ঢাকা ২৫ আষাঢ় ১৪৩২, বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
English

ফুটবলে ঈদের দিন

প্রকাশ: ১১ জুন ২০২৫, ১০:৩০ এএম
আপডেট: ১১ জুন ২০২৫, ০২:৫৩ পিএম
ফুটবলে ঈদের দিন
ছবি : সংগৃহীত

দেশের ফুটবলে মঙ্গলবার ছিল ঈদের দিনের মতোই। ঈদকে সামনে রেখে যেমন অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া হয়ে থাকে। নতুন নতুন জামা-কাপড় কেনা, মুখরোচক খাবারের ব্যবস্থা করা। বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুরের ম্যাচকে ঘিরে তেমনই এক পরিবেশ তৈরি হয়। গতকালের ম্যাচকে সামনে রেখে টিকিটের জন্য দৌড়ঝাঁপ, অনলাইনে টিকিট কেনার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়া, সেখানে যারা টিকিট পাননি, তারা টিকিটের জন্য বিভিন্ন জনের কাছে ধরনা দেন। এখানেও কেউ সফল হয়েছেন, কেউ হয়েছেন হতাশ। এটিতো গেল শুধু টিকিটের পর্ব। প্রায় সাড়ে ৪ বছর মেরামত করে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়ামকে তৈরি করা হয়েছে নববধূর সাজে।

এদিকে এই ম্যাচকে সামনে রেখে বাফুফে নেয় ব্যাপক প্রস্তুতি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রস্তুতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। সব মিলিয়ে ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম ও এর আশপাশ এলাকা ছিল শুধুই ফুটবলময়। ফুটপাত ছিল পরিষ্কার। বাফুফে আগেই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল দর্শকদের জন্য গেট উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে বেলা ২টায়। কিন্তু তারও অনেক আগে থেকেই দর্শকদের লম্বা লাইন। ঢাকার ফুটবল মানেই কিশোর-যুবক-তরুণ অর্থাৎ পুরুষদের উপস্থিতি। সেখানে গতকাল ছিল চোখে পড়ার মতো মেয়েদের উপস্থিতি। সর্বত্রই ছিল একটি উৎসবমুখর পরিবেশ। এমন পরিবেশ ঢাকার ফুটবলের স্বর্ণযুগেও ছিল না, যখন আবাহনী-মোহামেডানের টানে দেশ দুই ভাগ হয়ে যেত, ঘরের মধ্যে ভাইয়ে ভাইয়ে, পিতা-পুত্রে চলত তুমুল বাদানুবাদ। তবে গতকাল কোনো বিবাদ ছিল না। সবাই ছিলেন এক বিন্দুতে মিলিত। লাল-সবুজের সমর্থক।

বাংলাদেশের ফুটবলে দর্শকদের এই জোয়ার বলা যায় হঠাৎ করেই, যার শুরুটা হয় ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। আর এর কারিগর ছিলেন হামজা নামে এক বাঁশিওয়ালা। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ ফুটবলারই সবার মনে নতুন করে ঝড় তুলেন। যে ঝড়ের ঢেউ ক্রমেই বেড়েছে। ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৫ মার্চ। দেশের বাইরে ম্যাচ হওয়ার পরও সেই ম্যাচ নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে সে কী আগ্রহ। হামজার চোখধাঁধানো ফুটবলশৈলী সবাইকে মন্ত্রমুগ্ধ করে। দুর্দান্ত খেলে বাংলাদেশ ম্যাচটি ড্র করেছিল। তখন থেকেই সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে আগ্রহের মাত্রা বেড়ে যায়, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে গতকাল।

ঢাকা জাতীয় স্টেডিয়াম থেকে ক্রিকেট চলে যাওয়ার পর গতকালকের আগে যেকোনো ধরনের ম্যাচকে সামনে রেখে এভাবে স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হতে দেখা যায়নি। স্টেডিয়ামে সম্পূর্ণ চেয়ার বসানোর কারণে আসন সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছিল। ১৮ হাজার ৩০০ গ্যালারি টিকিট অনলাইনে বিক্রির জন্য ছাড়া হয়েছিল। ভিআইপি মিলিয়ে মোট আসন সংখ্যা ছিল প্রায় ২১ হাজারের মতো। কিন্তু আসন সংখ্যা পূর্ণ হওয়ার পরও প্রচুর দর্শক দাঁড়িয়ে খেলা দেখেছেন। তারা মাঠে প্রবেশ করতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। স্টেডিয়ামে প্রবেশ করার মূল গেট ছিল চারটি। এক একটি গেটের লাইনের শেষ প্রান্ত দেখা যায়নি। বায়তুল মোকাররম প্রান্তে ছিল ৪ নম্বর গেটের প্রবেশপথ। এই পথের লাইনে দৈনিক বাংলা ছাড়িয়ে রাজউক অ্যাভিনিউয়ের দিকে চলে যায়। লম্বা লাইন হলেও সবাই ছিলেন শৃঙ্খলাবদ্ধ। কোনো রকমের হুড়াহুড়ি করতে দেখা যায়নি। সবাই সারিবদ্ধভাবেই প্রবেশ করেন। এর মধ্যে এক পসরা বৃষ্টি হলেও কেউ লাইন ছেড়ে যাননি। বৃষ্টিতে ভিজে তারা প্রবেশ করেন।

বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ম্যাচ দর্শকদের মধ্যে কতটা প্রভাব বিস্তার করেছিল তা বুঝা যায় বাংলাদেশ, ফুটবল দলের সমর্থক গোষ্ঠী আলট্রাসের অনেক সদস্য নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে জোর করে স্টেডিয়ামে ঢুকে পড়ায়। তারা সবাই অবশ্য ঢুকতে পারেননি। তার আগে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে অনেককে বের করে দেন। তারা বাফুফের কাছে টিকিটি চেয়েও পাননি। কয়েকদিন বাফুফে ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। সব সময় যখন গ্যালারি ফাঁকা থাকত, তখনো স্টেডিয়ামে আলট্রাসের সদস্যরা স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলোয়াড়দের উৎসাহ জোগাতেন।

ফুটবল খেলার থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণ বিগত সময় ঘরোয়া কিংবা আন্তর্জাতিক যেকোনো ম্যাচ স্টেডিয়াম অনেকটা ফাঁকাই থাকত। কাল অনেকেই এসেছেন প্রথমবারের মতো। এমনই কয়েকজন এসেছিলেন ধানমন্ডিতে থেকে। জাভেদ, মিনহাজ, হারিস, আসলাম প্রথমবার এসে খুবই আনন্দিত। তারা ফুটবল খেলা পছন্দ করেন। সব সময় ইউরোপের খেলা দেখে থাকেন রাত জেগে। তাদের আসার কারণ হামজা চৌধুরী। খবরের কাগজকে জানালেন জয় দিয়েই তাদের অভিষেক হবে। ফুটবলের এই জোয়ারটা বজায় থাকবে। নিয়মিত আসবেন খেলা দেখতে। বসুন্ধরা থেকে বাবার সঙ্গে এসেছে ১২-১৩ বছরের আইমান। ফুটবল তার প্রথম পছন্দ। নিজেও খেলে ফুটবল। হামজাকে তার খুব ভালো লাগে। তার খেলা সামনাসামনি দেখতেই বাবার কাছে মাঠে যাওয়ার বায়না ধরে। খেলাপাগল ছেলের আবদার রাখতে বাবাও সঙ্গী হন আইমানের। মগবাজার থেকে আসেন নাইমুল, ফাইয়াজ ও ইশরা। ইশরা প্রথমবার এসেছেন। বাকি দুজন ২০১৮ সালে সর্বশেষ এসেছিলেন। ইশরা এসেছেন সখের বশে। ক্রিকেট খেলা দেখতেও তিনি মাঠে গিয়ে থাকেন। নাইমুল বলেন, ‘আমি এক সময় নিয়মিত এই মাঠে ফুটবল খেলা দেখেছি। সর্বশেষ এসেছিলাম ২০১৮ সালে। অনেক দিন পর আবার আসলাম। আগামীতেও নিয়মিত আসব।’

খেলা দেখতে এসেছিলেন বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম, মঞ্জুরুল আলম। সঙ্গে ছিলেন আরও বেশ কয়েকজন। ভিআইপি ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করতে গিয়েও তারা পারেননি। এ সময় আলট্রাসের সদস্যরা বিক্ষোভ করেছিলেন। পরে ২ নম্বর গেট দিয়েও গাড়ি নিয়ে ঢুকতে না পেরে গাড়ি থেকে নেমে হেঁটে স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। গাড়ি পাঠিয়ে দেন মোহামেডান ক্লাবে।

টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
টেস্টের পর ওয়ানডে সিরিজও হারল বাংলাদেশ
ছবি: সংগৃহীত

একটা জয়ে ফিরতে পারে হারানো আত্মবিশ্বাস- এমন ধারণা ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে। হ্যাঁ, প্রয়োজনীয় সেই জয়ে এসেছে কিন্তু বাংলাদেশ হয়নি আত্মবিশ্বাসী। ফলস্বরূপ লঙ্কান দ্বীপে আরও একটি সিরিজ হারের গল্প লিখেছে টিম টাইগার্স।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ক্যান্ডিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডে ৯৯ রানের ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে স্বাগতিকরা তাদের খাতায় যোগ করে ৭ উইকেটে ২৮৫। লক্ষ্য তাড়ায় কখনোই জয়ের পথে ছিল না বাংলাদেশ। নিদারুণ ব্যাটিংয়ে ৩৯.৪ ওভারে অলআউট হয় ১৮৬ রানে।

