
শুরুটা ভালো না হলেও দলের হাল ধরেন পারভেজ হোসেন ইমন। তার বিদায়ে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এরপর আরও দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা।
দলীয় ১০ রানে তানজিদ হাসান তামিমের বিদায়ের পর সাবেক অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ৬৩ রানের জুটি গড়েন ইমন। সেই জুটিতে শান্তর অবদান মাত্র ১৪ রান। তিনি আউট হওয়ার আগে করেনও এই ১৪ রানই।
শান্তর বিদায়ে তাওহিদ হৃদয় ক্রিজে আসলে তাকে নিয়েও প্রতিরোধের চেষ্টা চালান ইমন। কিন্তু বড় করতে পারেননি জুটি। ২৭ রানের জুটি ভাঙে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার বলে ইমন বোল্ড হলে। আউট হওয়ার আগে ৬৭ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন তিনি।
ইমন বিদায় নিলে নড়বড়ে হয়ে ওঠার ইঙ্গিত দেয় বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ। অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ পা দেন দুশমন্থ চামিরার ফাঁদে। বাউন্সারে ব্যাট চালিয়ে ক্যাচ দেন স্কয়ার লেগে। করেন মাত্র ৯ রান। তার বিদায়ে ১২৬ রানে চতুর্থ উইকেটের পতন হয়।
এরপর শামীম হোসেন পাটোয়ারি ও তাওহিদ হৃদয়ও চেষ্টা চালান জুটি গড়ে দলের সংগ্রহ বাড়ানোর। কিন্তু এবারও জুটি থেমে যায় বড় হওয়ার আগেই। ৩৩ রানের জুটি শামীম পাটোয়ারির বিদায়ে ভাঙে দলীয় ১৫৯ রানে। ২২ রান করে আসিথা ফার্নান্দোর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি।
তবে এখনও টিকে আছেন তাওহিদ হৃদয়। ধীরগতিতে খেললেও, চেষ্টা চালাচ্ছেন নিজের ও দলের রান বাড়িয়ে নেওয়ার। ৩৬ ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৭ রান।
তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত ৩৫ রানে আর তাকে সঙ্গে দেওয়া জাকের আলী অনিকের রান ১৭ রান।