ঢাকা ১০ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

যেখানে ব্রাজিলকে ছুঁতে পারেনি কেউ

প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম
যেখানে ব্রাজিলকে ছুঁতে পারেনি কেউ
ছবি : সংগৃহীত

২০০২ সালের পর ব্রাজিল যখনই বিশ্বকাপে মাঠে নেমেছে তখনই তাদের মিশনের নাম হয়েছে ‘হেক্সা মিশন’। মানে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ জয়ের যাত্রা। যদিও সেই মিশনটা আজ পর্যন্ত পূর্ণ হয়নি তাদের। শুধু তাই নয়, ২০০২ সালের পর বিশ্বকাপের ফাইনালটাই সেলেসাওদের জন্য আজও অস্পর্শ। সর্বোচ্চ একবার সেমিফাইনালে উঠেছিল দলটি ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে। শেষ চারে যেখানে জার্মানির কাছে হলুদ শিবিরকে হজম করতে হয়েছিল সাত গোল। 

তার পরও পঞ্চম বিশ্বকাপ জয়ে ব্রাজিল সবার চেয়ে এগিয়ে। এমন কৃতিত্ব নেই আর কারও। চারটি করে জিতে এই তালিকায় ব্রাজিলের পরেই দ্বিতীয় স্থানে আছে জার্মানি ও ইতালি। তিনবার জিতে তৃতীয় স্থানে আছে আর্জেন্টিনা। পাঁচ বিশ্বকাপ জয়ের মতো একটি রেকর্ড রয়েছে ব্রাজিলের, যা এখন পর্যন্ত কেউ ছুঁতে পারেনি। আর তা হলো বিশ্বকাপে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড। ব্রাজিল এই রেকর্ডটি গড়েছিল ২০০২ ও ২০০৬ বিশ্বকাপ মিলিয়ে।

ব্রাজিলের এই অবিশ্বাস্য জয়ের ধারা শুরু হয়েছিল ২০০২ কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে এবং শেষ হয়েছিল ২০০৬ জার্মানি বিশ্বকাপে। এই দুই আসরে তাদের দলে ছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার রবার্তো কার্লোস, রোনালদিনহো, রিভালদো ও রোনালদোর মতো তারকা ফুটবলাররা।

উত্তাল শুরু ও দাপুটে জয়

২০০২ বিশ্বকাপে ব্রাজিলের অভিযান শুরু হয়েছিল তুরস্কের বিপক্ষে নাটকীয় এক জয়ের মাধ্যমে। ম্যাচে প্রথমে পিছিয়ে পড়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু ‘ফেনোমেনোন’ খ্যাত রোনালদো সমতা ফেরান। আর শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি থেকে রিভালদোর গোল ব্রাজিলকে এনে দেয় দারুণ জয়।

এরপর থেকে ক্রমশ দুর্দমনীয় হয়ে ওঠে হলুদ শিবির। গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচেই জিতে তারা নকআউট পর্বে পা রাখে। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচে উড়িয়ে দেয় চীন ও কোস্টারিকাকে। দ্বিতীয় রাউন্ডে বেলজিয়াম এবং কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে তারা পৌঁছে যায় সেমিফাইনালে, যেখানে প্রতিপক্ষ ছিল সেই তুরস্ক। রোনালদোর একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে জিতে ব্রাজিল উঠে যায় ফাইনালে।

রোনালদোর নৈপুণ্যে পঞ্চম শিরোপা

ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল জার্মানি। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা রোনালদো আবারও নিজেকে প্রমাণ করেন। তার দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোলেই ব্রাজিল ২-০ ব্যবধানে জার্মানিকে হারিয়ে পঞ্চমবারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পায়। পুরো টুর্নামেন্টে একের পর এক দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখানো রোনালদো জেতেন গোল্ডেন বুট অর্থাৎ আসরের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার।

২০০৬ বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ড

চার বছর পর ব্রাজিল বিশ্বকাপ শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্য নিয়ে জার্মানিতে যায়। গ্রুপ পর্বে টানা তিনটি ম্যাচ জিতে (জাপান, ক্রোয়েশিয়া ও অস্ট্রেলিয়া) তারা আবারও শতভাগ সাফল্য নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠে। এরপর ঘানাকে ৩-০ গোলে হারিয়ে বিশ্বকাপে টানা ১১ ম্যাচ জয়ের নতুন ইতিহাস গড়ে ব্রাজিল। যদিও রেকর্ডটি হয় অষ্টম ম্যাচেই (ইতালির জয় সাতটি)। সেখান থেকে আরও তিন ধাপ এগিয়ে থামে ব্রাজিল।

