ঢাকা ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪

চ্যাটবটের জন্য নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা

প্রকাশ: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৫৮ পিএম
আপডেট: ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:২০ পিএম
চ্যাটবটের জন্য নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা
‘মেটা এআই’-এর জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে মেটা।ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট মেটা নিজেদের চ্যাটবট ‘মেটা এআই’-এর জন্য একটি সার্চ ইঞ্জিন তৈরি করছে। গুগল ও মাইক্রোসফটের সার্চ ইঞ্জিনের ওপর নির্ভরতা কমাতে নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিন তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত সোমবার আমেরিকান সংবাদ মাধ্যম দ্য ইনফরমেশন এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে।

তিন বছর আগে বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি পণ্য নির্মাতা  অ্যাপলের একটি গোপনীয়তা ফিচারের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হয় মেটা। এরপর কোম্পানিটি তাদের চ্যাটবট মেটা এআইয়ের জন্য একটি বিকল্প সার্চ ইঞ্জিনের ওপর কাজ করছে বলে জানা গেছে।

দ্য ইনফরমেশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা গত আট মাসেরও বেশি সময় ধরে ওয়েব পেজগুলোর তালিকা বা ইনডেক্স তৈরি করার কাজ করছে। কোম্পানিটির লক্ষ্য এই ওয়েব ইনডেক্স মেটা এআইয়ে যুক্ত করা, যেন চ্যাটবটটি গুগল সার্চ ও মাইক্রোসফট বিং ব্যবহার না করেই সার্চের কার্যক্রম করতে পারে। মেটা চলতি বছরের শুরুতে নিজেদের ওয়েব ক্রলার প্রযুক্তি প্রকাশ করে, যা মূলত এআই মডেল প্রশিক্ষণ ও পণ্য উন্নত করতে ব্যবহার হবে বলে জানিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এই প্রকল্পের নেতৃত্বে আছেন মেটার সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং ম্যানেজার শুয়েইউয়ান সু।

এই পদক্ষেপের মূল কারণ অতীতে অন্যান্য বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা থেকে তৈরি সমস্যা। ২০২১ সালে চালু হওয়া অ্যাপলের অ্যাপ ট্র্যাকিং ট্রান্সপারেন্সি (এটিটি) ফিচারটি মেটার জন্য ক্ষতি কারণ হিসেবে দেখা দেয়। এর জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিজ্ঞাপন আয় থেকে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা তৈরি হয়। তাই মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মার্ক জাকারবার্গ চাচ্ছেন এ ধরনের নির্ভরতা কমিয়ে প্রতিষ্ঠানটিকে স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। এ বিষয়ে মেটার কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

গত আগস্টে জাকারবার্গ থ্রেডসের এক পোস্টে জানান, মেটা এআইয়ের সাপ্তাহিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা সাড়ে ১৮ কোটির বেশি এবং মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটিরও বেশি। তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবহারকারী সংখ্যা দ্রুত বাড়ছে। এখনো যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল বা ইউরোপীয় ইউনিয়নে সেবাটি চালু করা হয়নি।’

হুয়াওয়ের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে থাকছে না গুগল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৭ পিএম
হুয়াওয়ের নতুন অপারেটিং সিস্টেমে থাকছে না গুগল ও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ
হুয়াওয়ের ‘হারমনি ওএস’ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ উন্মোচন। ছবি: সংগৃহীত

অবশেষে চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট হুয়াওয়ে তাদের ‘হারমনি ওএস’ অপারেটিং সিস্টেমের নতুন সংস্করণ উন্মোচন করেছে। নতুন এই অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড বা গুগলের ওপর নির্ভরশীল নয়। ‘হুয়াওয়ে মেট ৭০’ স্মার্টফোনের মাধ্যমে এই সফটওয়্যার আত্মপ্রকাশ করেছে, যা প্রযুক্তি বিশ্বে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।

হুয়াওয়ের এ উদ্যোগ মূলত যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে গড়ে ওঠেছে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কারণে হুয়াওয়ে গুগলের মতো মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এই বাধা পেরোতে হুয়াওয়ে ধীরে ধীরে নিজেদের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার প্রযুক্তি উন্নত করে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পথে এগিয়েছে।

নতুন অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম দিন থেকে হুয়াওয়ের কাছে বড় পরিসরে অ্যাপ্লিকেশনের তালিকা না থাকলেও, দ্রুত ১৫ হাজারের বেশি অ্যাপ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে অ্যাপের স্বল্পতা থাকতে পারে। তবে এই প্ল্যাটফর্মে আরও ডিভাইস যুক্ত হলে ব্যবহারকারীর সংখ্যা ও অ্যাপের বৈচিত্র্য বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

