ঢাকা ১ শ্রাবণ ১৪৩২, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫
English

আকাশে আগুন, মাঠে কান্না

প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ১১:২১ এএম
আকাশে আগুন, মাঠে কান্না
ছবি : সংগৃহীত

গাজা, লেবানন থেকে ইরান পর্যন্ত ছড়িয়েছে ইসরায়েলের ধ্বংসযজ্ঞ। তারই বিরূপ প্রভাব পুরো মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার ক্রীড়াঙ্গনে। অনেক ক্রীড়াবিদ আটকে পড়েছেন, আবার কেউ কেউ প্রাণ হারিয়েছেন বিমান হামলায়। ধ্বংসাত্মক যুদ্ধে হারিয়ে যাচ্ছে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন, প্রতিভা ও সাংস্কৃতিক চেতনাও। কারণ যুদ্ধ শুধু মানুষের জীবন নয়, তাদের আশা, পরিচয় ও ভবিষ্যতকেও ধ্বংস করে দেয়।

মৃত্যুর সঙ্গে বসত তারেমির

ইরানি ফরোয়ার্ড মেহেদি তারেমি। ইন্টার মিলানের তারকা ফুটবলার। তিনি আটকা পড়েছে জন্মভূমিতে। খেলা হচ্ছে না ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে। আকাশপথের যুদ্ধে ইরান তাদের আকাশসীমা বন্ধ করে দিয়েছে, তাই ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকার তেহরান ছাড়তে পারছেন না। ইসরায়েলের বিমান হামলায় ইরানের সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত হানার পর সব ফ্লাইট স্থগিত হয়ে যায়। এরপর পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে পূর্ণমাত্রার সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে, যেখানে রকেট ও বিমান হামলা পাল্টাপাল্টি চালানো হচ্ছে।

মেহেদি তারেমি এখন পরিবারসহ বাড়িতেই আটকে আছেন। এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘তারেমির ক্লাব ইন্টার মিলান ইতালিতে অবস্থিত ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে, খেলোয়াড়কে মানসিকভাবে সান্ত্বনা দেওয়া এবং একটি সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, যদিও বর্তমানে তা প্রায় অসম্ভব। বর্তমানে নিরাপদ স্থানে রয়েছেন এবং বোমা হামলার ঝুঁকি থেকে নিরাপদে আশ্রয়ে আছেন।’ গত সোমবার নিজের ইনস্টাগ্রামে তারেমি একটি স্টোরি পোস্ট করেন, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, ‘ইরানকে একা থাকতে দিন।’

ক্লাব বিশ্বকাপে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার ক্লাবগুলোও অংশ নিচ্ছে, যেমন- আল আহলি (মিশর), এসপেরান্সে দে তিউনিস (তিউনিসিয়া), ওয়াইদাদ কাসাব্লাঙ্কা (মরক্কো) এবং আল-আইন (সংযুক্ত আরব আমিরাত)। যুদ্ধের ছায়া যেমন মাঠের বাইরে তারেমিদের আটকে রেখেছে, তেমনি মাঠের ভেতরে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দলগুলো বিশ্বসেরা ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে সম্মানজনক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তবে এই টুর্নামেন্টে তাদের জন্য পথ সহজ নয়- প্রতিটি ম্যাচই যেন বেঁচে থাকার লড়াই, ঠিক যেমনটা হচ্ছে মাঠের বাইরের বাস্তবতায়।

মাঠে ও পথে প্রাণ যাচ্ছে ক্রীড়াবিদদের

১৩ জুন তেহরানে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে ছিল এক কিশোর তায়কোয়ানদো শিক্ষার্থী ও একজন উদীয়মান প্যাডেল খেলোয়াড়। সামরিক স্থাপনার বাইরেও বিস্তৃত এই হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে বসতবাড়ি ও পারিবারিক এলাকা। এতে বহু বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।

