ঢাকা ১৮ কার্তিক ১৪৩১, রোববার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪

চুক্তিমূল্য হতে পারে ১২২ বিলিয়ন ডলার কোয়ালকম কিনতে চায় ইন্টেলকে

প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৫৮ পিএম
আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০৪ পিএম
কোয়ালকম কিনতে চায় ইন্টেলকে
ছবি: সংগৃহীত

চিপ জায়ান্ট কোয়ালকম আরেক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলকে অধিগ্রহণের আগ্রহ জানিয়েছে। এই খবর প্রকাশ করেছে আমেরিকার সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইন্টেলের কাছে একটি সম্ভাব্য ক্রয় প্রস্তাব নিয়ে যোগাযোগ করেছে কোয়ালকম। এতে কোয়ালকমের খরচ করতে হতে পারে ১২২ বিলিয়ন ডলার। এই অধিগ্রহণের বিষয়টি ইন্টেলের বড় ধরনের পতনকে প্রতিনিধিত্ব করছে।

ইন্টেল একসময় বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান চিপ নির্মাতা কোম্পানি ছিল। মূলত তার এক্স৮৬ প্রসেসর প্রযুক্তির কারণে বহু বছর ধরে কোয়ালকমের আর্ম চিপগুলোর ওপর আধিপত্য দেখিয়েছে। তবে এই চুক্তির ফলে কোম্পানি দুটির চিপ প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিযোগিতার অবসান হতে পারে।

ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে এই চুক্তির বিষয়কে অত্যন্ত অনিশ্চিত বলে বর্ণনা করা হয়েছে। মার্কিন আরেক সংবাদপত্র নিউইয়র্ক টাইমস গত শুক্রবার এই প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘কোয়ালকম এখনো ইন্টেলকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি। এই আলোচনা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।’ এই চুক্তি প্রযুক্তি জগতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে পারে। তবে এর সঙ্গে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে।

বর্তমানে কোয়ালকমের বাজারমূল্য ১৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন ঋণসহ ইন্টেলকে কিনতে কোয়ালকমকে ১২২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হবে। সাম্প্রতিক ট্যাক্স নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোয়ালমের কাছে নগদ অর্থ রয়েছে মাত্র ১৩ বিলিয়ন ডলার।

এই অধিগ্রহণ প্রচেষ্টা প্রযুক্তি শিল্পের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অধিগ্রহণের চেষ্টা হিসেবে চিহ্নিত হবে। ২০১৮ সালে ব্রডকম যখন ১৪২ বিলিয়ন ডলারে কোয়ালকম কিনতে চেয়েছিল। তবে জাতীয় নিরাপত্তাঝুঁকির কারণ দেখিয়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই চুক্তি বাতিল করে দেন।

কোয়ালকম কীভাবে ১৮৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের কোম্পানি হিসেবে ১২২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ইন্টেলের জন্য বিড করবে, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

একটি সূত্রের বরাত দিয়ে আমেরিকান প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম দ্য ভার্জ জানিয়েছে, কোয়ালকমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস্টিয়ানো আমোন পাঁচ দশকের পুরোনো ইন্টেল অধিগ্রহণের আলোচনায় ব্যক্তিগতভাবে জড়িত। কোম্পানিটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানা গেছে। গোপনীয়তার কারণে সূত্রগুলো পরিচয় গোপন রাখতে চেয়েছেন।

এর আগে চলতে মাসেই রয়টার্স জানিয়েছিল, ইন্টেলের ডিজাইন ব্যবসার কিছু অংশ, বিশেষ করে পিসি ডিজাইন ইউনিট অধিগ্রহণের সম্ভাবনা দেখছে কোয়ালকম। ইন্টেল এ বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কোয়ালকমও এ বিষয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের আবেদনে সাড়া দেয়নি।

