ঢাকা ২৫ ভাদ্র ১৪৩১, সোমবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

গুগলের জন্য বড় হুমকি ওপেনএআই

প্রকাশ: ১১ আগস্ট ২০২৪, ০৬:২৪ পিএম
গুগলের জন্য বড় হুমকি ওপেনএআই
ছবি: সংগৃহীত

আমেরিকান প্রতিযোগিতাবিরোধী নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো ইন্টারনেট সার্চ ব্যবসায় সমতা আনতে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এ বিষয়ে কিছু সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ  রয়েছে। এর মধ্যেই স্যাম অল্টম্যানের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই বড় হুমকি হয়ে উঠছে গুগলের জন্য।

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রে একটি রায়ে গুগলের বিরুদ্ধে ইন্টারনেট সার্চে একক আধিপত্য তৈরির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর জন্য বড় জয় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে ওপেনএআইয়ের জনপ্রিয় চ্যাটজিপিটি চ্যাটবটসহ বিভিন্ন এআই টুল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এর ফলে প্রযুক্তি খাতে গুগলের একচেটিয়া অবস্থান ইতোমধ্যেই ক্ষয়ে যাচ্ছে বলে বিনিয়োগকারী ও বিশ্লেষকরা জানিয়েছেন।

গুগলের সাবেক ইঞ্জিনিয়ার অরবিন্দ জৈন বলেন, ‘আমি মনে করি গুগলের জন্য এখন রায়ের চেয়ে অনেক বড় বিষয় এআই।  এই এআই মূলত সার্চ টুল কীভাবে কাজ করে, তা পরিবর্তন করছে।’

অরবিন্দ জৈন এক দশক ধরে সার্চসহ বিভিন্ন টুল নিয়ে কাজ করছেন। তিনি বর্তমানে গ্লিন নামের একটি এন্টারপ্রাইজ সার্চ ফার্ম পরিচালনা করছেন। তিনি আরও বলেন, এই রায়গুলোর বিরুদ্ধে আপিল করা হয়। এতে সময় লাগে বাজারকে প্রভাবিত করতে। এর থেকে তুলনামূলকভাবে এআইয়ের প্রভাব তাৎক্ষণিক।

গুগল দীর্ঘদিন ধরে ইন্টারনেট সার্চের প্রতিশব্দ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সার্চের প্রায় ৯০ শতাংশ বাজার শেয়ার দখল করে আছে গুগল। একই সঙ্গে এই ব্যবসা থেকে প্রতি বছর প্রায় ১৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি নিজের ডিভাইসগুলোতে এসব সফটওয়্যার রাখে। আরেক টেক জায়ান্ট অ্যাপলও তাদের ডিভাইসে উল্লেখযোগ্য ফির বিনিময়ে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল রাখতে সম্মত হয়েছে।

তবে প্রতিযোগিতাবিরোধী আদালতের মামলাগুলোর সমাধান হওয়ার আগেই ফি দেওয়ার বিনিময়ে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার দিন শেষ হচ্ছে। অ্যাপল তাদের ডিভাইসে এআই প্রযুক্তি যুক্ত করতে ওপেনএআইয়ের সঙ্গে অংশীদারত্বের ঘোষণা দিয়েছে। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি জায়গা করে নেবে অ্যাপলের ডিভাইসগুলো। এই চুক্তিতে একচেটিয়া বাজারব্যবস্থা থেকে সরে আসার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। গুগলকেও আরেকটি অংশীদার হিসেবে আনার সম্ভাবনা আছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গুগলের বিরুদ্ধে রায় হলে অ্যাপলের এআই-চালিত সার্চ সার্ভিসের দিকে যাওয়ার ঝোঁক বাড়বে।  যদি গুগলের সঙ্গে সার্চ চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য করা হয়। ওপেনএআই গত মাসে জানিয়েছে, তারাও সার্চজিপিটি নামে একটি এআই-চালিত সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে এ বাজারে নাম লেখাবে।  এটি ইন্টারনেট থেকে তথ্যের রিয়েল-টাইম অ্যাক্সেস দেবে।

অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিরক্তিকর পপ-আপ বিজ্ঞাপন বন্ধ করার সহজ উপায়

