ঢাকা ৩ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫
English

হামজার প্রতি মাশরাফির শুভকামনা

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০১:১০ পিএম
হামজার প্রতি মাশরাফির শুভকামনা
ছবি : সংগৃহীত

গতকাল বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে হামজা চৌধুরী। তাকে নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই বাংলাদেশ ফুটবলের ভক্ত ও সমর্থকদের মাঝে। সিলেট বিমানবন্দরে এসে পৌঁছানোর পর থেকেই সিলেট ও তার গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জের মানুষের উদযাপন চলেছে তাকে নিয়ে।

কেবলই সিলেট ও হবিগঞ্জের ফুটবল সমর্থকরাই নন। তাকে নিয়ে রোমাঞ্চিত দেশের ক্রীড়াঙ্গনের তারকারাও। হামজাকে নিয়ে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মোর্ত্তাজা।

শেফিল্ডের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরীকে নিয়ে মাশরাফি লম্বা এক পোস্ট করেছেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশ ফুটবলে তার সামনের দিনের যাত্রার প্রতি শুভকামনা জানিয়েছেন।

খবরের কাগজের পাঠকদের জন্য মাশরাফির পুরো পোস্টটি তুলে ধরা হলো – 

বাংলাদেশের ফুটবলে আপনাকে স্বাগত হামজা দেওয়ান চৌধুরি!

আপনার আগমনে প্রথম প্রেমের সেই রোমাঞ্চ যেন আবার টের পাচ্ছি, যে প্রেমের নাম ফুটবল! আমাদের ছেলেবেলায়, শৈশব-কৈশোরে ফুটবল ঘিরে যে উন্মাদনা ছিল, কয়েক দিন ধরে বাংলাদেশের ফুটবলে যেন দিনগুলোই ফিরে এসেছে।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা একজন ফুটবলার আমাদের দলে খেলেন, লেস্টার সিটি বা শেফিল্ড ইউনাইটেডের খেলায় তার নামের পাশে আমাদের দেশের নামও উচ্চারিত হবে, এই দেশের জন্য এটা বড় পাওয়া। 

আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতা। যে শেকড়ের কারণে এটা সম্ভব হয়েছে, সেই পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞতা।

আপনি এসেই জাদুকরী কিছু করে রাতারাতি দেশের ফুটবল বদলে দেবেন, এমন আকাশছোঁয়া প্রত্যাশা আমার নেই। মাঠে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের ভূমিকাও আমার জানা আছে। স্রেফ আশা করব, আপনার ছোঁয়ায় দেশের ফুটবলে নতুন প্রাণের জোয়ার আসবে, লোকের আগ্রহ বাড়বে, শিশু-কিশোররা ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখবে, আর্জেন্টিনা-ব্রাজিল দল বা ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের মতোই নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশের ফুটবলকে আপন করে নেবে। আশা করব, আপনাকে ঘিরে দেশের ফুটবলের সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আসবে, আপনার পায়ে পায়ে দেশের সামগ্রিক ফুটবল এগিয়ে যাবে। 

জামাল ভূঁইয়া, তারেক কাজীসহ প্রবাসী যারা এসে দেশের ফুটবলকে সমৃদ্ধ করেছেন, আরও যারা আসবেন, সবার প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতা। 

ফুটবল আমাদের প্রাণের খেলা। ফুটবলে এই নতুন দিনের গান আমাদের মনেও নতুন স্বপ্নের দোলা দিচ্ছে।

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ ও সামনের দিনগুলির জন্য শুভকামনা হামজা। শুভকামনা বাংলাদেশ ফুটবল দল।

সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫০ পিএম
সাফারি পার্কের সেই ছবি নিয়ে যা বললেন সাকিব
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের জুলাইতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় নীরব ভূমিকা পালন করে সমালোচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। সারাদেশ তখন উত্তাল ছিল অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। বড় হচ্ছিল লাশের মিছিলও।

এমন সময় সাকিব আল হাসান ছিলেন কানাডায় গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। পরিবার নিয়ে ছুটির দিনে তিনি ঘুরতে বেড়িয়েছিলেন সাফারি পার্কে। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সংসদ সদস্য হওয়ায় তার প্রতি ক্ষোভের মাত্রাটা বেড়ে যায় সাধারণ মানুষের। 

হাসিমুখে তোলা সাকিবের সেই ছবি তখন মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এরপরই শুরু হয় সমালোচনা। দেশের তরুণরা তখন অধিকার আদায়ের আন্দোলনে মাঠে জীবন দিচ্ছিলেন। সেসময় বহু তরুনের আইডল হয়েও সাকিব কীভাবে ভ্রমণে ব্যস্ত ছিলেন তা নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন।

সেই ছবি নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন সাকিব আল হাসান। দেশের ইংরেজি এক পত্রিকাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেন।

