ঢাকা ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫
English

তিন রাত দুবাই বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন রিশাদ-নাহিদ

প্রকাশ: ১৭ মে ২০২৫, ০৫:১৮ পিএম
তিন রাত দুবাই বিমানবন্দরে আটকে ছিলেন রিশাদ-নাহিদ
ছবি : সংগৃহীত

দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে দলের বাকি সদস্যদের সঙ্গে রিশাদ হোসেন এবং নাহিদ রানা দুজনেই গিয়েছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বাকিরা ঠিকঠাক দুবাই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে গেলেও তিনদিন আটকে ছিলেন রিশাদ ও নাহিদ।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জের ধরে দুবাই হয়ে বাংলাদেশে ফিরে আসেন রিশাদ ও নাহিদ। পরবর্তীতে চারদিন পর দলের প্রথম বহরের সঙ্গে আবারও দুবাইয়ের বিমান ধরেন এ দুজন।

তবে ঠিক কি কারণে তাদের দুজনকে আটকে রাখা হয়েছিল তা নিশ্চিত করা যায়নি। বিসিবির ধারণা পিএসএল খেলে ফেরার পথে কোনো জটিলতা তৈরি হয়েছিল।

আটকে পড়ার পর আমিরাত ক্রিকেট বোর্ড ও বাংলাদেশ হাই কমিশনেরর প্রচেষ্টায় তাদের তাদের বিমানবন্দর থেকে ছাড়ানো হয়। তবে এ জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে দু পক্ষকেই।

রিশাদ ও নাহিদকে ছাড়াই বৃহ স্পতি ও শুক্রবার অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের দুই টি-টোয়েন্টির সিরিজ শুরু হচ্ছে আজ। শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম টি-টোয়েন্টি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায়। দ্বিতীয় ম্যাচ সোমবার একই মাঠে একই সময়ে।

খেলার সুযোগ পাবেন তো জামাল ভূঁইয়া

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০২:৪০ পিএম
খেলার সুযোগ পাবেন তো জামাল ভূঁইয়া
ছবি : সংগৃহীত

তিনি বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলন কিংবা অন্য কোনো আনুষ্ঠানিকতা, সব জায়গায় তারই উপস্থিতি। কিন্তু ম্যাচ টাইমের ক্ষেত্রে তিনি থেকে যাচ্ছেন উপেক্ষিত। বলা হচ্ছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কথা। অধিনায়ক হওয়া স্বত্বেও গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে একাদশেই জায়গা হয়নি তার। এমনকি বদলি হিসেবে এক মিনিটও খেলার সুযোগ পাননি এই ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার। অথচ হামজা চৌধুরী আসায় ম্যাচটা নিয়ে যখন তুমুল উন্মাদনা, তখনো অধিনায়ক হিসেবে সব জায়গায় দেখা গেছে জামাল ভূঁইয়াকে। 

শিলংয়ে ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনেও ছিলেন জামাল। কিন্তু তার ম্যাচে এক মিনিটও সুযোগ না পাওয়া ছিল বড় বিস্ময়ের। একই সঙ্গে এটা তার জাতীয় দলে শেষের ইঙ্গিত কিনা সেই প্রশ্নও জোড়ালো হয়ে দেখা দিয়েছিল। যে প্রশ্ন থাকছে আজ ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ ও সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাই ম্যাচ ঘিরেও। ভুটান ম্যাচকে সামনে রেখে গতকাল অধিনায়ক হিসেবে সংবাদ সম্মেলনে এসেছিলেন জামাল। এ সময় তাকে সরাসরিই করা হয়েছে প্রশ্নটা। আগামীকালের ম্যাচে আপনি থাকছেন তো? জামাল হেসে বলেছেন, ‘এগুলো আমার হাতে নেই।’ কোচের কাছ থেকেও জামালের ম্যাচ টাইম নিয়ে পরিস্কার কোনো বার্তা মেলেনি। 