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০:২৫ পিএম
অ্যান্ড্রয়েড ফোনে বিরক্তিকর পপ-আপ বিজ্ঞাপন বন্ধ করার সহজ উপায়

প্রায় সবাই স্মার্টফোনের ওপর নির্ভরশীল। সামাজিক মাধ্যম থেকে শুরু করে অনলাইন শপিং সবই এখন হাতের মুঠোয়। তবে এই সুবিধার পাশাপাশি বিরক্তিকর পপ-আপ বিজ্ঞাপনগুলোর মাধ্যমে হয়রানির শিকার হতে হয় স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের।

কেন এই বিজ্ঞাপনগুলো আসে?
অ্যাপ ডেভেলপাররা তাদের অ্যাপগুলো বিনামূল্যে দেওয়ার জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর নির্ভর করে। ব্যবহারকারী যখন কোনো অ্যাপ ইন্সটল করেন, তখন সেই অ্যাপ ফোনের ব্যবহারের তথ্য সংগ্রহ করে। সেই তথ্যের ভিত্তিতে ব্যবহারকারীকে বিজ্ঞাপন দেখায়। অনলাইনে ব্রাউজ করার সময় অপ্রাসঙ্গিক বিজ্ঞাপন এলে খুবই বিরক্ত লাগে। আর এই বিরক্তিকর বিজ্ঞাপনগুলো বেশির ভাগ অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের সাধারণ সমস্যাগুলোর মধ্যে অন্যতম হয়ে উঠেছে।

অ্যান্ড্রয়েডে পপ-আপ বিজ্ঞাপন আসা বন্ধ করবেন যেভাবে

  • নিজেদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ইন্টারনেট ব্রাউজার ওপেন করুন।
  • ডান দিকের কোণে থাকা থ্রি-ডট অপশনটা খুঁজে নিতে হবে এবং তাতে ক্লিক করুন।
  • একটি ড্রপ-ডাউন অ্যাপ মেনু ভেসে উঠবে, তারপর ‘সেটিংস’-এ ক্লিক করুন।
  • এরপর ‘অ্যাডভান্সড’ অপশন সিলেক্ট করতে হবে। ব্যবহারকারী তারপর ‘ব্লক পপ-আপস’ বিকল্পটি পাবেন, তাতে ক্লিক করুন।

ক্রোমে পপ-আপ ব্লক করতে-

  • প্রথমেই ক্রোম অ্যাপ্লিকেশন ওপেন করুন।
  • উপরের ডান দিকের কোণে থাকা ‘সেটিংস’-এ ক্লিক করুন।
  • এরপর ‘প্রাইভেসি অ্যান্ড সিকিউরিটি সাইট সেটিংস’ বিকল্পটি নির্বাচন করুন।
  • এরপর পপ-আপস অ্যান্ড রিডাইরেক্টস অপশনে ক্লিক করুন।
  • এরপর ‘অ্যালাউড টু সেন্ড পপ-আপস অ্যান্ড ইউজ রিডাইরেক্টস’ বিকল্প খুঁজে নিতে হবে এবং যে সাইটগুলোকে ব্লক করে দিন।
  • সাইটের ডান কোণে থাকা ‘মোর ব্লক’ অপশনে ক্লিক করতে হবে।

 

আইফোন সিক্সটিনের কয়েক ঘণ্টা পর উন্মোচন হবে হুয়াওয়ে ট্রাই-ফোল্ড ফোন

প্রকাশ: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ পিএম
আইফোন সিক্সটিনের কয়েক ঘণ্টা পর উন্মোচন হবে হুয়াওয়ে ট্রাই-ফোল্ড ফোন

চলতি মাসেই প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল তাদের বহুল প্রতীক্ষিত ‘আইফোন সিক্সটিন’ উন্মোচন করতে যাচ্ছে। অ্যাপলের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ৯ সেপ্টেম্বর ‘ইটস গ্লোটাইম’ স্লোগান নিয়ে ফোনটি বাজারে আসবে।

অপরদিকে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে প্রায় একই সময়ে তাদের নতুন ডিভাইস আনার ঘোষণা দিয়েছে। গত সোমবার হুয়াওয়ে জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি চলতি মাসেই একটি নতুন পণ্য উন্মোচনের জন্য একটি ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা করেছে। যেখানে হুয়াওয়ে ট্রাই-ফোল্ড ফোন উন্মোচন করা হতে পারে।

