ঢাকা ১৯ আশ্বিন ১৪৩১, শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪

শেয়ার নেটওয়ার্ক চালু, সুবিধা পাবে বাংলালিংক-টেলিটক গ্রাহকরা

প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৭:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৭ মার্চ ২০২৪, ০৩:১৫ পিএম
শেয়ার নেটওয়ার্ক চালু, সুবিধা পাবে বাংলালিংক-টেলিটক গ্রাহকরা
ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশের টেলিকম খাতে প্রথমবারের মতো অপারেটরদের ভেতর পারস্পরিক নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ভাগাভাগির মাধ্যমে ন্যাশনাল রোমিং সার্ভিস বা অ্যাকটিভ শেয়ারিং চালু করতে যাচ্ছে বাংলালিংক ও টেলিটক। এ অপারেটর দুটি যৌথভাবে অ্যাকটিভ শেয়ারিং বা ন্যাশনাল রোমিং সার্ভিস বাস্তবায়নের লক্ষ্যে একটি পাইলট প্রকল্প উদ্বোধন করা হয়েছে। 

এই অ্যাকটিভ শেয়ারিংয়ের মাধ্যমে টেলিটকের গ্রাহকরা নেটওয়ার্ক কাভারেজবিহীন এলাকায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। এই উদ্যোগের ফলে টেলিকম খাতে সামগ্রিক সেবার মান বৃদ্ধির পাশাপাশি টেলিকম অবকাঠামোর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হবে এবং এতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হবে। বাংলাদেশের টেলিকম খাতের ইতিহাসে এটিই সর্বপ্রথম ঘটনা যেখানে দুটি ভিন্ন টেলিকম সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক অবকাঠামো ভাগ করে ব্যবহার করতে যাচ্ছে। এটি ভবিষ্যতে গ্রাহকসেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে নেওয়া অনন্য পদক্ষেপ হিসেবে সব অপারেটরদের জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। পরীক্ষামূলক ফিল্ড ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করার পর প্রতিষ্ঠান দুটি পাইলট প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জুনাইদ আহমেদ পলক, আইসিটি টাওয়ারের বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে যুগান্তকারী এই সেবা চালুর ঘোষণা দেন। এই সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসি-এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

দুই মাস মেয়াদি এই অ্যাকটিভ শেয়ারিং বা জাতীয় রোমিংয়ের পাইলট প্রকল্পে নির্বাচিত দুই হাজার টেলিটক পোস্ট-পেইড ও প্রি-পেইড গ্রাহক বাংলালিংকের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেশের সবচেয়ে দ্রুতগতির ফোর-জি ইন্টারনেট সেবা উপভোগ করতে পারবেন। এই পাইলট প্রকল্পের সাফলতার ওপর ভিত্তি করে বাংলালিংক ও টেলিটক দেশব্যাপী বাণিজ্যিকভিত্তিতে অ্যাকটিভ শেয়ারিং চালু করবে। 

মোবাইল ডেটা খরচ কমান সহজেই

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:১৮ পিএম
আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২৪, ০১:২১ পিএম
মোবাইল ডেটা খরচ কমান সহজেই
প্রতীকী ছবি

আজকের দিনে মোবাইল ইন্টারনেট জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে ইমেইল, ভিডিও স্ট্রিমিং, অনলাইন গেমিংয়ের মতো সব ক্ষেত্রেই ইন্টারনেটের প্রয়োজন। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডেটা খরচ। স্মার্টফোনের নানা ফিচার ব্যবহারের কারণে ডেটা খরচ বেড়ে যাওয়া স্বাভাবিক। তবে কিছু কৌশল অবলম্বন করে এই খরচ অনেকটাই কমাতে পারেন।

ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার বন্ধ

ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। এতে অতিরিক্ত ডেটা খরচ হয়। এ জন্য সেটিংসে গিয়ে ব্যাকগ্রাউন্ড ডেটা ব্যবহার বন্ধ রাখার অপশন চালু করে এই সমস্যার সমাধান করুন। প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ডেটা চালু রাখবেন না।

