
এই মাঠেই ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারার পর বিমর্ষ বিরাট কোহলির চেহারা যেন চেনাই যাচ্ছিল না। অস্ট্রেলিয়ার উদযাপনের ভীড়ে ঘরের মাঠেই শিরোপা ছুঁতে না পারার বেদনায় কেঁদে দেন বিরাট কোহলিরা।
গতরাতে (৩ জুন) একই মাঠে ফের কাঁদলেন কোহলি। তবে এই কান্না কষ্টের নয় আনন্দের। দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার অবসানের। টানা ১৮ বছর ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে খেলে চতুর্থবার ফাইনালে ওঠার পর কোহলি জিতলেন পরম আরাধ্য সেই শিরোপা।
ম্যাচের শেষ বলে পাঞ্জাবের শশাঙ্ক সিং যখন ছক্কা মারলেন, সেটি নিয়ে কারো মাথাব্যথাই ছিল না। ছক্কা নয়, ক্যামেরা বরঞ্চ গুরুত্ব নিয়ে খুঁজে বের করলেন বিরাট কোহলিকে। অধিনায়ক রজত পাতিদার তার দেওয়া কথা রেখেছেন। কোহলির জন্য জিতে নিয়েছেন ট্রফি।
শিরোপা জেতার পর আহমেদাবাদের ঘাসে বসে হাত দিয়ে মুখ ঢেকে অঝোরে কাঁদলেন এই তারকা ব্যাটার। এ সুখের কান্নাটাই তো চেয়েছিলেন এই কিংবদন্তী।
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালে হারের পর গ্যালারিতে থাকা কোহলির সহধর্মিণী আনুশকা শর্মা তাকে জড়িয়ে ধরে দিয়েছিলেন সান্ত্বনা। গতরাতেও বেঙ্গালুরু শিরোপা জয়ের রাতেও কোহলিকে আলিঙ্গন করেন আনুশকা। এবারের আলিঙ্গনটা সুখের এবং উদযাপনের।
আইপিএলের ১৮ মৌসুমের সব মৌসুমেই বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলেছেন কোহলি। সেই দল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর যেন ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন কোহলি, ‘এই জয় দলের যতটা, ভক্ত-সমর্থকদেরও ততটা। ১৮ বছরে আমি আমার যৌবন, ক্যারিয়ারের সেরা সময় ও অভিজ্ঞতা সবই কাজে লাগিয়েছি। প্রতি মৌসুমেই জেতার চেষ্টা করেছি। নিজের সর্বোচ্চটা দিয়েছি। অবশেষে সেই মুহূর্তটা এল। এই অনুভূতি অসাধারণ। এমন দিন যে আসবে, কখনোই কল্পনা করিনি।’
দলের বাকি সতীর্থরাও বারবার বন্দনা দিয়েছেন কোহলিকে। জিতেশ শর্মা, জশ হ্যাজলউড থেকে শুরু করে বেঙ্গালুরুর মেন্টর দিনেশ কার্তিক সবার মুখেই কোহলির নাম।
সবার এমন ভালোবাসা পেয়ে ভারতীয় এই ব্যাটার আরও বেশি আবেগপ্রবণ হয়ে কোহলি বলেন, ‘আমি সব সময় এই শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখেছি। শিরোপা জয়ের চেয়েও আমার কাছে এই মুহূর্তটা বিশেষ। কারণ, আমার হৃদয় বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আত্মা বেঙ্গালুরুর সঙ্গে। আমি যেমনটা বলেছি, আইপিএল ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত বেঙ্গালুরুর হয়েই খেলব।’