নতুন হারমোনি ওএস অপারেটিং সিস্টেমে হুয়াওয়েকে অ্যাপলের মতো একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার সুযোগ দিয়েছে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা আনতে পারে। ক্যামেরার মাধ্যমে চলন্ত বস্তুর ছবি নেওয়ার অভিনব কৌশল বা হাতের ইশারায় ফাইল স্থানান্তরের মতো অভিনব ফিচার প্রদর্শন করেছে হুয়াওয়ে। প্রযুক্তি ব্যবহারকারীদের মধ্যে ইতোমধ্যে এই ফিচারগুলো নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। 

উন্নত হার্ডওয়্যার ও নিজস্ব সফটওয়্যার ব্যবহারের স্বাধীনতা পেয়ে হুয়াওয়ে নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বকে দেখাতে চায় যে তারা কী দিতে সক্ষম। অদূর ভবিষ্যতে হুয়াওয়ের এই পদক্ষেপ কি গুগল ও অ্যান্ড্রয়েডের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও নিজস্ব ইকোসিস্টেম গড়তে উৎসাহিত করবে? এ প্রশ্নের উত্তর সময় বলে দেবে।

/আবরার জাহিন

ইউটিউব শর্টসে তৈরি করা যাবে এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড

প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০৯ পিএম
ইউটিউব শর্টসে তৈরি করা যাবে এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড
ইউটিউব শর্টসে যুক্ত করা যাবে এআই জেনারেট ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড। ছবি: সংগৃহীত

ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবের জনপ্রিয় শর্টস ফিচারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই চালিত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করা যাবে। ড্রিম স্ক্রিন ফিচারের মাধ্যমে ইউটিউব শর্টসে এআই দিয়ে তৈরি এই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড যুক্ত করা যাবে। সম্প্রতি ফিচারটির ঘোষণা করেছে ইউটিউব। এর আগে ইউটিউব শর্টসে এই ফিচারের মাধ্যমে শুধু এআই জেনারেটেড ছবি ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ব্যবহার করা যেত।

গুগলের ডিপমাইন্ড বিভাগের তৈরি এআই ভিডিও জেনারেশন মডেল ‘ভিও’-এর সাহায্যে ইউটিউব শর্টসে নতুন সক্ষমতা যুক্ত হয়েছে। এই এআই মডেল বিভিন্ন সিনেম্যাটিক স্টাইলে ১০৮০ পিক্সেলে রেজল্যুশনের ভিডিও ক্লিপ তৈরি করতে সক্ষম। ব্যবহারকারীরা এখন থেকে সরাসরি টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করতে পারবেন।

এটি ব্যবহারের জন্য শর্টস ক্যামেরায় গিয়ে ‘গ্রিন স্ক্রিন’ আইকনে ক্লিক করুন। তার পর ‘ড্রিম স্ক্রিন’ নির্বাচন করুন। এর পর একটি প্রম্পট লিখতে হবে, যেমন ‘ক্যান্ডি ল্যান্ডস্কেপ ‘ বা ‘বন ও ঝরনা’। এর পর পছন্দের অ্যানিমেশন স্টাইল নির্বাচন করে ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ড্রিম স্ক্রিন টুলটি এর পর কয়েকটি ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরি করবে, যা থেকে আপনি পছন্দমতো একটি বেছে নিন। এবার এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড নির্বাচন করে তার সামনে ভিডিও রেকর্ড করুন।

শর্টস ফিচারে এআই ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরির মতো সুবিধা এখন শুধু ইউটিউবে রয়েছে। শর্টফর্ম ভিডিও প্ল্যাটফর্ম হিসেবে শীর্ষস্থানীয় টিকটকে এআই চালিত ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি তৈরি করা যায়। তবে এখন পর্যন্ত ভিডিও ব্যাকগ্রাউন্ড তৈরির সুযোগ নেই।

ফিচারটি আপাতত যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে চালু করা হয়েছে। ইউটিউব আগামীতে নির্মাতাদের জন্য ৬ সেকেন্ডের ‘স্ট্যান্ড-অ্যালোন’ নামের ভিডিও ক্লিপ তৈরির ফিচার যোগ করতে চায়। নতুন এই ফিচার কনটেন্ট নির্মাতাদের জন্য শর্টস ভিডিও নির্মাণের অভিজ্ঞতা আরও সমৃদ্ধ করবে।

