ঢাকা ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪
English
বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্মুখীন হচ্ছে নেটওয়ার্ক সমস্যার

প্রকাশ: ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:১৭ পিএম
প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান সম্মুখীন হচ্ছে নেটওয়ার্ক সমস্যার
প্রতিমাসে দেশের অর্ধেক শিল্প প্রতিষ্ঠান নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ছবি: সংগৃহীত

প্রতি তিনটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি নিয়মিতভাবে নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এদের মধ্যে ৪৫ শতাংশ প্রতিষ্ঠান মাসে একাধিকবার বা অন্তত ১২ শতাংশ বছরে একবার এ সমস্যা মোকাবেলা করছে। ক্যাসপারস্কির এক প্রতিবেদনে, বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় কার্যক্রম চালানো প্রতিষ্ঠানগুলোর নেটওয়ার্ক ও তথ্য নিরাপত্তা গবেষণা করে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

বিশেষত নেটওয়ার্ক ও সুরক্ষা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিভিন্ন অঞ্চলে কার্যক্রম চালানো শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সরবরাহ, যোগাযোগ ও আইটি পরিচালনায় প্রায়ই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। ক্যাসপারস্কির তথ্যমতে, ৪৯ শতাংশ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক ঘটনা শনাক্ত ও সমাধান করা। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান প্রায়ই নেটওয়ার্ক বিভ্রাট, ধীর গতির পারফরম্যান্স ও লিমিটেড নেটওয়ার্ক সমস্যার মুখোমুখি হয়। এ সমস্যার সমাধান করে পুনরায় কার্যক্রম পরিচালনা করতে ৭৪ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের ১ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগে।

ক্যাসপারস্কির বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার ম্যাক্সিম কামিনস্কি বলেন, ‘শিল্প প্রতিষ্ঠাগুলোর নেটওয়ার্ক সমস্যার কারণে প্রায়ই বিলম্ব, উৎপাদন কমে যাওয়া, আর্থিক ক্ষতি ও সুনাম ক্ষুণ্ন হয়। যখন একটি নেটওয়ার্ক ডাউন হয়, তখন প্রতিষ্ঠানের যোগাযোগ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়। এতে করে কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো ব্যবহার করতে পারে না। একই সঙ্গে গ্রাহকের আস্থা হারাতে থাকে। তাই ব্যবসার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য কোম্পানিগুলোকে তাদের কার্যক্রম সুরক্ষিত রাখা উচিত। নেটওয়ার্ক সমস্যার সম্ভাব্য কারণগুলো শনাক্ত ও সময়োপযোগী কৌশলগত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে, প্রতিষ্ঠানগুলো এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবে এবং সুরক্ষিত থাকতে পারবে।’

নেটওয়ার্ক সমস্যা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ক্যাসপারস্কি তাদের ক্যাসপারস্কি ইন্ডাস্ট্রিয়াল সাইবার সিকিউরিটি (কেআইসিএস) ও ক্যাসপারস্কি এসডি-ডব্লিউএএন-এর মতো সল্যুশন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছে। এই প্রোডাক্টগুলো কেন্দ্রীয়ভাবে পরিচালনা, নেটওয়ার্ক অপ্টিমাইজেশান ও অত্যাধুনিক সুরক্ষা সরবরাহ করে। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যবসায়িক কার্যক্রম চালাতে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করে।

/আবরার জাহিন

এআই নয়, গেমের ভবিষ্যত মানুষের হাতেই

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
এআই নয়, গেমের ভবিষ্যত মানুষের হাতেই
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গেমিং-শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে, তবে তিনি বিশ্বাস করেন এটি কখনোই মানুষের তৈরি গেমগুলোর মতো ‘মানবিক আবেদন’ সৃষ্টি করতে পারবে না বলে মনে করেন গেম নির্মাতা-প্রতিষ্ঠান সনি প্লে-স্টেশনের প্রধান হারম্যান হুলস্ট।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সনি প্লে-স্টেশন কনসোলের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে হারম্যান হুলস্ট এবং তার সহ-সিইও হিদেয়াকি নিশিনো ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

সনি গত কয়েক বছরের বেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্লে-স্টেশন ৫ কনসোল এবং গেমগুলোর অবিশ্বাস্য সাফল্য সত্ত্বেও বড় ধরনের কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে। যা পুরো গেমিং-শিল্পে একটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

গেম ডেভেলপাররা মনে করেন, করোনার মহামারির পর চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।

