
হেডিংলি টেস্টের দুই ইনিংসেই হেসেছে ঋষভ পন্তের ব্যাট। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন দুই ইনিংসেই। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন লোকেশ রাহুল। এসেছে তার ব্যাটেও শতক। ঋষভের ব্যাটে ১১৮ আর রাহুল করেছেন ১৩৭ রান।
কিন্তু এই দুই বাটারের বিদায়ের পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে যায় ভারতের ব্যাটিং লাইনআপ। ৩৩৩ রানে ৫ উইকেট থেকে ভারত অলআউট ৩৬৪ রানে। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭১ রান। দিন শেষে বিনা উইকেট ২১ রান সংগ্রহ করেছে স্বাগতিকরা।
এত বড় লক্ষ্য তাড়া করা মোটেও সহজ কাজ নয় টেস্ট ক্রিকেটে। তবে বছর তিনেক আগে এজবাস্টনে বাজবল যুগের সূচনায় ৩৫০ এর বেশি লক্ষ্য তাড়া করে জিতেছে ইংলিশরা ভারতেরই বিপক্ষে।
ভারতের সামনে সুযোগ ছিল আরও বড় লক্ষ্য ছুঁড়ে দেওয়ার। রাহুল ও পন্ত চতুর্থ উইকেটে গড়েছিলেন ১৯৫ রানের জুটি। দুইজন খেলেন দুই মেজাজে। রাহুলের শতকটি এশিয়ার বাইরে হিসেবে ষষ্ঠ। ক্যারিয়ারে এ কীর্তিতে তাঁর উপরে এখন কেবল সুনীল গাভাস্কার ১৫ শতক নিয়ে। পন্তের সেঞ্চুরিটি ইংল্যান্ডে নিজের চতুর্থ, উইকেটকিপার হিসেবে যা যৌথ সর্বোচ্চ।
দলীয় ৩৩৩ রানে ১৩৭ রানের ইনিংস খেলা রাহুল বিদায়ে ছন্দপতন হয় ভারতীয়দের ব্যাটিংয়ে। শেষের ৬ ব্যাটার মিলে করতে পারেন মাত্র ৩১ রান। মাত্র ৭১ বলের ব্যবধানে ৩৬৪ রানে অলআউট হয় সফরকারীরা।
ভারতের এই ধসটা নামান পেসার জশ টাং। চার বলে ৩ উইকেট নিয়ে সবকিছু ওলট-পালট করে দেন তিনি। পরপর দুই বলে ফেরান শার্দুল ঠাকুর ও মোহাম্মদ সিরাজকে। একবল পর বোল্ড করেন জাসপ্রীত বুমরাহকে।
শেষ বিকালে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক ওপেনাররা অবশ্য আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ব্যাটিং করেছেন। মাত্র ৬ ওভার ব্যাটিং করলেও কোনো উইকেট হারায়নি তারা। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে তাদের সংগ্রহ ২১ রান। জিততে দরকার আরও ৩৫০ রান।
এতবড় লক্ষ্য তাড়া করা অনেক কঠিন হলেও, এজবাস্টনের স্মৃতিতে উজ্জীবিত হয়ে ইংলিশদের লক্ষ্য এবারও তেমন কিছুই করা। অন্যদিকে, ভারতের লক্ষ্য প্রথম সেশনেই জয়ের সুবাস বের করে আনা।
সবমিলিয়ে হেডিংলি টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিন দারুণ রোমাঞ্চ নিয়ে অপেক্ষা করছে।