শ্রীলঙ্কার মাটিতে কখনোই ওয়ানডে সিরিজ জিতেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। এ যাত্রায় কলম্বোয় প্রথম ওয়ানডে হারে ৭৭ রানে। একই ভেন্যুতে ১৬ রানের জয়ে সমতায় ফেরে সফরকারীরা। তাতে প্রথমবার সিরিজ জয়ের সুযোগ আসে। তবে আত্মবিশ্বাস হারানো বাংলাদেশ দল আরও একবার ব্যর্থ হলো ২২ গজে।

লক্ষ্য তাড়ায় টাইগার ব্যাটাররা উপহার দেয় উদাসীন ব্যাটিং। দায়িত্ব নিয়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি কেউই। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তাওহিদ হৃদয়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস খেলেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এবং অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ। সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত মারেন ডাক। শ্রীলঙ্কার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন আসিথা ফার্নান্দো এবং দুস্মান্থা চামিরা। দুনিথ ভাল্লালাগে এবং ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ২টি করে পান।

১-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হেরে শ্রীলঙ্কা সফর শুরু করে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ হারল ২-১ ব্যবধানে। এরপর তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দুই দল, যা শুরু হবে আগামী ১০ জুলাই।

 

কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

ছোট ছোট জুটি গড়ে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। ১০০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ভারসাম্য হারালেও এখন আবার ঠিকঠাক এগোচ্ছে কুশল মেন্ডিসের ব্যাটে। ৩৪ ওভারের খেলা শেষে স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮২ রান।

দলীয় ১৩ রানে তানজিম হাসান সাকিবের বলে নিশান মাদুশাঙ্কা ১ রান করে ক্যাচ দেন নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। তৃতীয় উইকেটে ৫৬ রানের জুটি গড়েন পাথুম নিশাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস। 

সেই জুটিতে দলীয় ৬৯ রানে বাধ সাধেন আগের ম্যাচে ফাইফার নিয়ে নায়ক বনে যাওয়া তানভীর ইসলাম। বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় বাউন্ডারি পারভেজ হোসেন ইমনের হাতে ধরা পড়েন ৩৫ রান করা নিশাঙ্কা।

এরপর আরও একটি ছোট জুটি হয় কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে কুশল মেন্ডিসের। দুই মেন্ডিসের জুটি ভাঙেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। ৩১ রানের জুটিটি ভাঙে কামিন্দু মিরাজের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়লে। ১০০ রানে তাতে তৃতীয় উইকেটের পতন ঘটে।।

তবে একপ্রান্ত আগলে রাখা কুশল মেন্ডিস ইঙ্গিত দিচ্ছেন দলের বড় সংগ্রহের। অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাকে নিয়ে এখন পর্যন্ত গড়েছেন ৮২ রানের জুটি। ৮৫ রানে অপরাজিত কুশল অপেক্ষায় আছেন ক্যারিয়ারের ষষ্ঠ ওয়ানডে শতকের। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান আসালাঙ্কা অপরাজিত আছেন ৪২ রানে।

বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৪:৫১ পিএম
বাবর-শাহিনদের ছাড়াই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান দল
ছবি : সংগৃহীত

চলতি মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে পাকিস্তান। বাংলাদেশের মাটিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে দলটি। সেই সিরিজকে সামনে রেখে স্কোয়াড ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। 

ঘোষিত এই স্কোয়াডে জায়গা হয়নি বাবর আজম, শাহিন শাহ আফ্রিদি ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের। বেশ কিছুদিন ধরেই তারা উপেক্ষিত পাকিস্তান দলে।

১৫ সদস্যের স্কোয়াডের নেতৃত্বে রয়েছেন যথারীতি সালমান আলী আঘা। দলে ফিরেছে মোহাম্মদ নওয়াজ, আব্বাস আফ্রিদি ও সুফিয়ান হাকিম। নতুন মুখ সালমান মির্জা। 

চোটে পড়ে দলে সুযোগ পাননি পেসার হারিস রউফ। ঘরের মাঠে অবশ্য তিনি খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে। টানা তিন সিরিজে দলে রাখা হয়নি বাবর, রিজওয়ান ও শাহিনকে।

আগামী ১৬ জুলাই ঢাকা আসবে পাকিস্তান দল। মিরপুর শেরেবাংলায় ম্যাচ তিনটি হবে ২০,২২ ও ২৪ জুলাই। সবগুলো ম্যাচ শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। 

পাকিস্তানের মাটিতে গিয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। লড়াইটা এবার তাই প্রতিশোধেরও!