সেই ছবি সম্পর্কে সাকিব বলেন, ‘আসলে আমি বেশ কিছুদিন দেশের বাইরে ছিলাম। প্রথমে আমেরিকায় মেজর লিগ ক্রিকেট খেলেছি, তারপর কানাডায় গিয়েছি। ওই ছবিটা কানাডায় তোলা হয়েছিল। আমি নিজে সেটা পোস্ট করিনি। তবুও, একজন পাবলিক ফিগার হিসেবে দায়টা আমি নিচ্ছি। এটা ছিল একটা আগে থেকে নির্ধারিত পারিবারিক ভ্রমণ। পরে ভেবে এখন বুঝতে পারছি — সময়টা ভালো ছিল না। একজন সাংসদ, একজন তারকা হিসেবে আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল। আমি সেটা মেনে নিচ্ছি।’

সেসময় ছবিটি ভাইরাল হয়ে এতবড় প্রতিক্রিয়া হবে সেটা তিনি ভাবেননি, ‘সত্যি বলতে, আমি কল্পনাও করিনি যে ব্যাপারটা এত বড় হবে। যখন দেখলাম সমালোচনা হচ্ছে, তখন বুঝলাম মানুষ এই বিষয়টা নিয়ে কতটা আঘাত পেয়েছে। অনেকে বলেছেন, ছবিটার টাইমিং খুব খারাপ ছিল। হ্যাঁ, এটা আমার ভুল। হয়তো অন্য কারও ছবি এই সময়ে এভাবে নজরে আসতো না। কিন্তু আমি সাকিব বলেই ব্যাপারটা এত আলোচিত হয়েছে। আমি আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল।’

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
জিতেও বিদায় ভিলার, সেমিতে পিএসজি
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচজুড়ে দাপট দেখিয়েছে অ্যাস্টন ভিলা। সেই দাপটে এসেছে জয়ও। ৩-২ ব্যবধানে ভিলা পার্কে ঘরের মাঠে। কিন্তু এ জয় আনন্দের উপলক্ষ হতে পারেনি। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে পিএসজির মাঠে ৩-১ ব্যবধাতে হেরে দুই লেগ মিলিয়ে মিলিয়ে ৫-৪ অগ্রগামিতায় সেমিফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটিই।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভিলা পার্কে ম্যাচের শুরুতে অবশ্য এগিয়ে ছিল পিএসজি। ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটে আশরাফ হাকিমির গোলের পর ২৭ মিনিটে নুনো মেন্ডেজের গোল পিছিয়ে দেয় অ্যাস্টন ভিলাকে।

দুই গোল হজম করে ৫-১ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হয় তাদের দুই লেগ মিলিয়ে। স্বাগতিকরা ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করে ৩৪ মিনিট থেকে। ইউরো টিউয়েলেমানসে শট নিলে সেটি আগে পিএসজির ডিফেন্ডার পাচোর গায়ে লাগে এরপর জড়ায় জালে। একটি গোল শোধ দেয় স্বাগতিকরা, কমায় ব্যবধানও।

প্রথমার্ধের খেলা অবশ্য ২-১ ব্যবধানেই শেষ হয়। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা মাঠে ফিরলে ৫৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শট নিয়ে স্কোরলাইন ২-২ করেন জন ম্যাকগিন।

দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে সমতা ফেরার দুই মিনিট পরই সেই ম্যাচে এগিয়ে যায় ভিলা। মার্কাস রাশফোর্ডের কাট ব্যাক থেকে বল পেয়ে জালে পাঠাতে ভুল করেননি এজরি কনস্টা। 

ম্যাচে এগিয়ে যাওয়া পর আক্রমণের মাত্রা বাড়ায় দলটি। কিন্তু একাধিক আক্রমণ করেও পিএসজির ইতালিয়ান গোলকিপার জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মাকে পরাস্ত করতে পারেনি। নিশ্চিত দুটি গোল আটকে দেন তিনি।

ঘরের মাঠে জয়ের পরও দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ায় বাদ পড়তে হয়েছে অ্যাস্টন ভিলাকে আর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ফেলেছে পিএসজি।

ম্যাচশেষে পানির বোতলে লাথি মেরে রাগ প্রকাশ করেন ভিলার কোচ উনাই এমিরি। কিছুক্ষণ পর হতাশায় তিনি মাটিতে শুয়েই পড়েন। গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ খেলা শেষে বেশ কিছুক্ষণ মাঠে বসে ছিলেন।

এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ পিএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৪১ পিএম
এখনও নির্বাচন করলে জেতার বিশ্বাস সাকিবের
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সাকিব আল হাসান সংসদ সদস্য হয়েছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে। মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন তিনি।

২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগেই সাকিব ছিলেন কানাডায় ছিলেন গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে। সরকার পতনের পর আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বিদায়ি টেস্ট খেলতে দেশে ফিরতে চাইলেও ফিরে যেতে হয়েছে দুবাই থেকে।

দেশে হওয়া সবশেষ তিন নির্বাচনের নিরপেক্ষতা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। সেই নির্বাচনেই জাতীয় দলের খেলোয়াড় থাকাকালিন অংশ নিয়ে হয়েছেন সংসদ সদস্য। তবে সাকিব মনে করেন তার আসনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সম্প্রতি সম্প্রতি একটি ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।

