
সেই ২০০৮ সাল থেকেই তথা আইপিএলের প্রথম আসর থেকেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে যাচ্ছেন বিরাট কোহলি। কিন্ত এখন পর্যন্ত জেতা হয়নি শিরোপা। চতুর্থবারের মতো ফাইনালে পা রাখা আরসিবির এবার যে করেই হোক শিরোপা ঘরে তুলতেই চায়।
রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি পাঁচবার করে শিরোপা জিতলেও তাদেরই সতীর্থ কোহলি কখনোই সেই শিরোপা স্পর্শ করতে পারেননি। এবার কেবল কোহলি নয়, পুরো বেঙ্গালুরু শিবির দৃঢ়প্রতিজ্ঞ চ্যাম্পিয়ন হতে। এমনকি পুরো বেঙ্গালুরু দলটা শিরোপা জিততে চায় কোহলির জন্য।
দলের বর্তমান অধিনায়ক রজত পাতিদার জানিয়েছেন, শুধু নিজের জন্য নয়—তারা কোহলির জন্যই ট্রফি জিততে চান। পাতিদারের ভাষায়, ‘কোহলি বেঙ্গালুরুকে অনেক কিছু দিয়েছেন, এবার সময় তাকে কিছু ফেরত দেওয়ার।’
এখন পর্যন্ত তিনবার ফাইনাল খেলেছে কোহলির দল। আইপিএলের দ্বিতীয় আসরে ২০০৯ সালে ডেকান চার্জার্সের কাছে ৬ রানে হেরে যায় বেঙ্গালুরুর। ২০১১ সালে ফের ফাইনালে জায়গা করে নিলেও চেন্নাইয়ের কাছে পরাজিত হয় ৫৭ রানে। সবশেষ ২০১৬ সালে সানরাইজার্সা হায়দরাবাদের বিপক্ষে পরাজয়ের স্বাদ পায় ৮ রানের ব্যবধানে। দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতি শেষে ফাইনালে আবারও উত্তীর্ণ হলো ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
ফাইনালটা হতে যাচ্ছে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে ফাইনাল হলেও আরসিবি অধিনায়ক পাতিদার জানালেন, সমর্থকদের ভালোবাসায় মাঠ হবে যেন নিজেদের ঘরের। ইতিমধ্যে বহু সমর্থক বেঙ্গালুরু থেকে স্টেডিয়ামে গিয়েছেন, যা দলকে বাড়তি অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে।
যে দলই জিতবে সে দলই প্রথমবারের মতো পাবে শিরোপার স্বাদ। আইপিএল এবার পেতে যাচ্ছে নতুন চ্যাম্পিয়ন। সেই ফাইনালের উত্তেজনা ছুঁয়ে গেছে পাঞ্জাবের অধিনায়ক শ্রেয়াস আয়ারকেও। তিনি নিজেই জানিয়েছেন যে, দলকে ফাইনালে তোলার উত্তেজনায় তিনি মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়েছেন।
দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে মুম্বাইয়ের বিপক্ষে নিজের ইনিংসকে আয়ার অভিহিত করেছেন ক্যারিয়ারের সেরা বলে।