একসময়ের সবচেয়ে মূল্যবান চিপ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেল যখন কঠিন সময় পার করছে, তখনই এই আলোচনা শুরু হয়েছে। চলতি বছরের শুরু থেকে এর শেয়ারের দর প্রায় ৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। কোম্পানিটির অনেক ব্যবসা এখনো লাভজনক পর্যায়ে থাকলেও গত আগস্টে কোম্পানিটির ১৬০ কোটি ডলার ক্ষতির কথা আর্থিক প্রতিবেদনে উঠে আসে। এরপর নিজেদের কৌশল পরিবর্তন এবং ১৫ শতাংশেরও বেশি কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণা দিয়েছে ইন্টেল।

ইন্টেলের সমস্যাগুলো শুধু উৎপাদন বা লাভের বিষয় নয়, তা অনেকটাই সিলিকন নেতৃত্বের সঙ্গেও সম্পর্কিত। একই সঙ্গে এনভিডিয়া বিভিন্ন এআই সার্ভারের জন্য চিপ উৎপাদনের ক্ষেত্রে আধিপত্য বিস্তার করছে। তবে এ ক্ষেত্রে বিশেষ কোনো সফল্য পায়নি ইন্টেল। গেমার ও নির্মাতাদের জন্য নিজস্ব জিপিইউ উৎপাদনের প্রচেষ্টায়ও তেমন কিছু করতে পারেনি কোম্পানিটি। সূত্র: দ্য ভার্জ ও রয়টার্স

প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্মুখীন হচ্ছে নেটওয়ার্ক সমস্যার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্মুখীন হচ্ছে নেটওয়ার্ক সমস্যার
প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

প্রতি তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি নিয়মিতভাবে নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মাসে একাধিকবার বা অন্তত ১২ শতাংশ বছরে একবার এ সমস্যা মোকাবেলা করছে। ক্যাসপারস্কির এক প্রতিবেদনে, বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক ও তথ্য নিরাপত্তা গবেষণা করে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষত নেটওয়ার্ক ও সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যক্রম চালানো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ, যোগাযোগ ও আইটি পরিচালনায় প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ক্যাসপারস্কির তথ্যমতে, ৪৯ শতাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ঘটনা শনাক্ত ও সমাধান করা। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায়ই নেটওয়ার্ক বিভ্রাট, ধীর গতির পারফরম্যান্স ও লিমিটেড নেটওয়ার্ক সমস্যার মুখোমুখি হয়। এ সমস্যার সমাধান করে পুনরায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ১ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে।

ক্যাসপারস্কির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ম্যাক্সিম কামিনস্কি বলেন, ‘শিল্প প্রতিষ্ঠাগুলোর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে প্রায়ই বিলম্ব, উৎপাদন কমে যাওয়া, আর্থিক ক্ষতি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। যখন একটি নেটওয়ার্ক ডাউন হয়, তখন প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে না। একই সঙ্গে গ্রাহকের আস্থা হারাতে থাকে। তাই ব্যবসার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখা উচিত। নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্ভাব্য কারণগুলো শনাক্ত ও সময়োপযোগী কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, প্রতিষ্ঠানগুলো এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে এবং সুরক্ষিত থাকতে পারবে।’

নেটওয়ার্ক সমস্যা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্যাসপারস্কি তাদের ক্যাসপারস্কি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইবার সিকিউরিটি (কেআইসিএস) ও ক্যাসপারস্কি এসডি-ডব্লিউএএন-এর মতো সল্যুশন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা, নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশান ও অত্যাধুনিক সুরক্ষা সরবরাহ করে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে।

/আবরার জাহিন

আগামী বছরের প্রথম দিকে আসছে অ্যান্ড্রয়েড-১৬

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম
আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৮ পিএম
আগামী বছরের প্রথম দিকে আসছে অ্যান্ড্রয়েড-১৬
আগামী বছরের প্রথম দিকে আসছে অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যান্ড্রয়েড-১৬’। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালের প্রথম দিকে অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যান্ড্রয়েড-১৬’ আনবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুগল। এ ছাড়া আগামী বছরের শেষের দিকে ছোট একটি আপডেটেরও পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির।

অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের এ বছর একটু বেশিই অপেক্ষা করতে হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড-১৫ অপারেটিং সিস্টেমের জন্য। তবে গুগল ইতোমধ্যে অপারেটিং সিস্টেমটির আসন্ন দুটি আপডেটের সময়সূচি ঘোষণা করেছে। সম্প্রতি বিষয়টি জানিয়েছে গুগল।

অ্যান্ড্রয়েডের বড় ধরনের আপডেট সাধারণত বছরের তৃতীয় বা চতুর্থ প্রান্তিকে বাজারে আসে। ছোট কিছু আপডেট ছাড়া গত ১০ থেকে ১২ বছরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাই হয়েছে। তবে ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অ্যান্ড্রয়েড-১৬ বাজারে আসবে। আগামী বছরের ডিসেম্বর নাগাদ অ্যান্ড্রয়েড সংক্রান্ত আরও একটি ছোট আপডেট আসতে পারে।

গুগল এক ব্লগ পোস্টে জানিয়েছে, নতুন ডিভাইস লঞ্চের সময়সূচির সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতেই এই সিদ্ধান্ত। এতে আরও বেশি ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড-১৬ শুরু থেকেই অন্তর্ভুক্ত থাকবে। প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী থার্ডপার্টি ফোন নির্মাতাদের নতুন ওএস আপডেটের জন্য কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতো, এটি তাদের জন্য ভালো খবর।

অ্যান্ড্রয়েড-১৬ ফোনে চলে এলে কিছু অ্যাপের আপডেটের প্রয়োজন হতে পারে। অ্যাপ ডেভেলপারদের এপিআইয়ে পরিবর্তন আনতে হতে পারে। আসন্ন অ্যান্ড্রয়েড-১৬ অপারেটিং সিস্টেমে কী কী ফিচার থাকবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু জানায়নি গুগল। প্রযুক্তি সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, সিকিউরিটি ও বাগ-সংক্রান্ত বিষয়ে অ্যান্ড্রয়েডের এই সংস্করণ আগের সংস্করণগুলো থেকে আরও আপডেটেড হবে।

২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রথম বাজারে আসে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় আমূল পরিবর্তন এসেছে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমটি বাজারে আসার মধ্য দিয়ে। বিশ্বে যত স্মার্টফোন ব্যবহার হয়, তার বেশির ভাগ স্মার্টফোনই চলে এই অপারেটিং সিস্টেম।

ওপেনএআই আনল চ্যাটজিপিটি সার্চ

প্রকাশ: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৭ পিএম
আপডেট: ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৪২ পিএম
ওপেনএআই আনল চ্যাটজিপিটি সার্চ
ওপেনএআই চালু করছে ‘চ্যাটজিপিটি সার্চ’। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই চালু করছে ‘চ্যাটজিপিটি সার্চ’। এর মধ্য দিয়ে জনপ্রিয় গুগল সার্চ ইঞ্জিনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে নাম লেখাল ওপেনএআই।

গত বৃহস্পতিবার কোম্পানিটি তাদের নতুন সার্চ সেবাটি চালু করেছে। এটি চলতি বছরের শুরুর দিকে উন্মোচিত সার্চজিপিটি প্রোটোটাইপের উন্নত সংস্করণ। চ্যাটজিপিটি প্ল্যাটফর্মে নির্মিত এই সার্চ সিস্টেমটি বিভিন্ন অনলাইন উৎস থেকে সময়োপযোগী উত্তর দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে।
ওপেনএআই দাবি করছে, তাদের জিপিটি-ফোরও মডেলের একটি উন্নত সংস্করণ দিয়ে পরিচালিত চ্যাটজিপিটি সার্চ ওয়েব থেকে তথ্য ও ছবি সরবরাহ করবে। চ্যাটজিপিটি সার্চ বিভিন্ন অনলাইন উৎস থেকে সঠিক ও দ্রুত উত্তর দেবে। এটি গুগলের সার্চ ইঞ্জিনের মতোই ব্যবহারকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিতে খেলাধুলার স্কোর, খবর, শেয়ারবাজারের তথ্যসহ আরও অনেক কিছু সরবরাহ করবে। প্রতিটি ফলাফলের সঙ্গে যুক্ত থাকবে প্রাসঙ্গিক লিংক।