আমির আলি আমিনি, ফার্স প্রদেশের তায়কোয়ানদো অ্যাসোসিয়েশন যাকে ‘একজন অঙ্গীকারবদ্ধ তরুণ শিক্ষার্থী’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। তেহরানের শহিদ চামরান নোবোনিয়াদ কমপ্লেক্সে হামলায় এই কিশোর প্রাণ হারায়। তার বাবা রেজা আমিনি, গুরুতর আহত হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান। প্রাণঘাতী হামলায় নিহত হন ২০ বছর বয়সী প্যাডেল খেলোয়াড় পারসা মনসুর, যিনি ইরানের উদীয়মান তরুণ প্রতিভাদের অন্যতম হিসেবে বিবেচিত হতেন। ইরান টেনিস ফেডারেশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই তরুণ খেলোয়াড় নিহত হন অনুশীলন শেষে বাসায় ফেরার পথে।’

এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় স্পষ্ট হয়ে উঠছে- রাজনৈতিক সংঘাত শুধু সীমান্তে নয় বরং খেলাধুলার মতো আশার ক্ষেত্রগুলোতেও তরুণ-সম্ভাবনাময়দের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে।

২৭৩টির বেশি ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস, ৭০০-এর বেশি ক্রীড়াবিদ নিহত

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ফিলিস্তিনি জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক আহমেদ আল-মুফতি। তিনি হচ্ছেন শত শত ক্রীড়াবিদের মধ্যে একজন, যারা ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলমান যুদ্ধের মধ্যে নিহত হয়েছেন। আল-মুফতি জাবালিয়া ইয়ুথ ক্লাবের হয়েও খেলতেন এবং ফিলিস্তিনি ভলিবলে ছিলেন অন্যতম পরিচিত মুখ। ফিলিস্তিনি স্পোর্টস মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের (পিএসএমএ) তথ্য অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে এখন পর্যন্ত ৭০০-এর বেশি ফিলিস্তিনি ক্রীড়াবিদ নিহত হয়েছেন এবং নিহতদের মধ্যে অন্তত ৯৫ জন শিশু ক্রীড়াবিদ।

ফিলিস্তিনি জাতীয় ভলিবল দলের অধিনায়ক আল-মুফতির মৃত্যুর পর আরও দুই ক্রীড়াবিদের মৃত্যুর খবর উঠে এসেছে। তারা হলেন হ্যান্ডবল কোচ আহমাদ হারুন ও খেলোয়াড় আনাস আল-দেবজি। চলতি বছরের শুরুতে পৃথক দুটি হামলায় তারা নিহত হন। হারুন নিহত হন নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে তার নিজ বাড়িতে চালানো গোলাবর্ষণে, আর আল-দেবজি প্রাণ হারান যখন একটি বিমান হামলায় দেইর আল-বালাহতে তার বাড়িতে আঘাত হানে।

ফিলিস্তিনি স্পোর্টস মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (পিএসএমএ) জানিয়েছে, চলমান যুদ্ধের কারণে গাজার অন্তত ২৭৩টি ক্রীড়া অবকাঠামো ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম এবং ক্রীড়া ক্লাবের ভবন।

আগস্টে ভারত আসবে না তাই নতুন কিছু ভাবছে বিসিবি

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৫:৪৯ পিএম
আগস্টে ভারত আসবে না তাই নতুন কিছু ভাবছে বিসিবি
ছবি : সংগৃহীত

আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান দল। সেই সিরিজ শেষে আগস্টে ঘরের মাঠে ভারতের বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেটি আপাতত হচ্ছে না। 

ভারত এই মুহূর্তে বাংলাদেশ সফরে আসতে না চাওয়ায় সেই সময়টা কোনো সিরিজ না রাখার কথা বলেছিল বিসিবি এতদিন। কিন্তু আজ (১৬ জুলাই) ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম জানালেন ভিন্ন কথা।

আগস্টের ওই ফাঁকা সময়ে জাতীয় দলের জন্য নতুন কোনো দলকে খুঁজছে বিসিবি সিরিজ আয়োজনে। চেষ্টা রয়েছে দেশের বাইরে কোনো সিরিজ আয়োজনেরও। কিছুই সম্ভব না হলে ‘এ’ দলের সঙ্গে জাতীয় দলের ম্যাচ আয়োজনের ভাবনা বিসিবির।

