৩২ দলের রোমাঞ্চকর লড়াই শেষে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ এখন এসে দাঁড়িয়েছে শেষ চারে। শিরোপা জয়ের দৌড়ে টিকে আছে চার দল-ফ্লুমিনেন্স, চেলসি, পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ। এর মধ্যে থেকেই উঠে আসবে এবারকার বিশ্বসেরা ক্লাব।
সেমিফাইনালের প্রথম ম্যাচে আজ মঙ্গলবার রাতে মাঠে নামবে ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও ইংলিশ ক্লাব চেলসি। আর এক দিন পর, বুধবার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হবে দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট পিএসজি ও রিয়াল মাদ্রিদ।
টুর্নামেন্টে ব্রাজিল থেকে অংশ নিয়েছিল চারটি ক্লাব। গ্রুপ পর্বে তারা সবাই দারুণ চমক দেখিয়ে পৌঁছায় শেষ ষোলোয়। সেখান থেকে ফ্লুমিনেন্স ও পালমেইরাস জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। যদিও পালমেইরাস থেমে যায় শেষ আটেই, একমাত্র ব্রাজিলিয়ান প্রতিনিধি হিসেবে এখন টিকে আছে কেবল ফ্লুমিনেন্স।
অন্যদিকে, ইউরোপীয় দলগুলোর শুরুটা কিছুটা নড়বড়ে হলেও সময়ের সঙ্গে তারা নিজেদের মেলে ধরেছে। শেষ ষোলো থেকে নিজেদের চেনা ছন্দে ফেরে রিয়াল, চেলসি ও পিএসজি। ফলাফল, শেষ চার দলের তিনটিই ইউরোপের।
এ পরিস্থিতিতে একটি অল-ইউরোপিয়ান ফাইনালের সম্ভাবনা যেমন জোরালো, তেমনি দক্ষিণ আমেরিকা বনাম ইউরোপ মহারণেরও সুযোগ আছে। আর সেটা হতে হলে আজ চেলসিকে হারাতে হবে ফ্লুমিনেন্সকে।
শেষ ষোলোয় ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল ফ্লুমিনেন্স। সেই পারফরম্যান্স যদি আবার ফুটে ওঠে, তবে চেলসির পথ কঠিন হতে পারে। এখন দেখার, ফ্লুমিনেন্স কি পারবে আরেকটি চমক উপহার দিতে?
কার হাতে উঠবে গোল্ডেন বুট?
টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতার খেতাব গোল্ডেন বুট জয়ের লড়াইয়েও জমে উঠেছে উত্তেজনা। এ মুহূর্তে প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে আলোচনায় থাকা দুই নাম রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ ফরোয়ার্ড গনসালো গার্সিয়া এবং চেলসির উইঙ্গার পেদ্রো নেতো।
২১ বছর বয়সী গার্সিয়া যেন এই বিশ্বকাপের বিস্ময়! রিয়ালের হয়ে এখন পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচেই রেখেছেন সরাসরি অবদান, ৪ গোল ও ১ অ্যাসিস্ট। তার পারফরম্যান্স বলছে, গোল্ডেন বুট জয়ের দৌড়ে তিনিই সবচেয়ে এগিয়ে। গার্সিয়ার মতো ৪ গোল করে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই বিদায় নিয়েছেন বেনফিকার আনহেল দি মারিয়া, আল হিলালের মার্কোস লিওনার্দো এবং বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের সেরহু গিরাসি। অর্থাৎ তাদের গোলসংখ্যা বাড়ার আর সুযোগ নেই।
তবে গার্সিয়ার এই প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এখন একমাত্র টিকে আছেন পেদ্রো নেতো। তিনিও করেছেন ৩ গোল। চেলসি যদি ফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারে এবং নেতো নিজেও ছন্দে থাকেন, তাহলে তিনিও দারুণভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন গার্সিয়ার সঙ্গে।