ফরাসি জাদুতে স্বপ্নভঙ্গ

কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ ছিল ফ্রান্স। যে দলটি ১৯৯৮ বিশ্বকাপ ফাইনালে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেদিনের নায়ক ছিলেন জিনেদিন জিদান, আর ২০০৬ সালেও তিনিই ব্রাজিলের স্বপ্ন ভেঙে দেন। যদিও শেষ আটের ম্যাচে জিদান গোল পাননি। তবে তার অসাধারণ অ্যাসিস্টে একমাত্র গোলটি করেছিলেন থিঁয়েরি অঁরি। ব্রাজিলকে ১-০ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে ফ্রান্স। ১২তম ম্যাচে থেমে যায় ব্রাজিলের বিশ্বকাপ জয়যাত্রা। 

সেমিফাইনালে পর্তুগালের বিপক্ষে ফ্রান্সের জয়ের নায়ক ছিলেন জিদান। তার গোলেই ফরাসিরা ওঠে ফাইনালে। ইতালির বিপক্ষে সেই ফাইনাল আজও আলোচিত। জিদানের ঢুস কাণ্ড ঘটে এই ম্যাচেই। মাতেরাজ্জিকে ঢুস দেওয়ায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন জিদান। টাইব্রেকারে শেষ হাসি ইতালির। 

বিশ্বকাপে টানা জয়

১. ব্রাজিল ১১ ম্যাচ (২০০২-০৬)

২. ইতালি ৭ ম্যাচ (১৯৩৪-৩৮)

৩. ইংল্যান্ড ৬ ম্যাচ (১৯৬৬-৭০) 

(টানা ৬ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড আছে ৪ দলের পাঁচবার) 

৪. উরুগুয়ে ৫ ম্যাচ (১৯৩০-৫০)

(উরুগুয়েসহ পাঁচ জয়ের ঘটনা ঘটেছে ১২ বার)

আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত, বাংলাদেশের লিড ১১২

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
আলোক স্বল্পতায় দিনের খেলা পরিত্যক্ত, বাংলাদেশের লিড ১১২
ছবি: সংগৃহীত

চা-বিরতির পর খেলা মাঠে ফিরলেও তৃতীয় সেশনের খেলা পুরোপুরি মাঠে গড়াতে পারেনি। আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান করা বাংলাদেশের লিড দাঁড়িয়েছে ১১২ রানে।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের খেলা গুড়িগুড়ি বৃষ্টিতে দ্বিতীয় সেশনের অর্ধেক সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর শুরু হলেও তৃতীয় সেশন শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগেই আলোক স্বল্পতায় খেলা পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।

তৃতীয় দিনে ৩ উইকট হারিয়েছে বাংলাদেশ। যার মধ্যে দুটিই শিকার করেছেন ব্লেসিং মুজারাবানি। একটি উইকেট পেয়েছেন ভিক্টর নয়াচি।

আগের দিন সাদমান সাজঘরে ফেরানো মুজারাবানি বাউন্সারে কুপোকাত করেছেন মাহমুদুল হাসান জয় ও মুশফিকুর রহিমকে। জয় ৩৩ রান করে আউট হন। ফলে ৭৩ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শান্ত-জয় জুটি গড়েছিলেন ৬০ রানে।

দিনের শেষ উইকেটেরও পতন হয় মুজারাবানির বলে। দলীয় ১৫৫ রানে বাউন্সার ডিফেন্স করতে গিয়ে স্লিপে বল পাঠিয়ে দেন অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ তিনি। এই ইনিংসে করেছেন ৪ রান। তার আউটের পরই চা-বিরতির ঘোষণা আছে।

মাঝে মুমিনুল হক ও শান্ত ৬৫ রানের জুটি গড়েছিলেন। সেই জুটির সমাপ্তি ঘটান নয়াচি মুমিনুলকে ফিরিয়ে। ৩ রানের জন্য অর্ধশতক মিস করেন সাবেক অধিনায়ক। দলীয় ১৩৮ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি।

চা-বিরতির পর আলোক স্বল্পতায় খেলা বন্ধ হওয়ার আগে ৪ উইকেটে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। যাতে লিড দাঁড়িয়েছে ১১২ রানে। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ৬০ ও জাকের আলি অপরাজিত আছেন ২১ রানে।