বুধবার (১৬ জুলাই) মিরপুরে সাংবাদিকদের নাজমুল আবেদীন ফাহিম বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, ওই সময়টায় আমরা ইন্টারনালি কিছু ম্যাচের আয়োজন করতে পারি কি না। এর আগেও আমরা এ রকম করেছি। “এ” দলের সঙ্গে খেলেছিল জাতীয় দল। সে রকম একটা কিছু। এটা ছিল আমাদের আগের পরিকল্পনা।’

এরপর তিনি জানিয়েছেন বিসিবির নতুন পরিকল্পনাও, ‘এখন আমরা ভেবে দেখছি যে এর পাশাপাশি কোনো দলের সঙ্গে আমরা খেলতে পারি কি না বা বাইরে কোথাও গিয়ে খুব অল্প সময়ের জন্য কিছু খেলা যায় কি না, কোনো সুযোগ পাওয়া যায় কি না। সে জিনিসগুলো আমরা দেখছি। যদি সুযোগ না হয়, তাহলে আমরা ইন্টারনালি হয়তো খেলব।’

কথা বলেছেন জাতীয় দলের পরিকল্পনা নিয়েও, ‘এশিয়া কাপের (এ বছরের সেপ্টেম্বরে হওয়ার কথা) আগে একটা কমপ্লিট দল চাইব। সেখান থেকে খুব বেশি পরিবর্তন আমরা চাইব না। যদি খুব বেশি প্রয়োজন হয়, সেটা ভিন্ন কথা। তবে আমরা বিশ্বকাপ পর্যন্ত চাইব একটা ধারাবাহিকতা যেন থাকে এবং অপ্রয়োজনীয় পরিবর্তন যেন না আসে। পরীক্ষা–নিরীক্ষার বিষয় যেন না আসে। কারণ, একটু স্ট্যাবল হওয়ারও প্রয়োজন আছে। আশা করব, খুব বেশি পরীক্ষা–নিরীক্ষা হবে না।’

নিয়োগ পেলেন হামজাদের নতুন কোচ

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০৪:০৬ পিএম
নিয়োগ পেলেন হামজাদের নতুন কোচ
ছবি : সংগৃহীত

সবশেষ মৌসুমে পারফরম্যান্স মোটেই ভালো ছিল না লেস্টার সিটির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্টস টেবিলের তলানিতে অবস্থান ছিল কাবটির। প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয় স্তরের ফুটবল লিগ চ্যাম্পিয়নশিপে। 

দলের পারফরম্যান্সের বেহাল দশায় গত ২৭ জুন চাকরি হারান কোচ রুদ ফন নিস্টলরয়।

সেই জায়গায় নিয়োগ পেয়েছেন কুইন্স পার্ক রেঞ্জার্সের সাবেক কোচ মার্তি সিফুয়ন্তেস। আগামী তিন বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছে লেস্টার সিটি। ক্লাবটিকে প্রিমিয়ার লিগে প্রত্যাবর্তন করানোই  মূল দায়িত্ব বা চ্যালেঞ্জ বলা চলে নতুন কোচের।

তবে এবারই প্রথম নয়। দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়নশিপে খেলতে হচ্ছে লেস্টার সিটিকে। ২০২৪ সা;এ এনজো মারেসকার অধীনে দ্বিতীয় স্তরের শিরোপা জিতে তারপর প্রিমিয়ার লিগে জায়গা করে নেয় প্রিমিয়ার লিগে। কিন্তু জায়গা ধরে রাখতে না পারায় ফের অবনমিত হতে হয়েছে লেস্টারকে।

লেস্টারের কোচের পদটা যেন মিউজিক্যাল চেয়ার। বারবার কোচ পালানোর সংস্কৃতির ভেতর ঢুকে যাওয়া ক্লাবটায় সিফুয়েন্তেসের ভবিষ্যত কতদিন লেখা আছে সেটিই এখন মূল প্রশ্ন। গেল দুই বছরে তিনিসহ মোট ৬ কোচের নিয়োগ হয়েছে।

