ঢাকা ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫
English
মঙ্গলবার, ০৩ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

এখনো বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ

প্রকাশ: ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০ পিএম
এখনো বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

বোলারদের নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে চালকের আসনে বসেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনে ব্যাটাররাও দাপট দেখাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ বিকেলে দ্রুত উইকেট হারিয়ে বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে স্বাগতিরকা। এরপরও অবশ্য তৃতীয় দিনে বড় লিডের স্বপ্ন দেখছে টাইগাররা।

প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের ২২৭ রানের বিপরীতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ৭ উইকেটে ২৯১ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। এখন পর্যন্ত ৬৪ রানের লিড পেয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ১৬ রান নিয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ ও ৫ রান নিয়ে তাইজুল ইসলাম আগামীকাল নতুন দিন শুরু করবেন।

টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেওয়া সাদমান ইসলাম এই দুজনের ওপর ভরসা রাখছেন। দিন শেষে দলের প্রতিনিধি হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন এই ওপেনার। এ সময় ১৮১ বলে ১২০ রানের ইনিংস খেলা এই ব্যাটার বলেন, প্রথম দুই সেশনে দারুণ খেলেছে দল। মিরাজ ও তাইজুলের উপর ভরসা আছে। এখনো একশোর ওপর লিড নেওয়ার আশা আছে।

উইকেট নিয়ে সাদমানের পর্যবেক্ষণ: প্রথম দুই দিনে উইকেটে খুব একটা পরিবর্তন আসেনি। তবে টের পেয়েছেন সামনের দিনগুলোতে বোলারদের জন্য সহযোগিতা থাকবে।

তিনি বলেন, পিছিয়ে পড়লেও ম্যাচ হারার ভয় এখনও পেয়ে বসেনি জিম্বাবুয়েকে। ঘুরে দাঁড়ানোর বিষয়ে প্রত্যয়ী তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে বড় লিড নেওয়ায় চোখ সফরকারীদের। তৃতীয় দিন থেকে বোলাররা উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করতে পারবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

সাদমানের ক্যারিয়ারে দুই সেঞ্চুরির মধ্যে ব্যবধান ২৬ ইনিংস ও প্রায় চার বছর। এই পরিসংখ্যান বলে দেয় দারুণ কিছু করতে পারেননি এখন পর্যন্ত। ২৯ বছর বয়সে এসে ২২ টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে সাদমান বলছেন, সামনে দেশকে দেওয়ার মত অনেক কিছুই বাকি আছে। নিজেকে সেভাবেই শাণিত করার প্রত্যয় তার।

 

রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইয়ামালের খেলা অসম্ভব ব্যাপার

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০২:১৬ পিএম
রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে ইয়ামালের খেলা অসম্ভব ব্যাপার
ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে বিশ্বজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত ফুটবলারের নাম লামিনে ইয়ামাল। স্পেন দলের এই উদীয়মান উইঙ্গার, জাতীয় দল ছাড়াও দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে যাচ্ছেন বার্সেলোনার হয়ে। তরুণ এই ফুটবলারের ফুটবলে মুগ্ধ সাবেক তারকারাও।

আগামী ৬ জুন ইউরো নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে ফ্র্যান্সের বিপক্ষে স্পেনের হয়ে মাঠে নামবেন ইয়ামাল। 

সেই ম্যাচের আগে স্প্যানিশ রেডিও চ্যানেল ‘কদেন কপ’কে দিয়েছেন সাক্ষাৎকার। সেখানে কথা বলেছেন নিজের রিয়াল মাদ্রিদে যাওয়ার সম্ভাবনা এবং ব্যালন ডি’অর নিয়েও। 

উপস্থাপক যখন লামিনে ইয়ামালকে কখনো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলবেন কিনা এই প্রশ্ন করেন, তখন তরুণ এই তারকা কোনো রাখঢাক না রেখেই বলেন, ‘রিয়াল মাদ্রিদ? না। অসম্ভব। এ কথা ভুলে যাও।’