তবে কিছু ব্যক্তি মনে করেন, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে গেম তৈরি মানুষের কর্মস্থলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।  
এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে গেম ডেভেলপমেন্টের অনেক সাধারণ অংশ স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব হলেও, সৃজনশীল কাজেও এআইকে ব্যবহার করা হতে পারে। এই বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে গেমিং-শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস আর্টিস্টরা তাদের কাজকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এমন আশঙ্কায় ধর্মঘট শুরু করেছে।

হুলস্ট এআই-এর প্রভাবের কথা মেনে নিয়ে বলেছেন, মানুষের তৈরি গেম ডেভেলপারদের জন্য ভবিষ্যতে সবসময় একটি জায়গা থাকবে।

তিনি বিবিসিকে বলেন ‘আমি মনে করি, গেমিংয়ে দুই ধরনের অংশ থাকবে; এর একটি এআই দ্বারা পরিচালিত উদ্ভাবনী কৌশল এবং অন্যটি মানুষের তৈরি চিন্তাশীল কনটেন্ট।’
 
তিনি আরও বলেন ‘এআই এবং মানবিক আবেদনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

১৯৯৪ সালে জাপানে চালু হয় সনি প্লে-স্টেশন। পরে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে এর যাত্রা করার পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সনি আজ পর্যন্ত চারটি প্লে-স্টেশন কনসোলের মাধ্যমে বিশ্বের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া গেমিং কনসোলগুলির একটি ইতিহাস তৈরি করেছে।

এছাড়া, নিশিনো তার শৈশবকালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘আমি যখন গেমিং শুরু করি, তখন আমার নিজের কোনো কনসোল ছিল না। আমি বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে খেলতাম।’

অপরদিকে, হুলস্ট তার শখের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার মা একটি খেলনা দোকানের মালিক ছিলেন। তিনি প্রযুক্তি নিয়ে ভয় পেতেন এবং আমি তাকে গেম ডিভাইসগুলো ডেমো দিতে সাহায্য করতাম।’

তারা দুজনে বলেন, প্লে-স্টেশন ভবিষ্যতে গেমিং এবং বিনোদন-শিল্পের নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তি এবং মানবিক সৃষ্টির মিশ্রণ থাকবে।

কনকর্ড গেমের ব্যর্থতা এবং প্লে-স্টেশনের নেতৃত্ব সংকট

এ বছর জুনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে হুলস্ট এবং নিশিনো অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। এআই সৃষ্ট তাদের অত্যন্ত প্রতীক্ষিত শুটিং গেম ‘কনকর্ড’ বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে। গেমটি যারা কিনে খেলেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয় এবং একইসঙ্গে তাদের স্টুডিওটিও বন্ধ করে দিতে হয়।

হুলস্ট বলেন, ‘কনকর্ডের কিছু দিক অসাধারণ ছিল কিন্তু কিছু অংশ খেলোয়াড়দের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি, যার ফলে আমরা গেমটি অফলাইনে নিয়ে আসি।’

প্লে-স্টেশন পোর্টাল এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ

প্লে-স্টেশন এখন গেমের সীমানা ছাড়িয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও সক্রিয় হতে চায়। তারা আগের সময়ের মতো গেমভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চায়। এর আগে যেমন ১৯৯৩ সালের সুপার মারিও ব্রোস এবং ১৯৯৪ সালের স্ট্রিট ফাইটার গেমভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলেও তা সমালোচকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক নির্মিত যেমন মারিও, সোনিক, এবং পোকেমন সিনেমাগুলো সফলতা পেয়েছে।

এছাড়া, সনির ২০২৩ সালের দ্য লাস্ট অব আস সিরিজ এবং ২০২২ সালের আনচার্ড চলচ্চিত্রে অংশীদার হিসেবে ছিল। যা সনি নিয়ন্ত্রিত নটি ডগ স্টুডিওর গেমস থেকে তৈরি।

হুলস্ট তার ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি আশা করি প্লে-স্টেশন শুধুমাত্র গেমিং ক্যাটাগরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এটি বড় ধরনের বিনোদন শিল্পের মধ্যে জায়গা করে নেবে।’ সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/অমিয়/

আইফোনে কার্টুন ছবি তৈরি করা যাবে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’-এর সাহায্যে

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
আইফোনে কার্টুন ছবি তৈরি করা যাবে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’-এর সাহায্যে
আইফোনে তৈরি করা যাবে কার্টুন ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এবার আইফোনে কার্টুনের মতো ছবি তৈরি করা যাবে। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সম্প্রতি আইওএস ১৮.২-এর বেটা সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’ নামের একটি আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে। এটি ব্যবহার করে টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে কার্টুন স্টাইলের ছবি তৈরি করা যাবে।

ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড হলো অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুলগুলোর একটি অংশ, যা ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ নামে পরিচিত। এই নতুন ফিচার ব্যবহার করে কোনো কিছু লিখে বর্ণনা দেওয়া যাবে। এরপর এআই সেই বর্ণনার ভিত্তিতে একটি কার্টুন স্টাইলের ছবি তৈরি করবে।

এই ফিচার মেসেজেস অ্যাপের টেক্সট বক্সের বাম পাশে থাকা প্লাস (+) বোতামটি চেপে অথবা হোম স্ক্রিনে থাকা একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটির আইকনটি দেখতে সাদা বিড়াল বা শিয়ালের মতো, তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়। 
ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড ব্যবহার করা অনেকটা অন্যান্য ছবি তৈরির অ্যাপের মতো সহজ। প্রথমে একটি টেক্সট ইনপুটের জায়গায় কাঙ্ক্ষিত চিত্রের বর্ণনা দিতে হবে। যেমন ‘জন্মদিনের কেকের ওপর মোমবাতি ফুঁ দিচ্ছে একটি কুকুর’।

যদি প্রাপ্ত ছবি আপনার পছন্দমতো না হয়, তাহলে আরও বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ছবি পরিবর্তন করতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অপশনও দেখাবে, যা থেকে আপনি পছন্দমতো চিত্র নির্বাচন করতে পারবেন।

আপনি নিজের, আপনার পোষা প্রাণীর বা পরিবারের কোনো সদস্যের ছবি আপলোড করে সেই ছবির ভিত্তিতে এআইভিত্তিক ছবি তৈরি করতে পারবেন। এতে আপনি পার্টি হ্যাট পরা অথবা সমুদ্রসৈকতের ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া ছবির আর্ট স্টাইল পরিবর্তন করার সুবিধাও রয়েছে।

ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড বর্তমানে আইওএস ১৮.২-এর পাবলিক বেটা সংস্করণে ব্যবহার করা যাচ্ছে। যারা অ্যাপলের বিটা সফটওয়্যার প্রোগ্রামে নিবন্ধিত, তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিচারটি ডিসেম্বর মাসে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন
হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি। প্রযুক্তি ওয়েবসাইট মেকইউজঅব-এর এক প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা নজর রাখা উচিত।

অ্যাকাউন্ট ব্যান

হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা শর্তাবলি লঙ্ঘন করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্প্যাম, স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার ছড়ানো বা অফিসিয়াল নয় এমন অ্যাপ ব্যবহারের কারণে এমনটা ঘটতে পারে। এ ছাড়া আনঅফিসিয়াল সংস্করণ বা স্বয়ংক্রিয় মেসেজিং টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকে। এজন্য অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। 

ডেটা শেয়ারিং

ফেসবুকসহ মেটা মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেসসহ অন্যান্য তথ্য ফেসবুকসহ মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধে এই তথ্যও শেয়ার করা হতে পারে। বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সময় সার্চ ও কেনাকাটার ইতিহাস পর্যালোচনা করাও হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। 

মেটার ডেটা সংগ্রহ

হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের বিষয়বস্তু পড়তে না পারলেও মেসেজিং কার্যক্রমের মেটাডাটা সংগ্রহ করে। এতে মেসেজের সময়, ফ্রিকোয়েন্সি প্রভৃতি তথ্য জানা সম্ভব হয়, যা মেটা অধিভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে শেয়ার করা হয়। যদিও মেসেজের কনটেন্ট গোপন থাকে, তবে মেটা ডেটা কীভাবে ব্যবহৃত হয়, তা স্পষ্ট নয়। এজন্য অনেক প্রাইভেসি সচেতন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি

অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা বা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করলে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এসব অ্যাপ মেসেজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করলেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সন্দেহজনক লিংক থেকে দূরে থাকা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

/আবরার জাহিন

মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ
ডেথ ক্লক নামের অ্যাপ জানাবে মৃত্যুর দিন-তারিখ। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, এবার মৃত্যুর দিনও গণনা করছে একটি অ্যাপ। কল্পবিজ্ঞানের মতো শোনালেও স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানা সম্ভব হবে। ‘ডেথ ক্লক’ নামের এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখ জানাবে।

২০০৬ সালে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে ‘আইপড ডেথ ক্লক’ অ্যাপ সম্পর্কে তুলে ধরেছে। তবে নতুন এই অ্যাপের নির্মাতা ব্রেট ফ্র্যানসন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, অ্যাপটিতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি প্রত্যাশিত জীবনসংক্রান্ত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপটি স্ট্যান্ডার্ড লাইফ টেবিলের তুলনায় বেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।

অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীদের বয়স, লিঙ্গ, জাতিসত্তা, পরিবারের স্বাস্থ্যের ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতো বিস্তারিত তথ্য চায়। এরপর এই তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য মৃত্যুর দিন সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে অ্যাপটি দেখিয়েছে, তিনি ৯০ বছর বয়সে ২০৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করবেন। তবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে তার আয়ু হতে পারে ১০৩ বছর পর্যন্ত।

বছরে ৪০ ডলার সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ ব্যবহারকারীর মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখের পাশাপাশি দীর্ঘ জীবনযাপনের জন্য কী কী করা উচিত, সে সম্পর্কেও পরামর্শ দেবে।

অ্যাপটির মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানার পাশাপাশি আর্থিক পরিকল্পনাও করা সহজ হবে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্থিক পরিকল্পনাবিদ রায়ান জাব্রোস্কি বলেছেন, বয়স্ক মানুষদের সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো তাদের মৃত্যুর পর তাদের সঞ্চিত অর্থ কী হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা নিজেদের জন্য আরও ভালোভাবে আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারবেন।

তবে এই অ্যাপের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ মৃত্যু একটি জটিল বিষয়। এটি অনেকগুলো কারণের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া মানুষের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। এই অ্যাপ শুধু একটি অনুমাননির্ভর তারিখ জানায়। এটি কোনোভাবে নিশ্চিত নয়, আপনি কখন মারা যাবেন। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ

এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে একেবারে নতুন শব্দ

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৭ পিএম
এআইয়ের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে একেবারে নতুন শব্দ
ফুগাত্তো নামে অডিওজেনারেটিভ এআই মডেল উন্মোচন করেছে এনভিডিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সংগীত ও সৃজনশীল জগতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহারে নতুন যুগের সূচনা করেছে চিপ নির্মাতা প্রতিাষ্ঠান এনভিডিয়া। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির গবেষকরা ‘ফুগাত্তো (Fugatto)’ নামে একটি অডিও জেনারেটর এআই মডেল উন্মোচন করেছে। এটি এমন ধরনের শব্দ তৈরি করতে সক্ষম, যা আগে কখনো শোনা যায়নি। এনভিডিয়া দাবি করেছে, এটি সংগীতের জগতে বিপ্লব ঘটাতে পারে।

ফুগাত্তো এমন জেনারেটিভ এআই মডেল, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা টেক্সট প্রম্পট ব্যবহার করে শব্দ তৈরি বা সম্পাদনা করতে পারবে। উদাহরণস্বরূপ, এটি কোনো গান থেকে একটি নির্দিষ্ট বাদ্যযন্ত্রের শব্দ সরিয়ে ফেলতে পারে বা কোনো কণ্ঠস্বরের উচ্চারণ পরিবর্তন করতে পারে।

এনভিডিয়ার রিচার্ড কেরিস ফুগাত্তো বিষয়ে এক ব্লগ পোস্টে জানান, ‘এআই মডেলটি অন্যান্য যেকোনো এআই মডেলের চেয়ে বেশি দক্ষ। এটি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের শব্দের মাধ্যমে সংগীতে বিপ্লব ঘটাতে সক্ষম। এটি স্যাক্সোফোনকে বিড়ালের মতো মিউ মিউ করাতে পারে।’ 

ফুগাত্তোর কার্যক্ষমতা প্রদর্শন করে এমন একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একটি সাধারণ প্রম্পট থেকে গভীর, গম্ভীর বেজ ও মাঝে মাঝে উচ্চ-পিচের ডিজিটাল শব্দ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি ট্রেনের শব্দকে স্ট্রিং অর্কেস্ট্রার শব্দে রূপান্তর করতেও সক্ষম ফুগাত্তো।   

সৃজনশীল শিল্পের জন্য উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে এআই প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি। অস্ট্রেলিয়ান ভয়েস অ্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন সতর্ক করেছে, এআই চালিত ভয়েস প্রযুক্তির কারণে স্থানীয় প্রায় ৫ হাজার ভয়েস আর্টিস্ট চাকরি হারাতে পারেন। পাশাপাশি মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি কপিরাইট লঙ্ঘনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্বিগ্ন। 

তবে অনেক শিল্পী এটিকে সংগীতের একটি প্রাকৃতিক বিবর্তন হিসেবে দেখছেন। প্রযোজক ইদো জমিশলানি বলেন, ‘সংগীতের ইতিহাসও প্রযুক্তির ইতিহাস। গিটার বিশ্বকে দিয়েছে রক অ্যান্ড রোল। স্যাম্পলার নিয়ে এসেছে হিপ-হপ। এআই আমাদের সংগীত তৈরির নতুন সুযোগ দিচ্ছে, যা অত্যন্ত উত্তেজনাপূর্ণ।’