ঢাকা ১৭ বৈশাখ ১৪৩২, বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
English
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ বৈশাখ ১৪৩২

তুষার খেলবেন মোহামেডানে

প্রকাশ: ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ০১:১২ এএম
তুষার খেলবেন মোহামেডানে
সংগৃহীত

মারকুটে ব্যাটার তৌফিক খান তুষার সুপার লিগে মোহামেডানের হয়ে খেলবেন। লিগে তিনি লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের খেলোয়াড় ছিলেন। কিন্তু লিগপর্বে ক্লাবের হয়ে ১১টি ম্যাচের একটিতেও তার খেলা হয়নি। সেই সুযোগটিই মোহামেডান কাজে লাগিয়েছে। দুই ক্লাবের বোঝাপড়ায় তুষারকে ছেড়ে দেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।

প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে (ডিপিএল) প্রথম পর্বে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা মোহামেডান সুপার লিগে সেরা একাদশ সাজাতেই হিমশিম খাচ্ছে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের সিরিজের জন্য নেই চার ক্রিকেটার- মুশফিকুর রহিম, তাইজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন।

হার্ট অ্যাটাক হয়ে লিগ পর্বের শেষ তিন ম্যাচ থেকে খেলছেন না অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইনজুরির কারণে লিগে প্রথম তিনটি ম্যাচ খেলার পর আর খেলেননি তাসকিন আহমেদ।  এ ছাড়াও ইনজুরির কারণে সুপার লিগে খেলার শঙ্কা আছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও আবু হায়দার রনির। এদিকে তামিম ইকবালের অসুস্থায় অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করা তাওহিদ হৃদয় আবাহনীর বিপক্ষে ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে তকে জড়িয়ে দুই ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন। ফলে সুপার লিগের প্রথম দুই ম্যাচে তাকেও পাবে না মোহামেডান।

অবস্থা সামাল দিতে মোহামেডান লিগে কোনো দল না পাওয়া মোস্তাফিজুর রহিমানকে আগেই চুড়ান্ত করে। তৌফিক খান তুষারকে পাওয়ার জন্য তারা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কমকর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালিয়ে যেতে থাকে। গতকাল বুধবার তুষারের খেলার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। মোস্তাফিজ ও তুষারের সঙ্গে মোহামেডান বাঁহতি স্পিনার নাবিল সামাদ ও অভিজ্ঞ ব্যাটার ফরহাদ হোসেনকেও দলে নিয়েছে।

টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল)

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১০:১১ এএম
টিভিতে আজকের খেলা (৩০ এপ্রিল)
ছবি : সংগৃহীত

ক্রীড়াপ্রেমীদের জন্য প্রতিদিনই টেলিভিশনের পর্দায় থাকে অনেক খেলা। তেমনি আজও (৩০ এপ্রিল) রয়েছে বেশকিছু খেলা। চলুন দেখে নেওয়া যাক আজ টিভিতে কোন কোন খেলা রয়েছে।

ক্রিকেট (সরাসরি)

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে, দ্বিতীয় টেস্ট
তৃতীয় দিন, সকাল ১০টা
বিটিভি

আইপিএল

চেন্নাই-পাঞ্জাব, রাত ৮টা
টি স্পোর্টস

ফুটবল (সরাসরি)

চ্যাম্পিয়ন্স লিগ

বার্সেলোনা-ইন্টার, রাত ১টা
সনি টেন ২

এখনো বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
এখনো বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

বোলারদের নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে বসেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে ব্যাটাররাও দাপট দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে স্বাগতিরকা। এরপরও অবশ্য তৃতীয় দিনে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের বিপরীতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ৬৪ রানের লিড পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৬ রান নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও ৫ রান নিয়ে তাইজুল ইসলাম আগামীকাল নতুন দিন শুরু করবেন।

টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সাদমান ইসলাম এই দুজনের ওপর ভরসা রাখছেন। দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এই ওপেনার। এ সময় ১৮১ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার বলেন, প্রথম দুই সেশনে দারুণ খেলেছে দল। মিরাজ ও তাইজুলের উপর ভরসা আছে। এখনো একশোর ওপর লিড নেওয়ার আশা আছে।

