ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

কোহলির জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বেঙ্গালুরু

প্রকাশ: ০৩ জুন ২০২৫, ০১:০৪ পিএম
কোহলির জন্য চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বেঙ্গালুরু
ছবি : সংগৃহীত

সেই ২০০৮ সাল থেকেই তথা আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। কিন্ত এখন পর্যন্ত জেতা হয়নি শিরোপা। চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পা রাখা আরসিবির এবার যে করেই হোক শিরোপা ঘরে তুলতেই চায়।

রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি পাঁচবার করে শিরোপা জিতলেও তাদেরই সতীর্থ কোহলি কখনোই সেই শিরোপা স্পর্শ করতে পারেননি। এবার কেবল কোহলি নয়, পুরো বেঙ্গালুরু শিবির দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চ্যাম্পিয়ন হতে। এমনকি পুরো বেঙ্গালুরু দলটা শিরোপা জিততে চায় কোহলির জন্য।

দলের বর্তমান অধিনায়ক রজত পাতিদার জানিয়েছেন, শুধু নিজের জন্য নয়—তারা কোহলির জন্যই ট্রফি জিততে চান। পাতিদারের ভাষায়, ‘কোহলি বেঙ্গালুরুকে অনেক কিছু দিয়েছেন, এবার সময় তাকে কিছু ফেরত দেওয়ার।’

এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে কোহলির দল। আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের কাছে ৬ রানে হেরে যায় বেঙ্গালুরুর। ২০১১ সালে ফের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও চেন্নাইয়ের কাছে পরাজিত হয় ৫৭ রানে। সবশেষ ২০১৬ সালে সানরাইজার্সা হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় ৮ রানের ব্যবধানে। দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতি শেষে ফাইনালে আবারও উত্তীর্ণ হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

ফাইনালটা হতে যাচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হলেও আরসিবি অধিনায়ক পাতিদার জানালেন, সমর্থকদের ভালোবাসায় মাঠ হবে যেন নিজেদের ঘরের। ইতিমধ্যে বহু সমর্থক বেঙ্গালুরু থেকে স্টেডিয়ামে গিয়েছেন, যা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।

যে দলই জিতবে সে দলই প্রথমবারের মতো পাবে শিরোপার স্বাদ। আইপিএল এবার পেতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। সেই ফাইনালের উত্তেজনা ছুঁয়ে গেছে পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, দলকে ফাইনালে তোলার উত্তেজনায় তিনি মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নিজের ইনিংসকে আয়ার অভিহিত করেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বলে। 

‘দাঁড়িতে নিয়মিত কলপ করতে হলেই বুঝবেন সময় হয়ে গেছে’

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৪ পিএম
‘দাঁড়িতে নিয়মিত কলপ করতে হলেই বুঝবেন সময় হয়ে গেছে’
ছবি : সংগৃহীত

গেল মে মাসের ১২ তারিখ টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছেন ভারতের ক্রিকেটার বিরাট কোহলি। তার এমন সিদ্ধান্তে অনেকে অবাক হলেও, তার কাছে এটাই ছিল বিদায় জানানোর সঠিক সময়।

তবে জল্পনা কম হয়নি তার অবসর নিয়ে। অবসরের কারণ জানার আগ্রহে কোনো কমতি ছিল না ভক্ত ও সমর্থকদের। টেস্টের ধকল নিতে কষ্ট হচ্ছে নাকি বাধ্য করা হয়েছিল, দুটি প্রশ্ন ঘোরপাক খেয়েছিল বেশ কিছুদিন।

বর্তমানে টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল ইংল্যান্ডে। উইম্বলডন উপভোগ করে সস্ত্রীক লন্ডনে আছেন কোহলিও। সেখানেই যুবরাজ সিংয়ের ‘ইউ উই ক্যান’ ফাউন্ডেশনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে নিজের অবসর নিয়ে মহার মজার ছলে বলেন, ‘দু’দিন আগেই দাড়িতে কলপ করলাম। যখন চারদিন পরপর দাড়িতে কলপ করতে হয়, তখন বুঝতে হবে সময় এসে গিয়েছে।”

ফিটনেসের দিক থেকে কোহলি ছাড়িয়ে যান অনেক তরুণ ক্রিকেটারকেও। এরপরও তিনি কেন এমন কথা বলেছেন অবসর প্রসঙ্গে, সেটি নিয়েও চলছে জল্পনা। অনেকেই ভাবছেন যে প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর তরুণ ক্রিকেটারদের বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কারণেই তিনি খোঁচা দিয়ে এমন জবাব দিয়েছেন।