বার্সার এত তরুণ তারকা উঠে এসেছেন লা মাসিয়া থেকে। ছোটবেলা থেকেই যেই রিয়ালকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি মেনে আসছেন, তাদের হয়ে খেলার কথা তিনি ভাবতেও পারেন না এটাই স্বাভাবিক। চলতি মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে তিন গোল করেছেন ইয়ামাল। 

ব্যালন ডি’অর জয়ের সম্ভাবনা নিয়ে ইয়ামাল বলেন, ‘আমি ব্যালন ডি'অর নিয়ে ভাবি না, আমি জয় নিয়ে ভাবি। যদি আগামী বছর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ আর বিশ্বকাপ জিতি, তাহলে ওটা নিজেই আসবে। উপভোগ করতে হবে এবং সময়মতো যা হবার তা হবে।’

ফ্র্যান্সের বিপক্ষে ম্যাচটা ব্যালন ডি’অরের খেতাব নির্ধারণে ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ এমন প্রশ্নও এসেছে ইয়ামালের সামনে। এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ব্যালন ডি'অর কি এক ম্যাচের জন্য দেয়া হয়? নাকি বছরের সেরা খেলোয়াড়কে দেয়া হয়? আমি হলে বছরের সেরা খেলোয়াড়কেই ভোট দিতাম... আর আমি সেটা নিজের কাছেই রাখি।’ 

ব্যালন ডি’অরের দৌঁড়ে যারা এগিয়ে আছেন তাদের একজন ফ্র্যান্সের উসমান দেম্বেলে। তিনি ইয়ামালের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বি। সদ্যসমাপ্ত মৌসুমে জিতেছেন তিনি চারটি বড় শিরোপা। চ‍্যাম্পিয়ন্স লিগ, লিগ আঁ, ফরাসি কাপ ও কোপ দেস চ্যাম্পিয়ন্স। আর ইয়ামাল জিতেছেন তিনিটি – লা লিগা, স্প‍্যানিশ কাপ ও স্প‍্যানিশ সুপার কাপ।

কোহলির জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কোহলির জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বেঙ্গালুরু
ছবি : সংগৃহীত

সেই ২০০৮ সাল থেকেই তথা আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। কিন্ত এখন পর্যন্ত জেতা হয়নি শিরোপা। চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পা রাখা আরসিবির এবার যে করেই হোক শিরোপা ঘরে তুলতেই চায়।

রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি পাঁচবার করে শিরোপা জিতলেও তাদেরই সতীর্থ কোহলি কখনোই সেই শিরোপা স্পর্শ করতে পারেননি। এবার কেবল কোহলি নয়, পুরো বেঙ্গালুরু শিবির দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চ্যাম্পিয়ন হতে। এমনকি পুরো বেঙ্গালুরু দলটা শিরোপা জিততে চায় কোহলির জন্য।

দলের বর্তমান অধিনায়ক রজত পাতিদার জানিয়েছেন, শুধু নিজের জন্য নয়—তারা কোহলির জন্যই ট্রফি জিততে চান। পাতিদারের ভাষায়, ‘কোহলি বেঙ্গালুরুকে অনেক কিছু দিয়েছেন, এবার সময় তাকে কিছু ফেরত দেওয়ার।’

এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে কোহলির দল। আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের কাছে ৬ রানে হেরে যায় বেঙ্গালুরুর। ২০১১ সালে ফের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও চেন্নাইয়ের কাছে পরাজিত হয় ৫৭ রানে। সবশেষ ২০১৬ সালে সানরাইজার্সা হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় ৮ রানের ব্যবধানে। দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতি শেষে ফাইনালে আবারও উত্তীর্ণ হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ফাইনালটা হতে যাচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হলেও আরসিবি অধিনায়ক পাতিদার জানালেন, সমর্থকদের ভালোবাসায় মাঠ হবে যেন নিজেদের ঘরের। ইতিমধ্যে বহু সমর্থক বেঙ্গালুরু থেকে স্টেডিয়ামে গিয়েছেন, যা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