চ্যাটজিপিটি সার্চ ব্যবহারকারী চাইলে ম্যানুয়ালি নতুন ওয়েব সার্চ আইকন ব্যবহার করে সার্চ করতে পারবেন। এ ছাড়া অনুসন্ধানের পরিপ্রেক্ষিতে আরও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে চলমান অনুসন্ধানকে পরিমার্জন করা যাবে।

ওপেনএআই জানিয়েছে, উত্তরগুলোতে ইন-লাইন ও সাইডবারে সংবাদ প্রকাশকদের এবং অন্যান্য তথ্যসূত্র উদ্ধৃতি থাকবে, যাদের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের চুক্তি রয়েছে। নির্বাচনের ফলাফলের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রশ্নের উত্তর দিতে এপি ও রয়টার্সের মতো উৎস ব্যবহার করা হবে।

চ্যাটজিপিটি প্লাস ও টিম সাবস্ক্রিপশন ব্যবহারকারীরা মোবাইল এবং ওয়েবের মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি সার্চ ব্যবহার করতে পারবেন। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ওপেনএআইয়ের এন্টারপ্রাইজের গ্রাহকরা চ্যাটজিপিটি সার্চ ব্যবহার করতে পারবেন। এর পর সাধারণ ব্যবহারকারীরা বিনামূল্যে সেবাটি পারবেন।

কোম্পানিটি একটি ব্রাউজার এক্সটেনশনও প্রকাশ করেছে। এর মাধ্যমে চ্যাটজিপিটি সার্চকে ক্রোম ব্রাউজারের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

ওপেনএআই জানিয়েছে, বিশেষ করে কেনাকাটা ও ভ্রমণের মতো ক্ষেত্রে সার্চ সেবাটি আরও উন্নত করার জন্য কাজ করছে তারা। গবেষণার জন্য ওপেনএআইয়ের ‘ও১’-এর মতো এআই মডেলগুলো ব্যবহার হবে।

এই নতুন সার্চ সেবাটি বাজারে আসার পর কিছু প্রকাশক উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন, এআই-জেনারেটেড ওভারভিউ মূল সাইটগুলোর ট্রাফিককে প্রভাবিত করতে পারে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় ২৫ শতাংশ প্রকাশকের ওয়েবসাইটে ভিজিট সংখ্যা কমে যেতে পারে। তবে ওপেনএআই প্রকাশকদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে চ্যাটজিপিটি সার্চের জন্য প্রাসঙ্গিক ফলাফল নির্বাচন ও সারাংশ তৈরির প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন এনেছে। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

গুগলকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে রাশিয়া

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৪০ পিএম
আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
গুগলকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে রাশিয়া
গুগলকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে রাশিয়া। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলকে সবচেয়ে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে রাশিয়া। এই জারিমানার পরিমাণ ২ দশমিক ৫ ডেসিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২,৫০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ ডলার, যা ২৫ এর পরে ৩৫টি শূন্য। এই জরিমানা ২ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলারের সমতুল্য। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের মতে, যা বিশ্বের মোট জিডিপির চেয়েও অনেক বেশি। ইউটিউবে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ও সরকার সমর্থিত অ্যাকাউন্টগুলো ব্লক করায় অভিযোগে রাশিয়ার এক আদালত গুগলকে এ জরিমানা করেছে।

মূলত ২০২০ সালে রুশ টিভি চ্যানেল ‘সারগ্রাদ’ ও ‘আরআইএ ফ্যান’ তাদের ইউটিউব চ্যানেলে গুগলের বিধিনিষেধ সম্পর্কিত মামলায় জয়ী হয়। এতে গুগলকে এক লাখ রুবল জরিমানা করে রাশিয়ার আদালতটি। গত চার বছর ধরে জমা হওয়া এই জরিমানা রাশিয়ান আইনে প্রতি সপ্তাহে দ্বিগুণ হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আরবিসি প্রথম এই বিশাল জরিমানার তথ্য প্রকাশ করেছে। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের সমর্থনকারী সংবাদমাধ্যমগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার পর, গুগলের বিরুদ্ধে আরও জরিমানা ধার্য করা হয়। 
আরবিসির তথ্যমতে, গুগল এখনও ১৭টি রাশিয়ান টিভি চ্যানেলের ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে দেয়নি। ২৮ অক্টোবর দেশটির এক বিচারক শুনানির সময় বলেন, তিনি এমন একটি কেস নিয়ে বিচার করছেন, যেখানে অনেক অনেক শূন্য রয়েছে।