যুবরাজ সিংয়ের সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল বিশ্ব ক্রিকেটের একাধিক সাবেক তারকা। রবি শাস্ত্রী, শচীন টেন্ডুলকর, কেভিন পিটারসেন এমনকী ব্রায়ান লারার মতো কিংবদন্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। 

সাবকে কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে রসায়ন নিয়ে কোহলি বলেন, ‘ওর সঙ্গে কাজ না করলে টেস্ট ক্রিকেটে যা করেছি, তা হতো না। আমাদের মধ্যে একটা বোঝাপড়া ছিল। উনি যদি আমার পাশে না দাঁড়াতেন, সমালোচনা সহ্য না করতেন, তাহলে পরিস্থিতি হয়তো অন্যরকম হতো। আমার ক্রিকেট সফরে ওর বিরাট অবদান।’

ভারতীয় দলে অভিষেকের সময় যুবরাজ বড় তারকা। সেই যুবরাজের সঙ্গে অনেকটা সময় খেলেছেন তিনি। সেই কথাও জানিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেন, ‘ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার সময় প্রথম যুবরাজের সঙ্গে পরিচয়। ভারতের হয়ে যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন যুবরাজ, জহির, হরভজনের মতো সিনিয়রকে পেয়েছি। ওরা আমাকে অনেক পরামর্শ দিয়েছে। ওদের সঙ্গে মাঠে অনেক ভালো মুহূর্ত কাটিয়েছি। যুবরাজ কী ভাবে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করে ফিরে এসেছে তা দেখেছি।’

কথা বলেছেন যুবরাজের ক্যান্সারের খবর শোনার পর নিজের অনুভূতি নিয়েও, ‘আমাদের মধ্যে মাঠে ও মাঠের বাইরে দারুণ বন্ধুত্ব ছিল। প্রচুর মজা করেছি। বিশ্বকাপের সময় ওকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তারপর যখন আমরা ক্যানসারের বিষয়ে জানতে পারলাম, তখন চমকে গিয়েছিলাম। এত কাছে থেকেও আমাদের কোনও ধারণা ছিল না। তারপর ও ক্যানসারের সঙ্গে লড়ে কামব্যাক করেছে, সে জন্যই ও চ্যাম্পিয়ন।’

ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে থাকবেন ট্রাম্প

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০৩:২৯ পিএম
ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মাঠে থাকবেন ট্রাম্প
ছবি : সংগৃহীত

আগামী ১৪ জুলাই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনাল উপভোগ করতে নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে উপস্থিত থাকবেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) হোয়াইট হাউসে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

ইতোমধ্যেই সেই ফাইনালে উত্তীর্ণ হয়ে গেছে চেলসি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ (৯ জুলাই) মুখোমুখি হবে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। দু দলের মধ্যে যে দল জিতবে তারা চেলসিকে পাবে ফাইনালে প্রতিপক্ষ হিসেবে।

ফাইনালে মাঠে থাক্র ব্যাপারে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমি খেলাটা দেখতে যাচ্ছি।’

এর আগে সোমবার ডাজন-এর এক সম্প্রচারে উপস্থাপক এমিলি অস্টিন ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, ফাইনালে ট্রাম্প থাকতে পারেন। চলতি বছরের মার্চেই ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো হোয়াইট হাউস সফরে গিয়ে ফাইনাল ম্যাচে মাঠে থাকার দাওয়াত দেন।

নিউ জার্সির গভর্নর ফিল মারফিও জুনের শুরুতে প্রেসিডেন্টকে ম্যাচে আমন্ত্রণ জানান। সেই সময় মারফি বলেছিলেন, ‘আমি জানি না উনি আসতে পারবেন কি না।’

তবে ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করে দিলেন যে তিনি থাকছেন ফাইনালের গ্যালারিতে। গেল কয়েকমাস ধরেই তিনি বিভিন্ন স্পোর্টস ইভেন্টে যাচ্ছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউ অরলিন্সে সুপার বোল দেখতে গিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। তিনিই প্রথম যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট যিনি সুপার বোলের ম্যাচে গিয়েছেন।

ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ০২:০০ পিএম
ড্রাগ-অস্ত্রের শহরে ফুটবল ফেরারি
ছবি : সংগৃহীত

