
বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির শেষ টেস্টে চোটের কারণে মাঠ ছাড়েন জাসপ্রিত বুমরাহ। সেই চোটে খেলতে পারেননি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও। তাকে ছাড়াই অবশ্য সেই আসরের শিরোপা ঘরে তুলেছে রোহিত শর্মার।
আইপিএল দিয়েই মাঠে ফিরবেন বুমরাহ এমনটা শোনা যাচ্ছিল। তবে কবে নাগাদ মুম্বাইয়ের হয়ে মাঠে নামবেন সেটি নিয়েও ছিল জল্পনা। ভারতের ক্রিকেটে অন্যতম বড় সম্পদ এই তারকা পেসার। তাই পুরোপুরি সেরে না উঠলে তার মাঠে নামার কোনো সম্ভাবনাই ছিল না।
তবে সেরে ওঠার পর মুম্বাই একে একে হারিয়েছে দিল্লী ক্যাপিটালস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে দুইবার ও চেন্নাই সুপার কিংসকে। তবে হেরেছেন মাঠে ফেরার ম্যাচটাই বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জারে বিপক্ষে।
সেই ম্যাচে কোনো উইকেট না পেলেও ছিলেন ইকোনমিকাল। ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৯ রান। তবে ২২২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তার দল হেরেছিল ১২ রানে। ফলে ৫ ম্যাচের ৪টিতেই পরাজিত ছিল দলটি।
কিন্তু পরের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়ায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল। দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে জয়টা ছিল বেঙ্গালুরুর বিপক্ষে পরাজয়ের ব্যবধান ১২ রানের সমান। দিল্লীর মাঠে এই ম্যাচে ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে খরুচে ছিলেন বুমরাহ। তবে উইকেট পেয়েছেন একটি।
ঘরের মাঠে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে বুমরাহ ফিরেছিলেন নিজের চেনারূপে। উইকেট মাত্র ১টি পেলেও ৪ ওভারে রান দিয়েছিলেন মোটে ২১। আর তাতেই সহজ হয় মুম্বাইয়ের লক্ষ্য। বর্তমান সময়ে ১৬৩ রানের লক্ষ্য কঠিন কিছুই নয় টি-টোয়েন্টিতে। স্বাগতিকরা জয়ও পেয়ে যায় ৪ উইকেটে।
বুমরাহর ফেরায় ভাগ্য ফিরেছে মুম্বাইয়ের। সেটি আবারও প্রমাণ হয় চেন্নাই সুপার কিংসের বিপক্ষে। ৯ উইকেটের বিশাল জয় পায় হার্দিক পান্ডিয়ার দল ওয়াংখেড়েতে। সে ম্যাচে ৪ ওভার বোলিং করে ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছিলেন জাসপ্রিত। শিভম দুবে ও মহেন্দ্র সিং ধোনিকে ফিরিয়েছিলেন সাজঘরে। পরে ১৭৭ রানের লক্ষ্য অনায়াসেই পার করে দেয় মুম্বাই রোহিত শর্মা ও সূর্যকুমার যাদবের ব্যাটে।
ঘরের মাঠের পর হায়দরাবাদের মাঠেই স্বাগতিকদের হারিয়েছে মুম্বাই। সে ম্যাচে ১৪৪ রানের লক্ষ্য পেয়েছিল মুম্বাই। ৪ ওভার বোলিং করে ৩৯ রান দিয়ে ১ উইকেট পেয়েছেন তিনি। ব্লু আর্মিরা জয় পেয়েছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
জাসপ্রিত বুমরাহ একাদশে ফেরার আগে বরাবরের মতোই মৌসুমের প্রথম ম্যাচ হার দিয়ে শুরু করেছিল মুম্বাই। সে ম্যাচে ৪ উইকেটে জয় পেয়েছিল চেন্নাই। মাঝে কলকাতাকে ৮ উইকেটে হারিয়ে পেয়েছিল নিজেদের দ্বিতীয় জয়।
বুমরাহ ফেরার পর ৫ ম্যাচের ৪টিতেই জয়ের সুমিষ্ট স্বাদে পয়েন্টস টেবিলে চারে অবস্থান যৌথভাবে সর্বাধিক আইপিএল শিরোপা জেতা দলটির। ৯ ম্যাচে ৫ জয়ের বিপরীতে ৪টিতে হেরেছে তারা। ১০ পয়েন্ট নিয়ে অবস্থান করছে চারে।
তাই বলাই তো যায় বুমরাহর প্রত্যাবর্তনের মুম্বাইয়ের ভাগ্যও ফিরেছে।