ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

ম্যারাডোনাও ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি

প্রকাশ: ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ১১:২৮ এএম
ম্যারাডোনাও ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি
ছবি : সংগৃহীত

২০১৮ সাল। রাশিয়ার মস্কোতে চলছিল ফ্রান্স-ক্রোয়েশিয়ার ফাইনাল। মাঠে উপস্থিত ছিলেন ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস। ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনাও। দুজনের সাক্ষাতে তারা একে অপরকে বুকে জড়িয়ে নেন। ম্যারাডোনা আব্বাসকে বলেন, ‘হৃদয় থেকে আমি ফিলিস্তিনি।’

ম্যারাডোনা ফিলিস্তিনি জনগণের সংগ্রামের প্রতি তার সহানুভূতিও প্রকাশ করেন। সেই সাক্ষাতের একটি মুহূর্ত ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেছিলেন ফুটবল ঈশ্বর। ছবিতে ছিলেন আব্বাস এবং ক্যাপশনে ম্যারাডোনা লিখেছিলেন, ‘আমি একজন ফিলিস্তিনি। এই ব্যক্তি (আব্বাস) ফিলিস্তিনে শান্তি চান। রাষ্ট্রপ্রতি আব্বাস তার রাষ্ট্রের মালিক।’ যার পায়ের ফুটবলে সারা বিশ্ব নাচত, সেই ম্যারাডোনার মুখের বাণী আব্বাসের জন্য ছিল পরম পাওয়া। ম্যারাডোনাকে জলপাইয়ের ডাল বহনকারী একটি ঘুঘুর চিত্র উপহার দেন, যা শান্তির প্রতীক।

দেখা হয়েছিল বলেই আবেগে বলে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা- বিষয়টা মোটেও এমন নয়। জীবদ্দশায় তিনি দীর্ঘকাল ফিলিস্তিনি সংগ্রামকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন।

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ২০১২ সালের কথা। তখন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় দলের কোচ ছিলেন। সেই সময় ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’ নিজেকে ফিলিস্তিনি জনগণের এক নম্বর সমর্থক হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। নিজেকে ফিলিস্তিনি বলার একবছর পর ম্যারাডোনা ক্যাফায়া পরিধান করে আবারও সমর্থন জানান এবং বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক।’

২০১৪ সালে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের আক্রমণের পর ম্যারাডোনা সমালোচনা করেছিলেন। বলেছিলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে যা করছে তা লজ্জাজনক।’ তার সাহসী এই প্রতিবাদের জন্য ইসরায়েলি দখলদারত্বের অধীনে বসবাসকারী ফিলিস্তিনদের জন্য ম্যারাডোনা ছিলেন একজন অনুপ্রেরণা। একদা ফিলিস্তিন এক সাংবাদিক র‌্যামজি বারুদ বলেছিলেন, ‘ফিলিস্তিনে, আপনি ম্যারাডোনাকে ঘৃণা করতে পারবেন না। তাকে ভালোবাসবেন এবং তার সম্পর্কে খারাপ তর্ক করতে পারবেন না।’

বারুদ আরও বলেছিলেন, ‘ম্যারাডোনা আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। একজন মানুষ যিনি বড় ছিলেন না, বস্তি থেকে এসেছিলেন, আমাদের মতোই আবেগপ্রবণ ছিলেন এবং তারপর তিনি বিশ্বজুড়ে পরিচিত হওয়ার পথ খুঁজে পেলেন। আমাদের কাছে এটি কেবল ফুটবল বা একটি খেলার সময়, এটি একটি আশা। কারণ, এটি অনুপ্রেরণা দেয় যে সবকিছুই সম্ভব। আপনি কল্পনা করতে পারেন না যে ম্যারাডোনা যখন ফিলিস্তিনের প্রতি যত্নশীল হন এবং আমাদের উদ্দেশ্যকে সমর্থন করেন তখন আমরা কতটা খুশি হই। মনে হয়, আমাদের আনন্দ পূর্ণতা পেয়েছে।’

ম্যারাডোনা, ফিলিস্তিন এবং উপনিবেশবাদকে এক সুতোয় গাঁথা হয়েছে দ্য হ্যান্ড অব গডে। বিশেষ এক প্রবন্ধে আলোচনা করা হয়েছে ‘সমাজতান্ত্রিক ম্যারাডোনা কীভাবে তার ঈশ্বরের হাতে তার আদর্শিক অর্থ’। উপনিবেশবাদ বলতে একটি দেশ কর্তৃক অন্য একটি দেশের ওপর রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে বোঝায়। আর ম্যারাডোনা ছিলেন উপনিবেশবাদের প্রধান শত্রু। এমনকি তার বিখ্যাত ঈশ্বরের হাতের গোলটি ছিল আর্জেন্টিনায় ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ।