পাকিস্তান স্কোয়াড: সাইম আইয়ুব, ফখর জামান, মোহাম্মদ হারিস, হাসান নাওয়াজ, সালমান আলী আগা (অধিনায়ক), মোহাম্মদ নাওয়াজ, খুশদিল শাহ, ফাহিম আশরাফ, আব্বাস আফ্রিদি, আবরার আহমেদ, সাহিবজাদা ফারহান, হুসাইন তালাত, সুফিয়ান মুকিম, আহমেদ দানিয়াল ও সালমান মির্জা।

ক্লাব বিশ্বকাপ এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩৪ পিএম
এবার ফাইনালে ওঠার লড়াই
ছবি : সংগৃহীত

৩২ দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এখন এসে দাঁড়িয়েছে শেষ চারে। শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে আছে চার দল-ফ্লুমিনেন্স, চেলসি, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে থেকেই উঠে আসবে এবারকার বিশ্বসেরা ক্লাব।

সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার রাতে মাঠে নামবে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও ইংলিশ ক্লাব চেলসি। আর এক দিন পর, বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। 

টুর্নামেন্টে ব্রাজিল থেকে অংশ নিয়েছিল চারটি ক্লাব। গ্রুপ পর্বে তারা সবাই দারুণ চমক দেখিয়ে পৌঁছায় শেষ ষোলোয়। সেখান থেকে ফ্লুমিনেন্স ও পালমেইরাস জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও পালমেইরাস থেমে যায় শেষ আটেই, একমাত্র ব্রাজিলিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে এখন টিকে আছে কেবল ফ্লুমিনেন্স।

অন্যদিকে, ইউরোপীয় দলগুলোর শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের মেলে ধরেছে। শেষ ষোলো থেকে নিজেদের চেনা ছন্দে ফেরে রিয়াল, চেলসি ও পিএসজি। ফলাফল, শেষ চার দলের তিনটিই ইউরোপের।

এ পরিস্থিতিতে একটি অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালের সম্ভাবনা যেমন জোরালো, তেমনি দক্ষিণ আমেরিকা বনাম ইউরোপ মহারণেরও সুযোগ আছে। আর সেটা হতে হলে আজ চেলসিকে হারাতে হবে ফ্লুমিনেন্সকে।

শেষ ষোলোয় ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্লুমিনেন্স। সেই পারফরম্যান্স যদি আবার ফুটে ওঠে, তবে চেলসির পথ কঠিন হতে পারে। এখন দেখার, ফ্লুমিনেন্স কি পারবে আরেকটি চমক উপহার দিতে?

কার হাতে উঠবে গোল্ডেন বুট?

টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতার খেতাব গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়েও জমে উঠেছে উত্তেজনা। এ মুহূর্তে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দুই নাম রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া এবং চেলসির উইঙ্গার পেদ্রো নেতো।

২১ বছর বয়সী গার্সিয়া যেন এই বিশ্বকাপের বিস্ময়! রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই রেখেছেন সরাসরি অবদান, ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট। তার পারফরম্যান্স বলছে, গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। গার্সিয়ার মতো ৪ গোল করে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দো এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি। অর্থাৎ তাদের গোলসংখ্যা বাড়ার আর সুযোগ নেই।

তবে গার্সিয়ার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন একমাত্র টিকে আছেন পেদ্রো নেতো। তিনিও করেছেন ৩ গোল। চেলসি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে এবং নেতো নিজেও ছন্দে থাকেন, তাহলে তিনিও দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন গার্সিয়ার সঙ্গে।

অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা

প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৩০ পিএম
আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম
অলিখিত ফাইনালে আগে ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কা
ছবি : সংগৃহীত

পাল্লেকেলেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। এই ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লঙ্কান অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কা।

মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বাংলাদেশ সময় বেলা ৩টায় মাঠে গড়াবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডে।

বাংলাদেশ একাদশে আছে এক পরিবর্তন। গত ম্যাচে ওয়ার্কলোডের কারণে বিশ্রামে থাকা তাসকিন আহমেদ একাদশে ফিরেছেন।

এক ম্যাচ বিরতি দিয়ে একাদশে ফিরেছেন এই ডানহাতি পেসার। অন্যদিকে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে ছিল খানিকটা দুশ্চিন্তা। ম্যাচের আগে ফিটনেস টেস্টে উতরে যাওয়ায় তাকে একাদশে রেখেছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে শ্রীলঙ্কার একাদশে কোনো পরিবর্তন নেই।

বাংলাদেশ একাদশ

তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম পাটোয়ারী, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, জাকের আলী অনিক, তানজিম হাসান সাকিব, তাসকিন আহমেদ, তানভীর ইসলাম ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ

পাথুম নিশাঙ্কা, নিশান মাদুশকা, কুশল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, জেনিথ লিয়ানেগে, দুনিথ ভেল্লালেগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মহেশ থিকসানা, দুশমন্থ চামিরা ও আসিথা ফার্নান্দো।