নিলয়/এমএ/

দোহায় ৪ নারী ক্রীড়াবিদকে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:০৩ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
দোহায় ৪ নারী ক্রীড়াবিদকে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
ছবি: বাসস

কাতারে আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে বাংলাদেশের চার নারী ক্রীড়াবিদকে পরিচয় করিয়ে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। 

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা-বাসসকে এ তথ্য জানান।

এর আগে কাতারের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বক্তব্য দেন। এসময় তিনি তার সফরসঙ্গী হিসেবে বাংলাদেশ থেকে আসা জাতীয় চার নারী ক্রীড়াবিদকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন।

এই চার নারী ক্রীড়াবিদ হলেন- ফুটবলার আফিদা খন্দকার ও শাহেদা আক্তার রিপা, ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানা।

এর আগে বাংলাদেশি চার নারী ক্রীড়াবিদ কাতার ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা সংবর্ধনায় অংশ নেন।

বাংলাদেশে এই প্রথম কোনো সরকার প্রধানের রাষ্ট্রীয় সফরসঙ্গী হয়েছেন নারী ক্রীড়াবিদদের একটি দল।

দোহায় ২২ ও ২৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত এবারের আর্থনা শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান।’ কাতার ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত নীতি গবেষণা প্রতিষ্ঠান আর্থনা সেন্টার ফর আ সাসটেইনেবল ফিউচার এই শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজক।

চার দিনের সরকারি সফরে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমানে কাতার সফরে রয়েছেন। সূত্র: বাসস

সিফাত/

উইজডেনের বর্ষসেরা দুই ভারতীয়

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২০ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:২১ পিএম
উইজডেনের বর্ষসেরা দুই ভারতীয়
ছবি : সংগৃহীত

২০২৫ সংস্করণে উইজডেন ক্রিকেটার্স তাদের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের নাম ঘোষণা করেছেন। নারী এবং পুরুষ দুই বিভাগেই মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার গেছে ভারতের ঘরে।

পুরুষ বিভাগে সেরাদের সেরা হয়েছেন ভারতের তারকা পেসার জাসপ্রিত বুমরাহ। নারী বিভাগে এই পুরস্কার জিতেছেন ভারতীয় ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা।

পুরুষদের এই পুরস্কারের নাম ‘উইজডেন লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ড।’ গেল বছর দারুণ পারফরম্যান্স করেছেন বুমরাহ। যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে অনুষ্ঠিত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলকে জেতাতে রেখেছিলেন অসামান্য ভূমিকা। শিকার করেছিলেন ১৫ উইকেট। হয়েছিলেন সেই আসরের সেরা খেলোয়াড়ও।

সাদা পোশাকের ক্রিকেটেও ছিলেন দুর্দান্ত। ১৩ টেস্টে তার ঝুলিতে আছে ৭১ উইকেট। এক ক্যালেন্ডারে ৫০টির বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের মধ্যে তিনি তৃতীয়, যিনি গড় ১৫-এর নিচে থেকে এই কীর্তি গড়েছেন। এর আগে শুধু এস.এফ. বার্নস (১৯১২) ও ইমরান খান (১৯৮২) এমন নজির দেখিয়েছিলেন।

জাসপ্রিত বুমরাহকে নিয়ে উইজডেন লিখেছে, ‘ভারতীয় ক্রিকেটের জন্য ঘটনাবহুল এক বছরে, তাদের সাফল্য অনেকাংশেই; বরং বলা যায় প্রায় সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করেছিল একটি বিষয়ের ওপর: বুমরাহর হাতে বল ছিল কি না। খুব কম ক্রিকেটারই ২০২৪ সালে তার মতো করে এতটা প্রভাব বিস্তার করতে পেরেছে।’

নারী ক্রিকেটের ‘লিডিং ক্রিকেটার ইন দ্য ওয়ার্ল্ড’ পুরস্কারও গেছে ভারতের ঘরে। সেই পুরস্কার জিতেছেন ভারতের নারী দলের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ২০২৪ সালে পাঁচটি শতক হাঁকিয়েছিলেন স্মৃতি। এরমধ্যে চারটিই ছিল ওয়ানডেতে।

উইমেন্স প্রিমিয়ার লিগে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন করেছেন অধিনায়ক হিসেবে।

বছরের সেরা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মারকুটে ব্যাটার নিকোলাস পুরান। এছাড়া উইজডেনের ‘বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটার’-এর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ইংল্যান্ডের গ্যাস অ্যাটকিনসন, জেমি স্মিথ, সোফি একলস্টোন, লিয়াম ডসন এবং ড্যান ওরাল।