মেক্সিকোতে ১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে ‘ঈশ্বরের হাত’ (ইংরেজিতে ‘দ্য হ্যান্ড অব গোল’) গোলটি করেছিলেন ম্যারাডোনা। এমির কুস্তুরিকা, যিনি ম্যারাডোনা (২০০৮) নামে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন, সেখানে প্রকাশ করেন যে এই গোলটি ছিল একটি রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। কুস্তুরিকার ভাষ্য অনুযায়ী, ম্যারাডোনা এই গোলটিকে উপস্থাপন করেছিলেন ব্রিটেনের ১৯৮২ সালে মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জে হামলার সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ হিসেবে।

ম্যারাডোনার জন্য, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লড়াই শুধুই ফুটবল মাঠের বিষয় নয়, এটি তার জন্য একান্ত ব্যক্তিগত একটি বিষয় হয়ে উঠেছিল। ম্যারাডোনা ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের ছাপ আর্জেন্টিনায় ঘৃণা করতেন, যা তিনি বারবার প্রকাশ করেছেন। তিনি ‘দ্য হ্যান্ড অব গড’ গোলটিকে ইংল্যান্ডের মালভিনাস দ্বীপপুঞ্জ ‘চুরি’ করার প্রতিক্রিয়ায় প্রাপ্ত প্রতিদান হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। উপনিবেশবিরোধী এই মনোভাব ম্যারাডোনার হৃদয়ে গভীরভাবে গেঁথে ছিল। কারণ ১৯ থেকে ২০ শতাব্দী পর্যন্ত ব্রিটেন আর্জেন্টিনায় উপনিবেশ স্থাপন করেছিল।

তখন অন্যান্য উপনিবেশবাদের মতো, ব্রিটিশরা আর্জেন্টিনায় এসেছিল দেশের সব সম্পদ শোষণ করতে: রেলপথ, ব্যাংক, ডক, দোকানপাট, এমনকি সংস্কৃতিও। ইতিহাসবিদ ডেভিড ডাউনিং এই পরিস্থিতিকে বর্ণনা করেছেন এভাবে: ‘সবকিছুই তারা নিয়ন্ত্রণ করত, শুধু নামটা ছাড়া।’ তার জীবনকালে যখন ফিলিস্তিনে উপনিবেশবাদ হয়ে ওঠে ইসরায়েল, তখন ম্যারাডোনা হয়ে যান ফিলিস্তিনি। কারণ সব ফিলিস্তিনির মতো দখলদারত্ব ছিল তার প্রধান শত্রু।

শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র
ছবি : সংগৃহীত

জর্ডানের মতো তুমুল শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ড্র করে আসা জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বাংলাদেশ নারী দলের কাছে। প্রতিকূল পরিবেশেও তাদের বিপক্ষে এই ড্র অর্জনের খাতায়ই পড়বে বলা চলে।

দারুণ লড়াইয়ে আফাঈদা খন্দকাররা অপরাজিত থাকল তিন জাতির এই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও। 

ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন তাদের অধিনায়ক জেবারাহ। পরে শামসুন্নাহার জুনিয়র বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান ৪৩ মিনিটে।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে গোল করে ফের জর্ডান এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়াবার জর্ডান ম্যাচে লিড নিলে বাংলাদেশ দলের ম্যাচে ফেরা পড়ে যায় শঙ্কায়। তবে ৮২ মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় শাহেদা আক্তার রিপার গোল। আর ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়।

এই জর্ডানের বিপক্ষেই ৫-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই ড্র নিশ্চিতভাবেই দিচ্ছে জয়ের আনন্দ।

ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৯ ধাপ ওপরে থাকা জর্ডানের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়ার পরও এমন ড্র জয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।

আম্মানের কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে লাল-সবুজের দল খেলেছে মাথা উঁচু করেই। ম্যাচ শেষে মেয়েরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত–আনন্দিত।

চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোহলির আনন্দাশ্রু

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১১:৪৪ এএম
চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোহলির আনন্দাশ্রু
ছবি : সংগৃহীত

এই মাঠেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার পর বিমর্ষ বিরাট কোহলির চেহারা যেন চেনাই যাচ্ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার উদযাপনের ভীড়ে ঘরের মাঠেই শিরোপা ছুঁতে না পারার বেদনায় কেঁদে দেন বিরাট কোহলিরা।