যে দলই জিতবে সে দলই প্রথমবারের মতো পাবে শিরোপার স্বাদ। আইপিএল এবার পেতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। সেই ফাইনালের উত্তেজনা ছুঁয়ে গেছে পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, দলকে ফাইনালে তোলার উত্তেজনায় তিনি মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নিজের ইনিংসকে আয়ার অভিহিত করেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বলে। 

ক্রীড়াঙ্গনে বাজেট বেড়েছে বরাদ্দ ২৪২৩ কোটি টাকা

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ক্রীড়াঙ্গনে বাজেট বেড়েছে বরাদ্দ ২৪২৩ কোটি টাকা
ছবি : সংগৃহীত

নতুন অর্থবছরে ক্রীড়াঙ্গনে বাজেট বেড়েছে ৮৪২ কোটি, ২১ লাখ ৬৩ হাজার টাকা। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মোট বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা। গত বছর এই বাজেট ছিল ১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। গতকাল সোমবার অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ নতুন অর্থবছরের বাজেট পেশ করেন। প্রস্তাবিত এই বাজেট পরিচালন ও উন্নয়ন এই দুই খাতে ব্যয় হবে।

উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ৪৪০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯৮২ কোটি ৬৩ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে বাজেটের ৬২৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯৫২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার টাকা বরাদ্দ ছিল। 

বরাদ্দকৃত বাজেট থেকে নতুন অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতায় যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে ব্যয় করা হবে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো উপজেলা পর্যায়ে দ্বিতীয় পর্বে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ, নড়াইলেনের বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম ও টেবিল টেনিস ভবনের অধিকতর উন্নয়নের পাশাপাশি ইনডোর স্টেডিয়াম এবং ভলিবল স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প। 

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতিবছর বাজেটে যে খাতগুলোতে বরাদ্দ দেওয়া হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন-অংশগ্রহণ, জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষণ, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরি, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান প্রদান ও অসচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণ অনুদান প্রদান এবং ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ।

ইয়ামালকে পেছনে ফেলে সেরা তরুণ খেলোয়াড় দুয়ে

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১১:২০ এএম
ইয়ামালকে পেছনে ফেলে সেরা তরুণ খেলোয়াড় দুয়ে
ছবি : সংগৃহীত

বার্সেলোনার তরুণ ফুটবলার লামিনে ইয়ামাল নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে নজর কেড়েছেন সবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল পর্যন্ত দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করা ইয়ামাল ভেসেছেন প্রশংসায়।

বার্সেলোনা ফাইনাল খেললে ইয়ামালের হাতেই সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কার উঠবে এমনটাই ধরে নিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু সেমিফাইনালে ইন্টার মিলানের কাছে হেরে যাওয়ায় তা আর হলো না।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা কিংবা সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের খেতাব, কোনোটাই জুটলো না তার ভাগ্যে। সদ্যসমাপ্ত মৌসুমের সেরা খেলোয়াড় এবং সেরা তরুণ খেলোয়াড়, দুটোই গিয়েছে পিএসজির ঘরে। 

মৌসুমসেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ওসমান দেম্বেলে এবং সেরা তরুণ খেলোয়াড় দিজিরে দুয়ে। ফাইনালে দুয়ে হয়েছিলেন সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা। ২১ বছর বয়সী এই ফুটবলার করেছিলেন জোড়া গোলও।

ইয়ামালের চেয়ে ৩ ম্যাচ বেশি খেললেও মাঠে দুয়ে খেলেছেন ৭৪০ মিনিট। অন্যদিকে, ইয়ামাল খেলছেন ১ হাজার ১০৩ মিনিট। 