আসলে পরিস্থিতি এখন এমন যে জামালের একাদশে জায়গা পাওয়াটা খুব চ্যালেঞ্জিং। কারণ মিডফিল্ডে বেশ প্রতিদ্বন্দ্বিতা। শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে তার তো জায়গায়ই হয়নি। এর আগের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে, জামালের ম্যাচ টাইম খুব কমে গেছে। গত বছর নভেম্বরে মালদ্বীপের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজে জামাল পারিবারিক কারণে স্কোয়াডে ছিলেন না। তার আগে ভুটান সফরে অধিনায়ক হিসেবে গিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো ম্যাচেই তিনি শুরুর একাদশে ছিলেন না। প্রথম ম্যাচে ৭৪ মিনিট ও দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৫ মিনিটে তাকে মাঠে নামান বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা। তার আগের ম্যাচগুলোর দিকে তাকালেও দেখা যায় জামাল ৯০ মিনিট খেলার সুযোগ পাচ্ছেন, এমন উদাহরণ খুব কম। আর এখন তো মিডফিল্ডে ইংল্যান্ড প্রবাসী হামজা চৌধুরী আছেন। জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা কানাডা প্রবাসী সামিত সোমও একজন মিডফিল্ডার। ইতালিয়ান প্রবাসী ফাহামেদুলের পজিশনও তাই। দেশিদের মধ্যে তরুণ মোহাম্মদ হৃদয়, সোহেল রানা, মুজিবুর রহমান জনিরা আছেন। সব মিলিয়ে ১২ বছর ধরে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করা জামালকে নিজের জায়গার জন্য তুমুল যুদ্ধ করতে হচ্ছে। 

তারপরও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) এরপরও জামালকে অধিনায়ক রেখে দিচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনেও তাকেই হাজির করছে। যা কিছুটা হলেও অবাক করার মতো এবং অনেকে এ নিয়ে সমালোচনাও করছেন। জামাল যে তার জাতীয় দল ক্যারিয়ারের শেষ দিকে পৌঁছে গেছেন, এমনও বলছেন কেউ কেউ। তবে একজন জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশের ফুটবলে নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন, এ নিয়ে সন্দেহ থাকার কথা নয় কারও। ডেনমার্ক প্রবাসী এই ফুটবলার ২০১৩ সালের আগস্টে প্রথম জাতীয় দলের জার্সি গায়ে জড়ান। এরপর থিতু হতে তার সময় লেগেছে। পরে থিতু হওয়ার পর জাতীয় দলে তিনিই সবচেয়ে ধারাবাহিক ছিলেন। এখন পর্যন্ত ৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন। যা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ। আর বাংলাদেশ দলে প্রবাসী ফুটবলারের অন্তর্ভুক্তির শুরুটা হয়েছিল জামালকে দিয়েই। এখন তো সংখ্যাটা ৬ জন। 

এ নিয়ে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে জামাল গর্বের কথাই বললেন, ‘আমি আসলে খুব খুশি। ওই সময়, এমনকি যখন তারিক জয়েন করছে। তখনো আমি চিন্তা করেছি আর কেউ জয়েন করবে না। কিন্তু এখন দেখছি সংখ্যাটা বাড়তেছে। আমি মনে করি এটা দেশের জন্য ভালো হবে। অবশ্যই লোকাল যারা আছে তারা ভালো খেলবে। কিন্তু আপনি যদি দেখেন সবচেয়ে বেস্ট উদাহরণ হচ্ছে ফ্রান্স টিম, তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বাইরের। তারা কিন্তু বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে।’

ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন সামিত সোম

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৫৭ পিএম
ঢাকায় এসে পৌঁছেছেন সামিত সোম
ছবি : সংগৃহীত

সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচে খেলতে প্রবাসী ফুটবলারদের মধ্যে সবার আগে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেহিলেন ফাহমিদুল ইসলাম। এরপর আসেন আগেই বাংলাদেশের জার্সিত অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরী। আর আজ (৪ জুন) আসলেন কানাডাপ্রবাসী শামিত সোম।

আজ সন্ধ্যা ৭টায় ভুটানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। আর ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ। এই দুই ম্যাচের স্কোয়াডেই রাখা হয়েছে সামিত সোমকে।

এই দুই ম্যাচকে সামনে রেখেই আজ (বুধবার) ভোরে সবার শেষে ঢাকায় পা রাখলেন কানাডা প্রবাসী ফুটবলার সামিত সোম। 

গেল ৬ মে বাংলাদেশের হয়ে খেলার জন্য ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির অনুমতি পান সামিত সোম। ভ্রমণক্লান্তির জন্য আজ ভুটান ম্যাচে তার বিশ্রামে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রেখেই সামিত সোম জানান, ‘আমি দারুণ রোমাঞ্চিত। সতীর্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে উন্মুখ হয়ে আছি। আমরা কীভাবে খেলতে চাই, কোন ভূমিকায় খেলব এসব নিয়ে কোচের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই মুহূর্তে আমি দলের সবার সঙ্গে দেখা করতে, টিমের সঙ্গে থাকতে মুখিয়ে আছি। আমি জানি আমাদের দলটা ভালো, আশা করি ভালো কিছুই হবে।’

এই দুই ম্যাচের জন্য ঘোষিত স্কোয়াডে এখন প্রবাসী ফুটবলারের সংখ্যা ৬। হামজা চৌধুরি (ইংল্যান্ড), জামাল ভূঁইয়া (ডেনমার্ক), কাজেম শাহ (কানাডা), ফাহমিদুল ইসলাম (ইতালি), তারিক কাজী (ফিনল্যান্ড) ও সামিত সোম (কানাডা)।

বাংলাদেশ-ভুটানের প্রীতি ম্যাচ ঘরের মাঠে হামজার অভিষেক আজ

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০১:৩০ পিএম
ঘরের মাঠে হামজার অভিষেক আজ
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনের তৃতীয় তলায় সংবাদ সম্মেলন কক্ষ যে অনেক বড় পরিসরের, তা নয়। তবে এই কক্ষেই বাফুফে তাদের সব আনুষ্ঠানিকতা সারে নির্বিঘ্নে। কিন্তু গতকাল বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচের সংবাদ সম্মেলন ভালোমতো শেষ করতে বাফুফের কর্মীদের বেশ বেগই পেতে হয়েছে। সংবাদ সম্মেলন কক্ষে যে তিল ধারনের ঠাঁই ছিল না। উপচে পড়া উপস্থিতি ছিল সংবাদকর্মীদের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া যে দৃশ্য দেখে রীতিমতো বিস্ময় প্রকাশ করলেন। সাংবাদিকরা বসার চেয়ার না পেয়ে নিচে বসে পড়া দেখে বলে উঠেন, ‘এখানে এত সাংবাদিক আমি প্রথম দেখছি। কিন্তু আমার কষ্ট লাগছে আপনারা নিচে বসে আছেন।’

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ফুটবলের দৃশ্যটা আসলে বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশ ফুটবল ঘিরে সংবাদ মাধ্যমের ‍তুমুল আগ্রহ। কারণ আর কিছুই নয়, হামজা দেওয়ান চৌধুরী। ইংল্যান্ড প্রবাসী এই ফুটবলার বাংলাদেশ দলে নাম লেখাতেই গোটা দেশের ফুটবলের চিত্র বদলে গেছে। ফুটবলারদের অনুশীলন দেখতেও এখন স্টেডিয়াম আঙনায় ভিড় জমাচ্ছেন সমর্থকরা। সংবাদকর্মীদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি তো থাকছেই। গতকালের বাফুফে ভবনের চিত্রটাকে তাই অস্বাভাবিক বলার উপায় নেই। বরং এটা না হওয়াটাই এখন অস্বাভাবিক। আর ভুটানের বিপক্ষে এই ম্যাচটার তো অন্য রকম একটা আবেদন আছে। এই ম্যাচ দিয়ে যে ঘরের মাঠে অভিষেক হওয়ার কথা হামজার। 