গত বছর গুগলের আয় ছিল ৩০৬ বিলিয়ন ডলার। হয়তো এ কারণে এই বিশাল জরিমানা পরিশোধ করবে না গুগল।   গত মাসে গুগল রাশিয়ান ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরির সীমিত করেছে। একই সঙ্গে চলতি বছরের আগস্টে দেশটিতে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে কোম্পানিটি। ২০২২ সালের মার্চ থেকে দেশটিতে গুগলের বিজ্ঞাপন পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে, যা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার অংশ। 
এই পদক্ষেপের প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ গুগলের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করে, যার ফলে গুগলের রাশিয়ার শাখা দেউলিয়া ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। তবে ইউটিউব ও সার্চসহ গুগলের ফ্রি সেবা রাশিয়ায় চালু রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় প্রকাশিত সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে গুগল তাদের রাশিয়ায় চলমান আইনি সমস্যার কথা স্বীকার করেছে। সংস্থাটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, ‘রাশিয়া সম্পর্কিত আইনি বিষয় চলমান রয়েছে। অ্যাকাউন্ট বন্ধ সংক্রান্ত বিতর্কে সম্মিলিত জরিমানাসহ আরও নানা সিদ্ধান্ত উপর আরোপিত হয়েছে। মনে হয় না, আমাদের উপর এই চলমান আইনি বিষয়গুলোর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।’ সূত্র: দ্য ইনডিপেনডেন্ট 

চ্যাটবটের জন্য নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
চ্যাটবটের জন্য নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা
‘মেটা এআই’-এর জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা।ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা নিজেদের চ্যাটবট ‘মেটা এআই’-এর জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে। গুগল ও মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম দ্য ইনফরমেশন এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

তিন বছর আগে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা  অ্যাপলের একটি গোপনীয়তা ফিচারের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয় মেটা। এরপর কোম্পানিটি তাদের চ্যাটবট মেটা এআইয়ের জন্য একটি বিকল্প সার্চ ইঞ্জিনের ওপর কাজ করছে বলে জানা গেছে।

দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা গত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ওয়েব পেজগুলোর তালিকা বা ইনডেক্স তৈরি করার কাজ করছে। কোম্পানিটির লক্ষ্য এই ওয়েব ইনডেক্স মেটা এআইয়ে যুক্ত করা, যেন চ্যাটবটটি গুগল সার্চ ও মাইক্রোসফট বিং ব্যবহার না করেই সার্চের কার্যক্রম করতে পারে। মেটা চলতি বছরের শুরুতে নিজেদের ওয়েব ক্রলার প্রযুক্তি প্রকাশ করে, যা মূলত এআই মডেল প্রশিক্ষণ ও পণ্য উন্নত করতে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে আছেন মেটার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার শুয়েইউয়ান সু।

এই পদক্ষেপের মূল কারণ অতীতে অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা থেকে তৈরি সমস্যা। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপলের অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি (এটিটি) ফিচারটি মেটার জন্য ক্ষতি কারণ হিসেবে দেখা দেয়। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন আয় থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা তৈরি হয়। তাই মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ চাচ্ছেন এ ধরনের নির্ভরতা কমিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। এ বিষয়ে মেটার কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত আগস্টে জাকারবার্গ থ্রেডসের এক পোস্টে জানান, মেটা এআইয়ের সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৮ কোটির বেশি এবং মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবহারকারী সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখনো যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সেবাটি চালু করা হয়নি।’