/আবরার জাহিন

সোরার গোপন কোড ফাঁস হওয়ায় বিপাকে ওপেনএআই

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০২ পিএম
সোরার গোপন কোড ফাঁস হওয়ায় বিপাকে ওপেনএআই
টেক্সট প্রম্পটের ভিত্তিতে বাস্তব বা কাল্পনিক দৃশ্য তৈরি করতে পারে ‘সোরা’। ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই ভিডিও জেনারেটর এআই মডেল ‘সোরা’ তৈরি করেছে।  সম্প্রতি এই এআই মডেলের বেটা সংস্করণ কিছু নির্বাচিত ব্যবহারকারীর কাছে উন্মুক্ত করা হলেও, আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশের আগে এর গোপন কোড ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

জানা গেছে, সোরা এআই মডেলের বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীরা গোপনে এই কোডগুলো অনলাইনে প্রকাশ করে দিয়েছেন। অনুমতি না থাকা সত্ত্বেও অনেকে এই টুল ব্যবহার করে কৃত্রিম ভিডিও তৈরি করতে শুরু করেছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ওপেনএআই দ্রুত সোরার ব্যাবহার বন্ধ করে দিয়েছে। এর ফলে বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি অন্য কোনো ব্যক্তি ভিডিও জেনারেটর মডেল সোরার কার্যকারিতা পরখ করতে পারছেন না।

ওপেনএআই জানিয়েছে, সোরা মডেলটি টেক্সট প্রম্পটের বর্ণনা অনুযায়ী বাস্তব বা কাল্পনিক যেকোনো দৃশ্য তৈরি করতে পারে। এমনকি এক মিনিট দৈর্ঘ্যের জটিল ভিডিওতে একাধিক চরিত্র, বিভিন্ন ধরনের গতি ও নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু যুক্ত করা সম্ভব এই মডেলের সাহায্যে।

এই ঘটনায় ওপেনএআইকে এখন নতুন করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। পাশাপাশি এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তি কীভাবে সঠিকভাবে ব্যবহার করা যায়, সে সম্পর্কেও নতুন করে ভাবতে হবে।

/আবরার জাহিন

মাইক্রোসফট বন্ধ করছে এক্সবক্স অ্যাভাটার এডিটর

প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৫ পিএম
আপডেট: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:১৯ পিএম
মাইক্রোসফট বন্ধ করছে এক্সবক্স অ্যাভাটার এডিটর
এক্সবক্স অ্যাভাটার এডিটর অ্যাপ আগামী বছরের শুরুতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

এক্সবক্স গেমারদের ভার্চুয়াল পরিচিতি তৈরিতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা ‘এক্সবক্স অ্যাভাটার এডিটর’ অ্যাপটি আগামী বছরের শুরুতে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মাইক্রোসফট এক প্রশ্নোত্তরে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। অ্যাপটি কম ব্যবহৃত হওয়ার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের নতুন অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে মাইক্রোসফট। ফলে ২০২৫ সালের ৯ জানুয়ারি থেকে অ্যাপটি আর ব্যবহার করা যাবে না।

২০১৮ সালে চালু হওয়া অ্যাপটির মাধ্যমে গেমাররা নিজেদের কার্টুন সংস্করণ তৈরি করতে পারতেন। ফ্রি ও কেনা বিভিন্ন অনুষঙ্গের মাধ্যমে গেমাররা নিজেদের পছন্দমতো কার্টুন অ্যাভাটার তৈরি করতে পারতেন। এর মাধ্যমে গেমাররা তাদের অ্যাভাটারকে আরও আকর্ষণীয় করতেন। এতে বৈচিত্র্য ও ব্যক্তিগত অভিব্যক্তি প্রকাশের সুযোগ থাকায় অনেকে নিজেদের প্রতিচ্ছবি বা ইচ্ছেমতো ডিজাইন তৈরি করতেন।

মাইক্রোসফট জানিয়েছে, ১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে ৯ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত যারা অ্যাভাটার এডিটর থেকে কেনাকাটা করেছেন, তারা রিফান্ড পাবেন। এক্সবক্স গেমারদের জন্য এটি স্বস্তির বিষয়। এক্সবক্স ৩৬০ গেমিং কনসোলের সময়কালে প্রথম অ্যাভাটার চালু করা হয়। তখনকার পুরোনো অ্যাভাটারগুলো নতুন এই সিদ্ধান্তের আওতায় পড়বে না।

এ ছাড়া এক্সবক্স ৩৬০ হার্ডওয়্যারেও পুরোনো অ্যাভাটার ব্যবহার করা যাবে। যদি আপনি আপনার অ্যাভাটারটিকে ভবিষ্যতে প্রোফাইল ছবি হিসেবে রাখতে চান, তাহলে অ্যাপটি বন্ধ হওয়ার আগে অ্যাভাটার এডিটর ব্যবহার করে অ্যাকাউন্টে ছবিটি সংরক্ষণ করতে হবে। এক্সবক্স সাপোর্ট ফোরামে এ সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া আছে।