হাই রেজল্যুশন ভিডিও এড়িয়ে চলুন

ভিডিওর কোয়ালিটি যত বেশি হবে, তত বেশি ডেটা খরচ হবে। ভিডিওর কোয়ালিটির ওপর ডেটার ব্যয় নির্ভর করে। হাই রেজল্যুশন ভিডিও দেখলে ডেটা বেশি খরচ হয়। সেটিংস থেকে রেজল্যুশন কমিয়ে ভিডিও দেখুন।  একই সঙ্গে এ ধরনের ভিডিও ডাউনলোড এড়িয়ে চলুন।

অফলাইন মোডের ব্যবহার

গুগল ম্যাপস, ইউটিউবসহ অনেক অ্যাপে অফলাইন মোডের সুবিধা রয়েছে। আগে থেকে নির্দিষ্ট কোনো এলাকার ম্যাপ বা ইউটিউব ভিডিও ডাউনলোড করে রাখুন। এতে ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াইও সেগুলো ব্যবহার করতে পারবেন।

ডেটার লিমিট

মোবাইল ফোনের সেটিংসে রয়েছে ডেটা লিমিট নির্দিষ্ট করে দেওয়ার সুবিধা। এর ফলে নির্দিষ্ট লিমিটের ডেটা ব্যবহার শেষ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে।

অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ ডিলিট

স্মার্টফোনে অনেক অ্যাপ থাকে, যার কোনো প্রয়োজন নেই। তবে সেগুলোয় নিয়মিত ডেটা খরচ হয়ে থাকে। এমন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপ মোবাইল ফোন থেকে ডিলিট বা আনইনস্টল করে দিন।

ওয়াই-ফাই ব্যবহার

যখনই সম্ভব ওয়াই-ফাই ব্যবহার করুন। এতে মোবাইল ডেটা অনেকটা বাঁচবে।

ডেটা সেভিং ব্রাউজার ব্যবহার

অপেরা মিনি, গুগল ক্রোমের লাইট মোড ইত্যাদি ডেটা সেভিং ব্রাউজার ব্যবহার করুন, যা আপনার ডেটা খরচ কমাবে। এ ছাড়া মোবাইলের সেটিংসে গিয়ে কোন অ্যাপ কতটা ডেটা ব্যবহার করছে তা পর্যবেক্ষণ করুন।

/আবরার জাহিন

 

ইউটিউব ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ শেয়ার করার সহজ উপায়

প্রকাশ: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২২ পিএম
আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৪, ১২:২৫ পিএম
ইউটিউব ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ শেয়ার করার সহজ উপায়
ইউটিউব ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশের ক্লিপ শেয়ারের ফিচার

নানা সময়ে ইউটিউবের ভিডিও বিভিন্ন ব্যক্তি ও গ্রুপ শেয়ার করা হয়। হয়তো পুরো ভিডিও শেয়ার করার পরিবর্তে, শুধু ভিডিওর খুব মজার বা গুরুত্বপূর্ণ একটা নির্দিষ্ট অংশটা শেয়ার করতে চেয়েছেন। আগে এই কাজটা একটু জটিল ছিল। তবে এখন ইউটিউবে এমন একটি ফিচার চালু করেছে, যার মাধ্যমে কোনো ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশের ক্লিপ শেয়ার করা যাবে।

প্রথমে ভিডিওর নির্দিষ্ট অংশ অন্যদের পাঠানোর জন্য ইউটিউব অ্যাপ থেকে নির্দিষ্ট ভিডিও চালু করুন। এরপর চ্যানেলের নামের নিচে থাকা ‘ক্লিপ’ অপশন নির্বাচন করে, ভিডিও ক্লিপের কাঙ্ক্ষিত অংশ নির্দিষ্ট করুন। ক্লিপ নির্বাচন করে ওপরে থাকা টাইটেল অংশে ভিডিওর টাইটেল বা শিরোনাম দিন। এবার নিচে থাকা শেয়ার ক্লিপ অপশন নির্বাচন করে লিংকটি কপি করুন। ক্লিপ তৈরি হয়ে গেলে, এটি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে, মেসেঞ্জারে অথবা ই-মেইলে শেয়ার করতে পারবেন।

এই পদ্ধতির সুবিধা

পুরো ভিডিও শেয়ার করার পরিবর্তে শুধু গুরুত্বপূর্ণ অংশটি শেয়ার করে সময় বাঁচানো সম্ভব। এর মাধ্যমে সর্বোচ্চ ৫৯ সেকেন্ডের ক্লিপ শেয়ার করা যাবে। এই পদ্ধতি খুবই সহজ এবং দ্রুত। ছোট একটি ক্লিপ অন্যদের ভিডিওটি দেখার জন্য উৎসাহিত করতে পারে। সাধারণত অডিয়েন্স ছোট এবং আকর্ষণীয় ভিডিও দেখতে পছন্দ করে। তাই ভালো একটি শিরোনাম ক্লিপকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। যদি সম্ভব হয় উচ্চমানের ভিডিও ব্যবহার করুন। 

/আবরার জাহিন

 

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে এখন আর ফোন নম্বর প্রয়োজন নেই!

