দীর্ঘদিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং ভয়াবহ বন্যার কারণে চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবির আয়ে ভাটা পড়েছে। পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় আয় কমেছে ৫ শতাংশ।
চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে রবির মোট আয়ের পরিমাণ ২ হাজার ৪৭৪ দশমিক ৪ কোটি টাকা, যা গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ কম। বছরের প্রথম নয় মাসে মোট আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার ৫৯৪ দশমিক ৬ কোটি টাকায়। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ২ শতাংশ বেশি।
পূর্ববর্তী প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে ভয়েস সেবা থেকে আয় ৩ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে ইন্টারনেট সেবা থেকে আয় কমেছে ১৫ দশমিক ৫ শতাংশ। গত বছরের একই প্রান্তিকের তুলনায় ভয়েস সেবা থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। তবে ইন্টারনেট সেবা থেকে রাজস্ব কমেছে ১০ দশমিক ৩ শতাংশ।
৩০ অক্টোবর চলতি বছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক ফলাফল ঘোষণা করে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায় রবি।
সার্বিকভাবে নেতিবাচক আর্থিক পরিস্থিতির কারণে রবির সক্রিয় গ্রাহক সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ। সক্রিয় গ্রাহকদের মধ্যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের সংখ্যা ৪ কোটি ৪৩ লাখ। এর মধ্যে ৩ কোটি ৭০ লাখ গ্রাহক ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহার করেন।
মোট সক্রিয় গ্রাহকের প্রেক্ষিতে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী গ্রাহকের হার ৭৬ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ফোরজি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৬৪ শতাংশ। ১০ দশ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী কমে যাওয়া সত্ত্বেও মোবাইল টেলিযোগাযোগ শিল্পে সক্রিয় ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যার দিক থেকে রবি সর্বোচ্চ অবস্থানে রয়েছে।
নতুন ২৪৯টি সাইট নিয়ে তৃতীয় প্রান্তিকে রবির মোট ফোরজি সাইটের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৮ হাজারের কাছাকাছি। এর মাধ্যমে দেশের ৯৮ দশমিক ৯৬ শতাংশ জনগনের জন্য ফোরজি কভারেজ নিশ্চিত করছে।
রবির আর্থিক ফলাফল নিয়ে কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও রাজীব শেঠি বলেন, ‘সব দিক থেকে জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়টি আমরা অনিশ্চয়তায় কাটিয়েছি। গণঅভ্যুত্থানের সময় ১১ দিন ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং এরপর ভয়াবহ বন্যা অর্থনীতির জন্য ছিল এক বড় আঘাত। বিপুল সংখ্যক গ্রাহক আমাদের নেটওয়ার্ক ছেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই আমাদের রাজস্বে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। শেষ পর্যন্ত আমাদের কার্যকর ব্যয় ব্যবস্থাপনা কর্মসূচির বদৌলতে আমরা কিছু মুনাফাসহ ভালভাবে এই প্রান্তিকটি শেষ করতে পেরেছি।’
টেলিযোগাযোগ ইকোসিস্টেমকে নতুন করে সাজানোর লক্ষ্যে সম্প্রতি টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা কর্তৃক গৃহীত সংষ্কার কার্যক্রমকে সাধুবাদ জানান রাজীব। উভয় পক্ষের জন্য উপযোগী একটি ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে সংস্কারের এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে সার্বিক সহযোগিতার সংকল্প ব্যক্ত করেন তিনি।
/আবরার জাহিন