
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টানতে চেয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কথাটা তিনি গেল বছর ভারতের নাগপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন। কিন্তু সেই সাকিবই ছিলেন না কিছুদিন আগে শেষ হওয়া চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে।
সেই স্কোয়াডে জায়গা না পাওয়ার একটা বড় কারণ ছিল বোলিং অ্যাকশন। সেই পরীক্ষায় তখন পাশ না করতে পারা সাকিবকে শুধুমাত্র ব্যাটার হিসেবে দলে জায়গা দিতে রাজি ছিল না নির্বাচকরা।
পাকিস্তানের মাটিতে হওয়া সেই আসরে বাংলাদেশ দল দেওয়ার আগে টিম ম্যানেজমেন্ট সাকিবের সঙ্গে ঠিকঠাক যোগাযোগ করেছিল কিনা, এ নিয়ে রয়েছে ভক্তদের মধ্যে কৌতূহল।
এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন সাকিব নিজেই। ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ক্রিকবাজে তিনি কথা বলেছেন চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল ঘোষণার আগে কতটুকু যোগাযোগ হয়েছে তার টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে।
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দলে না থাকায় বোর্ডের প্রতি তার কোনো অভিযোগ আছে কিনা সেই প্রশ্নে সাকিব জানিয়েছেন, ‘দেখুন, আমার কোনও অভিযোগ নেই। তবে যদি সেই ক্ষেত্রে যোগাযোগ আরও ভালো হতো, তাহলে আমি আরও খুশি হতাম।’
সেই প্রতিবেদনে আরও জানা গেছে, জাতীয় দলের সহকারী কোচ ও সাকিবের শৈশবের পরামর্শদাতা মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে এক সপ্তাহ ক্যাম্প করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেটিও করা সম্ভব হয়নি। বিসিবি তার অনুরোধটি উপেক্ষা করে। পরে বোলিং পরীক্ষায় কৃতকার্য না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত তাকে বাদ দিয়েই ঘোষণা করা হয় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির দল।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের সময় সাকিব অবস্থান করছিলেন কানাডায়। সেখানে তিনি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নিয়েছিলেন। দেশের হয়ে সাদা জার্সি ভারত-পাকিস্তানের বিপক্ষে খেললেও রাজনৈতিক বাস্তবতায় আর দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি তার। এমনকি দেশের মাটিতে টেস্ট অবসরের ইচ্ছাও এখনও ঝুলে আছে।