ছবি : সংগৃহীত
প্রথম লেগ ৪-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছিল বার্সেলোনা। বড় পরাজয়ে দ্বিতীয় লেগে মিরাকল ঘটানো ছাড়া কিছুই করার ছিল না। ঘরের মাঠ খেলা হলে মিরাকল ঘটানোর সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডও চেষ্টা চালিয়েছে। তবে তা পর্যাপ্ত হয়নি আগের ম্যাচে একহালি গোল হজম করে ফেলায়।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের মাঠে ৩-১ ব্যবধানে হেরেছে বার্সেলোনা। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-৫ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় ৬ বছর পর সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে হান্সি ফ্লিকের শীষ্যরা।
প্রথমার্ধে ৭ বার বার্সেলোনার গোলমুখে শট নিয়ে গোল করতে পেরেছিল স্বাগতিকরা মাত্র ১টি। বার্সার লিডকে টপকানোর জন্য ৭ বার শট নিয়েও মাত্র একবার প্রতিপক্ষের জাল কাঁপানোটা ডর্টমুন্ডের জন্য ছিল হতাশাজনক।
যদিও সেই গোলটি তারা করে ম্যাচের ১১ মিনিটেই। বার্সা গোলকিপার ওলশেক সেজনির ফাউলের কারণে পেনাল্টি যায় বার্সেলোনার বিপক্ষে। স্পটকিক থেকে জাল কাঁপান সেরহু গিরাসি। তবে এরপর আরকোনো গোল করতে না পারায় প্রথমার্ধে ১-০ ব্যবধানে ডর্টমুন্ড এগিয়ে থাকায় শেষ হয় খেলা।
তবে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর ১০ মিনিটেই হয় দুই গোল। দুটিই বরুসিয়া করে তবে এরমধ্যে একটি ছিল নিজেদেরই জালে। প্রথমটি হয় ৪৯ মিনিটে রামি বেনসেবাইনির সহায়তায় নিজের ও দলের দ্বিতীয় গোল আদায় করেন গিরাসি।
মিনিট চারেক পর ভুল করে নিজেদের জালে বল পাঠান আগের গোলের কারিগর বেনসেবাইনি। অ্যাগ্রিগেটে বার্সা এগিয়ে যায় ৫-২ গোলে।
বার্সার রক্ষণের ভুলে ৭৫ মিনিটে ডর্টমুন্ডকে আরেকটি গোল এনে দেন গিরাসি। রোনাল্ড আরাউহো বল গিরাসির পায়ে তুলে দেন। সেখান থেকে গোলের সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেননি তিনি।
অফসাইডে বাতিল হয়ে যায় হুলিয়ান ব্রান্ডটের গোল। অতিরিক্ত চার মিনিটের খেলা শেষে ৬ বছর পর সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে বার্সেলোনা।