স্প্যানিশ কোচ সিফুয়েন্তেসে প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন ক্লাবের চেয়ারম্যান আয়াওয়াত শ্রীভাদ্ধানাপ্রভা, ‘সিফুয়েন্তেস ক্লাবের জন্য দারুণভাবে উপযুক্ত একজন কোচ। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, তাকে ক্লাবে আনা আমাদের ভবিষ্যতে সেই সাফল্য গড়তে সাহায্য করবে, যা আমরা সবাই চাই।’

ঢাকায় পৌঁছেছে পাকিস্তান দলের প্রথম বহর

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০১:৫৪ পিএম
আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫, ০২:০৭ পিএম
ঢাকায় পৌঁছেছে পাকিস্তান দলের প্রথম বহর
ছবি : সংগৃহীত

আগামী সপ্তাহেই শুরু হবে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ। বাংলাদেশ দল এখনও শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করলেও, সেই সিরিজ খেলতে ইতোমধ্যেই ঢাকায় এসে পৌঁছেছে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রথম বহর।

বুধবার (১৬ জুলাই) সকালে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় পাকিস্তান ক্রিকেট দলকে বহনকারী বিমান। প্রথম বহরে ঢাকায় পা রেখেছেন অধিনায়ক সালমান আলি আগাসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার।

জানা গেছে, দলের দ্বিতীয় বহর বিকাল ৫টার দিকে ঢাকায় এসে পৌঁছানোর কথা রয়েছে। প্রথম বহরের সদস্যরা করাচি-দুবাই হয়ে ঢাকায় পৌঁছেছেন।

আগামী ২০, ২২ ও ২৪ জুলাই মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-পাকিস্তান তিনটি টি-টোয়েন্টিতে মোকাবিলা করবে। প্রতিটি ম্যাচই শুরু হবে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে। 

গেল জুন মাসে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে সফর করে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলে খেলে এসেছে। যেখানে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই হয় লিটন দাসরা।

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আরেক আর্জেন্টাইন

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২:৩৫ পিএম
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে আরেক আর্জেন্টাইন
ছবি : সংগৃহীত

অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে দিনকে দিন বেড়েই চলেছে আর্জেন্টাইন ফুটবলারদের সংখ্যা। স্প্যানিশ ক্লাবটিতে যেন মেলা বসেছে আলবিসেলেস্তেদের। নতুন করে সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে থিয়াগো আলমাদা।

গেল মৌসুমে চার বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন রদ্রিগো ডি পল, নাহুয়েল মলিনা, আনহেল কোরেয়া, হুলিয়ান আলভারেজ খেলেছেন ক্লাবটিতে। যোগ দিয়েছেন বিশ্বকাপজয়ী আরেক আর্জেন্টাইন তারকা বিশ্বকাপজয়ী থিয়াগো আলমাদা।

সামাজিক যোগাযোগামাধ্যমে এক বিবৃতিতে আলমাদার অন্তর্ভূক্তির বিষয়টি জানিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। 

সেই বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোর সঙ্গে আলমাদার চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। আলমাদা আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিতে স্বাক্ষর করবেন মেডিকেল পরীক্ষা–নিরীক্ষা শেষে। 

বোটাফোগো থেকে স্প্যানিশ ক্লাবে আলমাদার সম্ভাব্য ট্রান্সফার ফি ১ কোটি ৫০ লাখ ইউরো হতে পারে জানিয়েছেন ইএসপিএন। 

আর্জেন্টিনার জার্সিতে ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ জিতলেও জাতীয় দলের তার অবস্থান শক্ত নয়। খেলেছেন মেজর লিগ সকারের ক্লাব আটালান্টা ইউনাইটেডে। সেখান থেকে ২০২৪ সালে যান ব্রাজিলিয়ান ক্লাব বোটাফোগোতে। 

