ঢাকা ১২ বৈশাখ ১৪৩২, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫
English
শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২

হামজার রঙিন অভিষেক

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ১১:১৫ এএম
হামজার রঙিন অভিষেক
ছবি : সংগৃহীত

ম্যাচ শুরুর ঠিক আধা ঘণ্টা আগে জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামের ঘোষক দুই দলের একাদশ জানালেন। সবার আগে স্বাগতিক ভারতের একাদশই ঘোষণা করলেন তিনি। জার্সি নম্বর ইলেভেন- সুনীল ছেত্রী বলতেই হর্ষধ্বনি উঠল গ্যালারিতে। ১৫ হাজার ১০০ জন ধারণক্ষতার নেহরু স্টেডিয়ামের গ্যালারি অবশ্য তখনো পুরোপুরি ভরে ওঠেনি। এর পরও দর্শকদের সেই হর্ষধ্বনি বুঝিয়ে দিল এ ম্যাচের অন্যতম চরিত্রের নাম সুনীল ছেত্রী। তবে বড় চরিত্র যে আছেন আরও একজন, সেটাও খানিক পর বুঝিয়ে দিলেন সেই ঘোষক। বাংলাদেশের একাদশ ঘোষণার সময় তিনি ‘জার্সি নম্বর এইট’ কথাটা লম্বা টানে বললেন। যেন বাড়তি উত্তেজনা ছড়াতে চাইলেন তিনি। তার নিজের কণ্ঠেও তখন রোমাঞ্চ।

জার্সি নম্বর এইট হলেন হামজা চৌধুরী। এ নামটিও যখন উচ্চারিত হলো, একই রকম হর্ষধ্বনি উঠল গ্যালারিতে। উঠবেই তো! হাজমা যে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা ফুটবলার। বাংলাদেশের জার্সিতে তার অভিষেক হলো এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের তৃতীয় রাউন্ডের এই ম্যাচ দিয়ে। ওদিকে এএফসি এশিয়ান কাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলার লক্ষ্য পূরণে অবসর ভেঙে সুনীল ছেত্রীকে ফিরিয়ে এনেছিল ভারত। বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আবরণে এই লড়াইটা অনেকটা হামজা-সুনীলের লড়াই হিসেবেই পরিচিতি  পায়।

জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়ামে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টায় ম্যাচটি শুরু হয়। তবে দুপুর গড়াতেই  ‘পোলো গ্রাউন্ড’ নামে পরিচিত নেহরু স্টেডিয়ামের আঙিনায় আলাদা প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়। ম্যাচটি ঘিরে জার্সি-পতাকা বিক্রির ধুম পড়েছিল। এখানে অবশ্য স্বাগতিক ভারতের জার্সি-পতাকারই আধিক্য। কেউ বাংলাদেশের পতাকা, জার্সি বিক্রি করছেন এমন কিছু চোখে  পড়েনি। দর্শকদের আধিক্যও ছিল ভারতেরই। বাংলাদেশের সমর্থক বলতে ঢাকা থেকে আসা বাফুফের কর্মকর্তা, সংবাদকর্মী ও কয়েকজন সাবেক খেলোয়াড়ই।

পাশের দেশে খেলা। বাংলাদেশি দর্শকদেরও ঢল নামতে পারত শিলংয়ের গ্যালারিতে। কিন্তু সেটা হয়নি মূলত ভিসা জটিলতায়। এই মুহূর্তে বাংলাদেশিরা যে ভারতের ভ্রমণ ভিসা পাচ্ছেনই না বলা চলে। তাই তো বিকেল নাগাদ শিলংয়ের পোলো গ্রাউন্ডে দর্শকদের যে স্রোত দেখা গেল, তার পুরোটাই আসলে ভারতীয়। সেই দর্শকদের কণ্ঠে শুধু সুনীল-সুনীল রব। একজন সুনীল আছেন তো, তাদের জয় নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। দার্জিলিং থেকে সপরিবারে খেলা দেখতে আসা চিরঞ্জিত বোস যেমন বেশ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বললেন, ‘ম্যাচটা আমরা ২-০তে জিতব।’ শিলংয়ে তিনি বেড়াতে এসেছিলেন। ফিরে যেতেন আগেই। কিন্তু ভারতের খেলা বলে অন্তত আরও একটা দিন থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। চিরঞ্জিত বোস মোহনবাগানের পাঁড়ভক্ত। বললেন, ‘আমি যেখানেই যাই মোহনবাগানকে বুকে নিয়ে থাকি।’ এদিন ভারতের পতাকার সঙ্গে মোহনবাগানের পতাকা নিয়েও মাঠে ঢুকেছেন তিনি।

ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে সুনীল ও হামজার দ্বৈরথ নিয়ে এই ফুটবল ভক্তের কথা, ‘সুনীল ছেত্রী এমন একজন খেলোয়াড়, যার প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। এ জন্য কোচ তাকে ফিরিয়ে এনেছে। ৯৫টি গোল করেছেন তিনি। আশা করি ৯৬ নম্বর গোলটি তিনি আজ করবেন। আর হামজা চৌধুরী ইংল্যান্ডে খেলে এসেছেন। অবশ্যই তিনি ভালো খেলোয়াড়। তবে আমি মনে করি ফুটবল দলগত খেলা। একটা খেলোয়াড় কিছু করতে পারবে বলে আমার মনে হয় না। তবে বাংলাদেশ দলকে আমার শুভ কামনা, আপনারা ভালো খেলুন। কিন্তু আশা করি আপনাদের নিরাশ হয়েই ফিরতে হবে।’

স্ত্রী মন্দিরা বোসের কথা, ‘দুই দলেই খুব ভালো খেলোয়াড় আছে। ফলাফল যেকোনো কিছুই হতে পারে। তবে ভারতীয় হিসেবে আমি চাইব আমার দেশ জিতুক।’ মেয়ে প্রিয়দর্শিকা বোস ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর খেলা দেখতে রোমাঞ্চিত বলেই জানালেন। তবে এটাও বলতে ভুললেন না, ‘আমার মনপ্রাণ উজাড় করে আমি আমার দলকে সাপোর্ট দেব। তবে আশা করি আমার দল জিতবে।’

জিম্বাবুয়ের কাছে হারে সমালোচনার ঝড় কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই

প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:০০ এএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৫৪ পিএম
কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অবস্থা হয়েছে ‘কাজির গরু কেতাবে আছে গোয়ালে নেই’ এর মতো। তাদের কথার সঙ্গে কাজের কোনো মিল নেই। বলে একরকম আর করে আরেকরকম। ২২ গজে তারা ব্যর্থতার চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছাবে। খেলবে দায়ীত্বহীনভাবে। খেলা শেষে এসে জানাবে তাদের এভাবে খেলা ঠিক হয়নি। এটি ভুল হয়ে গেছে। এ নিয়ে কাজ করবে, যাতে আগামীতে আর এ রকম ভুলের পুনরাবৃত্তি না ঘটে। পরের ম্যাচ যখন আসে, তখন আগের ম্যাচের বলা কথা বেমালুম ক্রিকেটাররা ভুলে যান। একইরকম ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটে। ম্যাচ শেষে পরে আবার একই রকম কথা আওড়ানো হয়। আর এভাবে চলছে বছরের পর বছর বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট এবং তা তিন ফরম্যাটেই। সর্বশেষ বাংলাদেশ দল ব্যর্থতার চূড়ান্ত প্রদর্শনী করেছে সিলেটে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে। যেখানে তারা চার দিনেই হেরেছে ৩ উইকেটে। আর এটি চার দিনও হবে না। কারণ প্রতিদিনই বৃষ্টির কারণে খেলা বিঘ্নিত হয়েছে অনেক। সময়ের হিসাব করলে তিন দিনের সামান্য বেশি হবে।

টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের খুবই দুরবস্থা। এটি সেই ২০০০ সালের ১০ নভেম্বর অভিষেক টেস্ট থেকে যে শুরু হয়েছে, তা এখনো বহমান বিভিন্ন সময় বিসিবিতে নেতৃত্বে পরিবর্তন এলেও টেস্ট ক্রিকেটে উন্নতির জন্য দৃশ্যমান কোনো পরিকল্পনা চোখে পড়েনি। গতানুগতিকই চলেছে। যে কারণে উন্নতির লক্ষণ নেই। মাঝে মাঝে বড় দলগুলোর বিপক্ষে পাওয়া এক একটি জয়কে ফুলিয়ে-ফাপিয়ে খুব বড় করে দেখা হয়। ক্রিকেটার থেকে শুরু করে বিসিবির কর্তারা, এমন কি ক্রিকটপ্রেমীরা পর্যন্ত আহ্লাদে আটখান হয়ে পড়েন! কিন্তু এর ঘোর কাটতে না কাটতেই পরের টেস্টে বাংলাদেশ দল আবার ফিরে নিজেদের চিরচেনা রূপে। যেখানে দেখা যায়, একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষ তারা তিন দিনও টিকতে পারনি। হারের ব্যবধানও থাকে বেশ বড়! কিন্তু এবারের জিম্বাবুয়ের কাছে হারের পর চারদিকে সমালোচনার মাত্রা বেশি হচ্ছে। এভাবে সমালোচনা হওয়ার কারণ জিম্বাবুয়ের বর্তমান দল।

একটা সময় জিম্বাবুয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে শক্তিশালী না হলেও বাংলাদেশের চেয়ে অনেক শক্তিশালী ছিল। দলে বিশ্ব মানের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু তাদের সেই সোনালি দিন এখন আর নেই। বর্তমানে তারা খুবই দুর্বল একটি দলে পরিণত হয়েছে। এমনই দুর্বল হয়েছে যে আইসিসির ইভেন্টে তারা খেলার যোগ্যতাই অর্জন করতে পারে না। যে দল নিয়ে তারা বাংলাদেশকে হারিয়েছে সেই দলের সাকুল্যে টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা ৯২টি। তাদের সম্মিলিত টেস্ট খেলার চেয়ে বাংলাদেশের শুধু মুশফিকুর রহিমেরই এর চেয়ে বেশি টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা আছে। তার টেস্ট খেলার সংখ্যা ৯৫টি। জিম্বাবুয়ের সাতজন ক্রিকেটার দশের কম টেস্ট খেলেছেন। স্বাভাবিক কারণেই বাংলাদেশের হার নিয়ে তির্যক সমালোচনা হচ্ছে এবং হওটাই স্বাভাবিক। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার সানোয়ার হোসেনও তাদের একজন। খবরের কাগজকে তিনি বলেন,‘একটা/দুইটা ইনিংসে ভুল হতে পারে। কিন্তু তারা রেগুলার এ রকম ভুল করে আসছে। শুধু এই টেস্ট না, লাস্ট কয়েকটি টেস্ট খেয়াল করলে দেখবেন ২০০ রান করতেই কষ্ট হচ্ছে। তা হোমে হোক বা দেশের বাইরে হোক। টেস্ট ক্রিকেট-ভবিষ্যৎ আমি ভালো দেখছি না।’

বাংলাদেশ দলের এ রকম বাজে খেলার একমাত্র কারণ বলা যায় ব্যাটিং ব্যর্থতা। প্রথম ইনিংসে ১৯১ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করে ২৫৫ রান। মাত্র ১৭৩ রানে এগিয়ে থাকার পরও বোলাররা হাল ছেড়ে না দিয়ে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন। তাদের এই রকম লড়াইয়ের কারণে জিম্বাবুয়ে সহজে জিততে পারেনি। হারাতে হয়েছিল ৭ উইকেট। টার্গেট যদি কিছুটা বেশি (২০০) হতো, তাহলে ফলাফল ভিন্নও হতে পারত। এই বোলাররা কিন্তু আগের টেস্টে (গত বছর নভেম্বর-ডিসেম্বর) জ্যামাইকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দলকে জিতিয়েছিলেন একইভাবে ব্যাটিং ব্যর্থতার পর। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রান করেও ম্যাচ জিতেছিল ১০১ রানে। ফলাফল দেখে মনে হবে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটাররা ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন। আদতে তা ছিল না। দ্বিতীয় ইনিংসে দল অলআউট হয়েছিল ২৬৮ রান করে। কিন্তু বোলাররা রুখে দিয়েছিলেন সেই রানেই। প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৬ রানে অলআউট করে দলকে ১৮ রানের লিড এনে দিয়েছিলেন। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট করেছিলেন ১৮৫ রানে। কিন্তু এবার জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আর সম্ভব হয়নি। প্রতিবার অবশ্য তা সম্ভবও হয় না। সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘দলের সিনিয়রদের একজনও যদি বড় ইনিংস খেলতেন, সেঞ্চুরি করতে পারতেন, টেস্টের সিনিয়ারিটি চেঞ্জও হতে পারত।’

চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় বলেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত যেভাবে পুল শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন, তা সানোয়ারকে অবাক করেছে। তিনি বলেন, ‘আগের দিন ৬০ রানে অপরাজিত ছিলেন শান্ত। পরের দিন (চতুর্থ দিন) তাকে কিন্তু শূন্য থেকেই শুরু করতে হয়েছে। দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় দিনের দ্বিতীয় বলেই তার এভাবে শর্ট খেলা কিছুতেই ঠিক হয়নি। আগের দিনই দলের অর্ধেক উইকেট পড়ে গিয়েছিল। এই শর্ট খেলার আগে তার আরও অনেক কিছু হিসাব করার ছিল। এ রকম শর্ট কিন্তু দলের অনেকেই বারবার খেলে যাচ্ছেন, সংশোধন হচ্ছেন না।’ এখানে তিনি প্রস্তুতিরও ঘাটতি দেখছেন। সানোয়ার বলেন, ‘ক্রিকেট হলো মাইন্ড গেম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে নেমেছে কোনো রকম প্রস্তুতি ছাড়াই। খেলোয়াড়রা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলে টেস্ট খেলতে গিয়েছে। কিন্তু ক্রিকেট খেলা এত সহজ না। আপনি নেমেই সফল হবেন। এখানে এডজাস্টমেন্টের একটা ব্যাপার আছে। দুই দিনের বা তিন দিনের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে তারপর টেস্ট খেলতে পারত। আপনি ৫০-৬০ ওভার খেলতে পারলে তার প্রভাব পরের ম্যাচে পড়বেই। প্রয়োজনে প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ করে প্রস্তুতি ম্যাচের ব্যবস্থা করা যেত।’ এখানে সানোয়ার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অভাব দেখছেন। তিনি বলেন, ‘টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে লম্বা কোনো পরিকল্পনা আমার চোখে আগেও পড়েনি, এখনো না। সবাই কালকের চিন্তা করছেন। ৫ বছরের চিন্তা নেই। এখন দ্বিতীয় টেস্ট জিতে যদি সিরিজ ড্র করতে পারে, তা হলে সবাই প্রথম টেস্টের হারের কথা ভুলে যাবেন।’ পাইপলাইনের ঘাটতিও তিনি দেখছেন বড় করে। সানোয়ার বলেন, ‘আপনি বিজয়কে আবার ডেকেছেন। কারণ পাইপলাইনে খেলোয়াড় নেই। কিন্তু উচিত ছিল পাঁচ-সাতজন ইয়ং ক্রিকেটার সব সময় রেডি থাকবে।’ তিনি এর জন্য বিসিবির নীতিনির্ধারকদের দিকে আঙুল তুলেছেন, ‘পাপন ভাই-মল্লিক ঘরোয়া ঢাকার ক্রিকেটকে শেষ করে দিয়ে গেছেন। কিন্তু এ বছরও তো ঢাকার ক্রিকেট অনেক কিছু হয়েছে। জেলা পর্যায়ে লিগ হয় না। অনেক জায়গায় জেলা কমিটিও নেই। তা হলে দেশের ক্রিকেট এগুবে কী করে? কর্মকর্তারা ব্যস্ত নির্বাচন নিয়ে। কীভাবে নির্বাচন করে জয়ী হয়ে বিসিবিতে আসা যায়। সামনে আরও খারাপ দিন আসছে।’

ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার হুমকি ভারতের

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৩০ পিএম
ফের পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার হুমকি ভারতের
ছবি : সংগৃহীত

একযুগ আগে সবশেষ দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলেছিল ভারত ও পাকিস্তান। সম্প্রতি ভার‌তশাসিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ফের নিকট সামনের দিনগুলোতেও পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে না ভারত বলে জানিয়ে দিয়েছে বিসিসিআই।

ভারতের ক্রিকেট বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজিব শুক্লা ওই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে আছি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই আমাদের অবস্থান। আমরা পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলি না, কারণ এটা সরকারের নীতিগত অবস্থান।’

তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতেও দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। অবশ্যই আইসিসির ইভেন্টে আমরা খেলি, কারণ এটি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থার নিয়মের অন্তর্ভুক্ত।’

দুই দলের মধ্যকার সবশেষ সিরিজটি হয়েছিল সাদা বলের। ২০১২-১৩ সালে ওয়ানডে সিরিজটি ২-১ ব্যবধানে জিতেছিল পাকিস্তান আর ওয়ানডে সিরিজটি হয়েছিল ১-১ ড্র। এরপর থেকে দুই দলের দেখা শুধুই আইসিসি ও এশিয়া কাপের মতো টুর্নামেন্টে।

২০২৩ সালের এশিয়া কাপ ও ২০২৫ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড পদ্ধতিতে আয়োজিত হয়েছিল পাকিস্তানের মাটিতে ভারত সফর করতে রাজি না হওয়ায়। তবে ভারতের মাটিতে হওয়া ওয়ানডে বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল ভারত।

হঠাৎ স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০৩:৪৬ পিএম
হঠাৎ স্থগিত সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ
ছবি : সংগৃহীত

এই বছরের জুনে বসার কথা ছিল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫তম আসর। কিন্তু হঠাৎ সেটি স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।

এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা জানিয়েছে, ২০২৬ সালে হতে যাচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ১৫তম আসর। এবারের সাফ হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুর ভিত্তিতে হওয়ার কথা ছিল।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সংবাদ বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, হোম ও অ্যাওয়ে ভেন্যুর ভিত্তিতে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজনের প্রস্তুতি চলছিল। সেই অনুযায়ী চলছিল প্রস্তুতিও। সেই অনুযায়ী আয়োজনে আরও প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করেন সাফের সদস্য দেশগুলো এবং মার্কেটিং পার্টনার স্পোর্টস ফাইভ।

সেই প্রস্তুতির কথা মাথায় রেখেই সাফ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত টুর্নামেন্ট স্থগিত করার।

২০২৬ সালের কথা বলা হলেও এখনও নির্ধারিত হয়নি কোথায় এবং কোন ফরম্যাটে হবে সেই আসর। যেহেতু একই বছর ফিফা বিশ্বকাপও রয়েছে তাই সঠিক সময় নির্ধারণ করাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। সেই বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা হচ্ছে।

কাশ্মিরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হত্যার হুমকি পেলেন গম্ভীর

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ০১:৫৬ পিএম
কাশ্মিরের ঘটনার নিন্দা জানিয়ে হত্যার হুমকি পেলেন গম্ভীর
ছবি : সংগৃহীত

ভারতের কাশ্মিরের পেহেলগামে ২৬ পর্যাটককে হত্যা করেছে জঙ্গিরা। যে ঘটনার নিন্দা জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লিখেছিলেন, ‘মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।’ এরপরই হত্যার হুমকি পেয়েছেন ভারতের কোচ।

