ছবি : সংগৃহীত
বাংলাদেশ ক্রিকেটের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটার নাম সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করে তিন সংস্করণেই ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরান্ডারদের একজনও তিনি। বাংলাদেশ দলকে অসংখ্য ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাইরে আছেন জাতীয় দলের।
সাকিব না থাকায় মাঠের পারফরম্যান্সে ভুগতেও দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। তিনি দলে থাকলে স্কোয়াড ও একাদশ দুটোই পরিপূর্ণ হয়। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অপরিহার্য একজন সদস্যকে ছাড়া দল সাজাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনও জানালেন, সাকিব ছাড়া দলের ভারসাম্যে কতটা কঠিন।
সাকিব না থাকায় একাদশ সাজানো নিয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের বিলাসিতা করার সুযোগ থাকে না। অনেক সময় ব্যাটার কম, অনেক সময় বোলার কম। সাকিব থাকাকালে বিলাসিতার সুযোগ ছিল, একটা অতিরিক্ত ব্যাটার বা বোলার খেলাতে পারতাম।’
দল গঠন একটা জটিল প্রক্রিয়া। সেই বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন সালাহউদ্দীন, ‘দলের শক্তি অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই টিম সেটআপ করি। আমরা জানি, নাসুমকে খেলালে বেনিফিট হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে বা অন্য কাউকে। সব দিক ব্যালেন্স করে দল করতে হয়। যেহেতু ব্যাটিংয়েও তাকাতে হয়—ব্যাটার কতজন আছে, কে ফর্মে বা অফ ফর্মে আছে—তাই যেটাই করি, সবাই মিলেই করি। চেষ্টা করি সম্ভাব্য সেরা একাদশ খেলানোর।’
টিম ম্যানেজমেন্টকেও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে এই চ্যালেঞ্জের সামনে। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমাদের সব সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যেই থাকতে হয়। মেনে নিতে হয়, দলের জন্য মানানসই না কিন্তু মেনে নিতে হয়। যে খেলোয়াড় থাকে ওদের থেকেই সেরাটা নেওয়ার চেষ্টা করি। চাইলেই তো অনেক কিছু করতে পারবেন না। কে কোন ফরম্যাটে আছে এসব ভাবলে খুবই কঠিন। একটা কাঠামোর ভিত্তিতে আসলে ভালো হবে। শ্রীলঙ্কা দলে টেস্ট থেকে ওয়ানডে দলে, বা টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। আমাদের অনেক পরিবর্তন হয়। পাঁচটা খেলোয়াড় যায় আবার পাঁচটা খেলোয়াড় আসে। ১-২ দিনের মধ্যে তাদের দলে মানিয়ে নিতে হয়। বিলাসী হওয়ার সুযোগ নেই। চেষ্টা করব দল যেন স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আসে।’