উইকেট নিয়ে সাদমানের পর্যবেক্ষণ: প্রথম দুই দিনে উইকেটে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবে টের পেয়েছেন সামনের দিনগুলোতে বোলারদের জন্য সহযোগিতা থাকবে।

তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচ হারার ভয় এখনও পেয়ে বসেনি জিম্বাবুয়েকে। ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রত্যয়ী তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে বড় লিড নেওয়ায় চোখ সফরকারীদের। তৃতীয় দিন থেকে বোলাররা উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাদমানের ক্যারিয়ারে দুই সেঞ্চুরির মধ্যে ব্যবধান ২৬ ইনিংস ও প্রায় চার বছর। এই পরিসংখ্যান বলে দেয় দারুণ কিছু করতে পারেননি এখন পর্যন্ত। ২৯ বছর বয়সে এসে ২২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাদমান বলছেন, সামনে দেশকে দেওয়ার মত অনেক কিছুই বাকি আছে। নিজেকে সেভাবেই শাণিত করার প্রত্যয় তার।

 

দর্শককে মারতে গ্যালারিতে তেড়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:০৭ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:১১ পিএম
দর্শককে মারতে গ্যালারিতে তেড়ে গেলেন মাহমুদউল্লাহ
ছবি: সংগৃহীত

লিগ শিরোপা লড়াইয়ের অলিখিত ফাইনালে চির প্রতিদ্বন্দ্বি আবাহনীর কাছে ৬ উইকেটে হেরে মোহামেডানকে রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়। খেলা শেষে মোহামেডানের খেলোয়াড়রা ড্রেসিংরুমে ফিরে আসার সময় ভিআইপি গ্যালারিতে থাকা মোহামেডানের নাদিম নামে এক সমর্থককে মারতে তেড়ে যান অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। পরে অন্যদের হস্তক্ষেপে তিনি সেই দর্শককে আর লাঞ্চিত করতে পারেননি। পরে এই ঘটনার জন্য মাহমুদউল্লাহ দুঃখ প্রকাশ করেন।

ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান ক্লাব ২০০৯ সালের পর ঢাকা প্রিমিয়ার বিভাগ ক্রিকেট লিগে আর চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। এবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে তারা প্রায় জাতীয় দলই গঠন করেছিল। কিন্তু অধিনায়ক তামিম ইকবালের অসুস্থতা, ইনজুরি, নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের জন্য চারজন ক্রিকেটারকে হারাতে হয়। সব মিলিয়ে সেরা একাদশের সাতজনই ছিলেন না। অবস্থা সামাল দিতে তারা অন্য ক্লাবের না খেলা কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে খেলতে নামে। একপ্রকার ভাঙাচোরা দল নিয়েই তারা শেষ ম্যাচ পযন্ত শিরোপা লড়াইয়ে ছিল।

ভাঙাচোরা দল হলেও মোহামেডানের সমর্থকদের আশা ছিল আবাহনীকে হারিয়ে তারা দীর্ঘদিনের শিরোপা খরা কাটাতে পারবে। যে কারণ সকাল থেকেই বেশ কিছু সমর্থক মোহামেডানের ড্রেসিংরুমের পাশে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে বসে খেলা দেখছিলেন। শেষ বিকেলে হেরে যাওয়ার পর, মোহামেডানের খেলোয়াড়রা যখন ড্রেসিংরুমে ফিরছিলেন, তখন সমর্থকরা নিজেদের ক্ষোভ মেটাতে তাদের উদ্দেশে বিদ্রুপ করে কথা বলছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীর বিবরণে জানা যায় শক্তিশালী দল গড়ার পরও ব্যাকআপ খেলোয়াড় না থাকাতে সমর্থকরা মোহামেডানের ম্যানেজার সাবেক ক্রিকেটার সাজ্জাদ আহমেদ শিপনকে উদ্দেশ্য করে ভুয়া ভুয়া বলার পাশাপাশি কিছু বাজে শব্দ উচ্চারণ করছিলেন। 