ই-মেইলে হত্যার হুমকি পেয়েছেন গম্ভীর। তার কাছে এই বার্তা পাঠিয়েছে ‘আইসিস কাশ্মীর’ নামের একটি সশস্ত্র সংগঠন। ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রাণনাশের হুমকি পেয়েছেন দুইবার তিনি। হুমকি পাওয়ার পর থানায় অভিযোগও করেছেন ভারতীয় কোচ।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) প্রথম প্রাণনাশের হুমকি পান তিনি। একইদিন বিকালে আরেকটি ই-মেইলেও হত্যার হুমকি আসে। দুই ই-মেইল বার্তাতেই লেখা ছিল, ‘আইকিলইউ’। 

রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর তিনি ঘটনা জানিয়েছেন সেন্ট্রাল দিল্লির ডিসিপিকেও। অনুরোধ জানিয়েছেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার। তার এবং পরিবারের যাতে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকে তার জন্যও পুলিশকে উদ্যোগী হতে বলেছেন তিনি।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। খোঁজ় নিয়ে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে কারা পাঠিয়েছেন এই বার্তা। গম্ভীর সাবেক সংসদ সদস্য এবং বর্তমানে বিজেপির সদস্য। তাই তার কাছে হুমকি আসা অস্বাভাবিক নয়।

উল্লেখ্য, হত্যার হুমকি এবারই প্রথম নয়।  সাংসদ থাকাকালীন ২০২১ সালেও খুনের হুমকি পেয়েছিলেন। সেই ঘটনার পরেও থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলেন গম্ভীর।

এল ক্লাসিকোর আগে দুশ্চিন্তায় রিয়াল

প্রকাশ: ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৩ পিএম
এল ক্লাসিকোর আগে দুশ্চিন্তায় রিয়াল
ছবি : সংগৃহীত

২০২৩ সালে ডেভিড আলাবার সুস্থতা কামনা করেছিলেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। চোটে পড়া আলাবনাকে নিয়ে সেবার ভাই সম্বোধন টুইট করেছিলেন কামাভিঙ্গা। এবার চোটে পড়েছেন দুজনই।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) গেটাফের বিপক্ষে ১-০ ব্যবধানে জয়ের ম্যাচে চোটে পড়েছেন আলাবা ও কামাভিঙ্গা দুজনেই। রিয়ালের জন্য এচেয়ে খারাপ খবর হলো কোপা দেল রে ফাইনালে অনিশ্চিত দুজনই।

প্রতিপক্ষ যখন বার্সেলোনা তখন চোটের খবরে দুশ্চিন্তা বাড়াই তো স্বাভাবিক। বার্সার বিপক্ষে এই মৌসুমে দুই ম্যাচেই আনচেলত্তির শীষ্যরা পরাজিত হয়েছে।

গেটাফের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার পর চোটে পড়া আলাবা ও কামাভিঙ্গাকে ফাইনালে দুজনকে না পাওয়ার সুর আনচেলত্তির কন্ঠে, ‘আগামীকাল (আজ) কী হয় আমরা দেখব। আমার মনে হয় দুজনেই মাংসপেশির ব্যথায় ভুগছে। শনিবার খেলাটা তাই তাদের জন্য অবশ্যই কঠিন হবে।’

বাঁ পায়ের মাংসপেশিতে চোট পাওয়া আলাবাকে ম্যাচের ৪৫ মিনিটে তুলে নেন আনচেলত্তি। তার বদলি নামা কামাভিঙ্গা চোট পান ৮৫ মিনিটে। তিনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েন গেটাফের মিডফিল্ডার লুইস মিলারের। তিনি কুঁচকিতে চোট পেয়েছেন।

স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ জানিয়েছে, কামাভিঙ্গা মাঠ ছেড়ে যেতে না চাইলেও ব্যথার কাছে হার মেনে বাধ্য হয়েই তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হয়। বদলি খেলোয়াড় নামানোর সুযোগ আর না থাকায় কামাভিঙ্গা উঠে যাওয়ার পর ১০ জন নিয়ে খেলেছে রিয়াল।