ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

রোজা রেখে খেলতে একটুও কষ্ট হয় না ইয়ামালের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ ২০২৫, ০২:৪৭ পিএম
রোজা রেখে খেলতে একটুও কষ্ট হয় না ইয়ামালের
ছবি : সংগৃহীত

লামিনে ইয়ামালের মাঠের ফুটবলে বোকা বনে যান প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়রা। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই তাক লাগিয়ে যাচ্ছেন সবাইকে। গোল এবং অ্যাসিস্টে বার্সেলোনার নির্ভরতার প্রতীক হয়ে ওঠা ইয়ামালের মাঝে অনেকেই দেখতে পান লিওনেল মেসির ছায়া।

মুসলমান ঘরে জন্ম নেওয়া ইয়ামাল দিনকয়েক আগে রোজা রেখেই মাঠে নেমেছিলেন বেনফিকার বিপক্ষে ম্যাচে। সেই ম্যাচের মাঝপথে তিনি ইফতার করেছিলেন। রোজা রেখেও অনায়াসে খেলা চালিয়ে গেছেন। কোনো ধরনের প্রভাব পড়েনি তার পারফরম্যান্সে। 

রোজার প্রতি তার নিবেদন দেখে তাকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন সবাই। যাতে করে ইয়ামালের কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য ক্লাব কর্তৃপক্ষ তার খাবারের পুষ্টিগুণের ব্যাপারে নিয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।

ক্লাবের জার্সি গায়ে রোজা রেখে খেলার পর এবার তিনি রোজ়া রেখে মাঠে নামবেন জাতীয় দলের হয়েও। উয়েফা নেশনস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই লেগে নেদারল্যান্ডসের মুখোমুখি হবে স্পেন। সেই দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে আছেন ইয়ামাল। 

প্রথম লেগের খেলা ২০ মার্চ ও ২৩ মার্চ মাঠে গড়াবে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের অনুশীলনে রোজা রাখা ছাড়াও, মূল ম্যাচেও রোজ়া রাখবেন তিনি। সাধারণত টানা শারীরিক কসরতের খেলা ফুটবলে রোজা রেখে মাঠে নামা সহজ কথানয়। 

তবে ফুটবলের মতো খেলায়ও কিভাবে কিছু না খেয়ে কাটিয়ে দেন, এমন প্রশ্নে ইয়ামাল বলেছেন, ‘একদমই কষ্ট হয় না।’

এক সাক্ষাৎকারে ইয়ামাল বলেছেন, ‘মনেই হবে না যে ক্ষুধার্ত। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে শরীরে পানিশূন্যতা না রাখা। বার্সায় আমি এই ব্যাপারে সতর্ক ছিলাম। ফজরের সময়ে ইলেক্ট্রোলাইট পান করি। এটা সারাদিন শরীরকে পানিতে পূর্ণ রাখবে। ইফতারের সময় আমি চিনি না খাওয়ার চেষ্টা করি। পরিবর্তে প্রচুর পানি খাই। সবকিছু তাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।’

রোজা রেখে বেনফিকার বিপক্ষে মাঠে নামা ইয়ামালের পারফরম্যান্স ছিল ঠিকঠাক। সেই ম্যাচে দুর্দান্ত জয়ও পেয়েছিল বার্সা। এবার জাতীয় দলের হয়ে পালা।

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: সীমান্ত বন্ধসহ ৫ বড় সিদ্ধান্ত মোদির

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:০৯ পিএম
ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: সীমান্ত বন্ধসহ ৫ বড় সিদ্ধান্ত মোদির
ছবি: সংগৃহীত

জম্মু-কাশ্মীরের পাহেলগামে ভয়াবহ হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক বড় সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে মোদি সরকার।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রীসভায় বৈঠকের পর এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে নেওয়া পদক্ষেপগুলো হলো:

১) ভারত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্দু জল চুক্তি স্থগিত করেছে এবং ওয়াঘা স্থল সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। ভারতে আসা যাত্রীদের ফিরে যাওয়ার শেষ সময় ১ মে নির্ধারণ করা হয়েছে।

২) পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য সার্ক ভিসা ছাড় বাতিল করা হয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাদের ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

