ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হামজা

প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৩৫ এএম
আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৯ এএম
ফুলেল ভালোবাসায় সিক্ত হামজা
নিজ শহর হবিগঞ্জে ভক্তদের ভালোোবাসায় সিক্ত হয়েছেন হামজা। গতকাল তাকে ঘিরে সেখানে দিনভর ছিল নানা আয়োোজন ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের মাটিতে পা রেখেই হামজা চৌধুরী ঘোষণা দিলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করমু।’ এএফসি এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং ম্যাচে ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে হামজা চৌধুরীর অভিষেক হবে বাংলাদেশের জার্সিতে। এই ম্যাচ খেলার জন্য তিনি গতকাল ম্যানচেস্টার থেকে সরাসরি সিলেটে এসে নেমে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় সিলেটের আঞ্চিলক ভাষায় তিনি ভারতকে হারানোর এ কথা বলেন।

রবিবার নিজের একটি ফুটবল ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় বিমানে উঠে গতকাল বেলা পৌনে ১২টার দিকে হামজাকে বহনকারী বিমান সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা সেরে তিনি বের হয়ে আসার পর তাকে বরণ করে নিতে দেখা দেয় চরম বিশৃঙ্খলা। চরম অব্যবস্থাপনার মাঝেই হামজা চৌধুরীকে ফুলের তোড়া দিয় বরণ করে নেওয়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়। বর্তমানে সিলেট বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা বা সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থায় কোনো কমিটিই নেই। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থা ভেঙে দেয়।

যে কারণে হামজাকে বরণ করতে সাংগঠনিকভাবে কোনো আয়োজন ছিল না। বাফু্ফের কার্যনির্বাহী পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল সেখানে উপস্থিত ছিল। উপস্থিত ছিলেন হামজাদের নতুন স্পন্সর ইউসিবির প্রতিনিধিরাও। সেই সঙ্গে ছিলেন ঢাকা ও সিলেটের স্থানীয় প্রচুর সাংবাদিক। সকাল থেকেই ফুলের তোড়া হাতে হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ভক্তদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। একদিকে হামজার চেহারা আগে টিভিতে দেখানোর প্রতিযোগিতায় সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিআইপি গেটে অবস্থান নেন সাংবাদিকরা। অন্যদিকে হামজার ভক্ত-সমর্থকরা ফুল নিয়ে অবস্থান করেন। এই দুই দলের ধাক্কাধাক্কিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খেতে হয়ে পুলিশ বাহিনীকে। সংবাদকর্মী, হামজা চৌধুরীর ভক্ত, পুলিশ প্রশাসনের মধ্যে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা যায়।

বাফুফে ও ইউসিবির পক্ষ থেকে ফুলের তোড়া দেওয়ার পর হামজাকে নিয়ে আসা হয় সাংবাদিকদের সামনে। এ সময় হামজা হামজা স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সিলেট বিমানবন্দর প্রাঙ্গণ। এ সময় হামজা সিলেটি ভাষায় বলেন, ‘ইনশাআল্লাহ আমরা উইন করমু। আমরা উইন করিয়া প্রোগ্রেস করতে পারমু।’

কিন্তু হুড়োহুড়ি ও হইচইয়ের কারণে হামজা চৌধুরী এখানে খুব বেশি কথা বলতে পারেননি। অল্প সময়ের কথাই তিনি ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের কথা বলেন। দেশের মানুষের এ রকম আগ্রহ দেখে তিনি নিজের প্রতিক্রিয়া চেপে রাখতে পারেননি। ইংরেজি ভাষায় বলেন, ‘অ্যামাজিং অ্যামাজিং। অনেক দিন পরে এসেছি। আমি খুবই রোমাঞ্চিত।’ তুমুল হট্টগোলের মাঝে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করে যাচ্ছিলেন। তার কিছু বোঝা যাচ্ছিল, কিছু বোঝা যাচ্ছিল না। হামজা নিজেও না বোঝার কথা বলছিলেন। এ সময় বাফুফের কর্মকর্তারা তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান। পরে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে একটি ছাদখোলা গাড়িতে করে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট গ্রামের উদ্দেশে রওনা হন। হামজার বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী আগেই সিলেট চলে এলেও হামজার সঙ্গে ইংল্যান্ড থেকে এসেছেন তার মা, স্ত্রী, সন্তানসহ ৯ জন।

