ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ক্ষমা চাইলেন লিটন

প্রকাশ: ০২ জুন ২০২৫, ১১:২৫ এএম
ক্ষমা চাইলেন লিটন
ছবি : সংগৃহীত

জিততে যেন ভুলেই গেছে বাংলাদেশ দল। টানা দুই টি-টোয়েন্টি সিরিজে হার। পাকিস্তানের মাটিতে কেবল সিরিজ হার নয়, হতে হয়েছে ধবলধোলাই। এমন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন কুমার দাস।

রবিবার (১ জুন) সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ১৯৬ রান তুলেও হারতে হয়েছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে। আর তাতেই ৩-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চাইছি। কারণ, আমরা একটা ম্যাচও জিততে পারিনি। আশা করি, আমরা এখান থেকে ঘুরে দাঁড়াব।’

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর ভালোকিছু আশা করা যাচ্ছিল না বাংলাদেশ দলের ওপর পাকিস্তান সিরিজে। সিরিজের প্রথম ম্যাচেই হার ৩৭ রানে। হারের ধারা বজায় থাকে দ্বিতীয় ম্যাচেও ব্যাটিং ধসে। ৫৭ রানের পরাজয়ে নিশ্চিত হয় সিরিজ হার।

সবশেষ গতকাল (১ জুন) ১৯৬ রানের বড় লক্ষ্য দাঁড় করিয়েও বাংলাদেশ এড়াতে পারেনি ধবলধোলাই। বিফলে গেছে তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের ১১০ রানের দুর্দান্ত উদ্বোধনী জুটি।

ম্যাচ হারলেও অবশ্য গত রাতে (তৃতীয় টি-টোয়েন্টি) নিজেদের ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট লিটন,‘আমরা ভালো বোলিং, ফিল্ডিং—কোনোটিই গত দুই ম্যাচে করিনি। তবে এই ম্যাচে এমন উইকেটে ভালো ব্যাটিং করেছি। উইকেটটা দারুণ। ইমন-তানজিদ সত্যিই দারুণ ব্যাটিং করেছে। বেশির ভাগ ক্রিকেটারই সামনে এগিয়ে এসেছে ও ভালো কাজ করেছে।’

আরব আমিরাত, পাকিস্তান সিরিজ শেষে বাংলাদেশের পরবর্তী গন্তব্য শ্রীলঙ্কা। লঙ্কা সফরে দুটি টেস্ট এবং তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ।

ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০০ পিএম
ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি
ছবি : সংগৃহীত

রোজারিও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর, যা বর্তমানে ড্রাগ ও অপরাধচক্রের দখলে। বহু বছর ধরেই এই শহরে সহিংসতা ও অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যেই শহরটি অপরাধীদের অভয়ারণ্য, সেখানকার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে যোগ দিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। যে কাজটি বাকি সেটা করতেই শৈশবের ক্লাবের ফেরা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকার।

নিজের শিকড়ে ফিরে অশ্রুসিক্ত ডি মারিয়া বলেন, ‘সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’ ১৮ বছর আগে রোজারিওতে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মেসির সাবেক সতীর্থ। শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময় পর বাড়ি ফিরে আসাটা খুবই বিশেষ একটি অনুভূতি। আমি যা চেয়েছিলাম, সেটাই পূরণ হয়েছে, আবার সেন্ট্রালের হয়ে খেলতে পারব। সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’

ডি মারিয়া বহুবার বলেছেন তিনি সেন্ট্রালে ফিরতে চান, কিন্তু ড্রাগ গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়ে পরিবার নিয়ে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তবে এবার সেই বাধা ভেঙে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতেই ফিরে এলেন। এ যেন জীবনকালেই মৃত্যুভয় জয়। রোজারিওতে অনুশীলন শেষে তার উপলব্ধি ছিল এমন, ‘যখন অনুশীলনে নামলাম, সবকিছুই অবিশ্বাস্য লাগছিল। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি।’

