরাইন।

মাত্র ১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে অবশ্য হংকংয়েরও জয় পেতে খেলতে হয়েছে ৩ বল। প্রথম দুই বল ডট দেওয়ার পর তৃতীয় বলে রান নেন বাবর। 

আন্তর্জাতিক ম্যাচে সুপার ওভারে ০ রানের ঘটনাটি প্রথম হলেও ফ্র্যাঞ্চাইজ লিগে ঘটেছে একাধিকবার।

২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়নস লিগে সাসেক্সের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার দল ঈগলসের হয়ে সিজে ডি ভিলিয়ার্স সুপার ওভার মেডেন দিয়েছিলেন। তাছাড়া ২০১৪ সালের সিপিএলে গায়ানা অ্যামাজনের হয়ে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো রেড স্টিলের বিপক্ষে সুপার ওভার মেডেন দিয়েছিলেন সুনীল নারিন।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ রেমোন্তাদা নাকি রিয়ালের বিদায়?

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:২০ পিএম
রেমোন্তাদা নাকি রিয়ালের বিদায়?
ছবি : সংগৃহীত

২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৪-০ গোলে হেরে এসেছিল বার্সেলোনা। কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে হলে ফিরতি লেগে জয়ের ব্যবধানটা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু ন্যু ক্যাম্প বলেই ঝলসে উঠতে পেরেছিল কাতালানরা। নেইমারের শেষ মুহূর্তের গোলে পিএসজিকে ৬-১ গোলে হারিয়ে প্রত্যাবর্তনের নতুন সংজ্ঞাই তৈরি করেছিল বার্সা। স্মরণীয় এই প্রত্যাবর্তনকে স্প্যানিশ মিডিয়া নাম দিয়েছিল রেমোন্তাদা, মানে অবিশ্বাস্যভাবে ফিরে আসা। 

ন্যু ক্যাম্পের সেই আবহ নিয়েই আজ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে মাঠে নামছে রিয়াল মাদ্রিদ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে এমবাপ্পেদের প্রতিপক্ষ আর্সেনাল। প্রথম লেগে ৩-০ গোলের জয়ে যারা স্বপ্ন দেখছে সেমিতে যাওয়ার। স্বপ্নিল প্রত্যাবর্তন নাকি বিদায় ঘণ্টা বাজবে আজ চ্যাম্পিয়ন রিয়ালের? কোটি টাকার প্রশ্ন এটি। তবে সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ বার্নাব্যুতে। অন্যদিকে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জেতা ইন্টার মিলানকে আজ ঘরের মাঠে আতিথেয়তা দেবে বায়ার্ন মিউনিখ। রিয়ালের মতো জার্মান জায়ান্টদেরও আজ ঘরের মাঠে ফিরে আসার গল্প লিখতে হবে। না হলে নিতে হবে বিদায়। 

আলোচনায় ফ্রি কিক

রিয়ালের সবচেয়ে আলোচিত তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে এখনো সরাসরি ফ্রি-কিক থেকে গোলের খাতা খুলতে পারেননি। অথচ আর্সেনালের ১০৫ মিলিয়ন পাউন্ডের কেনা ডেক্লান রাইস তাকে (এমবাপ্পে) যেন শেখাতে এসেছিলেন সেট-পিসের পাঠ! মাত্র ১২ মিনিটের মধ্যে দুটি দারুণ ফ্রি-কিকে গোল করে তাক লাগিয়ে দেন ইংলিশ মিডফিল্ডার। তার অসাধারণ দুই গোলেই এমিরেটসে বাজেভাবে হারতে হয় রিয়ালকে। বার্নাব্যুতে তাই আজ থাকবে ফ্রি কিকের চ্যালেঞ্জও। 

প্রত্যাবর্তন

রিয়াল মাদ্রিদ ইউরোপীয়ান কাপ কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে মাত্র পাঁচবারই প্রথম লেগে তিন বা ততোধিক গোলের ব্যবধানে হেরেছে রিয়াল। এর মধ্যে চারবারই বেজেছে বিদায় ঘণ্টা। ব্যতিক্রম একবারই। সেটাও ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে ডার্বি কাউন্টির বিপক্ষে প্রথম লেগে ৪-১ গোলে হেরে দ্বিতীয় লেগে ৫-১ জিতে কোয়ালিফাই করেছিল রিয়াল। তার মানে ইতিহাস খুব একটা রিয়ালের পক্ষে নেই। 

