
ক্লাব বিশ্বকাপ দিয়েই রিয়ালের কোচ হিসেবে যাত্রাটা সুখকর হয়নি জাবি আলোনসোর। সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র হয় ম্যাচটি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে এসে স্বস্তির জয়ের দেখা মিলেছে রিয়ালের। এতে করে কিছুটা নির্ভার হয়েছেন এই স্প্যানিশ কোচও।
ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকান ক্লাব পাচুয়ার জয়ের জন্য মরিয়া ছিল আলোনসো ও তার শীষ্যরা। আলোচনায় এসেছিলেন অনুশীলনে ড্রোন ব্যবহার করেও। যা কিনা স্পষ্ট করেছিল ম্যাচ জেতার ব্যাপারে কোচ কতটা সিরিয়াস ছিলেন।
মেক্সিকান ক্লাবটি বিপক্ষে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। তবে এই জয় পাওয়াটাও সহজ ছিল না মোটেও। বলতে গেলে প্রায় পুরো ম্যাচই ১০ জন নিয়ে খেলতে হয়েছিল স্প্যানিশ ক্লাবটিকে। মাত্র সপ্তম মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রিয়ালের সেন্টার ব্যাক রাউল অ্যাসেনসিও।
প্রতিপক্ষের সলোমন রনডনকে বক্সের বাইরে ফাউল করে বিপদ ডেকে আনেন অ্যাসেনসিও। এই ফাউলেই লাল কার্ড দেখেন তিনি। ফলে বেড়ে যায় দলের বিপদ।
১ জন কম নিয়ে খেলা মাদ্রিদকে তাই কঠিন পরীক্ষাই দিতে হয়েছে মাঠে। ম্যাচে বল দখলে এগিয়ে থেকেও ব্যস্ত থাকতে হয়েছে পুঁচকে ক্লাব পাচুয়ার আক্রমণ সামাল দিতে। ম্যাচজুড়ে মেক্সিকান ক্লাবটি ২৫ শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ১১টি। যার ১০টি শটই রুখে দেন থিবো কোর্তোয়া। যা ক্লাব বিশ্বকাপে এক ম্যাচে কোনো গোলরক্ষকের সর্বোচ্চ সেভ।
একের পর এক আক্রমণ করলেও জয়ের হাসি হাসতে পারেনি পাচুয়া। অন্যদিকে, নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ৮ শট নিয়ে গোল করেছে তিনটি। ১০ জন নিয়ে খেলেও পেয়ে গেছে কাঙ্ক্ষিত জয়ের দেখা।
রিয়াল প্রথম গোলটি করে ম্যাচে ৩৫ মিনিটে। দুর্দান্ত ফিনিশিংয়ে রিয়ালকে এগিয়ে দেন জুড বেলিংহাম। ব্যবধান দ্বিগুণ হয় ৪৫ মিনিটে। এবার গোল করেন আর্দা গুলের। শেষ গোলটি আসে বিরতির পর ৭০ মিনিটে ভালভের্দের পা থেকে।
একের পর এক আক্রমণ চালানো পাচুয়া একটি গোল করতে সমর্থ হয় শেষ দিকে ৮০ মিনিটে। পাচুয়ার হয়ে মন্তিয়েল করেন সেই গোল। তবে সেটি শুধু ব্যবধানই কমিয়েছে।
২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে রিয়ালের পয়েন্ট এখন ৪। উঠে এসেছে গ্রুপ এইচ এর শীর্ষে। সমান ম্যাচে সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে গোলব্যবধানে পিছিয়ে দুইয়ে আছে সালজবুর্গ।