হুয়াওয়ের এই ইভেন্ট অ্যাপলের বার্ষিক আইফোন উন্মোচনের কয়েক ঘণ্টা পরই অনুষ্ঠিত হবে। প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন, চীনা প্রযুক্তি জায়ান্টটি মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে ছাপিয়ে যেতেই এই আয়োজন করছে।

হুয়াওয়ে চীনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ওয়েইবোতে এক পোস্টে জানিয়েছে, এই ইভেন্টটি ১০ সেপ্টেম্বর বেইজিং সময় দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে ৯ সেপ্টেম্বরে প্রায় সন্ধ্যা হবে। যেখানে অ্যাপলের ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সকাল ১০টায়। অ্যাপল পার্কের স্টিভ জবস থিয়েটারে একটি স্পেশাল ইভেন্টের মাধ্যমে আইফোন সিক্সটিন লাইনআপ উন্মোচন করা হবে। ধারণা করা হচ্ছে, গ্লোটাইম ট্যাগলাইন দিয়ে মূলত ফোনটিতে জেনারেটিভ এআই সম্পর্কিত ফিচার যুক্ত করার বিষয়টি ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। অপরদিকে হুয়াওয়ের কনজিউমার অ্যান্ড অটোমোটিভ টেকনোলজি গ্রুপের প্রধান রিচার্ড ইউ ওয়েইবো পোস্টে বলেছেন, ‘কোম্পানির প্রধান ও উদ্ভাবনী পণ্য এখানে থাকবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি যুগান্তকারী প্রযুক্তিপণ্য, যার কথা অন্যরা ভেবেছিল কিন্তু তৈরি করতে পারেনি। পাঁচ বছরের বিনিয়োগের পর হুয়াওয়ে বিজ্ঞানকল্পকে বাস্তবতায় পরিণত করেছে।’

হুয়াওয়ের এই নতুন ফোন ট্রাই-ফোল্ড অর্থাৎ তিন ভাঁজযোগ্য হবে। এই স্মার্টফোন উন্মোচন অনেক আগ্রহের বিষয়। কারণ এই ফোন বাজারে পাওয়া যাবে এবং এর বিক্রি শিগগিরই শুরু হতে পারে। হুয়াওয়ের এক টিজারে ট্রাই-ফোল্ড ফোন স্মার্টফোনের দুটি হিঞ্জ দেখানো হয়েছে। ফোনটি আগামী বছর বাজারে জনপ্রিয় হতে পারে। হুয়াওয়ে এই ফোন সম্পর্কে খুব কম তথ্য প্রকাশ করেছে। তবে গুঞ্জন রয়েছে, ফোনটি জেড-টাইপ ফোল্ডযুক্ত হবে।

হুয়াওয়ের পুনরুত্থান চীনে অ্যাপলকে চ্যালেঞ্জ করেছে। ক্যানালিসের গবেষণা অনুসারে, আইফোন নির্মাতা চীনে বাজারের শীর্ষ পাঁচ স্মার্টফোন বিক্রেতাদের মধ্যে নেই। যেখানে হুয়াওয়ে স্মার্টফোন বিক্রি আগের উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।

 

অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সন্তানকে কী বলবেন?

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৬ পিএম
অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সন্তানকে কী বলবেন?

যুক্তরাজ্যের শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করে দাতব্য সংস্থা ‘দ্য ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন (এনএসপিসিসি)’। এই সংস্থা শিশুদের প্রতি যেকোনো ধরনের নির্যাতন বা অত্যাচার থেকে রক্ষা করার জন্য কাজ করে থাকে। পিতা-মাতারা অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ে সন্তানের সঙ্গে কীভাবে কথা বলবেন, এ সম্পর্কে সম্প্রতি সংস্থাটি কিছু পরামর্শ দিয়েছে।

এনএসপিসিসির পরামর্শ

আপনার সন্তানের সঙ্গে অনলাইন নিরাপত্তা সম্পর্কে কথা বলার সময় তাদের বোঝান যে, আপনি তাদের অনলাইন এবং অফলাইন উভয়ই জীবনের প্রতি আগ্রহী। আপনার সন্তান যে অনলাইন বা অ্যাপ্লিকেশনগুলো ব্যবহার করছে, তা আপনাকে দেখাতে বলুন, যেন আপনি তাদের বুঝতে পারেন।

সন্তানের অনলাইন ব্যবহারের বিষয়ে ইতিবাচক হোন। তবে আপনি যে কারণগুলো নিয়ে চিন্তিত, তা সম্পর্কে খোলাখুলি আলোচনা করুন। আপনি বলতে পারেন ‘আমি মনে করি এই সাইটটি সত্যিই ভালো’ অথবা ‘আমি এখানে যা দেখেছি, তা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত।’ 

আপনার সন্তানকে জিজ্ঞেস করুন, তারা কি কোনো কিছু নিয়ে চিন্তিত? তাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলুন, যেন আপনার সন্তান অনলাইন বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলতে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

সন্তানের অনলাইন বন্ধুদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। তারা বন্ধুদের সঙ্গে কীভাবে পরিচিত হয়েছে তা জানান।

আপনার সন্তান যে অ্যাপ্লিকেশন বা সাইট ব্যবহার করতে চায়, সেগুলো ব্যবহার করার কারণগুলো শুনুন, যা আপনার মতে উপযুক্ত নয়। যেন এসব নিয়ে একসঙ্গে কথা বলতে পারেন।

আপনার সন্তানকে জিজ্ঞাসা করুন, তার মতে বিভিন্ন বয়সের শিশুদের জন্য কী করা উচিত? যাতে তারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করছে বলে মনে করে। 

১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল দ্য ন্যাশনাল সোসাইটি ফর দ্য প্রিভেনশন অব ক্রুয়েলটি টু চিলড্রেন। সেই থেকে সংস্থাটি শিশুদের সুরক্ষার জন্য কাজ করে আসছে।

 

জিমেইলে স্টোরেজ শেষ হলে যা করবেন

প্রকাশ: ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:১২ পিএম
আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৪:২৭ পিএম
জিমেইলে স্টোরেজ শেষ হলে যা করবেন

প্রযুক্তি জগতের প্রায় সবাই ই-মেইল ব্যবহার করে তথ্য আদান-প্রদান করেন। আর এই ই-মেইল আদান-প্রদানের জন্য অনেকেই প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের জিমেইল সেবা ব্যবহার করেন। গুগল অ্যাকাউন্টে বিনামূল্যে সর্বোচ্চ ১৫ গিগাবাইট পর্যন্ত তথ্য জমা রাখা যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ড্রাইভ, গুগল ডকস, গুগল শিটসহ গুগলের বিভিন্ন সেবার তথ্য সেখানে নিয়মিত জমা হয়ে থাকে। এতে নির্ধারিত স্টোরেজ বিভিন্ন ডেটায় ভরে গেলে বিপত্তি বাঁধে তখনই, জিমেইলে নতুন করে আর ই-মেইল আসে না। জেনে নিন কীভাবে করবেন এর সমাধান।

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নানা ধরনের অফার এবং বিজ্ঞাপনমূলক ই-মেইল পাঠিয়ে থাকে জিমেইল ব্যবহারকারীদের। এই ই-মেইলগুলোয় সাধারণত বড় আকারের পিডিএফ ফাইল থাকে, যা আপনার স্টোরেজকে দ্রুত পূর্ণ করে দেয়। এসব অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল নিয়মিত ডিলিট করুন।