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৬ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে এখন আর ফোন নম্বর প্রয়োজন নেই!
ছবি: সংগৃহীত

জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ কমবেশি সবাই ব্যবহার করছেন। ব্যক্তিগত চ্যাট তো বটেই অফিশিয়াল কাজেও ব্যবহার করছেন হোয়াটসঅ্যাপ।ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার জন্য প্ল্যাটফর্মটি অসংখ্য ফিচার যুক্ত করেছে সাইটটিতে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দিয়ে থাকে।

বেশ কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল যে, ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তার স্বার্থে হোয়াটসঅ্যাপে এমন একটি ফিচার চালু হতে চলেছে যার মাধ্যমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টেও ব্যবহারকারীরা শুধু ইউজার নেম রাখতে পারবেন এবং ফোন নম্বর রাখার প্রয়োজনীয়তা থাকবে না। অন্য হোয়াটসঅ্যাপ ইউজার আপনাকে ইউজারনেম দিয়েই খুঁজে পাবেন।

অচেনা, অজানা লোকের কাছে আপনার ফোন নম্বর আর ফাঁস হবে না। হোয়াটসঅ্যাপে প্রতারণার ঘটনা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তাই ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থেই এবার এই ইউজার নেম ফিচার চালু করতে চলেছে হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ। ফলে আপনার কনট্যাক্ট লিস্টে না থাকা ব্যক্তির কাছে আর আপনার ফোন নম্বর পৌঁছাবে না। আপনাকে হোয়াটসঅ্যাপে খুঁজে পাওয়া যাবে ইউজার নেমের সাহায্যেই।

আপাতত হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা এই ফিচার নিয়ে কাজকর্ম করছে। ফলে এই ফিচার হোয়াটসঅ্যাপের সব মাধ্যমে সব ইউজারের জন্য চালু হতে এখনো বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে ব্যবহারকারীদের।

সূত্র লাইভমিন্ট

 কলি

গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপে ম্যালওয়্যার

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩১ পিএম
গুগল প্লে স্টোরের অ্যাপে ম্যালওয়্যার
ছবি: সংগৃহীত

গুগলের নিরাপত্তাব্যবস্থাকে ফাঁকি দিয়ে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের ফোনে ছড়িয়ে পড়ছে ম্যালওয়্যার। গুগল প্লেস্টোর যেখানে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য নির্ভর করে, সেখানে ম্যালওয়্যারের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কির তথ্যমতে, ‘নেক্রো’ নামে একটি ক্ষতিকর সফটওয়্যার প্লেস্টোরে থাকা দুটি জনপ্রিয় অ্যাপের মাধ্যমে এই ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে পড়ছে। 

বিশেষ করে, ‘উইটা ক্যামেরা’ এবং ‘ম্যাক্স ব্রাউজার’ নামে দুটি অ্যাপের মধ্যে এই ম্যালওয়্যারটি পাওয়া গেছে। এই দুটি অ্যাপ মিলিয়ে ১ কোটিরও বেশিবার ডাউনলোড হয়েছে, যার মানে হলো অনেক ব্যবহারকারীর ফোনে এই ম্যালওয়্যারটি প্রবেশ করে থাকতে পারে।

ম্যালওয়্যারটি মূলত একটি ট্রোজান ভাইরাস, যা ফোনে প্রবেশ করে ব্যবহারকারীর অজান্তেই বিভিন্ন ক্ষতিকর কাজ করতে পারে। এটি ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে, ফোনে অন্য ক্ষতিকর সফটওয়্যার ইনস্টল করতে পারে বা ফোনের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে।