/আবরার জাহিন

স্টকারওয়্যার শনাক্তে অ্যান্ড্রয়েডে নতুন ফিচার এনেছে ক্যাসপারস্কি

প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১১ পিএম
আপডেট: ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৪ পিএম
স্টকারওয়্যার শনাক্তে অ্যান্ড্রয়েডে  নতুন  ফিচার এনেছে ক্যাসপারস্কি
স্টকারওয়্যার শনাক্তে ক্যাসপারস্কি অ্যান্ড্রয়েডে এনেছে নতুন ফিচার। ছবি: সংগৃহীত

ডিজিটাল স্টকিং থেকে সুরক্ষা দিতে গ্লোবাল সাইবার সিকিউরিটি প্রতিষ্ঠান ক্যাসপারস্কি তাদের অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপে ‘হু ইজ স্পাইয়িং অন মি’ নামে নতুন একটি ফিচার যুক্ত করেছে। স্টকারওয়্যার শনাক্তের পাশাপাশি এই ফিচার ব্লুটুথ প্রযুক্তির মাধ্যমে সন্দেহজনক ডিভাইস শনাক্ত করে অফলাইন স্টকিং থেকেও সুরক্ষা দেবে।

সর্বশেষ স্টেট অফ স্টকারওয়্যার রিপোর্ট অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ৪০ শতাংশ মানুষ স্টকিং বা সন্দেহভাজন গুপ্তচরবৃত্তির শিকার হচ্ছেন। ডিজিটাল স্টকিং মোকাবেলায় ক্যাসপারস্কির অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল অ্যাপে ‘হু ইজ স্পাইয়িং অন মি’ ফিচার যোগ করার মাধ্যমে আপডেট করেছে। ব্যবহারকারীরা এখন ফ্রি ভার্সন ব্যবহার করতে পারবেন।

এই ফিচারটিতে রয়েছে একটি স্টকারওয়্যার স্ক্যানার, যা গোপনে ব্যক্তিগত ডেটা অ্যাক্সেস করা অ্যাপ শনাক্ত করবে। এত রয়েছে একটি ব্লুটুথ ট্র্যাকার স্ক্যানার, যা ১০০ মিটারের মধ্যে সন্দেহজনক ডিভাইস খুঁজে বের করবে। এছাড়া রয়েছে রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট টুল, যা ক্ষতিকর ডিভাইস শনাক্ত করে ব্যবহারকারীকে সতর্ক করবে। ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা ট্রাস্টেড ডিভাইস লিস্ট তৈরি, ব্লুটুথ কার্যকলাপ ট্র্যাক ও প্রাইভেসি সেটিংস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। 

ক্যাসপারস্কির কনজিউমার প্রোডাক্ট মার্কেটিংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট মারিনা টিটোভা বলেন,‘ক্যাসপারস্কি স্টকারওয়্যারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আমরা প্রথম এই ধরনের থার্ড-পার্টি ট্র্যাকিং সম্পর্কে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছিলাম। বিশেষত নতুন ট্র্যাকিং প্রযুক্তির উদ্ভবের সঙ্গে সঙ্গে আমরা বুঝতে পেরেছি, আমাদের ব্যবহারকারীদের আরও বিস্তৃত সুরক্ষা প্রয়োজন। আমরা আমাদের প্রডাক্টগুলো ব্যবহারকারীদের চাহিদা অনুযায়ী উন্নত করে যাচ্ছি। আমাদের মোবাইল অ্যাপের কার্যকারিতা বাড়িয়েছি, যেন ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল স্টকিং বা অফলাইন স্টকিং থেকে সুরক্ষা প্রদান করা যায়। এছাড়া আগামী বছরের জন্য আমাদের দল আরও উন্নত ফিচার নিয়ে কাজ করছে, যেন ব্যবহারকারীদের ডিজিটাল জীবন আরও নিরাপদ থাকে।’

২০১৯ সাল থেকে ক্যাসপারস্কি এ ধরনের অবৈধ সফটওয়্যার স্টকারওয়্যারের বিরুদ্ধে কাজ করছে। এটি এই সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে স্টকারওয়্যার বিরোধী কোয়ালিশন গঠন করেছে তারা। বর্তমানে এই কোয়ালিশনে ৪০টিরও বেশি অংশীদার রয়েছে। তারা বিশ্বব্যাপী আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও এনজিওগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করছে। তাদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের সহায়তা প্রদান করছে।

/আববার জাহিন