৩) পাকিস্তানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হয়েছে। ১ মে’র মধ্যে কূটনৈতিক কর্মী সংখ্যা ৫৫ থেকে কমিয়ে ৩০-এ নামিয়ে আনা হবে।

৪) জম্মু ও কাশ্মীরে বড় আকারের নিরাপত্তা অভিযান শুরু হয়েছে; ব্যাপক সংখ্যক সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।

৫) ভারতে নিযুক্ত পাকিস্তানের সামরিক দূতকে ‘অপ্রিয় ব্যক্তি’ (persona non grata) ঘোষণা করা হয়েছে। তাকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সূত্র: এনডিটিভি

মাহফুজ/

হৃদয়ের শাস্তি নতুন করে বহাল, ফিরছেন আম্পায়ার সৈকত

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২২ পিএম
হৃদয়ের শাস্তি নতুন করে বহাল, ফিরছেন আম্পায়ার সৈকত
ছবি: সংগৃহীত

নাটকীয় মোড় নিয়েছে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয় ও আম্পায়ার শরফউদ্দৌল্লাহ ইবনে সৈকতের ঘটনা। মওকুফ হওয়া এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা নতুন করে বহাল হয়েছে হৃদয়ের। আর এই শাস্তি মওকুফের পরিপ্রেক্ষিতে বিসিবির আম্পায়ারের চাকুরি থেকে পদত্যাগ করা সৈকত আবার নিজের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

লিগ পর্বে আবাহনী ও মোহামেডানের ম্যাচে একটি আউটের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে আম্পায়ার শরফউদ্দৌল্লাহ ইবনে সৈকতের সঙ্গে তর্কে জড়িয়েছিলেন মোহামেডানর অধিনায়ক তাওহিদ  হৃদয়। পরে  তাকে প্রথমে এক ম্যাচে, পরে দুই ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল। তার শাস্তি মওকুফের জন্য মোহামেডান ক্লাব ও তাওহিদ হৃদয় আবেদন করেছিলেন। কিন্তু সুপার লিগের প্রথম ম্যচে তাকে ছাড়া খেলতে নেমে মোহামেডান লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে হেরে গিয়েছিল। দ্বিতীয় ম্যাচের আগেই আম্পায়ার্স কমিটি এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে হৃদয় পরের দুই ম্যাচ খেলেন। এই দুইটি ম্যাচেই মোহামেডান জয়ী হয়। এদিকে হৃদয়ের এভাবে শাস্তি মওকুফ করাতে টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়কের পদ থেকে সাবেক ক্রিকেটার ও আম্পায়ার এনামুল হকি মনি সরে দাঁড়ান পাশাপাশি সৈকতও পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে বিতর্ক দেখা দিলে বুধবার আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু সৈকতকে নিয়ে বৈঠকে বসে তাকে বুঝাতে সক্ষম হলে সৈকত নিজের পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন আর হৃদয়ের শাস্তি নতুন করে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে টেকনিক্যাল কমিটি। হৃদয়ের শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত ভুল ছিল বলে স্বীকার করেন ইফতেখার রহমান মিঠু। এদিকে টেকনিক্যাল কমিটির নতুন চেয়ারম্যান করা হয়েছে বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমকে। 

রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে টেস্ট দলে বিজয়

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২১ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০:২৭ পিএম
রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে টেস্ট দলে বিজয়
এনামুল হক বিজয়। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে ৩ বছর পর টেস্ট দলে জায়গা করে নিলেন এনামুল হক বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের জন্য ৩২ বছর বসয়ী ওপেনাকে অন্তর্ভুক্ত করে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

প্রথম টেস্টের স্কোয়াডে পরিবর্তন আনা হয়েছে দুটি। বিজয়ের জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হয়েছে জাকির হাসানকে। সিলেট টেস্টের স্কোয়াডে থাকলেও খেলা হয়নি তার। অর্থাৎ না খেলেই বাদ পড়লেন জাকির।

এছাড়া নাহিদ রানার জায়গায় ডাক পেয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার তানভির ইসলাম। এই প্রথম তিনি টেস্ট দলে জায়গা পেলেন।