রোজারিও আর্জেন্টিনার রাজধানী বুয়েনস এইরেস থেকে ৩০০ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত একটি শহর, যা বর্তমানে ড্রাগ ও অপরাধচক্রের দখলে। বহু বছর ধরেই এই শহরে সহিংসতা ও অপরাধের মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে চলেছে। যেই শহরটি অপরাধীদের অভয়ারণ্য, সেখানকার ক্লাব রোজারিও সেন্ট্রালে যোগ দিলেন অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। যে কাজটি বাকি সেটা করতেই শৈশবের ক্লাবের ফেরা বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকার।

নিজের শিকড়ে ফিরে অশ্রুসিক্ত ডি মারিয়া বলেন, ‘সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’ ১৮ বছর আগে রোজারিওতে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন মেসির সাবেক সতীর্থ। শৈশবের স্মৃতিতে ফিরে ৩৭ বছর বয়সী ডি মারিয়া বলেন, ‘এই দীর্ঘ সময় পর বাড়ি ফিরে আসাটা খুবই বিশেষ একটি অনুভূতি। আমি যা চেয়েছিলাম, সেটাই পূরণ হয়েছে, আবার সেন্ট্রালের হয়ে খেলতে পারব। সেন্ট্রালের হয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়াটাই এখন বাকি।’

ডি মারিয়া বহুবার বলেছেন তিনি সেন্ট্রালে ফিরতে চান, কিন্তু ড্রাগ গ্যাংয়ের পক্ষ থেকে মৃত্যুর হুমকি পেয়ে পরিবার নিয়ে ফিরে যেতে সাহস পাচ্ছিলেন না। তবে এবার সেই বাধা ভেঙে নিজের স্বপ্ন পূরণ করতেই ফিরে এলেন। এ যেন জীবনকালেই মৃত্যুভয় জয়। রোজারিওতে অনুশীলন শেষে তার উপলব্ধি ছিল এমন, ‘যখন অনুশীলনে নামলাম, সবকিছুই অবিশ্বাস্য লাগছিল। প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছি আমি।’

ডি মারিয়া মাত্র চার বছর বয়সে রোজারিও সেন্ট্রালের একাডেমিতে যোগ দেন। ২০০৫ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার পেশাদার ক্যারিয়ারের অভিষেক হয়। ২০০৭ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ জয়ের পর তাকে পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকাতে বিক্রি করে দেয় রোজারিও। তার পরের পথচলা ছিল দুর্দান্ত। রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, পিএসজি, জুভেন্টাস, পুনরায় বেনফিকা- দীর্ঘ পথচলায় ইতোমধ্যে জয় করেছেন ৩০টি শিরোপা। 

২০২২ কাতার বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে গোল করেছিলেন ডি মারিয়া। ২০২১ ও ২০২৪ কোপা আমেরিকা জয়ী দলেরও সদস্য ছিলেন। সব শেষ তিনি বেনফিকার হয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে খেলেছেন এবং তিনটি গোল করেন, যদিও তার দল রাউন্ড অফ ১৬-এ চেলসির কাছে হেরে যায়। এখন ক্যারিয়ারের শেষভাগটা উপভোগের অপেক্ষায় এই আর্জেন্টাইন, ‘এই মুহূর্তে আমি শুধু খেলতে চাই, উপভোগ করতে চাই। যত দিন পারি, নিজের সেরাটা দিতে চাই। অবসরের চিন্তা এখন মাথায় নেই।’

জোড়া গোল করে সাবেক ক্লাবের কাছে পেদ্রোর ক্ষমাপ্রার্থনা

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৩ পিএম
আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৪ পিএম
জোড়া গোল করে সাবেক ক্লাবের কাছে পেদ্রোর ক্ষমাপ্রার্থনা
ছবি : সংগৃহীত

ফ্লুমিনেন্সকে সেমিফাইনালে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। ব্রাজিলিয়ান ক্লাবকে বিদায় করার ম্যাচে চেলসির হয়ে গোল দুটিই এসেছে জোয়াও পেদ্রোর পা থেকে। যিনি শৈশবে খেলেছেন এই ফ্লুমিনেন্সের হয়েই। ফলে এই জয়ে পেদ্রো ক্ষমা চাইলেন সাবেক ক্লাবের কাছে।

প্রাক্তন ক্লাবের বিপক্ষে খেলতে নামলে আবেগ কাজ করাই স্বাভাবিক। তেমনটাই হয়েছে জোয়াও পেদ্রোর সঙ্গেও। অন্যদিকে যে ক্লাবে পেশাদার ফুটবলে নিজের যাত্রা শুরু, সেই ক্লাবের প্রতি টানটা তো তুলনামূলক বেশিই কাজ করবে।

