
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলা হামজা চৌধুরীর পর এবার আরও এক হাই-প্রোফাইল প্রবাসী ফুটবলার বাংলাদেশের জার্সি গায়ে জড়ানোর অপেক্ষায়। তিনি কানাডা জাতীয় দলে খেলা সামিত সোম। ২৭ বছরের এই ফুটবলারকে পেতে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সব প্রক্রিয়া এগিয়ে নিচ্ছে। সামিত এরই মধ্যে বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য কানাডায় বাংলাদেশি কনস্যুলেটে আবেদন করেছেন।
গত শুক্রবার এই আবেদন করেন সামিত। ওই দিন টরেন্টোয় বাংলাদেশি কনস্যুলেট অফিসে কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি সাংবাদিক আবু সাদাত সামিত সোমের সাক্ষাৎকার নেন। যেখানে বাংলাদেশের হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনের কারণ বলেছেন সামিত। এই মিডফিল্ডার বলেছেন, হামজা চৌধুরীকে দেখেই বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছেন তিনি।
সামিতের মা-বাবা দুজনই বাংলাদেশি। তবে সামিতের জন্ম ও বেড়ে ওঠা কানাডায়। এর পরও পরিষ্কার বাংলায় কথা বলতে পারেন সামিত। বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য অবেদন করে বেশ রোমাঞ্চিত বলে জানিয়েছেন তিনি, ‘এক্সাইটিং। এখানে যে এসেছি, সব কিছু সত্যি হয়ে যাচ্ছে। আশা করি পাসপোর্ট, সবকিছু যেন হয়ে যায়। ফিফার সঙ্গে যেন সবকিছু হয়ে যায়। সবকিছু যদি অ্যাপ্রুভ হয়ে যায়, তাড়াতাড়ি খেলতে পারব বাংলাদেশের জন্য।’
কানাডা অনূর্ধ্ব-১৮, অনূর্ধ্ব-২০ ও অনূর্ধ্ব-২৩ দলে খেলার পর দেশটির জাতীয় দলের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছেন সামিত। দুটিই অবশ্য ২০২০ সালে। অর্থাৎ প্রায় ৫ বছর হলো জাতীয় দলের বাইরে তিনি। তবে বয়স বিবেচনায় সামিতের কানাডা জাতীয় দলে ফেরার যথেষ্ট সুযোগ ছিল। বর্তমানে কানাডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব কাভালরি এফসিতে খেলা সামিত সেই সুযোগের অপেক্ষা না করে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে চাপাতে চান। এই সিদ্ধান্ত কতটা সহজ ছিল জানতে চাইলে সামিত বলেন, ‘অনেক জিনিস দেখেছি। যেমন বাংলাদেশের খেলা অনেক উপরে উঠছে। এরপর হামজা চৌধুরী গেছে। ও খুব বড় খেলোয়াড়। সে যদি যেতে পারে আমি কেন যেতে পারব না। সে তো অনেক বড় খেলোয়াড়। বাংলাদেশ দলে আরও যারা (প্রবাসী) আছেন- তারেক কাজী, কাজেম শাহ, জামাল, ওদেরকেও জানি। ওদের জন্য আগ্রহ ছিল।’
সামিত কিছুদিন আগেই বাফুফেকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। এরপরই বাফুফে তাকে পেতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কানাডা সকার অ্যাসোসিয়েশন তাকে ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন পাসপোর্ট হয়ে গেলেই সব কাগজপত্রসহ ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির কাছে আবেদন করবে বাফুফে। তবে হামজার ক্ষেত্রে ফিফার সবুজসংকেত পেতে প্রায় ৪ মাস সময় লেগেছিল। সামিতের বেলায় তেমন হলে জুনে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচটি তার খেলা হবে না।
তবে কাগজপত্র সব তৈরি হয়ে গেলে সিঙ্গাপুর ম্যাচ থেকেই বাংলাদেশের হয়ে খেলতে মানসিকভাবে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সামিত। বলেছেন, ‘বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আমি রোমাঞ্চ বোধ করছি। আশা করি আমরা ভালো করব।’