গেল জানুয়ারিতে ধারে খেলতে যান ফরাসি ক্লাব লিওঁতে। এবার তিনি খেলবেন বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় স্প্যানিশ লিগে।

‘সাকিব থাকাকালে বিলাসিতার সুযোগ ছিল’

প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১১:৫০ এএম
‘সাকিব থাকাকালে বিলাসিতার সুযোগ ছিল’
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ক্রিকেটের আকাশে সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটার নাম সাকিব আল হাসান। ব্যাটে-বলে দারুণ পারফরম্যান্স করে তিন সংস্করণেই ছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অলরান্ডারদের একজনও তিনি। বাংলাদেশ দলকে অসংখ্য ম্যাচ জিতিয়েছেন তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে ১ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি বাইরে আছেন জাতীয় দলের।

সাকিব না থাকায় মাঠের পারফরম্যান্সে ভুগতেও দেখা গেছে বাংলাদেশ দলকে। তিনি দলে থাকলে স্কোয়াড ও একাদশ দুটোই পরিপূর্ণ হয়। দীর্ঘদিন জাতীয় দলের অপরিহার্য একজন সদস্যকে ছাড়া দল সাজাতে গিয়ে বেগ পেতে হয় টিম ম্যানেজমেন্টকে। 

মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দীনও জানালেন, সাকিব ছাড়া দলের ভারসাম্যে কতটা কঠিন।

সাকিব না থাকায় একাদশ সাজানো নিয়ে সালাহউদ্দীন বলেন, ‘আমাদের বিলাসিতা করার সুযোগ থাকে না। অনেক সময় ব্যাটার কম, অনেক সময় বোলার কম। সাকিব থাকাকালে বিলাসিতার সুযোগ ছিল, একটা অতিরিক্ত ব্যাটার বা বোলার খেলাতে পারতাম।’

দল গঠন একটা জটিল প্রক্রিয়া। সেই বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছেন সালাহউদ্দীন, ‘দলের শক্তি অনুযায়ী আমাদের চলতে হয়। সেভাবেই টিম সেটআপ করি। আমরা জানি, নাসুমকে খেলালে বেনিফিট হতে পারে, কিন্তু তখন হয়তো রিশাদকে বসাতে হবে বা অন্য কাউকে। সব দিক ব্যালেন্স করে দল করতে হয়। যেহেতু ব্যাটিংয়েও তাকাতে হয়—ব্যাটার কতজন আছে, কে ফর্মে বা অফ ফর্মে আছে—তাই যেটাই করি, সবাই মিলেই করি। চেষ্টা করি সম্ভাব্য সেরা একাদশ খেলানোর।’

টিম ম্যানেজমেন্টকেও পরীক্ষা দিতে হচ্ছে এই চ্যালেঞ্জের সামনে। সেটি নিয়ে বাংলাদেশ দলের সিনিয়র সহকারী কোচ বলেন, ‘আমাদের সব সময় চ্যালেঞ্জের মধ্যেই থাকতে হয়। মেনে নিতে হয়, দলের জন্য মানানসই না কিন্তু মেনে নিতে হয়। যে খেলোয়াড় থাকে ওদের থেকেই সেরাটা নেওয়ার চেষ্টা করি। চাইলেই তো অনেক কিছু করতে পারবেন না। কে কোন ফরম্যাটে আছে এসব ভাবলে খুবই কঠিন। একটা কাঠামোর ভিত্তিতে আসলে ভালো হবে। শ্রীলঙ্কা দলে টেস্ট থেকে ওয়ানডে দলে, বা টি-টোয়েন্টিতে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। আমাদের অনেক পরিবর্তন হয়। পাঁচটা খেলোয়াড় যায় আবার পাঁচটা খেলোয়াড় আসে। ১-২ দিনের মধ্যে তাদের দলে মানিয়ে নিতে হয়। বিলাসী হওয়ার সুযোগ নেই। চেষ্টা করব দল যেন স্থিতিশীল পরিস্থিতিতে আসে।’