আগামী ২৮ এপ্রিল চট্টগ্রামে শুরু হতে যাওয়া টেস্টে নাহিদ যে খেলতে পারবেন না তা আগে থেকেই নিশ্চিত ছিল। কারণ পাকিস্তান সুপার লিগে খেলতে যাবেন তিনি।

এনামুল হক বিজয় এবারের প্রিমিয়ার লিগে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়ে খেলছেন। এখন পর্যন্ত ১৪ ম্যাচে ৪টি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটিতে ৮৭৪ রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় তিনি সবার ওপরে। এর আগে জাতীয় লিগেও রানের মধ্যে ছিলেন তিনি।

দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ তে পিছিয়ে পড়েছে বাংলাদেশ। বুধবার সিলেটে শেষ হওয়া টেস্টে ৩ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ।

চট্টগ্রাম টেস্টর জন্য বাংলাদেশ দল

নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, এনামুল হক বিজয়, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, জাকের আলি, মেহেদী হাসান মিরাজ (সহঅধিনায়ক), তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসান, তানভির ইসলাম, হাসান মাহমুদ, সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও তানজিম হাসান সাকিব।

তোফায়েল/মাহফুজ

১০ উইকেটে বাংলাদেশে শীর্ষে মিরাজ, দ্বিশতকে তৃতীয়

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:২৭ পিএম
১০ উইকেটে বাংলাদেশে শীর্ষে মিরাজ, দ্বিশতকে তৃতীয়
ছবি : সংগৃহীত

সেই সিলেটেই আবার জিম্বাবুয়ের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ। ২০১৮ সালে এই মাঠের টেস্ট অভিষেকে ১৫১ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। এবারের পরাজয় ৩ উইকেটে। সিরিজের প্রথম টেস্টে স্বাগতিকদের অর্জন কেবল মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স।

দুই ইনিংসেই ফাইফার নিয়ে শিকার করেছেন ১০ উইকেট। টেস্ট ক্রিকেটে এটি মিরাজের তৃতীয় ১০ উইকেট শিকার। বাংলাদেশে যা এক টেস্টে কিনা সবচেয়ে বেশি। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলাম ১০ উইকেট পেয়েছেন দুইবার।

মিরপুরের বাইরে এটাই প্রথম ১০ উইকেট শিকার মিরাজের। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মিরপুরে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ৬ উইকেট করে মোট ১২ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। 

একই ভেন্যুতেই ২০১৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭ ও পরের ইনিংসে ৫ উইকেট শিকার করে মোট ১২ উইকেট পেয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। এই দুই ম্যাচেই বাংলাদেশ জিতেছিল এবং ম্যাচসেরা হয়েছিলেন মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ ব্যবধানে সিরিজ ড্র করার পর ১৯ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরাও হয়েছিলেন তিনি। মিরাজের ১০ উইকেট শিকারের দিনে প্রথমবার হারলো বাংলাদেশ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে বোল্ড করে নিজের ফাইফার যেমন পূর্ণ করেন। একইসঙ্গে নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ২০০তম উইকেটও শিকার করেন তিনি। বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে বল হাতে দ্বিশতকপূর্ণ করেছেন মিরাজ।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ২৪৬ উইকেট শিকার করেছেন সাকিব আল হাসান। দুইয়ে আছেন তাইজুল ইসলাম, তার ঝুলিতে আছে ২১৯ উইকেট। তিনে থাকা মিরাজের উইকেট এখন বরাবর ২০০।

সেই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের কাছে হার

প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩০ পিএম
আপডেট: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৫৪ পিএম
সেই সিলেটেই জিম্বাবুয়ের কাছে হার
ছবি : সংগৃহীত

২০১৮ সালের স্মৃতি ফিরিয়ে আনলো জিম্বাবুয়ে। এই সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামেই বাংলাদেশকে ১৫১ রানে হারিয়েছিল সেবার হ্যামিল্টন মাসাকাদজার নেতৃত্বাধীন জিম্বাবুয়ে। এবার হারাল ক্রেইগ আরভিনের নেতৃত্বে ৩ উইকেটের ব্যবধানে।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টেস্টের চতুর্থ দিনের বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৪ রানের লক্ষ্য ৩ উইকেট হাতে রেখে জিতে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে।

মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মাধেভেরে রিভার্স সুইপে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেছেন। তার রিভার্স সুইপে বিফলে মিরাজের দ্বিতীয় ইনিংসেও ৫ এবং দুই ইনিংস মিলিয়ে পাওয়া ১০ উইকেট।

ব্যটাররা দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হলেও লড়াই চালিয়েছেন বল হাতে বোলাররা। বিশেষ করে দুই ইনিংসেই মিরাজের অসাধারণ বোলিংটাই বাংলাদেশের একমাত্র প্রাপ্তি। তবুও দিনশেষে মিরাজ কিংবা বাংলাদেশের কপালে জুটেছে একরাশ হতাশা।

বাংলাদেশ ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় ব্রায়ান বেনেট ও বেন কারানের ৯৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতেই। মাত্র ১৭৪ রানের লক্ষ্য মাথায় রেখে এই জুটি সারিয়ে দিয়েছে জিম্বাবুয়ের অর্ধেকের বেশি কাজ। বেন কারানকে (৪৪) মিরাজই ফিরিয়েছেন খালেদ আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে।

তিনে নামা নিক ওয়েলচকে ফেরান তাইজুল ইসলাম লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে দলীয় ১১২ রানে। তিনি করেন মাত্র ১০ রান। 

পরের দুই উইকেট আবার মিরাজের দখলে। জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক শন উইলিয়ামস (৯) মিরাজের লাফিয়ে ওঠা বলের উত্তর খুঁজে না পেয়ে ক্যাচ দিয়ে দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার ব্রায়ান বেনেট তুলে নেন অর্ধশতক। ৫৪ রানে থাকার সময় মিরাজকে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে ছয় হাঁকানোর প্রচেষ্টায় লং অনে মুশফিকুর রহিমের হাতে আটকা পড়েন। উইকেটে থিতু হওয়া এই ব্যাটারের বিদায়ে ১২৮ রানে ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা।

তাইজুল আরও একটি উইকেট শিকার করেন জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডে যখন রান ১৪৪। তার অফস্টাম্পে পিচ করা বল টার্ন করে চলে যায় লেগ স্টাম্পের বাইরে। ফ্লিক করার প্রচেষ্টায় ব্যাট আগালেও সফল হননি জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সফল হননি। বল চলে যায় উইকেটকিপার জাকের আলি অনিকের হাতে। তিনিসহ বাকি ফিল্ডাররা আগ্রহী হলে রিভিউ নেন শান্ত। সেই রিভিউ সফল হয়ে ১৪৪ রানে পঞ্চম উইকেটের পতন হলে উল্লাস দেখা যায় বাংলাদেশ অধিনায়কের মাঝে।

সেই উল্লাস আরেকটু বৃদ্ধি পায় ১৪৫ রানে নিয়াশা মায়াভোকে মিরাজ বোল্ড করলে। খুব কাছে এসেও ষষ্ঠ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে কিছুটা শঙ্কায় পড়ে যায় আর জয়ের কিছুটা আশা দেখতে শুরু করে বাংলাদেশ। জয় থেকে জিম্বাবুয়ে যখন ১৩ রান দূরে তখন ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে বোল্ড করে দ্বিতীয় ইনিংসেও নিজের ফাইফার এবং চলমান টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করেন। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের উইকেটটি ছিল আবার মিরাজের ২০০তম টেস্ট উইকেট এবং মিরপুরের বাইরে প্রথম ১০ উইকেট।

এত কম লক্ষ্য নিয়ে যে আশা করাটা কঠিন, সেটি প্রমাণ হয়ে যায় ১০ বলের মধ্যেই। সেই ওভারের শেষ বলে রিচার্ড এনগারাবা মিরাজকে চার হাঁকান। এরপর তাইজুলের ওভারে চার মারেন মাধেভেরে। আর ৫০তম ওভারের শেষ বলে ১০ উইকেট পাওয়া মিরাজকেই রিভার্স সুইপ করে জয় নিশ্চিত করেন মাধেভেরে।