দুয়ে ইয়ামালকে পেছনে ফেলেছেন ফাইনালের পারফরম্যান্সে। শনিবার রাতের ফাইনালে ৬৬ মিনিট মাঠে থেকে ২ গোল করার পাশাপাশি ১টি অ্যাসিস্টও করেছেন দুয়ে। এমন পারফরম্যান্সে সেরা একাদশেও জায়গা পেয়েছেন দুয়ে।

বার্সেলোনা ফাইনালে গেলে হয়তো পিএসজির মতো দুটো পুরস্কারই তাদের ঘরে যেতে পারতো। কেননা, দেম্বেলের প্রতিদ্বন্দ্বিও ছিল বার্সেলোনার রাফিনিয়া। তবে শিরোপা জিতে রাফিনহাকে লড়াই থেকে ছিটকে দিয়েছেন দেম্বেলে।

চ্যাম্পিয়নস লিগের সেরা একাদশ

জিয়ানলুইজি দোন্নারুমা (পিএসজি), আলেসান্দ্রো বাস্তোনি (ইন্তার মিলান), মার্কিনহোন (পিএসজি), আশরাফ হাকিমি (পিএসজি), নুনো মেন্দেস (পিএসজি), ডেকলান রাইস (আর্সেনাল), ভিতিনহা (পিএসজি), রাফিনহা (বার্সেলোনা), লামিন ইয়ামাল (বার্সেলোনা), দেজিরে দুয়ে (পিএসজি), উসমান দেম্বেলে (পিএসজি)।

দেম্বেলে ব্যালন ডি’অরের রেসে গ্রিনউডের দুর্ভাগ্য

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
দেম্বেলে ব্যালন ডি’অরের রেসে গ্রিনউডের দুর্ভাগ্য
ছবি : সংগৃহীত

২০২৪-২৫ মৌসুমে ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ সমাপ্ত। উত্থান-পতন, রেকর্ড ভাঙা-গড়ার মধ্য দিয়ে জমজমাট লড়াই হয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা, সিরি’আ, বুন্দেসলিগা এবং ফরাসি লিগ ওয়ানে। লিগ ওয়ানে দুর্ভাগ্যের অপর নাম ম্যাসন গ্রিনউড। টপ স্কোরার হয়েও ট্রফিলেস তিনি। তার সমান গোল করে উসমানে দেম্বেলে ক্যারিয়ার সেরা সাফল্য পেয়েছেন। ধারাবাহিক পাঁচ পর্বের শেষ পর্বে আজকে আয়োজন এই দুই ফুটবলারকে নিয়ে। লিখেছেন অনিক দাস

* লিগ ওয়ানে ২১ গোল, ৬ অ্যাসিস্ট। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৮ গোল, ৬ অ্যাসিস্ট। সবমিলিয়ে ৩৩ গোল, ১৫ অ্যাসিস্ট। এমনই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে উসমানে দেম্বেলে এখন ব্যালন ডি’অরের রেসে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, তার মাথায় উঠবে শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট

* ২০২৩-২৪ মৌসুমে ম্যাসন গ্রিনউড ছিলেন সেরাদের সেরা। দেম্বেলের সঙ্গে যৌথভাবে লিগ ওয়ানে টপ স্কোরার। অ্যাসিস্টও করেছেন পাঁচটিতে। ফ্রান্সের নিজের প্রথম মৌসুমে অভিযোগের সুযোগ না রাখলেও মার্শেইয়ের ফরোয়ার্ড ছিলেন ট্রফিলেস

‘আমার কাছে দেম্বেলেই ব্যালন ডি’অরজয়ী’- শিষ্যকে এভাবেই ভালোবাসা দিয়েছেন লুইস এনরিক। সবার জানা, ইউরোপের সেরা দল এখন পিএসজি। জিতেছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। অবিশ্বাস্য এই সাফল্যের পর উসমানে দেম্বেলের প্রশংসায় কথাটুকু বলেছিলেন কোচ এনরিক। ভুল কিছু বলেননি পিএসজি বস। কেননা, মৌসুমজুড়ে দেম্বেলে ছিলেন এক দানব। তার শক্তিতেই পিএসজি এখন চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়ন। প্যারিসকে উৎসবের রঙে রাঙিয়ে এই ফরাসিম্যান এখন ব্যালন ডি’অরের রেসে।