ভুটান ম্যাচ না সিঙ্গাপুর ম্যাচ দিয়ে হামজার ঘরের মাঠে অভিষেক হবে, এ নিয়ে একটা দ্বিধা ছিল। সেই দ্বিধা গতকালের সংবাদ সম্মেলনে কেটে যেতে পারে বলে আভাস ছিল। হয়েছেও সেটা। বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা জানিয়ে দিয়েছেন, ‘হামজা কালকের (আজ) ম্যাচের জন্য অ্যাভেইলেবল।’ অর্থাৎ সব ঠিক থাকলে আজ দেশের মাটিতে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হবে হামজার। গত মার্চে শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষে যিনি দেশের হয়ে প্রথম ম্যাচটি খেলেছেন।

জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-ভুটান ম্যাচটি শুরু হবে সন্ধ্যা ৭টায়। এই ম্যাচ দিয়ে দীর্ঘদিন পর দেশের প্রধান ভেন্যুতে ফুটবল ফিরবে। তবে এই ম্যাচটি মূলত আগামী ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচের প্রস্তুতি বলা চলে। পুরো দলের মূল নজর সিঙ্গাপুর ম্যাচের দিকে। জামাল ভূঁইয়া যেমন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আগামী ১০ তারিখ আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ। তবে কালকের ম্যাচও ভুটানের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই আমরা আমাদের সেরাটা দেব। এখন আমাদের প্রধান ফোকাস হচ্ছে ভুটান ম্যাচে। ম্যাচটা জিততে হবে।’

ভুটানের বিপক্ষে মুখোমুখি লড়াইয়ে বাংলাদেশ বেশ এগিয়ে। দুই দলের ১৬ দেখায় বাংলাদেশ জিতেছে ১২টিতে। ভুটানের জয় ২টিতে। ড্র হয়েছে দুটি। তবে দুই দলের সবশেষ লড়াইয়ে জিতেছে ভুটান। গত বছর ভুটান সফরে দুটি ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ। প্রথমটি ১-০ তে জিতলেও পরেরটিতে একই ব্যবধানে হারে হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা। অন্য হারটি ২০১৬ সালের, যে হারের ফলে তোলপাড় পড়ে দিয়েছিল দেশের ফুটবলে। সবশেষ ভুটান সফরের পারফরম্যান্স নিয়ে জামালকে খুব বেশি চিন্তিত মনে হয়নি। তার কথায়, ‘সবশেষ আমরা যখন ভুটানের বিপক্ষে খেলছি, তখনকার আর এখনকার অবস্থাটা ভিন্ন। ওই ম্যাচের আগে আমাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই প্রায় ৩-৪ মাস ধরে খেলার মধ্যে ছিল না। এখন লিগ মাত্র শেষ হয়েছে, তো সবাই খেলার মধ্যে আছে, মানে চিত্রটা ভিন্ন।’

এ ছাড়া এখন হামজা চৌধুরীর মতো হাইপ্রোফাইল খেলোয়াড় দলে রয়েছেন। আছেন ফাহামেদুল ইসলাম। যাকে এদিন পুরো ম্যাচ না খেলালেও কিছুটা সময় যে খেলানো হবে সেটি নিশ্চিত করেছেন কাবরেরা। বলেছেন, ‘ফাহামিদুলের কিছু সময় খেলার সম্ভাবনা আছে।’ আরও এক প্রবাসী সামিত সোম আজ ভোরেই দলের সঙ্গে যোগ দেবেন। তবে তাকে নিয়ে কাবরেরা বলেছেন, ‘লম্বা ভ্রমণ করে সে আসবে, তাকে নিয়ে আমাদের আরও একটু বেশি সতর্ক হতে হবে।’ অর্থাৎ সামিতের খেলার সম্ভাবনা কম।

