
লামিনে ইয়ামালের মাঠের ফুটবলে বোকা বনে যান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। গোল এবং অ্যাসিস্টে বার্সেলোনার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠা ইয়ামালের মাঝে অনেকেই দেখতে পান লিওনেল মেসির ছায়া।
মুসলমান ঘরে জন্ম নেওয়া ইয়ামাল দিনকয়েক আগে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচে। সেই ম্যাচের মাঝপথে তিনি ইফতার করেছিলেন। রোজা রেখেও অনায়াসে খেলা চালিয়ে গেছেন। কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি তার পারফরম্যান্সে।
রোজার প্রতি তার নিবেদন দেখে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সবাই। যাতে করে ইয়ামালের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার খাবারের পুষ্টিগুণের ব্যাপারে নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
ক্লাবের জার্সি গায়ে রোজা রেখে খেলার পর এবার তিনি রোজ়া রেখে মাঠে নামবেন জাতীয় দলের হয়েও। উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। সেই দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে আছেন ইয়ামাল।
প্রথম লেগের খেলা ২০ মার্চ ও ২৩ মার্চ মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের অনুশীলনে রোজা রাখা ছাড়াও, মূল ম্যাচেও রোজ়া রাখবেন তিনি। সাধারণত টানা শারীরিক কসরতের খেলা ফুটবলে রোজা রেখে মাঠে নামা সহজ কথানয়।
তবে ফুটবলের মতো খেলায়ও কিভাবে কিছু না খেয়ে কাটিয়ে দেন, এমন প্রশ্নে ইয়ামাল বলেছেন, ‘একদমই কষ্ট হয় না।’
এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন, ‘মনেই হবে না যে ক্ষুধার্ত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শরীরে পানিশূন্যতা না রাখা। বার্সায় আমি এই ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। ফজরের সময়ে ইলেক্ট্রোলাইট পান করি। এটা সারাদিন শরীরকে পানিতে পূর্ণ রাখবে। ইফতারের সময় আমি চিনি না খাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবর্তে প্রচুর পানি খাই। সবকিছু তাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।’
রোজা রেখে বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নামা ইয়ামালের পারফরম্যান্স ছিল ঠিকঠাক। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ও পেয়েছিল বার্সা। এবার জাতীয় দলের হয়ে পালা।