সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি তাদের ‘ক্যাসপারস্কি কিডজ সাইবার রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট’ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সম্প্রসারণ করছে। সম্প্রতি এই প্রকল্প ভিয়েতনামসহ মধ্যপ্রাচ্য ও কমনওয়েলথ অব ইনডিপেনডেন্ট স্টেটসের (সিআইএস) দেশগুলোতেও চালু করার ঘোষণা দিয়েছে ক্যাসপারস্কি। এই উদ্যোগের লক্ষ্য শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের নিরাপদ অনলাইন অভিজ্ঞতা পাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাইবার নিরাপত্তা দক্ষতা শেখানো।
২০২৩ সালের মার্চ মাসে সিঙ্গাপুরে যাত্রা শুরু করে এই প্রকল্প এখন ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া ও ভারতের মতো দেশে বিস্তৃত হয়েছে। ক্যাসপারস্কি কিডজ সাইবার রেজিলিয়েন্স প্রজেক্ট শিশু, পিতা-মাতা, শিক্ষক ও এনজিওদের জন্য অনলাইন হুমকি ও ডিজিটাল স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ায়। কর্মশালা, কোর্স ও ইন্টারেক্টিভ ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে, প্রোগ্রামটি দায়িত্বশীল ডিজিটাল আচরণকে উৎসাহিত করে। একই সঙ্গে অনলাইন নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করে।
সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষিত করার জন্য ক্যাসপারস্কি এখন ভিয়েতনামের ভিয়েতনেট-আইসিটি এবং থাই নিউয়েন ডিপার্টমেন্ট অব এডুকেশনের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে। অনলাইন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার ওপর ফোকাস করে তথ্যপ্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, নলেজ সিটি ব্রাঞ্চ (মিসর)-এর সহযোগিতায় মিসরের কায়রোতে অনুরূপ একটি প্রোগ্রাম চালু করবে। রাশিয়াতেও বছরের শেষ নাগাদ স্কুল এবং জনসাধারণকে নিয়ে একটি সাইবার রেজিলিয়েন্স প্রকল্প চালু করা হবে।
ক্যাসপারস্কি একাডেমির সহযোগিতায় প্রকল্পটির মধ্যে রয়েছে ফিশিং, সোশ্যাল মিডিয়া সুরক্ষিত করা, নিরাপদ গেমিং এবং সাইবার বুলিং প্রতিরোধের মতো বিষয়। এ ছাড়া রয়েছে শিক্ষাক্ষেত্রে এআই দিয়ে কীভাবে ভালোর জন্য কাজ করা যায়, সেজন্য শিক্ষক ও অভিভাবকদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
ক্যাসপারস্কি সাইবার সিকিউরিটি এডুকেশনের প্রধান ইভজেনিয়া রুস্কিক বলেন, ‘শিশু ও যুবকদের জন্য নিরাপদ সাইবার পরিবেশ গড়ে তোলা একটি জটিল কাজ। এর জন্য শিক্ষক, পিতা-মাতা ও এনজিও প্রতিনিধিসহ অসংখ্য পক্ষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। ক্যাসপারস্কি কিডজ সাইবার রেজিলিয়েন্সের লক্ষ্য হলো এই স্টেকহোল্ডারদের একত্রিত করে নতুন প্রজন্মের ব্যবহারকারীদের শেখানো কীভাবে ডিজিটাল জগতে নিজেদের নিরাপদ রাখতে হয়।’
/আবরার জাহিন