বাংলাদেশ দলে এই যে প্রবাসী ফুটবলারদের মেলা, তাতে দলটির শক্তি যে অনেক বেড়েছে, এটি বলতে কোনো দ্বিধা করেননি ভুটান দলের কোচ আতসুশি নাকামুরা ও অধিনায়ক নিমা ওয়াংদি। নাকামুরার কথায়, ‘আমরা অনেক সৌভাগ্যমান যে হামজা চৌধুরীর মতো খেলোয়াড়ের সঙ্গে খেলতে পারব। হামজা খুবই ভালো মানের খেলোয়াড়। আশাকরি ছেলেদের খুব ভালো অভিজ্ঞতা হবে। আমি ম্যাচটা নিয়ে খুবই রোমাঞ্চিত।’ আর নিমা ওয়াংদির কথা তো, ‘হামজা যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার সেরা দল।’ তবে এই বাংলাদেশের বিপক্ষে ভালো ফলের প্রত্যাশার কথাই জানিয়েছেন ভুটান কোচ নাকামুরা, ‘ব্রানাইয়ে বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের আগে এই ম্যাচটি আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অবশ্যই এই ম্যাচে আমরা আমাদের সেরাটা দেব।’ উল্লেখ্য, ভুটান দুলেও দুজন অস্ট্রেলিয়ান প্রবাসী ফুটবলার রয়েছেন।

এবারের আইপিএলে যত পুরস্কার

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৫৩ পিএম
এবারের আইপিএলে যত পুরস্কার
ছবি : সংগৃহীত

ক্রিকেটবিশ্বের সবচেয়ে দামি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৮তম আসরের পর্দা নেমেছে গতরাতে। দীর্ঘ ১৮ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।

এই লিগে বাকিসব লিগের তুলনায় টাকার ঝনঝনানি বেশি। একগাদা পুরস্কার দেওয়া হয় প্রতি ম্যাচেই। আর ফাইনালে তো পুরো আসরের আরও অনেক পুরস্কারই দেওয়া হয় বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে।

আইপিএল শুরুর আসরে ২০০৮ সালে চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানি ছিল ৪ কোটি ৮০ লাখ রুপি। এবার সেই অংক বেড়েছে চারগুণেরও বেশি।

শিরোপা জেতা বেঙ্গালুরু পেয়েছে ২০ কোটি রুপি আর রানার্সআপ হয়ে পাঞ্জাব কিংস পেয়েছে ১২.৫ কোটি রুপি। এর বাইরে আরও একাধিক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ফাইনালে। 

এক নজরে ২০২৫ আইপিএলের দলীয় ও ব্যক্তিগত যত পুরস্কার:

চ্যাম্পিয়ন (২০ কোটি রুপি) : রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু

রানার্স আপ (১৩ কোটি রুপি): পাঞ্জাব কিংস

তৃতীয় স্থান (৭ কোটি রুপি) : মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স

চতুর্থ স্থান (৬ কোটি রুপি): গুজরাট টাইটান্স

ইলেক্ট্রিক স্ট্রাইকার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : জিতেশ শর্মা (১০ বলে ২৪ রান, স্ট্রাইক রেট ২৪০)

আল্টিমেট ফ্যান্টাসি প্লেয়ার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : শশাঙ্ক সিং

সুপার সিক্সার অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : শশাঙ্ক সিং (৬টি ছক্কা)

অন-দা-গো ফোরস (১ লাখ রুপি) : প্রিয়াংশ আর্য (৪টি চার)

গ্রিন ডট বলস অব দা ম্যাচ (১ লাখ রুপি) : ক্রুনাল পান্ডিয়া (১২টি ডট বল)