দুই দলের হালহকিকত

গত রবিবার আলাভেসের বিপক্ষে লা লিগার ম্যাচে ক্যামাভিঙ্গার গোলে ১-০ ব্যবধানে জেতে রিয়াল। যে ম্যাচে এমবাপ্পে লাল কার্ড দেখেন। তবে ইউরোপীয় ম্যাচে তার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর নয়। তবে প্রথম লেগে হলুদ কার্ডের কারণে নিষিদ্ধ ক্যামাভিঙ্গা থাকবেন না দ্বিতীয় লেগে। ইনজুরিতে রয়েছেন এদার মিলিতাও ও দানি কারভাহাল। শঙ্কায় আছেন ফেরলান মেন্ডি ও লুনিনও। 

আর্সেনালের জন্য বড় ধাক্কা ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জর্জিনহো ও পার্টের চোট। যদিও গুরুতর কিছু নয়। বেঞ্চে থাকা জুরিয়েন টিম্বার ফিরছেন মূল একাদশে। বেঙ্কস থেকে ফিরবেন সাকা, ওডেগার্ড, মেরিনোরা। তবে ইনজুরি তালিকায় আছেন জেসুস, গ্যাব্রিয়েল, হ্যাভার্টজ, টমিয়াসু ও ক্যালাফিওরি।

মার্সেলোর হুমকি

রিয়াল মাদ্রিদের অনেক স্মরণীয় সাফল্যের সাক্ষী মার্সেলো। এর মধ্যে আছে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ কিছু রঙিন অধ্যায়ও। এখন তার তিনি রিয়ালে নেই। তবে ব্রাজিলের সাবেক এই ফুটবলারের বিশ্বাস, রিয়াল ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। 

তিনি বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদকে কখনোই বিবেচনার বাইরে রাখা যাবে না। যদিও ৩ গোল মানে অনেক বড় কিছু। তবে রিয়াল মাদ্রিদকে ভাবনায় রাখতেই হবে এবং আমার পূর্ণ বিশ্বাস আছে তারা ঘুরে দাঁড়াবে। রিয়াল মাদ্রিদ ইজ রিয়াল মাদ্রিদ এবং তারা সবসময় ঘুরে দাঁড়ায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ফিরতি লেগ হচ্ছে বার্নাব্যুতে। সমর্থকেরা দারুণ প্রেরণা জোগাবে এবং ফুটবলাররা আত্মবিশ্বাসী যে, তারা পারবে। অবশ্যই আমরা জানি না, মাঠে ফল কী হবে। তবে আমাদের সবটুকু বিশ্বাস আছে, রিয়াল মাদ্রিদ পারবে ঘুরে দাঁড়াতে।’

রিয়াল মাদ্রিদ: ব্যাক টু দ্য ওয়াল

মনস্তাত্ত্বিক চাপ: প্রথম লেগে বাজে হারের পর আর কিছু নেই হারানোর, এটাই হতে পারে মাদ্রিদের জন্য বড় মোটিভেশন।

রাতের জাদু: অতীতে বার্নাব্যুতে যে কত অঘটন ঘটেছে, তার সাক্ষী পুরো ফুটবল বিশ্ব। তবে রাতের জাদুতে এগিয়ে থাকছে রিয়ালই। 

দুর্বলতা: রক্ষণভাগ ভঙ্গুর। ১০টি টানা হোম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তারা গোল হজম করেছে। তা ছাড়া ইনজুরিতে ভুগছেন মেন্ডি, লুনিন; কারভাহাল। 
তরুণ রক্তে ভরসা: বেলিংহ্যাম-ভিনিসিউস-রদ্রিগো-এমবাপ্পে— একেকজন একাই ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন।

আর্সেনাল: শান্ত, সচেতন, সাহসী

দারুণ ফর্মে: টানা ৯ ম্যাচ অপরাজিত, আক্রমণভাগে ধারাবাহিকতা।

রাইস ও মেরিনো ফ্যাক্টর: রাইস যেমন মিডফিল্ড নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনি মেরিনো এবার চারবার গোল করেছে রিয়ালের বিপক্ষে- এটা কিন্তু তুরুপের তাস!

চ্যালেঞ্জ: লিড ধরে রাখা, রক্ষণে মনোযোগ ও ইনজুরি সমস্যা সামাল দেওয়া।

উইং গেম দুর্দান্ত: সাকা-মার্তিনেল্লির গতি রিয়ালের ফুল-ব্যাকদের হিমশিম খাওয়াতে পারে।

সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সারাদেশ তখন উত্তাল ছিল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। বড় হচ্ছিল লাশের মিছিলও।

এমন সময় সাকিব আল হাসান ছিলেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে তিনি ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন সাফারি পার্কে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় তার প্রতি ক্ষোভের মাত্রাটা বেড়ে যায় সাধারণ মানুষের। 

