
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়ার পর বাংলাদেশ ক্রিকেটে শেষ হয়ে গেছে ‘পঞ্চপাণ্ডব’ অধ্যায়। দেশের ক্রিকেটে সাফল্যে এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রেখেছেন এই পাঁচ সিনিয়র ক্রিকেটার। মুশফিক কেবল টেস্ট ফরম্যাটটা চালিয়ে যাবেন।
মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা টেস্ট ও ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘোষণা না দিলেও জাতীয় দলে তার অধ্যায় শেষ হয়ে গেছে। রাজনৈতিক কারণে সাকিব আল হাসান দেশে ফিরতে পারছেন না। দেশের মাটিতে শেষ টেস্ট খেলতে চেয়েও পারেননি। আপাতত তারও জাতীয় দলে ফেরার আর সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
এই পঞ্চপাণ্ডবের সময়ে অভিষেক হওয়া ক্রিকেটাররা অধিকাংশই অভিজ্ঞতায় এগিয়ে গেছে অনেকদূর। এখন তাদের হাতেই দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত।
সাময়িকভাবে অধিনায়কত্বও সামলেছেন। এখন তার লক্ষ্য, বাংলাদেশ ক্রিকেটকে আরেক ধাপে এগিয়ে নেওয়া। ২০১৬ সালে জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া মেহেদী হাসান মিরাজের লক্ষ্যটাও এখন জাতীয় দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
শনিবার (১৫ মার্চ) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে মিরাজ বলেন, ‘প্রত্যেকটা মানুষেরই একসময় সরে যেতে হয়। সিনিয়ররা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন, দলকে এক জায়গায় নিয়ে এসেছেন। এখন আমাদের কাজ এখান থেকে আরও ওপরে তোলা।’
এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ কোনো বড় শিরোপা জিততে পারেনি। মিরাজ নিজেও দুই বিশ্বকাপে ও দুই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছিলেন দলের অংশ। তার চোখটাও এখন আন্তর্জাতিক শিরোপার দিকে, ‘আমরা এখনও বড় কোনো ট্রফি জিততে পারিনি। আমাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত অন্তত একটা বড় টুর্নামেন্ট জেতা। এটা হলে আমাদের প্রজন্মের জন্য দারুণ কিছু হবে।’
জাতীয় দলে ৯ বছর খেলা শেষ মেহেদী হাসান মিরাজের। তিনি ছাড়াও ৭-১০ বছর খেলা শেষ এমন ক্রিকেটারও আছেন। তাই নিজেদের নতুন বলার পক্ষে নন মিরাজ, ‘আমরা যারা দলে আছি, প্রত্যেকের পারফর্ম করা জরুরি। ৬-৭ জন ক্রিকেটার আছে, যারা ৮-১০ বছর ধরে খেলছে। নতুন ক্রিকেটারও আছে, যারা ২-৩ বছর খেলেছে। এই অভিজ্ঞ ও নতুনদের মিশেলে পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।’
মিরাজ মনে করেন এটাই এগিয়ে যাওয়ার সঠিক সময়, ‘আমাদের এখন যথেষ্ট অভিজ্ঞতা হয়েছে। মুশফিক ভাই বা অন্য সিনিয়ররা ৭-৮ বছর খেলেই দলকে এক জায়গায় নিয়ে গেছেন। আমরাও অনেকদিন ধরে খেলছি, এখন আমাদের দায়িত্ব দলকে আরেক ধাপে তোলা।’
২০২৭ বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করে এগোতে চান মিরাজ। তবে সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কেবল কয়েকমাস আগে প্রস্তুতি শুরু করলে ভালো ফল পাওয়া কঠিন বলে মনে করেন তিনি, ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা থাকাটা জরুরি। সঠিক সমন্বয় দরকার। একজন ক্রিকেটারকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে তাকে যথেষ্ট সুযোগ দিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে আমাদের যে ওয়ানডে ম্যাচগুলো আছে, সেখানে ক্রিকেটারদের গড়ে তোলার সুযোগ দিতে হবে। যদি আমরা শেষ মুহূর্তে গিয়ে দল সাজাতে চাই, তাহলে চ্যালেঞ্জ বড় হবে।’