প্লেয়ার অব দা ফাইনাল (৫ লাখ রুপি) : ক্রুনাল পান্ডিয়া (৪-০-১৭-২)

অরেঞ্জ ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি রান, ১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান)

পার্পল ক্যাপ (সবচেয়ে বেশি উইকেট, ১০ লাখ রুপি): প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা (১৫ ইনিংসে ২৫ উইকেট)

ইমার্জিং প্লেয়ার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৫ ইনিংসে ৭৫৯ রান)

সুপার স্ট্রাইকার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): বৈভব সূর্যবংশী (৭ ইনিংসে ২৫২ রান ২০৬.৫৫ স্ট্রাইক রেটে)

ফ্যান্টাসি কিং অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (১৪৯৫ পয়েন্ট)

অন-দা-গো ফোরস অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): সাই সুদর্শন (৮৮ চার)

সুপার সিক্সার অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি) : নিকোলাস পুরান (৪০ ছক্কা)

গ্রিন ডট বলস অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): মোহাম্মদ সিরাজ (১৪৪ ডট বল)

ক্যাচ অব দা সিজন (১০ লাখ রুপি): কামিন্দু মেন্ডিস (চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ক্যাচ)

ফেয়ার প্লে অ্যাওয়ার্ড (১০ লাখ রুপি): চেন্নাই সুপার কিংস

মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ার (ম্যান অব দা টুর্নামেন্ট, ১০ লাখ রুপি): সূর্যকুমার যাদব (৭১৭ রান)

বেস্ট পিচ অ্যান্ড গ্রাউন্ড অব দা সিজন (৫০ লাখ রুপি): অরুন জেটলি স্টেডিয়াম (দিল্লি)

শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ১২:৩৪ পিএম
শক্তিশালী জর্ডানের বিপক্ষে মেয়েদের ড্র
ছবি : সংগৃহীত

জর্ডানের মতো তুমুল শক্তিশালী দলের বিপক্ষে ড্র করে আসা জয়ের চেয়ে কোনো অংশে কম নয় বাংলাদেশ নারী দলের কাছে। প্রতিকূল পরিবেশেও তাদের বিপক্ষে এই ড্র অর্জনের খাতায়ই পড়বে বলা চলে।

দারুণ লড়াইয়ে আফাঈদা খন্দকাররা অপরাজিত থাকল তিন জাতির এই টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচেও। 

ম্যাচের মাত্র ৫ মিনিটেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন তাদের অধিনায়ক জেবারাহ। পরে শামসুন্নাহার জুনিয়র বাংলাদেশকে সমতায় ফেরান ৪৩ মিনিটে।

প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় ১-১ সমতায়। দ্বিতীয়ার্ধের ৫৮ মিনিটে গোল করে ফের জর্ডান এগিয়ে যায়।

দ্বিতীয়াবার জর্ডান ম্যাচে লিড নিলে বাংলাদেশ দলের ম্যাচে ফেরা পড়ে যায় শঙ্কায়। তবে ৮২ মিনিটে স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় শাহেদা আক্তার রিপার গোল। আর ম্যাচ শেষ হয় ২-২ সমতায়।

এই জর্ডানের বিপক্ষেই ৫-০ ব্যবধানে হারতে হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে। একই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এই ড্র নিশ্চিতভাবেই দিচ্ছে জয়ের আনন্দ।

ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে গোলশূন্য ড্রয়ের পর র‌্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৯ ধাপ ওপরে থাকা জর্ডানের বিপক্ষে দুইবার পিছিয়ে পড়ার পরও এমন ড্র জয়ের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।

আম্মানের কিং আবদুল্লাহ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু হওয়া ম্যাচে লাল-সবুজের দল খেলেছে মাথা উঁচু করেই। ম্যাচ শেষে মেয়েরা ছিলেন উচ্ছ্বসিত–আনন্দিত।