
গতকাল যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তান। এরপরই পুনরায় প্রস্তুতি গ্রহণ করা শুরু হয়েছে আইপিএল মাঠে ফেরানোর। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরই তোড়জোড় শুরু করেছে বিসিসিআই।
বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা পিটিআইকে বলেন, ‘যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে। নতুন পরিস্থিতিতে বিসিসিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ও আইপিএল গভর্নিং কাউন্সিল রবিবার (আজ) বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন এবং সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা দেখব কীভাবে সেরা সময়সূচি নির্ধারণ করে বাকি টুর্নামেন্ট শেষ করা যায়।’
আইপিএল স্থগিতের ঘোষণার পর ভারত ছেড়ে চলে যাওয়া সবগুলো ফ্র্যাঞ্চাইজি তাদের বিদেশি খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের ভারতে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। যা নিশ্চিত করেছে ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো।
যত দ্রুত পারা যায় টুর্নামেন্ট ফের মাঠে গড়ানোর পরিকল্পনা। সরকারের অনুমতি মিললে ধারণা করা হচ্ছে ১৫ মে এর দিকে আইপিএল আবারও শুরু হতে পারে।
গেল শুক্রবার (৯ মে) ধর্মশালায় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যে চলমান ম্যাচটি ১০.১ ওভার খেলা হওয়ার পর পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
এখন পুনরায় আইপিএল চালুর কথা ভাবা হলেও এটি চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে বিদেশি খেলোয়াড় ও স্টাফদের ফিরিয়ে আনা। গেল শুক্রবার ও শনিবার অনেক বিদেশি ক্রিকেটারই ভারত ছেড়েছেন। তাদের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো যোগাযোগ করে আবারও ভারতে ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
কম বিপাকে পড়তে হচ্ছে গুজরাট টাইটানসকে। কেবল দুই বিদেশি খেলোয়াড় (জস বাটলার এবং জেরাল্ড কোয়েৎজি) ভারত ছেড়েছেন। তাদেরও ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ক্রিকেটারদের ফেরাতে ২৫ মে-র আগেই টুর্নামেন্ট শেষ করার পরিকল্পনা করতে হবে বিসিসিআইকে। এই ডেডলাইনের পরও টুর্নামেন্ট চললে ক্রিকেটারদের ফেরার আশা থাকবে না। কারণ অনেক খেলোয়াড়ের দ্বিপাক্ষিক সিরিজ এবং ১১ জুন লর্ডসে শুরু হওয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এবারের আইপিএলের এখন পর্যন্ত ৫৭টি ম্যাচ শেষ হয়েছে। ৫৮তম ম্যাচটি ছিল ধর্মশালায় পাঞ্জাব ও দিল্লির মাঝপথে পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচটি। যা কিনা ৮ মে বন্ধ হয়ে যায়। ম্যাচটি পুনরায় খেলা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
এই মৌসুমে বাকি আছে ১২টি লিগ ম্যাচ ও ৪টি প্লে-অফ। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে এই ১৬টি ম্যাচ দক্ষিণ ভারতের তিনটি শহর– বেঙ্গালুরু, চেন্নাই ও হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত হতে পারে।