ফ্লপি ডিস্ক বর্তমান প্রযুক্তির যুগে সেকেলে মনে হতে পারে। তবে এখনো কিছু জায়গা ও সরকার রয়েছে, যারা মৌলিক কাজের জন্য ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করে। জাপান সরকারও তেমনি মৌলিক কাজের জন্য এটি ব্যবহার করেছে। তবে দেশটির ডিজিটাল এজেন্সি গত বুধবার সরকারি কম্পিউটার সিস্টেম পরিচালনা করতে একেবারে ফ্লপি ডিস্কের ব্যবহার না করার ঘোষণা দিয়েছে। জাপানের ডিজিটাল এজেন্সি পুরোনো সিস্টেমগুলোর প্রায় সবকিছুই বাতিল করে দিয়েছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম রয়টার্সের বরাত দিয়ে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট এনগ্যাজেট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহারের প্রয়োজনীয় একমাত্র সিস্টেমটি এখনো চালু আছে, সেটি হলো গাড়ি পুনর্ব্যবহার পর্যবেক্ষণ করে এমন একটি পরিবেশ সিস্টেম।
জাপানের ডিজিটাল মন্ত্রী তারো কোনো এক সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘আমরা ২৮ জুন ফ্লপি ডিস্কের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছি।’
২০২২ সালে ডিজিটাল এজেন্সিতে নিয়োগ পাওয়ার পর নব্বই দশকের কম্পিউটার প্রযুক্তির বিরুদ্ধে অভিযানের ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন, যা ওই সময় ব্যাপক আলোচিত হয়েছে। জাপান প্রায় ১ হাজার ৯০০ সরকারি কার্যক্রমে ফ্লপি ডিস্ক ও ফ্যাক্স মেশিন, সিডি এবং মিনিডিস্কের মতো পুরোনো প্রযুক্তি ব্যবহৃত হতো।
জাপান ছাড়াও অনেক দেশ আধুনিক প্রযুক্তিতে তথ্য সংরক্ষণ করলেও দীর্ঘদিন ধরে ফ্লপি ডিস্কের ওপর নির্ভর করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনী এখনো ১৯৭০ দশকের কম্পিউটার সিস্টেমে ‘স্ট্র্যাটেজিক অটোমেটেড কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম (এসএসিসিএস)’ পরিচালনা করতে ৮ ইঞ্চি ফ্লপি ডিস্ক ব্যবহার করেছে। এই সিস্টেমে পারমাণবিক উৎক্ষেপণ কোড গ্রহণ করা এবং সামরিক কেন্দ্র ও ফিল্ড সোর্সগুলোকে জরুরি বার্তা পাঠাতে ব্যবহার করা হয়েছে। ২০১৯ সালে আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগও সিস্টেমটি ব্যবহার করা বন্ধ করে দেয়।
/আবরার জাহিন