রাস্তার দুই পাশে মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে হামজা হবিগঞ্জে এসে পৌঁছান বেলা ৩টার দিকে। বাঁশি-ঢোল বাজিয়ে অভ্যর্থনা জানান এলাকার যুবকরা। মোটরসাইকেল শোডাউন দিয়ে নিয়ে আসেন নিজ গ্রামে। হামজা চৌধুরী যখন নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন, তখন এক অন্য রকম পরিবেশ। হামজা হামজা স্লোগানে মুখরিত চারপাশ। প্রথমবারের মতো পুত্রবধূ বাড়িতে এসেছেন। তাই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে বরণ করে নেওয়া হয়। বাড়িতে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর মঞ্চে ওঠেন হামজা। এ সময় গ্রামবাসীর ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন তিনি। তবে দীর্ঘ ভ্রমণে ক্লান্ত থাকায় ভক্ত-দর্শনার্থীর উদ্দেশে তেমন কোনো বার্তা দেননি। শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েই মঞ্চ ত্যাগ করেন দীর্ঘ প্রতীক্ষিত হামজা চৌধুরী।

হামজা চৌধুরীর বাবা দেওয়ান মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘হামজা তার নিজের গ্রামকে অনেক ভালোবাসে। যে কারণে সে দেশে ফিরেই প্রথমে বাড়িতে এসেছে। এখানে সে এক দিন থাকবে। গ্রাম ঘুরে দেখবে, গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলবে। পরে সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে।’ এলাকার যুবক রাজু আহমেদ বলেন, ‘ঘরের ছেলে ঘরে ফেরায় আমরা খুবই খুশি। আশা করছি এভার বাংলাদেশের ফুটবলে নতুন কিছু হবে। হামজার প্রতি আমাদের যে আশা, সেটি তিনি পূরণ করবেন।’ আরেক যুবক সুয়েব মিয়া বলেন, ‘হামজা বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ভারতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। তারা অবসরে যাওয়া সুনীলকে আবার দলে ফেরত আনছে। এতেই বোঝা যায় হামজা আমাদের দেশের কত বড় সম্পদ। আমরা আশা করি তিনি বাংলাদেশকে দ্রুতই বিশ্বকাপে নিয়ে যাবেন।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। সেই দাপটে এসেছে জয়ও। ৩-২ ব্যবধানে ভিলা পার্কে ঘরের মাঠে। কিন্তু এ জয় আনন্দের উপলক্ষ হতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধাতে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে মিলিয়ে ৫-৪ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটিই।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভিলা পার্কে ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোলের পর ২৭ মিনিটে নুনো মেন্ডেজের গোল পিছিয়ে দেয় অ্যাস্টন ভিলাকে।

দুই গোল হজম করে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের দুই লেগ মিলিয়ে। স্বাগতিকরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে ৩৪ মিনিট থেকে। ইউরো টিউয়েলেমানসে শট নিলে সেটি আগে পিএসজির ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লাগে এরপর জড়ায় জালে। একটি গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা, কমায় ব্যবধানও।

প্রথমার্ধের খেলা অবশ্য ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে ফিরলে ৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন জন ম্যাকগিন।

দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সমতা ফেরার দুই মিনিট পরই সেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ভিলা। মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল করেননি এজরি কনস্টা। 

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া পর আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় দলটি। কিন্তু একাধিক আক্রমণ করেও পিএসজির ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারেনি। নিশ্চিত দুটি গোল আটকে দেন তিনি।

ঘরের মাঠে জয়ের পরও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় বাদ পড়তে হয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে পিএসজি।

ম্যাচশেষে পানির বোতলে লাথি মেরে রাগ প্রকাশ করেন ভিলার কোচ উনাই এমিরি। কিছুক্ষণ পর হতাশায় তিনি মাটিতে শুয়েই পড়েন। গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ খেলা শেষে বেশ কিছুক্ষণ মাঠে বসে ছিলেন।

এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই সাকিব ছিলেন কানাডায় ছিলেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ি টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরে যেতে হয়েছে দুবাই থেকে।

দেশে হওয়া সবশেষ তিন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই নির্বাচনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকাকালিন অংশ নিয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে সাকিব মনে করেন তার আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাক্ষাৎকারে সম্মুখীন হয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল নাকি সঠিক এমন প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি রাজনীতিতে যাওয়া ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে গেলে সেটাও ভুল হবে। একজন ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী—যেই হোক, রাজনীতিতে যাওয়া তার অধিকার। মানুষ চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে দেবে না।’ 

আবারও মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করলে জয়ের বিশ্বাসটা রয়েছে তার মাঝে, ‘আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কারণ আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি আবার নির্বাচন করলে কেউ আমাকে হারাতে পারবে না।’