হাসিমুখে তোলা সাকিবের সেই ছবি তখন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। দেশের তরুণরা তখন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মাঠে জীবন দিচ্ছিলেন। সেসময় বহু তরুনের আইডল হয়েও সাকিব কীভাবে ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।

সেই ছবি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ইংরেজি এক পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।

সেই ছবি সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আসলে আমি বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেছি, তারপর কানাডায় গিয়েছি। ওই ছবিটা কানাডায় তোলা হয়েছিল। আমি নিজে সেটা পোস্ট করিনি। তবুও, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে দায়টা আমি নিচ্ছি। এটা ছিল একটা আগে থেকে নির্ধারিত পারিবারিক ভ্রমণ। পরে ভেবে এখন বুঝতে পারছি — সময়টা ভালো ছিল না। একজন সাংসদ, একজন তারকা হিসেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আমি সেটা মেনে নিচ্ছি।’

সেসময় ছবিটি ভাইরাল হয়ে এতবড় প্রতিক্রিয়া হবে সেটা তিনি ভাবেননি, ‘সত্যি বলতে, আমি কল্পনাও করিনি যে ব্যাপারটা এত বড় হবে। যখন দেখলাম সমালোচনা হচ্ছে, তখন বুঝলাম মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে কতটা আঘাত পেয়েছে। অনেকে বলেছেন, ছবিটার টাইমিং খুব খারাপ ছিল। হ্যাঁ, এটা আমার ভুল। হয়তো অন্য কারও ছবি এই সময়ে এভাবে নজরে আসতো না। কিন্তু আমি সাকিব বলেই ব্যাপারটা এত আলোচিত হয়েছে। আমি আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। সেই দাপটে এসেছে জয়ও। ৩-২ ব্যবধানে ভিলা পার্কে ঘরের মাঠে। কিন্তু এ জয় আনন্দের উপলক্ষ হতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধাতে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে মিলিয়ে ৫-৪ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটিই।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভিলা পার্কে ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোলের পর ২৭ মিনিটে নুনো মেন্ডেজের গোল পিছিয়ে দেয় অ্যাস্টন ভিলাকে।

দুই গোল হজম করে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের দুই লেগ মিলিয়ে। স্বাগতিকরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে ৩৪ মিনিট থেকে। ইউরো টিউয়েলেমানসে শট নিলে সেটি আগে পিএসজির ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লাগে এরপর জড়ায় জালে। একটি গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা, কমায় ব্যবধানও।

প্রথমার্ধের খেলা অবশ্য ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে ফিরলে ৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন জন ম্যাকগিন।

দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সমতা ফেরার দুই মিনিট পরই সেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ভিলা। মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল করেননি এজরি কনস্টা। 

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া পর আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় দলটি। কিন্তু একাধিক আক্রমণ করেও পিএসজির ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারেনি। নিশ্চিত দুটি গোল আটকে দেন তিনি।

ঘরের মাঠে জয়ের পরও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় বাদ পড়তে হয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে পিএসজি।

ম্যাচশেষে পানির বোতলে লাথি মেরে রাগ প্রকাশ করেন ভিলার কোচ উনাই এমিরি। কিছুক্ষণ পর হতাশায় তিনি মাটিতে শুয়েই পড়েন। গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ খেলা শেষে বেশ কিছুক্ষণ মাঠে বসে ছিলেন।

এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই সাকিব ছিলেন কানাডায় ছিলেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ি টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরে যেতে হয়েছে দুবাই থেকে।

দেশে হওয়া সবশেষ তিন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই নির্বাচনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকাকালিন অংশ নিয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে সাকিব মনে করেন তার আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাক্ষাৎকারে সম্মুখীন হয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল নাকি সঠিক এমন প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি রাজনীতিতে যাওয়া ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে গেলে সেটাও ভুল হবে। একজন ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী—যেই হোক, রাজনীতিতে যাওয়া তার অধিকার। মানুষ চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে দেবে না।’ 

আবারও মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করলে জয়ের বিশ্বাসটা রয়েছে তার মাঝে, ‘আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কারণ আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি আবার নির্বাচন করলে কেউ আমাকে হারাতে পারবে না।’

সেই সাক্ষাৎকারে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল কারণও খোলাস করেছেন, ‘মূলত জনগণের জন্য কাজ করতেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন যে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা আর পারেননি। সাকিবের কথা, ‘যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়ালাম, তখন শুধু একটা সুযোগ চেয়েছিলাম—মানুষের জন্য কাজ করার। দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এটা আমি মেনে নিচ্ছি।’

রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। খেলতে পারেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।

প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।

যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি। 

মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে। 

বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। 

অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।