গতরাতে (৩ জুন) একই মাঠে ফের কাঁদলেন কোহলি। তবে এই কান্না কষ্টের নয় আনন্দের। দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানের। টানা ১৮ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে চতুর্থবার ফাইনালে ওঠার পর কোহলি জিতলেন পরম আরাধ্য সেই শিরোপা। 

ম্যাচের শেষ বলে পাঞ্জাবের শশাঙ্ক সিং যখন ছক্কা মারলেন, সেটি নিয়ে কারো মাথাব্যথাই ছিল না। ছক্কা নয়, ক্যামেরা বরঞ্চ গুরুত্ব নিয়ে খুঁজে বের করলেন বিরাট কোহলিকে। অধিনায়ক রজত পাতিদার তার দেওয়া কথা রেখেছেন। কোহলির জন্য জিতে নিয়েছেন ট্রফি।

শিরোপা জেতার পর আহমেদাবাদের ঘাসে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে অঝোরে কাঁদলেন এই তারকা ব্যাটার। এ সুখের কান্নাটাই তো চেয়েছিলেন এই কিংবদন্তী। 

২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর গ্যালারিতে থাকা কোহলির সহধর্মিণী আনুশকা শর্মা তাকে জড়িয়ে ধরে দিয়েছিলেন সান্ত্বনা। গতরাতেও বেঙ্গালুরু শিরোপা জয়ের রাতেও কোহলিকে আলিঙ্গন করেন আনুশকা। এবারের আলিঙ্গনটা সুখের এবং উদযাপনের।

আইপিএলের ১৮ মৌসুমের সব মৌসুমেই বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলেছেন কোহলি। সেই দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন কোহলি, ‘এই জয় দলের যতটা, ভক্ত-সমর্থকদেরও ততটা। ১৮ বছরে আমি আমার যৌবন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা সবই কাজে লাগিয়েছি। প্রতি মৌসুমেই জেতার চেষ্টা করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। অবশেষে সেই মুহূর্তটা এল। এই অনুভূতি অসাধারণ। এমন দিন যে আসবে, কখনোই কল্পনা করিনি।’

দলের বাকি সতীর্থরাও বারবার বন্দনা দিয়েছেন কোহলিকে। জিতেশ শর্মা, জশ হ্যাজলউড থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরুর মেন্টর দিনেশ কার্তিক সবার মুখেই কোহলির নাম। 

সবার এমন ভালোবাসা পেয়ে ভারতীয় এই ব্যাটার আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি সব সময় এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। শিরোপা জয়ের চেয়েও আমার কাছে এই মুহূর্তটা বিশেষ। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আত্মা বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আমি যেমনটা বলেছি, আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলব।’

অবশেষে বেঙ্গালুরুর ঘরে আইপিএল শিরোপা

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১০:৪৪ এএম
অবশেষে বেঙ্গালুরুর ঘরে আইপিএল শিরোপা
ছবি : সংগৃহীত

অবশেষে ১৮তম আসরে এসে আইপিএল শিরোপা জিততে না পারার আক্ষেপ ঘুচলো। ফাইনালে পাঞ্জাব কিংসে ৬ রানে হারিয়ে নিজেদের আইপিএল ইতিহাসে প্রথম ট্রফি জিতল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। 

ফাইনালের দুই প্রতিদ্বন্দ্বি নিশ্চিত হওয়ার পর সবাই অপেক্ষায় ছিল কে হতে যাচ্ছে চ্যাম্পিয়ন, এটি দেখার জন্য। কেননা, যে জিতবে তারই এটি প্রথম ট্রফি হতে যাচ্ছে। এমন ফাইনালে মাত্র ৬ রানে জিতে পাঞ্জাবের প্রথম শিরোপার অপেক্ষা বাড়াল রজিত পাতিদাররা।

মঙ্গলবার (৩ জুন) আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে বেঙ্গালুরুরকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় পাঞ্জাব। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাটিং করে ১৯০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় রয়্যাল। জবাব দিতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রান পর্যন্ত করতে পেরেছে পাঞ্জাব। ফলে ৬ রানে জিতে প্রথমবারের মতো আইপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

আরসিবির হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে বিরাট কোহলি। যার জন্য শিরোপা জিততে চেয়েছিল রজত পাতিদাররা, তিনিই করলেন সবচেয়ে বেশি রান দলের হয়ে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল করেন ১৮ বলে ২৪ রান করেন। অধিনায়ক রজত পাতিদারের ব্যাটে এসেছে ২৬ রান। 