সেই সাক্ষাৎকারে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল কারণও খোলাস করেছেন, ‘মূলত জনগণের জন্য কাজ করতেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন যে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা আর পারেননি। সাকিবের কথা, ‘যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়ালাম, তখন শুধু একটা সুযোগ চেয়েছিলাম—মানুষের জন্য কাজ করার। দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এটা আমি মেনে নিচ্ছি।’

রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। খেলতে পারেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।

প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।

যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি। 

মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে। 

বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। 

অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।

পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ এএম
পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বরাবরই একজন লেগ স্পিনারের সংকটে ছিল। সেই সংকট নিরসন হয়েছে রিশাদ হোসেনকে পাওয়ার পর। তরুণ এই লেগি দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরের দলগুলোরও চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএলে) খেলতে গিয়ে তিনি এখন আছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট পাওয়ার পর ‘পিএসএল ক্লাসিকো’তেও করাচি কিংসের বিপক্ষে তার শিকার ৩ উইকেট। 

৬ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তার দল লাহোরও জয় পেয়েছে ৬৫ রানের ব্যবধানে। আরেক লেগি আবরার  যিনি খেলছেন কোয়েটার হয়ে। রিশাদের ইকোনমি  ও গড় ভালো হওয়ায় শীর্ষে তাকেই রাখা হয়েছে।

পিএসএল অভিষেকেও ৩ উইকেট পেয়ে দলের জয়ে রেখেছিলেন ভূমিকা। তবে করাচির বিপক্ষে এই ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি ১১ বলের ব্যবধানে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।

এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় করাচি। দলীয় অর্ধশতকেই ৭ উইকেট হারানো করাচির হয়ে খুশদিল ৩৯ ও হাসান আলী ২৭ রান করেন। যা তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ দুই ইনিংস।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর। দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড

জ্যোতির ঝলকে বিশ্বকাপের কাছাকাছি বাংলাদেশ

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৩৮ এএম
জ্যোতির ঝলকে বিশ্বকাপের কাছাকাছি বাংলাদেশ
ছবি : সংগৃহীত

আরও একবার জ্বলে উঠলেন বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়েও রাখলেন দারুণ ভূমিকা। তার ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রানের ইনিংসেই বাংলাদেশ দাঁড় করায় ২৭৬ রানের রেকর্ড পুঁজি। পরে জয় এসেছে ৩৪ রানের। এটি বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ নারী দলের টানা তৃতীয় জয়।

জয়ের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের অবস্থানও সবার ওপরে। ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট লাল সবুজের প্রতিনিধিদের। সমান ৯ পয়েন্ট নিয়ে নেট রানরেটে পিছিয়ে থাকায় দুইয়ে অবস্থান করছে স্বাগতিক পাকিস্তান। বিশ্বকাপের কাছাকাছি চলে এসেছে বাংলাদেশ। 

মঙ্গলবার (১৫ পেরিল) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আইসিসি নারী বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৬ রানের চ্যালেঞ্জিং পুঁজি দাঁড় করায় বাংলাদেশের মেয়েরা। জবাব দিতে নেমে ৫০ ওভার পুরো ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৪২ রানের বেশি করতে পারেনি স্কটিশরা।

বাংলাদেশের জয়ে মুখ্য ভূমিকা রেখেছেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তিনি খেলেন ঝোড়ো ৮৯ রানের ইনিংস ৫৯ বলে। তবে শুরুটা নড়বড়ে ছিল জ্যোতিদের। 

দলীয় সংগ্রহ অনুযায়ী বড় হয়নি উদ্বোধনী জুটি। ৩৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ইসমা তানজিম ২৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন। ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলে যাচ্ছেন ফারজানা হক। এদিনও খেলেন ৮৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস। শারমিনও আছেন সেই ধারবাহিক পারফর্মারের তালিকায় ৭৯ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে। তাদের জুটি হয় ১০৩ রানের। এরপরের গল্পটা নিগারের ৮৩ রানের ইনিংসের। যেই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১১ চারে।

এই লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে নেমে অভিজ্ঞ নাহিদা আক্তারের তোপে পড়ে স্কটিশরা। তিনি একাই শিকার করেন ৪০ রানে ৪ উইকেট। তবে শুরুটা করেছিলেন মারুফা আক্তার দ্রুম্মডকে ফিরিয়ে। জোড়া উইকেট শিকার করেন জান্নাতুল ফেরদৌস সুমনা। ১ উইকেট পেয়েছেন রাবেয়া ও মারুফা।

তিন ম্যাচে এক শতক ও দুই অর্ধশতকে ২১৭.৫০ গড়ে জোতি বাছাইপর্বে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। ২৩৫ রান নিয়ে তিনি ব্যাটারদের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন।