ঢাকা ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫
English

রেডমি প্রজেক্টর লাইট

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২৪, ১২:৩৩ পিএম
রেডমি প্রজেক্টর লাইট
ছবি: সংগৃহীত

চীনা প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান শাওমি চলতি বছরের মার্চ মাসে রেডমি প্রজেক্টর লাইট উন্মোচন করেছে। এই প্রজেক্টরের রেজল্যুশন ১০৮০ পিক্সেল। এ ছাড়া এআই ফিচারসহ রয়েছে টাইম অব ফ্লাইট (টিওএফ) সেন্সর। চীনা মুদ্রায় এর দাম ৬৯৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১১ হাজার ৫০০ টাকা। প্রতিষ্ঠানটি এটির সবুজ রঙের সংস্করণ বাজারে এনেছে, যা হচ্ছে ‘রেডমি প্রজেক্টর লাইট গ্রিন’ সংস্করণ। চীনা মুদ্রায় এই সংস্করণের দাম ৭৯৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার ১০০ টাকা। 

নতুন এই ডিভাইসের সঙ্গে মার্চ মাসে বাজারে আসা মডেলের ডিজাইন ও স্পেসিফিকেশনে কোনো পার্থক্য নেই। আগের মডেলটি ধূসর ও সাদা রঙে পাওয়া যেত। রেডমি প্রজেক্টর লাইটের উজ্জ্বলতা পাওয়া যাবে ১৫০ সিভিআইএ লুমেনস পর্যন্ত। এর মাধ্যমে ১০০ ইঞ্চি পর্যন্ত প্রজেকশন করা যাবে, যার প্রজেকশন রেশিও ১.২:১।

শাওমির তথ্যমতে, এতে একটি সিলড অপটিক্যাল ইঞ্জিন ও একটি সুপার-ট্রান্সপারেন্ট লেন্স রয়েছে। এটি পরিষ্কার ও ভালো মানের রঙিন প্রজেকশন দেবে। অপটিক্যাল ইঞ্জিনটি ধুলো প্রতিরোধী। কোম্পানিটির দাবি, এটি ১০ বছর ব্যবহার করা যাবে।

এই প্রজেক্টরের লেন্সের নিচে একটি টিওএফ সেন্সর রয়েছে। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফোকাসিং ও পিকচার কারেকশন সমর্থন করে। স্বয়ংক্রিয় পিকচার কারেকশন সাইড বা আপওয়ার্ড কোণকে ১৫ ডিগ্রি পর্যন্ত সমন্বয় করতে পারে। স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিকচার কারেকশন এরকম ফিচারগুলোয় এআই অ্যালগরিদম ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানা যায়।

এই প্রজেক্টরের একটি করে ৩.৫ মিলিমিটার হেডফোন জ্যাক, এক্স এইচডিএমআই (এআরসি) পোর্ট, এক্স ইউএসবি ২.০ পোর্ট, এক্স ডিসি ইন পাওয়ার ইন্টারফেস রয়েছে।

 

সাশ্রয়ী দামে লেনোভোর ৬৪ মেগাপিক্সেল ডিজিটাল ক্যামেরা

প্রকাশ: ১৪ জুন ২০২৫, ১১:৩৩ এএম
সাশ্রয়ী দামে লেনোভোর ৬৪ মেগাপিক্সেল ডিজিটাল ক্যামেরা
লেনোভো সি৫৫। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতাপ্রতিষ্ঠান লেনোভো তাদের নতুন মডেলের ডিজিটাল ক্যামেরা ‘লেনোভো সি৫৫’ সম্প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করেছে। উচ্চমানের ডিজিটাল ক্যামেরাটি বেশ সাশ্রয়ী দামে পাওয়া যাবে। সি৫৫ মডেলের ৬৪ গিগাবাইট সংস্করণের দাম ৪৯৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৭ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ১২৮ গিগাবাইট সংস্করণের দাম পড়বে ৫৫৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ৪০০ টাকা। 

লেনোভো সি৫৫ ক্যামেরায় ব্যবহার করা হয়েছে ৬৪ মেগাপিক্সেলের সনি সিএমওএস সেন্সর, যা ১/৩ ইঞ্চি আকারের। এতে ১৮x ডিজিটাল জুম সুবিধা রয়েছে, ফলে লেন্স বা স্থান পরিবর্তন ছাড়াই কাছের ও দূরের ছবি তোলা সম্ভব। ছবি ও ভিডিওর রং ও টেক্সচারের জন্য এতে রয়েছে উন্নত ইমেজ প্রসেসিং ইঞ্জিন।

লেনোভো সি৫৫ মডেলে সামনে ও পেছনে উভয় দিকে ক্যামেরা রয়েছে, যা দিয়ে ৪কে ভিডিও রেকর্ড করা যায়। এতে একটি স্মার্ট রোটারি কন্ট্রোল ডায়াল রয়েছে, যা দিয়ে সহজে ছবি ও ভিডিও মোডে সুইচ করা যায়। একই সঙ্গে এতে আছে টাইমড শুটিং, বার্স্ট মোড, লুপ রেকর্ডিং, টাইম-ল্যাপস ও স্লো-মোশন ভিডিওর মতো ফিচার।

লেনোভো ক্যামেরাটিতে একটি ২.৮ ইঞ্চি এলসিডি স্ক্রিন যুক্ত করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী সহজে ফ্রেমের প্রিভিউ ও মেনু পরিচালনা করতে পারেন। ডিভাইসটিতে সামনে ও পেছনে দুটি ‘ও’ আকৃতির সফট এলইডি রিং লাইট রয়েছে, যা রাতের অল্প আলোতে সমানভাবে আলো ছড়ায়। এই সফট আলো রাতের প্রকৃতি ও ক্লোজ-আপ ফটোগ্রাফির জন্য বেশ কার্যকর হবে।

ক্যামেরাটিতে ইলেকট্রনিক ইমেজ স্ট্যাবিলাইজেশন ফিচার রয়েছে, যা চলতি অবস্থায় ভিডিও ধারণে গতিজনিত ঝাপসাভাব কমাতে সাহায্য করে। ব্যাটারিসহ এর ওজন প্রায় ১৯০ গ্রাম এবং আকার ১১২× ৭১.৫×৩৪.৫ মিমি। ক্যামেরার সঙ্গে রয়েছে রিস্ট স্ট্র্যাপ ও স্টোরেজ ব্যাগ।

লেনোভো জানিয়েছে, এতে রয়েছে ১ হাজার ৩০০ মিলি‌অ্যাম্পিয়ার-আওয়ার ব্যাটারি, যা একটানা ১২০ মিনিট ছবি বা ৮০ মিনিট ভিডিও ধারণে সক্ষম। এটি ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের মাধ্যমে চার্জ দেওয়া যায়। মেমোরি সক্ষমতা বাড়াতে এতে ১২৮ গিগাবাইট পর্যন্ত টিএফ কার্ড সমর্থন করে।

সাশ্রয়ী দামে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক উন্মোচন করল ভিভো

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৫, ১০:০০ এএম
সাশ্রয়ী দামে ৩৩ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং পাওয়ার ব্যাংক উন্মোচন করল ভিভো
ছবি: সংগৃহীত

নতুন দ্রুতগতির চার্জিং প্রযুক্তি ও হালকা ডিজাইন নিয়ে বাজারে এসেছে ভিভোর নতুন পাওয়ার ব্যাংক। ৩৩ ওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই পাওয়ার ব্যাংকের মাধ্যমে একাধিক ডিভাইস দ্রুত চার্জ করা যাবে। ১০ হাজার মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার ক্ষমতাসম্পন্ন এই পাওয়ার ব্যাংকে ব্যবহার করা হয়েছে লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারি।

মাত্র ১.৫ সেন্টিমিটার পুরু ও ১৭৭ গ্রাম ওজনের পাওয়ার ব্যাংকটি সহজে বহনযোগ্য। এতে রয়েছে বিল্ট-ইন ইউএসবি-সি কেবল। এই কেবলটি নমনীয় ও টেকসই উপাদানে তৈরি, যা দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহার নিশ্চিত করবে।

চার্জিং প্রযুক্তির দিক থেকেও ডিভাইসটি উন্নত করা হয়েছে। এতে ৩৩ ওয়াট ফ্ল্যাশচার্জ, ২২.৫ ওয়াট পিডি, ১৮ ওয়াট কিউসি এবং ৩৩ ওয়াট পিপিএস ফাস্ট চার্জিং প্রোটোকল সমর্থন করে। এর ফলে অ্যাপল ও অ্যান্ড্রয়েড উভয় প্ল্যাটফর্মের স্মার্টফোন, ট্যাবলেট, স্মার্টওয়াচ ও গেম কনসোলে এটি ব্যবহার করা যাবে। মাত্র ৩০ মিনিটে একটি আইফোন ১৬ স্মার্টফোনকে ৫৮ শতাংশ এবং ভিভো এস৩০ ফোনে ৩৬ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ দিতে সক্ষম ডিভাইসটি।

নিরাপত্তার দিক থেকেও এই পাওয়ার ব্যাংকটি বেশ উন্নত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এতে ওভারভোল্টেজ, ওভারকারেন্ট, ওভারচার্জ, ওভারডিসচার্জ, শর্টসার্কিট ও ইলেকট্রোস্ট্যাটিকসহ একাধিক নিরাপত্তা স্তর যুক্ত করা হয়েছে। এটি চীনের ‘নিউ ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড’ অনুযায়ী তৈরি, যা বিমানে ভ্রমণের জন্য নিরাপদ হিসেবে স্বীকৃত।

চীনে এই পাওয়ার ব্যাংকের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৯ ইউয়ান, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ২০০ টাকা। 

কবে নাগাদ এটি আন্তর্জাতিক বাজারে আসবে সে বিষয়ে জানায়নি ভিভো। তবে ধারণা করা হচ্ছে, পাওয়ার ব্যাংকটি খুব শিগগিরই বিশ্ববাজারে পাওয়া যাবে।

/রিয়াজ

১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুগল ফটোসে বড় আপডেট

প্রকাশ: ১২ জুন ২০২৫, ০৫:১০ পিএম
১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুগল ফটোসে বড় আপডেট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি ও ভিডিও সংরক্ষণের জনপ্রিয় অ্যাপ গুগল ফটোস এবার ১০ বছরে পা দিল। এ উপলক্ষে গুগল অ্যাপটিতে বড় ধরনের আপডেট এনেছে। এর মধ্যে রয়েছে এআই-চালিত এডিটিং ও শেয়ারিং টুল।

বর্তমানে গুগল ফটোস ব্যবহার করেন প্রায় ১৫০ কোটি মানুষ। ব্যবহারকারীরা এতে সংরক্ষণ করেছেন ৯ ট্রিলিয়নেরও বেশি ছবি ও ভিডিও। প্রতি মাসে অ্যাপটিতে ৩৭ কোটির বেশি সার্চ, ৪৪ কোটির বেশি শেয়ার এবং ২১ কোটি ছবির সম্পাদনা করেন ব্যবহারকারীরা। এই বার্ষিকী উপলক্ষে গুগল নতুন ফিচার যুক্ত করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীদের জন্য ১০টি টিপসও শেয়ার করেছে।

নতুন এআই এডিটর
গুগল তাদের ফটো এডিটর নতুন করে সাজিয়েছে। এতে এআই পরামর্শ ও ম্যানুয়াল টুলস এক সঙ্গে পাওয়া যাবে। 
পিক্সেল ৯ ফোনে ব্যবহৃত ‘রিম্যাজিন’ ও ‘অটো ফ্রেম’ ফিচারগুলো আগামী মাসে অন্যান্য অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে আসছে। আইফোন ব্যবহারকারীরা বছরের শেষদিকে এই ফিচারগুলো পাবেন।

কিউআর কোডে অ্যালবাম শেয়ারিং
এখন থেকে ব্যবহারকারীরা ছবির অ্যালবাম তাৎক্ষণিকভাবে শেয়ার করার জন্য একটি কিউআর কোড তৈরি করতে পারবেন। ইভেন্ট বা অনুষ্ঠানে এটি কার্যকর হবে, যেখানে শুধু কিউআর কোড স্ক্যান করে ছবি দেখা বা ছবি যোগ করা যাবে।

‘প্লেসেস’ ট্যাব
‘কালেকশনস’ বিভাগের নিচে নতুন ‘প্লেসেস’ অপশন যুক্ত হয়েছে, যা মানচিত্রে ছবিগুলো দেখাবে। এটি ভ্রমণের স্মৃতিচারণ ও ছবির অবস্থান চিহ্নিত করতে সহায়ক হবে।

উন্নত সার্চ
গুগল ফটোসের সার্চ ফিচার আরও স্মার্ট হয়েছে। যেমন- ‘নীল ঝলমলে পোশাকে আমি’ কিংবা ‘অ্যালিস সমুদ্রসৈকতে’ এ ধরনের বাক্য ব্যবহার করে ছবি খুঁজে পাওয়া যাবে। তবে এর জন্য ‘পিপল অ্যান্ড পেটস’ বিভাগে মুখ শনাক্ত করা থাকতে হবে।

অটো ক্রিয়েট মেমোরিজ 
প্রতি মাস ও বছরভিত্তিক স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেমোরি তৈরি করবে গুগল ফটোস। সহজে শেয়ারযোগ্য এসব মেমোরি পুরোনো স্মৃতি ফিরিয়ে আনবে।

হাইলাইট ভিডিও
‘+’ বাটনে ট্যাপ করে ভিডিও তৈরি করা যাবে। পছন্দের মানুষ, পোষা প্রাণী বা স্থান বেছে নিলে গুগল ফটোস ছোট ভিডিও তৈরি করে দেবে।
স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেয়ার্ড অ্যালবাম আপডেট
নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা পোষা প্রাণীর নতুন ছবি যোগ হলে শেয়ার্ড অ্যালবাম স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হবে।

গ্রিড কন্ট্রোল
নতুন গ্রিড অপশন মিম, জিআইএফ ও একই ধরনের ছবি একসঙ্গে গ্রুপ করে ফটো ফিড পরিপাটি করতে সাহায্য করবে।

মেমোরি সেটিংস
ব্যবহারকারীরা চাইলে নির্দিষ্ট ব্যক্তি, পোষা প্রাণী বা তারিখ স্মৃতি থেকে আড়াল করতে পারবেন। এ ছাড়া টাইমলাইন ও থিমভিত্তিক বিন্যাসে মেমোরি দেখার অপশনও যোগ হয়েছে।

ফোন স্টোরেজ খালি করা
প্রোফাইল ছবি ট্যাপ করে ‘ফ্রি আপ স্পেস’ অপশন বেছে নিলে ক্লাউডে ব্যাকআপ করা ছবিগুলো মুছে ফোনে জায়গা খালি করা যাবে।
কিউআর কোডের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক অ্যালবাম শেয়ারিং ফিচারটি এখন চালু হয়েছে। গুগল জানিয়েছে, ভবিষ্যতে আরও স্মার্ট ফিচার আনার পরিকল্পনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে।

/রিয়াজ

প্রতিদিনের প্রযুক্তি ছোঁয়ায় সাইবার ঝুঁকি

প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৫, ০৪:৩৩ পিএম
প্রতিদিনের প্রযুক্তি ছোঁয়ায় সাইবার ঝুঁকি
প্রতীকী ছবি

আমাদের জীবন অনেকগুলো ধাপে পরিবর্তন হয়, যেমন- ছাত্রজীবন, চাকরি, বৈবাহিক জীবন, বাবা-মা হওয়া, প্রিয় কাউকে হারানো ইত্যাদি। এই প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের অনলাইন জীবন, মানে আমরা কীভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করি বা অনলাইনে অন্যরা আমাদের কীভাবে দেখে, সেটাও বদলায়। কিন্তু অনেকেই জানেন না, এই বদলগুলোর সঙ্গে সঙ্গে নতুন ধরনের সাইবার ঝুঁকিও আসে। আমি চেষ্টা করব সহজভাবে বোঝাতে, জীবনের সাথে সাথে কীভাবে আমাদের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বদলায় এবং কীভাবে আমরা সুরক্ষিত থাকতে পারি।

১. ছাত্রজীবন: জানার চেষ্টা, কিন্তু সতর্কতা কম

ছাত্রজীবনে আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করি পড়াশোনার, ফেসবুক, ইউটিউব বা গেম খেলার জন্য। কিন্তু তখন নিরাপত্তা নিয়ে তেমন ভাবি না। যেমন-
•    একই পাসওয়ার্ড সব জায়গায় ব্যবহার করা
•    অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা
•    ফ্রি Wi-Fi-তে লগইন করা

ঝুঁকি কী?
এই সময় অনেক হ্যাকার বা স্ক্যামার সহজেই আমাদের ফাঁদে ফেলতে পারে।

কী করা উচিত?
•    মজবুত এবং ভিন্ন ভিন্ন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন
•    টু-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন (2FA) চালু করুন
•    অপরিচিত লিংক বা ফ্রি Wi-Fi এড়িয়ে চলুন

২. চাকরিজীবন: দায়িত্ব বাড়ে, তাই সুরক্ষা ও সচেতনা অনিবার্য 

চাকরি শুরু হলে আমরা অফিসের ইমেইল, ভিডিও মিটিং, LinkedIn এসব ব্যবহার করি। এখানে শুধু নিজের তথ্য না, অফিসের তথ্য ও থাকে।

ঝুঁকি কী?
•    হ্যাকিং, ফিশিং ইমেইল, র‍্যানসমওয়্যার
•    কর্মক্ষেত্রের তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে

কী করা উচিত?
•    অফিসের সিকিউরিটি পলিসি মেনে চলুন
•    কাজের ও ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট আলাদা রাখুন
•    VPN ব্যবহার করুন

৩. বাবা-মা হওয়া: ভালোবাসা থেকে সতর্ক হওয়া
আমরা বাবা-মা হলে স্বাভাবিকভাবেই সন্তানকে নিয়ে গর্ব করি, খুশি হই, আর সেই খুশি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করি।

কিন্তু ভাবুন:
•    শিশুর নাম, ছবি, জন্মদিন শেয়ার করলে কেউ সেটা দিয়ে পরিচয় চুরি করতে পারে
•    বেবি মনিটর বা স্মার্ট ক্যামেরা (সিসি টিভি) ঠিকমতো নিরাপদ না থাকলে বাইরের কেউ অ্যাক্সেস পেতে পারে

কী করা উচিত?
•    সন্তানের তথ্য যতটা সম্ভব প্রাইভেট রাখুন
•    স্মার্ট ডিভাইসের ডিফল্ট পাসওয়ার্ড বদলান
•    বিশ্বাসযোগ্য অ্যাপস ও ডিভাইস ব্যবহার করুন

৪. প্রিয়জন হারানো: মনের দুঃখ আর হ্যাকারদের সুযোগ

কাউকে হারানো খুবই কষ্টের। সেই সময়ে আমরা আবেগের বশে অনেক কিছু শেয়ার করি। অনেকে জানেন না, মৃত্যুর পর প্রিয়জনের ফেসবুক বা ইমেইল কীভাবে মুছে ফেলতে হয়।

ঝুঁকি কী?
•    হ্যাকাররা মৃত ব্যক্তির নাম ব্যবহার করে ফেক প্রোফাইল তৈরি করতে পারে
•    পরিচিতদের সঙ্গে প্রতারণা করতে পারে

কী করা উচিত?
•    প্রিয়জনের ডিজিটাল লিগেসি কিভাবে ম্যানেজ করতে হয়, সেটি আগেই জানা ভালো
•    প্রয়োজনে Google/Facebook-এর মেমোরিয়াল অপশন ব্যবহার করা যেতে পারে

জীবন যেমন বদলায়, তেমনি বদলায় আমাদের অনলাইন অভ্যাস আর সিকিউরিটি ঝুঁকি। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা সচেতনতাও বাড়াতে হবে। সাইবারসিকিউরিটি মানে শুধু প্রযুক্তি নয়, এটি আমাদের মানসিকতা ও জীবনযাত্রার অংশ। আমাদের সচেতনতা একাই শুধু নিজেকে নয়, পুরো পরিবার, পুরো জাতিকে সাইবার ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে পারে।

লেখক: সাইবারসিকিউরিটি পেশাজীবী

তিন ন্যানোমিটার চিপ নিয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
আপডেট: ০৪ জুন ২০২৫, ০৩:৫২ পিএম
তিন ন্যানোমিটার চিপ নিয়ে কাজ করছে হুয়াওয়ে
হুয়াওয়ে বর্তমানে দুটি তিন ন্যানোমিটার চিপ ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও অত্যাধুনিক চিপ তৈরির উদ্যোগ জোরদার করেছে চীনের প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে দুটি তিন ন্যানোমিটার চিপ ডিজাইন নিয়ে কাজ করছে। চিপ উৎপাদনে হুয়াওয়ের এই উচ্চাকাঙ্ক্ষা আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সফল হলে এটি বৈশ্বিক চিপ শিল্পে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে।

তাইওয়ানের সংবাদমাধ্যম ইউডিএনের এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, হুয়াওয়ে তিন ন্যানোমিটার চিপ তৈরির জন্য দুটি কৌশল অবলম্বন করছে। এর একটি হলো গেট অল অ্যারাউন্ড (জিএএ) এফইটি ভিত্তিক ডিজাইন এবং অন্যটি ভবিষ্যতের কার্বন ন্যানোটিউব ভিত্তিক সেমিকন্ডাক্টর। ২০২৬ সালের মধ্যে এই চিপগুলো ‘টেপ আউট’ বা উৎপাদনের জন্য ডিজাইন চূড়ান্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৭ সালে শুরু হতে পারে বাণিজ্যিক উৎপাদন।

সম্প্রতি ৫ ন্যানোমিটার কিরিন এক্স৯০ চিপ উৎপাদনে সফলতার পর হুয়াওয়ে এই নতুন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ওয়াশিংটনের নিষেধাজ্ঞার কারণে এসএমআইসি এই চিপটি এএসএমএলের আধুনিক ইইউভি প্রযুক্তির পরিবর্তে পুরোনো ডিইউভি লিথোগ্রাফি ও মাল্টি প্যাটার্নিং পদ্ধতি ব্যবহার করে তৈরি করেছে। এই পদ্ধতি জটিল ও ব্যয়বহুল। তবে এর উৎপাদন হার ছিল মাত্র ২০ শতাংশ, যা প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান টিএসএমসির তুলনায় অনেক কম।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন ন্যানোমিটার জিএএ এফইটি চিপ আগের কিরিন চিপগুলোর তুলনায় শক্তি ব্যবহারে আরও কার্যকর ও পারফরম্যান্সে উন্নত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সময়ে, হুয়াওয়ে কার্বন ন্যানোটিউব ভিত্তিক তিন ন্যানোমিটার চিপ নিয়েও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। নতুন এই প্রযুক্তি প্রচলিত সিলিকন ভিত্তিক চিপগুলোর চেয়ে উন্নত পারফরম্যান্স দিতে পারে। যদিও এর অগ্রগতি এখনো পরিষ্কার নয়। এই প্রকল্প এখনো গবেষণাধীন অবস্থায় রয়েছে।

তিন ন্যানোমিটার প্রযুক্তিতে উৎপাদন হার আরও কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা উৎপাদন ব্যয় অনেক বাড়িয়ে দেবে। তবে হুয়াওয়ে এরই মধ্যে ৩৭ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগে নিজস্ব ইইউভি প্রযুক্তির অগ্রগতির জন্য কাজ শুরু করেছে। ২০২৬ সাল নাগাদ এটি প্রস্তুত হতে পারে বলে ধারণা করছেন কিছু প্রযুক্তি বিশ্লেষক।

প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের একাংশ যেমন এ নিয়ে আশাবাদী, তেমনি অনেকে এটিকে বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ বলে মনে করছেন। ইইউভি প্রযুক্তিতে এএসএমএলের একচেটিয়া আধিপত্য এখনো অটুট রয়েছে। হুয়াওয়ে তাদের ইইউভি প্রযুক্তির অগ্রগতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ নীরবতা বজায় রেখেছে, যেমনটি তারা তাদের কিরিন ৯০১০ উন্মোচনের সময় করেছিল।

তবে হুয়াওয়ে যদি এই জটিল চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে সফলভাবে তিন ন্যানোমিটার চিপ উৎপাদনে সক্ষম হয়, তাহলে টিএসএমসি ও স্যামসাংয়ের সঙ্গে চীনের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান আরও শক্তিশালী হবে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ২০২৬ সালে প্রযুক্তি জগতে বড় চমক আসতে পারে হুয়াওয়ের দিক থেকে।