এ সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এসব কথা শুনে ড্রেসিংরুমে প্রবেশ না করে প্রাচীর টপকে লাফ দিয়ে গ্র্যান্ড স্ট্যান্ডে উঠে খুবই উত্তেজিত হয়ে নাদিম নামের সেই দর্শককে মারতে তেড়ে যান। তার পিছু পিছু মোহামেডানের দুইজন বয় ছুটে গিয়ে মাহমুদউল্লাহকে নিবৃত করার চেষ্টা করেন। মোহামেডানের অন্য সমর্থকরাও এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করেন। পরে এক ফেসবুক পোস্টে নাদিম নামের সেই দর্শক ঘটনার বর্ননা দিয়ে মাহমুদউল্লাহকে উদ্দেশ্য করে তিনি কিছু বলেননি বলে উল্লেখ করেন। তিনি দলের ম্যানেজারকে উদ্দেশ্য করে কিছু কথা বলেছিলেন। 

এ ব্যাপারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ কোনও শাস্তি পাবেন কি না জানতে চাওয়া হলে খবরের কাগজকে ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানিনা। আমাকে কেউ জানায়ওনি। তা ছাড়া ম্যাচ শেষে হওয়াতে এটি এখন শৃঙ্খলা কমিটি দেখবে। এদিকে মিরপুর স্টেডিয়াম ছেড়ে যাওয়ার সময় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ গাড়ী থামিয়ে মোহামেডানের একজন সমর্থকের কাছে ঘটনার জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন বলে জানা গেছে।

সিফাত/

চট্টগ্রাম টেস্ট হঠাৎ ছন্দপতনে অস্বস্তি নিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
হঠাৎ ছন্দপতনে অস্বস্তি নিয়ে দিন শেষ বাংলাদেশের
ছবি : সংগৃহীত

সাদমান ইসলামের ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসের পরও দ্বিতীয় দিন শেষে অস্বস্তিতে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেশনের শেষদিকে পরপর দুই বলে মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলামের বিদায়ে পর তৃতীয় সেশনে ৪ উইকেট হারিয়ে দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ২৯১। লিড হয়েছে ৬৪ রান।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দিনের প্রথম বলে জিম্বাবুয়ের অলআউট করার পর ৩২ ইনিংস পর উদ্বোধনী জুটিতে সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয় শতরানের জুটি গড়েন। তাদের জুটি হয় ১১৮ রানের।

সেই জুটি ভাঙে এনামুল হক বিজয় ক্যারিয়ারসেরা ৩৯ রান করে ব্লেসিং মুজারাবানির বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। তবে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক আদায় করে নেন সাদমান ইসলাম। মুমিনুল হককে পাশে নিয়ে জুটি গড়েন ৭৬ রানের।

কিন্তু মুমিনুল এবং সাদমান দুজনই দলীয় ১৯৪ রানে পরপর দুই বলে ধরেন সাজঘরের পথ। মুমিনুল ৩৩ রান করে ওয়েলিংটন মাসাকাদজার বলে স্লগ সুইঅপ করতে গিয়ে ক্যাচ দেন বেন কারানের হাতে। সেটি ছিল ৫৩ ওভারের শেষ বলে। ৫৪ ওভারের প্রথম বলে ব্রায়ান বেনেট লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে ১২০ রান করা সাদমানকে। চা-বিরতির আগে দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তিতে পড়ে স্বাগতিকরা।

সেই অস্বস্তি সঙ্গী করে তৃতীয় সেশনে ব্যাট করতে নামেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিম। মাঝারি মানের জুটি হয় তাদের দুজনের। ৬৫ রানের সেই জুটি ভাঙে নাজমুল হোসেন শান্ত দলীয় ২৫৯ রানে মাসেকেসার বলে নিক ওয়েলচকে ক্যাচ দিয়ে।

মাসেকেসাই পরের উইকেটের পতন ঘটান বাংলাদেশের। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ নিয়ে জাকের আলি অনিককে ৫ রানে থাকা অবস্থায় আউট করেন সফরকারীদের এই বোলার। ৪০ রান করা মুশফিক রানআউট হয়ে ফিরলে বিপদ আরও বাড়ে। নাঈম হাসানও টিকতে পারেননি। ২৭৯ রানে ৭ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।

দিনশেষে এরপর আর উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৯১ রান। তাতে লিড দাঁড়িয়েছে ৬৪ রানের। মেহেদী হাসান মিরাজ ১৬ এবং তাইজুল ইসলাম অপরাজিত আছেন ৫ রানে।