ইংলিশ অলরাউন্ডার লিয়াম লিভিংস্টোন ১৫ বলে দুই ছক্কায় ২৫ ও জিতেশ শর্মা ১০ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৪ রান যোগ করেন। রোমারিও শেইফার্ড ৯ বলে করেন ১৭ রান।

চ্যালেঞ্জিং এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর পরও জিততে পারেনি পাঞ্জাব। দলটির টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার সেট হয়েও হতাশ করেছেন। 

ওপেনার প্রিয়াংশি আরিয়া ১৯ বলে ২৪ ও প্রবসিমরান সিং ২২ বলে ২৬ করে আউট হন। তিনে নামা জস ইংলিশ ২৩ বলে ৩৯ রান যোগ করেন।

৩১ বলে ৬১ রান করা শশাঙ্ক সিং দলকে লক্ষ্যে নিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকার পরও জেতাতে পারেননি দলকে। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ছয়টি ছক্কা ও তিনটি চারে। এমন ইনিংসের পরও পাঞ্জাবের পরাজয়টা নামা ওধেরার ১৮ বলে ১৫ রানের ধীরগতির ইনিংসে।

পাঞ্জাব এ নিয়ে দ্বিতীয়বার আইপিএল ফাইনাল খেলল। ১১ বছর আগেও প্রীতি জিনতার দলের স্বপ্নভঙ্গ হয়। অন্যদিকে বেঙ্গালুরু ও কোহলির প্রথম আইপিএল শিরোপা উৎসবে উপস্থিতি ছিলেন দলটির সাবেক তারকা এবি ডি ভিলিয়ার্স।

টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুন)

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১০:১০ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (৪ জুন)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (৪ জুন) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ফুটবল (সরাসরি)

প্রীতি ম্যাচ

বাংলাদেশ-ভুটান, সন্ধ্যা ৭টা
টি স্পোর্টস

নেশন্স লিগ

জার্মানি-পর্তুগাল, রাত ১টা
সনি টেন নেটওয়ার্ক

টেনিস (সরাসরি)

ফ্রেঞ্চ ওপেন, বেলা ৩টা
সনি টেন নেটওয়ার্ক

আইপিএল বৃষ্টিতে খেলা না হলে কে হবে চ্যাম্পিয়ন?

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০৫:১১ পিএম
বৃষ্টিতে খেলা না হলে কে হবে চ্যাম্পিয়ন?
ছবি : সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির পর ফের মাঠে গড়ানো ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসরের পর্দা নামছে আজ। ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস।। যে দলই জিতবে সে দলেরই হতে যাচ্ছে প্রথম শিরোপা। 

ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে গুজরাটের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায়।

ফাইনালের জন্য কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সকে নির্ধারিত করা হয়েছিল ভেন্যু হিসেবে। কিন্তু বর্ষার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে শেষ মুহূর্তে ভেন্যু পরিবর্তন করে আহমেদাবাদে আনা হয়েছে।

যে কারণে কলকাতা থেকে সরানো হয়েছে ফাইনাল, একই শঙ্কা দেখা দিয়েছে আহমেদাবাদেও। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ৩ জুন দুপুরে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি। যদিও সন্ধ্যার দিকে আকাশ কিছুটা পরিষ্কার হওয়ার আশা আছে।

আইপিএল কর্তৃপক্ষ সর্বোচ্চ চেষ্টাই চালাবে ম্যাচ মাঠে গড়ানোর। অপেক্ষা করা হবে অতিরিক্ত ১২০ মিনিট। এরপরও যদি খেলা না হয় সেক্ষেত্রে ৪ জুনকে রিজার্ভ ডে হিসেবে রাখা হয়েছে।

আর সেই দিনের আবহাওয়া তুলনামূলকভাবে ভালো থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়াবিদেরা। এরপরও যদি আবহাওয়া ভালো না থাকে সেক্ষেত্রে যদি একদিনও খেলা না হয় তখন লিগ পর্বের পয়েন্ট তালিকার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে চ্যাম্পিয়ন। সে ক্ষেত্রে শিরোপা যাবে পাঞ্জাব কিংসের ঘরে, কারণ তারা লিগে এগিয়ে ছিল।

এখনও পর্যন্ত কোনো শিরোপা না পাওয়া দুই দলই আজ প্রথমবারের মতো শিরোপা জয়ের স্বাদ পেতে চায়। পাঞ্জাব ২০১৪ সালে একবার ফাইনালে উঠেছিল, কিন্তু হেরে গিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে। আর বেঙ্গালুরু ২০০৯, ২০১১ ও ২০১৬ সালে তিনবার ফাইনালে উঠে শিরোপা হাতছাড়া করে।