ডি মারিয়া মাত্র চার বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রালের একাডেমিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিষেক হয়। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জয়ের পর তাকে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে বিক্রি করে দেয় রোজারিও। তার পরের পথচলা ছিল দুর্দান্ত। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস, পুনরায় বেনফিকা- দীর্ঘ পথচলায় ইতোমধ্যে জয় করেছেন ৩০টি শিরোপা। 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন। সব শেষ তিনি বেনফিকার হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলেছেন এবং তিনটি গোল করেন, যদিও তার দল রাউন্ড অফ ১৬-এ চেলসির কাছে হেরে যায়। এখন ক্যারিয়ারের শেষভাগটা উপভোগের অপেক্ষায় এই আর্জেন্টাইন, ‘এই মুহূর্তে আমি শুধু খেলতে চাই, উপভোগ করতে চাই। যত দিন পারি, নিজের সেরাটা দিতে চাই। অবসরের চিন্তা এখন মাথায় নেই।’

জোড়া গোল করে সাবেক ক্লাবের কাছে পেদ্রোর ক্ষমাপ্রার্থনা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
জোড়া গোল করে সাবেক ক্লাবের কাছে পেদ্রোর ক্ষমাপ্রার্থনা
ছবি : সংগৃহীত

ফ্লুমিনেন্সকে সেমিফাইনালে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে বিদায় করার ম্যাচে চেলসির হয়ে গোল দুটিই এসেছে জোয়াও পেদ্রোর পা থেকে। যিনি শৈশবে খেলেছেন এই ফ্লুমিনেন্সের হয়েই। ফলে এই জয়ে পেদ্রো ক্ষমা চাইলেন সাবেক ক্লাবের কাছে।

প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামলে আবেগ কাজ করাই স্বাভাবিক। তেমনটাই হয়েছে জোয়াও পেদ্রোর সঙ্গেও। অন্যদিকে যে ক্লাবে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু, সেই ক্লাবের প্রতি টানটা তো তুলনামূলক বেশিই কাজ করবে।

ম্যাচ শেষে পেদ্রো ক্ষমাও চাইলেন। হাসি চাপা রেখে বললেন, ‘ওরাই আমাকে বিশ্বকে চিনিয়েছে।’

মঙ্গলবার (৮  জুলাই) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সেকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে দুটি গোলই পেদ্রোর পা থেকে এসেছে। তিনি সদ্যই যোগ দিয়েছেন চেলসিতে।

ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফ্লুমিনেন্স একাডেমির ছাত্র। মাত্র ছয়দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান। যোগ দেওয়ার পর দ্রুতই শুরুর একাদশে নাম লিখিয়ে প্রমাণ দিলেন প্রতিভার। 

১৮ ও ৫৬ মিনিটে তার করা দুই গোলেই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। কিন্তু দুই গোলের একটিতেও তিনি উল্লাস করেননি। দলকে ফাইনালে তোলার আনন্দ চাপা রেখেছেন সাবেক ক্লাবের প্রতি সম্মান জানিয়ে।

গোল করার পর হাত তুলে দুঃখ প্রকাশ করলেন ফ্লুমিনেন্স ক্লাব ও তার সমর্থকদের প্রতি। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘ফ্লুমিনেন্স সবকিছু দিয়েছে আমাকে। ওরা না থাকলে আমি আজ এখানে থাকতাম না। কিন্তু এটা ফুটবল, আমি পেশাদার, কাজটা করতে হয়েছে।’ 

ম্যাচশেষে বললেন, ‘আজ শুরু থেকে সুযোগ পেয়েছিলাম, সময়ও ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

চেলসি এখন অপেক্ষায় আছে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ীর। রোববার, নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই হবে সেই স্বপ্নের ফাইনাল।

ক্লাব বিশ্বকাপ ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলেই ফ্লুমিনেন্সেকে বিদায় করে ফাইনালে চেলসি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলেই ফ্লুমিনেন্সেকে বিদায় করে ফাইনালে চেলসি
ছবি : সংগৃহীত

ব্রাজিলের ক্লাবগুলো একের পর এক চমক দেখিয়েছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিলের সবশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল একমাত্র ফ্লুমিনেন্সে। সেই যাত্রা থেমেছে চেলসির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে। এই জয়ে ফাইনালে পা রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