শুধু অ্যাপ স্টোরেই নয়, জনপ্রিয় অনেক অ্যাপের মডিফাইড সংস্করণের মাধ্যমেও এই ম্যালওয়্যার ছড়াচ্ছে। জিবি হোয়াটসঅ্যাপ, এফএম হোয়াটসঅ্যাপ, স্পটিফাই প্লাস এবং কিছু জনপ্রিয় গেমের মডিফাইড সংস্করণেও এই ম্যালওয়্যার পাওয়া গেছে।

এই ঘটনায় দেখা যায়, গুগল প্লে-স্টোর যত নিরাপদই হোক না কেন, ম্যালওয়্যার থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত নয়। তাই অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের উচিত সবসময় সতর্ক থাকা এবং অজানা উৎস থেকে কোনো অ্যাপ ডাউনলোড না করা।

সুরক্ষিত থাকতে যা করবেন
সবসময় গুগল প্লেস্টোর বা অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের মতো অফিশিয়াল অ্যাপ স্টোর থেকেই অ্যাপ ডাউনলোড করুন।

কোনো অ্যাপ ডাউনলোড করার আগে অ্যাপের রিভিউগুলো ভালো করে পড়ুন।

ভালো একটি অ্যান্টিভাইরাস ব্যবহার করুন। একটি ভালো অ্যান্টিভাইরাস আপনার ফোনকে ম্যালওয়্যারের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করতে পারে।

ফোনের অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপগুলো নিয়মিত আপডেট করে রাখুন।

ম্যালওয়্যারের কারণে ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হওয়া, ফোন ক্র্যাশ হওয়া বা অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই, মোবাইল ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকা জরুরি।

 কলি

 

সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস : অনলাইনে থাকুন নিরাপদ

প্রকাশ: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৬ পিএম
আপডেট: ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০২:০৭ পিএম
সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস : অনলাইনে থাকুন নিরাপদ
প্রতীকী ছবি

বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও অক্টোবর মাসটি সাইবার নিরাপত্তা সচেতনতা মাস হিসেবে পালিত হয়। প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত তথ্য অত্যন্ত মূল্যবান। তাই অনলাইন হুমকির হাত থেকে এসব রক্ষা করাও জরুরি। কীভাবে অনলাইনে আপনার তথ্য নিরাপদে রাখবেন, সেসব বিষয়ে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো। 

শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন

আপনার পাসওয়ার্ড যেন দীর্ঘ এবং কঠিন হয়। এতে বড় হাতের, ছোট হাতের অক্ষর, সংখ্যা এবং প্রতীক ব্যবহার করুন। বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে একই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না।

ফিশিং প্রতারণা থেকে সাবধান থাকুন

ইমেল, মেসেজ বা ফোনকলের মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চাইলে সতর্ক থাকুন। অপরিচিত লিঙ্কে ক্লিক করবেন না বা অপ্রত্যাশিত সংযুক্তি খুলবেন না। বার্তা পাঠানোর আগে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পরিচয় নিশ্চিত করুন।

দুই ধাপ যাচাইকরণ চালু করুন

আপনার গুরুত্বপূর্ণ অ্যাকাউন্টগুলোর জন্য (যেমন- ইমেল ও ব্যাংকিং) দুই ধাপ যাচাইকরণ (মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন) চালু করুন। এটি আপনার অ্যাকাউন্টে বাড়তি সুরক্ষা যোগ করবে।

আপনার ডিভাইসগুলো আপডেট রাখুন

আপনার ফোন, কম্পিউটার এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলো নিয়মিত আপডেট করুন। নতুন আপডেটগুলো ডিভাইসকে হ্যাকারদের হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।

পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে সতর্ক থাকুন

অর্থ লেনদেনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যদি ব্যবহার করতেই হয়, তা হলে আপনার সংযোগটি সুরক্ষিত রাখতে একটি ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করুন।

আপনার ডেটার ব্যাকআপ নিন

আপনার গুরুত্বপূর্ণ ফাইল (যেমন- ছবি ও ডকুমেন্টস) নিয়মিতভাবে ক্লাউড বা একটি বাহ্যিক হার্ডড্রাইভে ব্যাকআপ করুন। এভাবে আপনার ডিভাইস হ্যাক বা নষ্ট হলেও আপনি আপনার তথ্য হারাবেন না।

সাইবার নিরাপত্তা আমাদের সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সহজ পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে আপনি নিজেকে অনলাইন হুমকির হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন।

লেখক : সাইবার সিকিউরিটি বিশেষজ্ঞ