ভিনসেন্ট মাসেকেসা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট সংগ্রহ করেছেন আজকের দিনে। ১টি করে উইকেট পেয়েছেন ব্লেসিং মুজারাবানি, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা ও ব্রায়ান বেনেট।

ফেডারেশন কাপ আবাহনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কিংস

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫০ পিএম
আপডেট: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ পিএম
আবাহনীকে টাইব্রেকারে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন কিংস
ছবি : সংগৃহীত

আলোর স্বল্পতায় গত সপ্তাহে ১০৫ মিনিটের লড়াই শেষে বসুন্ধরা কিংস ও আবাহনী লিমিটের মধ্যকার ফেডারেশন কাপ ফুটবলের ফাইনাল ম্যাচটি স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। আজ (২৯ এপ্রিল) বাকি ১৫ মিনিটের খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তাতে ম্যাচের স্কোর লাইন আগের মতোই ১-১ থাকায় খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে আবাহনীকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে শিরোপা ধরে রেখেছে বসুন্ধরা কিংস।

ময়মনসিংহ জেলা স্টেডিয়ামে আজ ম্যাচটির অতিরিক্ত সময়ের বাকি থাকা ১৫ মিনিটের লড়াইয়ে ১০ জনের বসুন্ধরা কিংসের ওপর আবাহনীই বেশি চাপ প্রয়োগ করেছে। কিংসও চেষ্টা করে গেছে। তবে পরিস্কার সুযোগ বলতে যা বোঝায়, সেটা এই দুই দলের কেউই করতে পারেনি। বরং শেষ দিকে টাইব্রেকারের জন্য দুই দলই নিজেদের প্রস্তুত করছিল বলে মনে হয়েছে।

টাইব্রেকারে কিংস পাঁচ শটের সবগুলো জালে জড়ায়। দলটির পক্ষে গোল করেন- জোনাথন ফার্নান্দেস, শেখ মোরছালিন, তপু বর্মন, ইনসান আলি ও দেসিয়েল এলিস। আবাহনীর পক্ষে রাফায়েল অগুস্তো, সবুজ হোসেন ও মিরাজুল ইসলাম গোল করলেও ব্যর্থ হন এমেকা উগবাহ। দলের পক্ষে দ্বিতীয় শটটি নেন তিনি। যা বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে রুখে দেন কিংস গোলকিপার মেহেদী হাসান শ্রাবণ।

একই ভেন্যুতে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার এই ফাইনাল ম্যাচটি ১০৫ মিনিটে ১-১ সমতা থাকায় অবস্থায় স্থগিত হয়ে যায়। আলোর সল্পতার কারণে ম্যাচ অফিশিয়ালরা ম্যাচটি সেদিন স্থগিত করেছিলেন। মূলত ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে কাল বৈশাখী ঝড়ের হানায় ৫০ মিনিট খেলা বন্ধ ছিল। একারণেই সেদিন খেলাটা শেষ করা যায়নি। আরও একটি কারণ হলো- এই ভেন্যুটিতে ফ্ল্যাড লাইট নেই। পরে লিগ কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয় ম্যাচের বাকি সময়ের খেলা একই ভেন্যুতে আজ অনুষ্ঠিত হবে।

গত সপ্তাহের যে লড়াই হয়েছে, তাতে খেলার প্রথমার্ধেরই দুই দল একটি করে গোল করেছিল। হুয়ান লেসকানো কিংসকে এগিয়ে নেওয়ার পর আবাহনীকে সমতা এনে দিয়েছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোল না হলে খেলা গড়িয়েছিল অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে ১৫ মিনিট খেলা হওয়ার পর ম্যাচটি স্থগিত হয়ে যায়।

মর্যাদার এই আসরে কিংসের এটি চতুর্থ শিরোপা। গত মৌসুমে ট্রেবল জেতা দলটি চলতি মৌসুমে এনিয়ে দ্বিতীয় শিরোপার স্বাদ পেল। চ্যালেঞ্জ কাপ জিতে ২০২৪-২৫ মৌসুম শুরু করেছিল ভ্যালেরিও তিতার দল। তবে লিগ শিরোপার দৌড় থেকে এবার অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে দলটি।