২০২৪-২৫ মৌসুমে লিগ ওয়ানে ২১ করেছেন দেম্বেলে। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন আরও ছয়টি গোল। তার উজ্জ্বল পারফরম্যান্সে ফ্রান্সের টপ-ফ্লাইটে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল পিএসজি। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে অক্ষুণ্ন রেখেছে লিগ শিরোপা, যেখানে দ্বিতীয় স্থানে থাকা অলিম্পিক মার্শেইয়ের পয়েন্ট ছিল ৬৫। দলকে ১৩তম লিগ শিরোপা জিতিয়ে এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে তুলে ফ্রান্সে বর্ষসেরা খেলোয়াড় হন দেম্বেলে।

ইউরোপিয়ান মৌসুম শেষে দেম্বেলে এখন এই অঞ্চলের সেরা ফুটবলার। পিএসজির ঘরে সোনার হরিণ (চ্যাম্পিয়নস লিগ ট্রফি) তুলে ইউরোপে বর্ষসেরা ফুটবলার হয়েছেন। মর্যাদার ট্রফি জয়ের মিশনে আটটি গোল করেছেন ২৮ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। অ্যাসিস্ট ছিল ছয়টি। সবমিলিয়ে ৪৯ ম্যাচে তার গোল ৩৩টি এবং অ্যাসিস্ট ১৫টি। ফলস্বরূপ অনেকেই তার হাতে দেখছেন ২০২৫ ব্যালন ডি’অর। এমনটাই হবে বলে দৃঢ় বিশ্বাস এনরিকের।

পিএসজি কোচ এনরিক বলেছেন, ‘আমি ব্যালন ডি’অর উসমান দেম্বেলেকে দেব। (চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে) যেভাবে সে ডিফেন্স করেছে... শুধু এটুকুর জন্যই ব্যালন ডি’অরের যোগ্য। এভাবেই একজন লিডার দলকে এগিয়ে নেয়। গোল, শিরোপা, নেতৃত্ব, রক্ষণ, চাপ সৃষ্টি- সব দিক থেকেই সে অসাধারণ, অবিশ্বাস্য। আমার কাছে দেম্বেলেই ব্যালন ডি’অর জয়ী। কোনো সন্দেহ নেই।’ বলা বাহুল্য, উত্থান-পতনের ক্যারিয়ারের দীর্ঘ সময় পরই এমন প্রশংসায় ভাসছেন দেম্বেলে।

অন্যদিকে, লিগ ওয়ানে দুর্ভাগ্যের শিকার ম্যাসন গ্রিনউড। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ছয়টি মৌসুম পার করেও কোনো পাননি এই ইংলিশ ফরোয়ার্ড। সেখানে ৮৩ ম্যাচে তার গোল ছিল ২২টি। ছন্দহীন ফুটবলারকে প্রথমে গেতাফের কাছে ধারে দেয় ম্যানইউ। এরপর (২০২৪ সালে) স্থায়ীভাবে বিক্রি করে অলিম্পিক মার্শেইয়ের কাছে। দলবদলে গ্রিনউডের পারফরম্যান্সে ছন্দ ফিরেছে। লিগ ওয়ানে প্রথম মৌসুমেই করেছেন ২১ গোল। সেই সঙ্গে অ্যাসিস্ট ছিল পাঁচটিতে। কিন্তু নতুন ঠিকানায় শিরোপা ধরার সৌভাগ্য হয়নি তার, কারণ গ্রিনউডের সতীর্থরা ছিলেন ছায়া হয়ে।