ডিলিট করা ই-মেইলগুলো ৩০ দিনের জন্য বিনে থাকে। স্প্যাম ফোল্ডারেও অনেক অপ্রয়োজনীয় ই-মেইল জমা হয়। এই দুই ফোল্ডার নিয়মিত খালি করুন। ই-মেইলের সঙ্গে আসা ছবি, ভিডিও ও পিডিএফ ফাইলগুলো যদি প্রয়োজন না হয়, তাহলে সেগুলো ডিলিট করুন। প্রয়োজনীয় ফাইলগুলো ডাউনলোড করে ই-মেইলগুলো ডিলিট করলে, আপনার গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি হবে। বিভিন্ন কোম্পানি থেকে আসা নিউজ লেটারে ইনবক্স ভরে যায়। প্রয়োজন না থাকলে এই নিউজ লেটারগুলো আনসাবস্ক্রাইব করুন। জিমেইলে লেবেল ফিচার ব্যবহার করে ই-মেইলগুলো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করুন। এতে আপনার ই-মেইলগুলো খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। আপনি সহজে অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো শনাক্ত করতে পারবেন।
ফিল্টার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পাঠানো ই-মেইলগুলো বা নির্দিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া ই-মেইলগুলো সহজেই খুঁজে পেতে পারবেন। নির্দিষ্ট শব্দ বা ফ্রেজ সার্চ করে সহজেই অপ্রয়োজনীয় ই-মেইলগুলো খুঁজে পেতে পারবেন। এমন ই-মেইল থাকলে ডিলিট করুন। যদি আপনার স্টোরেজ খুব কমে যায়, তাহলে গুগলের স্টোরেজ প্ল্যান আপগ্রেড করতে পারেন।

/আবরার জাহিন

 

হিউম্যানয়েড রোবটের পরিবর্তিত রূপ

প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম
আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০৭:২২ পিএম
হিউম্যানয়েড রোবটের পরিবর্তিত রূপ

চীন হিউম্যানয়েড বা মানুষের মতো দেখতে রোবট বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে। বেইজিংয়ের বিশ্ব রোবট কনফারেন্সে চীনের সরবরাহ চেইনের সস্তা ও উদ্ভাবনী যন্ত্রাংশ প্রদর্শন করা হয়েছে। তবে শিল্পটি এখনো পণ্যের নির্ভরযোগ্য উন্নতি না হওয়ার কারণে কিছু প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী সতর্ক করেছেন।

চীনের শেনজেনভিত্তিক কোম্পানি উইসন টেকনোলজি রোবটিক্সে সাধারণত মোটর এবং রিডাক্টর-ট্রান্সমিশন ডিভাইসের ওপর নির্ভর করে না। বরং তারা রোবটগুলো চালানোর জন্য থ্রি-ডি প্রিন্টেড প্লাস্টিক ব্যবহার করে এবং নিউম্যাটিক কৃত্রিম পেশির ওপর নির্ভর করে। এই কম খরচে উৎপাদন পদ্ধতির জন্য কোম্পানিটি ঐতিহ্যগত রোবটিক বাহুর দশ ভাগের এক ভাগেরও কম দামে বিক্রি করতে পারে।

উইসন টেকনোলজি তাদের ওয়েবসাইটে  জানিয়েছে, এ ধরনের প্রযুক্তিতে রোবটিক বাহু চীনা মুদ্রায় প্রায় ১০ হাজার ইউয়ানে  বাজারে আনা সম্ভব। উইসন টেকনোলজির বিনিয়োগকারী কাও ওয়ে বলেন, নমনীয় বাহু মানুষের আকারের রোবটে ব্যবহার করা যেতে পারে। সংস্থাটি ইতোমধ্যে মানুষের আকারের রোবট তৈরি করে এমন বিদেশি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সরবরাহ করেছে। তবে এ বিষয়ে তিনি বিস্তারিত জানাননি। সাংহাইভিত্তিক টিআই-ফাইভ রোবটের প্রতিষ্ঠাতা ই গ্যাং, রোবটিক্স সরবরাহ চেইনে যে সমস্যা দেখছেন তার কিছু তুলে ধরেছেন।

তিনি বলেন, ‘সমগ্র সরবরাহ চেইনে পণ্যের নির্ভরযোগ্যতার সমস্যা সমাধান করতে হবে। ত্রুটির হারের কারণে তার কোম্পানি নির্দিষ্ট সংখ্যায় পণ্য তৈরি করতে পারে। গতি নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে হারমোনিক গিয়ার, এমন যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রেও সমস্যা ছিল। বিশ্বজুড়ে ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তি উৎপাদন, অটোমোবাইল, কৃষি, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্যসহ প্রচলিত শিল্পের রূপ পরিবর্তন করছে চীনের রোবটশিল্প।

/আবরার জাহিন