২০২৩ মৌসুমের ক্লাব বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্লুমিনেন্সে ৪-০ ব্যবধানে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল। তাই এবারের আসরে শেষ চারে তাদের জায়গা করে নেওয়ার ঘটনা মোটেও অবাক করার মতো ছিল না।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফ্লুমিনেন্সে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। এখন চেলসির অপেক্ষা ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিশ্চিতের।

শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই চমক দেখান চেলসির হুয়াও পেদ্রো। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে জয়ে জোড়া তথা দুটি গোলই এসেছে তার পা থেকে। ঘরের মানুষের কাছেই হেরে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।

তিনি প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ১৮ মিনিটে দারুণ এক বাঁকানো শটে। এরপর ৫৬ মিনিটে কাউন্টার-অ্যাটাকে দ্বিতীয় গোল করে নিশ্চিত করেন দলের জয়।

চেলসি ফাইনালে রোববার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি), যারা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বুধবার রাতে মুখোমুখি হবে। ফলে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অল ইউরোপ ফাইনাল।

ম্যাচ হেরে যা বললেন মিরাজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১১:২০ এএম
ম্যাচ হেরে যা বললেন মিরাজ
ছবি : সংগৃহীত

সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে ফের ব্যাটিং ব্যর্থতায় হারতে হয়েছে ৯৯ রানে। ফলে ২-১ ব্যবধানে হাতছাড়া হয়েছে সিরিজও। ২৮৬ রানের লক্ষ্যে যেমন ব্যাটিং করা দরকার ছিল, তা মোটেও করতে পারেনি বাংলাদেশ।

পুরো সিরিজেই ব্যাটিংটাই ডুবিয়েছে বাংলাদেশকে। বোলাররা নতুন বলে উইকেট নিয়ে দিলেও ব্যাটাররা রান তাড়ায় অসফল ছিল দুই ম্যাচেই।

ক্যান্ডিতে ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ বলেন, ‘শেষ ১০ ওভারে আমরা ভালো বল করেছি। স্পিনাররা ভালো করেছে। আমরা ভালো ব্যাট করা নিয়ে কথা বলেছিলাম। তবে মিডল অর্ডারে কোন জুটি করতে পারিনি। শুরুতেও কিছু উইকেট হারাই।’

স্থা্য়ী অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের যাত্রা শুরু হয়েছিল এই সিরিজ দিয়ে। ১-১ সমতায় সিরিজটি জেতার সুযোগ পেয়েও হয়েছে হাতছাড়া। অভিজ্ঞ দুই খেলোয়াড়ের অবসরের পর নতুনদের আগমনে দলের ভারসাম্যে এখনও কিছুটা ঘাটতি যে রয়ে গেছে, সেটি পারফরম্যান্সেই স্পষ্ট।

দলের নতুন খেলোয়াড়দের নিয়ে মিরাজ বলেন, ‘দলে নতুন খেলোয়াড় এসেছে, আমরা সব সময়ই চেষ্টা করি এবং পজিটিভ থাকি। আরও সুযোগ পেলে তারা ভালো করবে।’

রিয়াল-পিএসজি দুই জায়ান্টের মহারণ আজ

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৪৫ এএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১০:৫০ এএম
দুই জায়ান্টের মহারণ আজ
ছবি : সংগৃহীত

তিন বছরেরও বেশি সময় পর আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইউরোপের দুই শক্তিশালী ক্লাব পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। যুক্তরাষ্ট্রের মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে আজ মুখোমুখি দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান শিরোপাধারী পিএসজি। অন্যদিকে একই আসরে রেকর্ড ১৫ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল। ক্লাব বিশ্বকাপে দুই লড়াই আজ তাই রূপ নেবে মহারণে, তা অনুমেয়।

কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল ও পিএসজি দুই দলই হারিয়ে এসেছে জার্মানির দুই ক্লাবকে। যেখানে বেশি পরীক্ষা দিতে হয়েছে পিএসজিকে। ফরাসি ক্লাবটি ২-০ গোলে হারায় বায়ার্ন মিউনিখকে। অন্যদিকে রিয়ালের তুলনায় বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ছিল অপেক্ষাকৃত দুর্বল। কিন্তু সেই দলের বিপক্ষেও কোয়ার্টার ফাইনালে (৩-২) জিততে রীতিমতো ঘাম ঝড়াতে হয়েছিল লস ব্লাঙ্কোসদের।

তীব্র লড়াইয়ের ঝাঁজ

গত এক দশকে পিএসজির কাতারি মালিকানায় অর্থবলের ছোঁয়ায় ইউরোপে তাদের উত্থান চোখে পড়ার মতো। তবে ইউরোপিয়ান মঞ্চে ‘লস ব্লাঙ্কোস’ নামেই পরিচিত রিয়াল মাদ্রিদই বরাবর তাদের ছাপিয়ে গেছে। বিশেষ করে চ্যাম্পিয়নস লিগে।

দুই দলের সবচেয়ে স্মরণীয় লড়াইগুলো হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগেই। সর্বশেষ মুখোমুখি লড়াইটা ছিল ২০২২ সালের শেষ ষোলোতে। দুই লেগেই কিলিয়ান এমবাপ্পে গোল করলেও দ্বিতীয় লেগে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে যায় পিএসজি। করিম বেনজেমার দ্বিতীয়ার্ধে করা দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক, গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মার ভুল এবং বার্নাব্যুতে রিয়ালের দুরন্ত প্রত্যাবর্তন। সব মিলিয়ে রাতটি রূপ নেয় পিএসজির দুঃস্বপ্নে।

২০১৭-১৮ মৌসুমের একই পর্বে আবারও মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। তবে সে যাত্রায় অনেক কম নাটকীয়তা। রোনালদো ঝলকে দুই লেগেই জয় তুলে নিয়ে ৫-২ ব্যবধানে এগিয়ে যায় রিয়াল। দুই দলের প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ সাক্ষাৎ ২০১৪-১৫ মৌসুমে। গ্রুপপর্বের সেই লড়াইয়ে নাচো ফার্নান্দেজের একমাত্র গোলে বার্নাব্যুতে জয় তুলে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। ২০১৯ সালে আবার একই গ্রুপে পড়েছিল তারা। সেইবার আনহেল দি মারিয়ার জোড়া গোলে পিএসজি ঘরের মাঠে ৩-০ ব্যবধানে জয় পায়, আর বার্নাব্যুতে ২-২ ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয় ফরাসিরা।

ঐতিহাসিক দ্বৈরথ

দুই দল নব্বই দশকেও একাধিকবার ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় মুখোমুখি হয়েছে। ১৯৯৩ সালের ইউরোপা কাপ (তৎকালীন ইউইএফএ কাপ)-এর কোয়ার্টার ফাইনালে রিয়াল প্রথম লেগে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও, দ্বিতীয় লেগে পিএসজির ৪-১ গোলের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হয়ে যায় ইতিহাসের সেরা ম্যাচগুলোর একটি।

এর পরের বছর কাপ উইনার্স কাপে আবারও মুখোমুখি হয় দল দুটি। বার্নাব্যুতে জর্জ উইয়াহর একমাত্র গোলে জয় পাওয়া পিএসজি ঘরের মাঠে ১-১ ড্র করে সেমিফাইনালে জায়গা করে নেয়।

পিএসজির তারকায় ঠাসা স্কোয়াড, আর রিয়ালের ঐতিহ্য ও ইউরোপিয়ান অভিজ্ঞতা। আজকের ম্যাচে দুই ভিন্ন ধারার ক্লাব মুখোমুখি হতে যাচ্ছে এক ঐতিহাসিক লড়াইয়ে। প্রতিশোধের আশায় উন্মুখ পিএসজি, আর বড় ম্যাচে আত্মবিশ্বাসী রিয়াল। কে হাসবে শেষ হাসি, তা সময়ই বলে দেবে।