ম্যাচ শেষে পেদ্রো ক্ষমাও চাইলেন। হাসি চাপা রেখে বললেন, ‘ওরাই আমাকে বিশ্বকে চিনিয়েছে।’

মঙ্গলবার (৮  জুলাই) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ক্লাব বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্লুমিনেন্সেকে ২-০ ব্যবধানে হারানোর ম্যাচে দুটি গোলই পেদ্রোর পা থেকে এসেছে। তিনি সদ্যই যোগ দিয়েছেন চেলসিতে।

ব্রাজিলিয়ান এই ফরোয়ার্ড ফ্লুমিনেন্স একাডেমির ছাত্র। মাত্র ছয়দিন আগে ব্রাইটন থেকে চেলসিতে যোগ দেন ২৩ বছর বয়সী এই ব্রাজিলিয়ান। যোগ দেওয়ার পর দ্রুতই শুরুর একাদশে নাম লিখিয়ে প্রমাণ দিলেন প্রতিভার। 

১৮ ও ৫৬ মিনিটে তার করা দুই গোলেই ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা নিশ্চিত করেছে চেলসি। কিন্তু দুই গোলের একটিতেও তিনি উল্লাস করেননি। দলকে ফাইনালে তোলার আনন্দ চাপা রেখেছেন সাবেক ক্লাবের প্রতি সম্মান জানিয়ে।

গোল করার পর হাত তুলে দুঃখ প্রকাশ করলেন ফ্লুমিনেন্স ক্লাব ও তার সমর্থকদের প্রতি। ম্যাচশেষে তিনি বলেন, ‘ফ্লুমিনেন্স সবকিছু দিয়েছে আমাকে। ওরা না থাকলে আমি আজ এখানে থাকতাম না। কিন্তু এটা ফুটবল, আমি পেশাদার, কাজটা করতে হয়েছে।’ 

ম্যাচশেষে বললেন, ‘আজ শুরু থেকে সুযোগ পেয়েছিলাম, সময়ও ছিল নিজেকে প্রমাণ করার। দলের জয়টাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’

চেলসি এখন অপেক্ষায় আছে পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালের জয়ীর। রোববার, নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামেই হবে সেই স্বপ্নের ফাইনাল।

ক্লাব বিশ্বকাপ ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলেই ফ্লুমিনেন্সেকে বিদায় করে ফাইনালে চেলসি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১২:০০ পিএম
ব্রাজিলিয়ানের জোড়া গোলেই ফ্লুমিনেন্সেকে বিদায় করে ফাইনালে চেলসি
ছবি : সংগৃহীত

ব্রাজিলের ক্লাবগুলো একের পর এক চমক দেখিয়েছে এবারের ক্লাব বিশ্বকাপে। তবে ব্রাজিলের সবশেষ প্রতিনিধি হিসেবে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল একমাত্র ফ্লুমিনেন্সে। সেই যাত্রা থেমেছে চেলসির কাছে ২-০ ব্যবধানে হেরে। এই জয়ে ফাইনালে পা রেখেছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবটি।

২০২৩ মৌসুমের ক্লাব বিশ্বকাপের রানার্সআপ ফ্লুমিনেন্সে ৪-০ ব্যবধানে হেরে শিরোপাবঞ্চিত হয়েছিল। তাই এবারের আসরে শেষ চারে তাদের জায়গা করে নেওয়ার ঘটনা মোটেও অবাক করার মতো ছিল না।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) নিউ জার্সির মেটলাইফ স্টেডিয়ামে ফ্লুমিনেন্সে হেরেছে ২-০ ব্যবধানে। এখন চেলসির অপেক্ষা ফাইনালের প্রতিপক্ষ নিশ্চিতের।

শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েই চমক দেখান চেলসির হুয়াও পেদ্রো। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে জয়ে জোড়া তথা দুটি গোলই এসেছে তার পা থেকে। ঘরের মানুষের কাছেই হেরে গেছে ব্রাজিলের ক্লাবটি।

তিনি প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ১৮ মিনিটে দারুণ এক বাঁকানো শটে। এরপর ৫৬ মিনিটে কাউন্টার-অ্যাটাকে দ্বিতীয় গোল করে নিশ্চিত করেন দলের জয়।

চেলসি ফাইনালে রোববার মুখোমুখি হবে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা প্যারিস সেন্ট জার্মেইয়ের (পিএসজি), যারা দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আজ বুধবার রাতে মুখোমুখি হবে। ফলে ম্যাচটি হতে যাচ্ছে অল ইউরোপ ফাইনাল।