
আসরের শুরুটা ছিল বেশ দারুণ। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল ৪ উইকেটে। প্রথম ম্যাচ জিতলেও এরপর টানা চার ম্যাচে হারতে হয় চেন্নাই সুপার কিংসকে। একে একে তারা পরাজিত হয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও পাঞ্জাব কিংসের কাছে।
টানা হারের ধকল কাটিয়ে জয়ের ধারায় ফিরতে অধিনায়কত্বে বদল আনে চেন্নাই। ঋতুরাজ গায়কোয়াড়ের বদলে অধিনায়ক করা হয় সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।
কিন্তু তাতেও ভাগ্য বদলায়নি চেন্নাইয়ের। গতকাল (১১ এপ্রিল) কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে হারতে হয়েছে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। যা তাদের দিয়েছে টানা পঞ্চম হারের তিক্ত স্বাদ।। ৬ ম্যাচে ১ জয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের নয়ে অবস্থান করছে চেন্নাই। অন্যদিকে, ষষ্ঠ ম্যাচে তৃতীয় জয় তুলে নিয়ে কলকাতার অবস্থান তৃতীয় স্থানে।
অধিনায়ক বদলালেও মাঠের ক্রিকেটে পরিবর্তন আসেনি চেন্নাইয়ের। ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে কোনোমতে ১০৩ রান সংগ্রহ করতে সমর্থ হয় দলটি। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন শিভম দুবে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে বিজয় শঙ্কের ব্যাটে।
১৬ ও ১২ রান করেন রাহুল ত্রিপাঠি ও ডেভন কনওয়ে। বাকি কোনো ব্যাটারই স্পর্শ করতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরের রান। অধিনায়ক ধোনিও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন তিনি মাত্র ১ রান করেন।
কলাকাতার হয়ে বল হাতে সুনীল নারিন ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন। হার্ষিত রানা ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ২টি ও বরুণ চক্রবর্তী ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে নেন ২টি উইকেট।
ক্ষুদ্র এই লক্ষ্য তাড়া করতে মামা কলকাতা ৪ ওভারেই তুলে ফেলে ৪৬ রান। উদ্বোধনী জুটিও হয় ততটুকু। তিনি করেন ১৬ বলে ৩ ছক্কায় ২৩ রান। তবে তাণ্ডব চালান নারিন। দলীয় ৮৫ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেট পতনে বিদায় নেন ১৮ বলে ৪৪ রান করা নারিন।
এরপর আজিঙ্কা রাহানে অপরাজিত ২০ ও রিংকু সিং অপরাজিত ১৫ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন।
কলকাতার দুটি উইকেটের একটি নেন অনশুল কামবোজি। অপরটি নেন নুর আহমদ।
ব্যাটে-বলে সমানভাবে দারুণ পারফরম্যান্স করে ম্যাচসেরা হন কেকেআরের নারিন।