মুশফিকের বিদায়ে সিলেটে চা-বিরতি

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৩০ পিএম
মুশফিকের বিদায়ে সিলেটে চা-বিরতি
ছবি : ফাইল

বৃষ্টির কারণে দিনের প্রথম সেশনের কোনো বল মাঠে গড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় সেশনেরও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পর দুপুর ১টায় শুরু হয় খেলা। চা-বিরতির আগে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৫ রান। লিড দাঁড়িয়েছে ৭৩ রান। 

ব্লেসিং মুজারাবানির লাফিয়ে ওঠা বল খোঁচা দিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ৪ রানে আউট হয়েছেন মুশফিক। স্লিপে ক্যাচ নিয়েছেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন। দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার আউটের পরই চা-বিরতি শুরু হয়েছে সিলেটে।

এর আগে, দিনের প্রথম উইকেটও বাংলাদেশ হারায় ব্লেসিং মুজারাবানির বাউন্সারে। সেই ক্যাচটিও নিয়েছেন আরভিন। মাহমুদুল হাসান জয় ৩৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেছেন দলীয় ৭৩ রানে। আউট হওয়ার আগে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েছিলেন ৬০ রানের জুটি।

পরের মুমিনুলের সঙ্গে শান্তর জুটি হয় ৬৫ রানের। ফিফটির কাছাকাছি গিয়েও ৪৭ রানে কাটা পড়েন মুমিনুল নয়াচির বলে উইকেটকিপার নিয়াশা মায়াভোর গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে।

 

প্রতিপক্ষের সমর্থকদের লাঞ্ছনার শিকার হামজা

প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ২২ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
প্রতিপক্ষের সমর্থকদের লাঞ্ছনার শিকার হামজা
ছবি : সংগৃহীত

সরাসরি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হচ্ছে না শেফিল্ড ইউনাইটেডের। বার্নলির কাছে ২-১ ব্যবধানে হারায় প্লে-অফ খেলেই প্রিমিয়ার লিগে ফেরার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে হামজা চৌধুরীর দলের।

বার্নলির কাছে পরাজয়ে অপেক্ষা ও দুশ্চিন্তা বেড়েছে শেফিল্ডের। এমন দিনে মাঠ ছাড়ার সময় প্রতিপক্ষের দর্শকদের দ্বারা লাঞ্ছিত হয়েছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হামজা দেওয়ান চৌধুরী।

ম্যাচেশেষে ঊচ্ছ্বসিত বার্নলির কয়েকজন সমর্থকরা ঢুকে পড়েন মাঠে। তারা এগিয়ে আসেন শেফিল্ডের খেলোয়াড়দের দিকে। হামজার দিকেও আসেন প্রতিপক্ষের সমর্থকরা। সেই সমর্থকদের একজন হামজাকে উদ্দেশ্য করে কিছু একটা বললে হামজার তার প্রতিক্রিয়া দেখান। 

সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবস্থা নেয় নিরাপত্তাকর্মী ও ক্লাব কর্মকর্তারা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মাঠে ঢুকে পড়া বার্নলির সমর্থকরা হামজাকে শুধু কটূক্তি নয়, বর্ণবৈষম্যমূলক মন্তব্যও শুনতে হয়েছে। 

এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে তীব্র সমালোচনা। এক ভক্ত মন্তব্য করেছেন, ‘ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলেন হামজা। এজন্য হামলা হয়েছে তার ওপর।’ তবে কি নিয়ে কথা হয়েছে হামজা বা তার ক্লাব শেফিল্ড থেকে এ নিয়ে কিছু জানানো হয়নি এখনও।

ম্যাচ শেষে শেফিল্ড কোচ ক্রিস ওয়াইল্ডার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ম্যাচের আগে রেফারির কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছিলাম যে খেলোয়াড়দের ঘিরে নিরাপত্তা থাকবে। কিন্তু শেষ বাঁশি বাজার পর তাদের কোনো খোঁজই পাওয়া যায়নি। সেটা ছিল খুবই ভয়ের একটা মুহূর্ত।’

ওয়াইল্ডার আরও বলেন, ‘৪০-৫০ জন উত্তেজিত দর্শক যখন আপনার দিকে দৌঁড়ায় এবং বাজে ভাষায় কিছু বলে কিংবা কিছু করে, তখন মাঠ ছাড়াটা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। আমি নিশ্চিত, এর দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানো উচিত হবে না।’