সেই সাক্ষাৎকারে সম্মুখীন হয়েছেন রাজনীতিতে যোগ দেওয়া ভুল ছিল নাকি সঠিক এমন প্রশ্নের। সেই প্রশ্নের জবাবে সাকিব বলেন, ‘যদি রাজনীতিতে যাওয়া ভুল হয়, তাহলে ভবিষ্যতে যে কেউ রাজনীতিতে গেলে সেটাও ভুল হবে। একজন ডাক্তার, আইনজীবী, ব্যবসায়ী—যেই হোক, রাজনীতিতে যাওয়া তার অধিকার। মানুষ চাইলে ভোট দেবে, না চাইলে দেবে না।’ 

আবারও মাগুরা-১ আসন থেকে নির্বাচন করলে জয়ের বিশ্বাসটা রয়েছে তার মাঝে, ‘আমি মনে করি, আমার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কারণ আমি মানুষের জন্য কিছু করতে চেয়েছিলাম। আমি বিশ্বাস করি, আমি আবার নির্বাচন করলে কেউ আমাকে হারাতে পারবে না।’

সেই সাক্ষাৎকারে তার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার মূল কারণও খোলাস করেছেন, ‘মূলত জনগণের জন্য কাজ করতেই তিনি নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন। যদিও তিনি মেনে নিয়েছেন যে যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলেন, তা আর পারেননি। সাকিবের কথা, ‘যখন আমি নির্বাচনে দাঁড়ালাম, তখন শুধু একটা সুযোগ চেয়েছিলাম—মানুষের জন্য কাজ করার। দুর্ভাগ্যবশত, আমি যেভাবে কাজ করতে চেয়েছিলাম, তা পারিনি। এটা আমি মেনে নিচ্ছি।’

রাজনীতিতে জড়িয়ে ক্রিকেটে ব্রাত্য হয়ে পড়া সাকিব আপাতত যুক্তরাষ্ট্রেই আছেন। ঘরের মাঠে শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছাপূরণ হয়নি তার। খেলতে পারেননি পাকিস্তান ও দুবাইয়ে হওয়া চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৬ এএম
আপডেট: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
হেরেও ৬ বছর পর সেমিফাইনালে বার্সেলোনা
ছবি : সংগৃহীত

প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।

প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।

যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি। 

মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে। 

বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি। 

অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।

পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি

প্রকাশ: ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৮ এএম
পিএসএল ক্লাসিকোতে রিশাদের ঘূর্ণি
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বরাবরই একজন লেগ স্পিনারের সংকটে ছিল। সেই সংকট নিরসন হয়েছে রিশাদ হোসেনকে পাওয়ার পর। তরুণ এই লেগি দেশ ছাড়িয়ে দেশের বাইরের দলগুলোরও চাহিদা মিটিয়ে যাচ্ছে।

প্রথমবারের মতো পাকিস্তান সুপার লীগে (পিএসএলে) খেলতে গিয়ে তিনি এখন আছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সের বিপক্ষে ৩ উইকেট পাওয়ার পর ‘পিএসএল ক্লাসিকো’তেও করাচি কিংসের বিপক্ষে তার শিকার ৩ উইকেট। 

৬ উইকেট নিয়ে তিনিই এখন যৌথভাবে আসরের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তার দল লাহোরও জয় পেয়েছে ৬৫ রানের ব্যবধানে। আরেক লেগি আবরার  যিনি খেলছেন কোয়েটার হয়ে। রিশাদের ইকোনমি  ও গড় ভালো হওয়ায় শীর্ষে তাকেই রাখা হয়েছে।

পিএসএল অভিষেকেও ৩ উইকেট পেয়ে দলের জয়ে রেখেছিলেন ভূমিকা। তবে করাচির বিপক্ষে এই ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি ১১ বলের ব্যবধানে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬ উইকেটে ২০১ রান করেছিল লাহোর। ফখর জামানের ৭৬ আর ড্যারিল মিচেলের ৭৫ রানের ইনিংস দুটিই মূলত লাহোরের সংগ্রহকে দুইশর ওপারে নিয়ে যায়।

এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লাহোর কালান্দার্সের অধিনায়ক শাহিন শাহ আফ্রিদি ও রিশাদ হোসেনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ৫ বল বাকি থাকতেই ১৩৬ রানে অলআউট হয়ে যায় করাচি। দলীয় অর্ধশতকেই ৭ উইকেট হারানো করাচির হয়ে খুশদিল ৩৯ ও হাসান আলী ২৭ রান করেন। যা তাদের ইনিংসের সর্বোচ্চ দুই ইনিংস।

তিন ম্যাচে দুই জয়ে পয়েন্ট তালিকার দুইয়েই থাকল লাহোর। দুই ম্যাচে দুই জয় ও নেট রানরেটে এগিয়ে থাকার সুবাদে শীর্ষে আছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ইসলামাবাদ ইউনাইটেড