ঢাকা ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪

গুগলের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি জারভিস

প্রকাশ: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১০ পিএম
আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:০৮ পিএম
গুগলের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি জারভিস
আকস্মিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে গুগলের এআই প্রযুক্তির নতুন প্রোটোটাইপ ‘জারভিস’। ছবি: সংগৃহীত

প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির নতুন প্রোটোটাইপ ‘জারভিস’ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি গুগলের ক্রোম ওয়েব স্টোরে জারভিসের একটি প্রোটোটাইপ আকস্মিকভাবে প্রকাশিত হয়েছে। ক্রোম ওয়েব স্টোরে এই এআই সিস্টেমের একটি প্রিভিউ আপলোড হওয়ার ফলে এটি প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়।

জারভিস সাধারণ এআই সহকারীর চেয়ে অনেক বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন। এটি ওয়েব ব্রাউজারের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন কাজ করতে পারে। প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, জারভিস ব্যবহারকারীর হয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে সক্ষম। অর্থাৎ কেনাকাটা, বিমানের টিকিট বুক করা ও গবেষণা করার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজগুলো এটি নিজেই সম্পন্ন করতে পারে। সহজ কথায় জারভিস ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে বিভিন্ন কাজ সম্পন্ন করতে পারে।

গুগলের ক্রোম এক্সটেনশন স্টোরে এটি অল্প সময়ের জন্য উপলব্ধ ছিল। এই সময়ে এক সাংবাদিক এটি ব্যবহারের চেষ্টা করেন। তবে প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া অ্যাপটির কোনো কার্যক্রম চালাতে পারেননি তিনি। পরে গুগল দ্রুততার সঙ্গে এক্সটেনশনটি স্টোর থেকে সরিয়ে ফেলে।
ডিসেম্বরে জারভিস আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করার গুগলের আগামী ডিসেম্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জারভিস প্রকাশের পরিকল্পনা থাকলেও, এই অপ্রত্যাশিত ফাঁসের মাধ্যমে এটি আগাম জনসমক্ষে চলে আসে।

জারভিসকে অন্যান্য এআই সিস্টেমের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে। প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক সম্প্রতি ‘ক্লড’ নামে একটি এআই অ্যাসিস্ট্যান্টের পাবলিক বিটা সংস্করণ চালু করেছে। ক্লড কেবল সাধারণ ব্রাউজিংয়ে সীমাবদ্ধ নয়। এটি কম্পিউটারে টাইপিং, বিভিন্ন বাটনে ক্লিক ও কার্সর নাড়াচাড়ার মতো কাজ করতে সক্ষম।

কোটি কোটি বছর তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে হীরায়

প্রকাশ: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৫ পিএম
কোটি কোটি বছর তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে হীরায়
লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে হীরায় তথ্য সংরক্ষণের নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন। ছবি: সংগৃহীত

চীনে এক দল গবেষক লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে হীরায় তথ্য সংরক্ষণের একটি নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। এই পদ্ধতিতে তথ্য ধারণের ঘনত্ব আগের যেকোনো পদ্ধতির চেয়ে বেশি। এ ছাড়া এই পদ্ধতি অত্যন্ত স্থিতিশীল ও দীর্ঘস্থায়ী।

‘হীরা একটি চিরস্থায়ী বন্ধন’- এই বিজ্ঞাপনী স্লোগান হয়তো কিছুটা অতিশরঞ্জিত ছিল। কিন্তু গবেষকদের নতুন আবিষ্কার এই স্লোগানকে আরও সত্যি করে তুলতে পারে। কারণ গবেষকরা এমন এক হীরাভিত্তিক তথ্য সংরক্ষণ পদ্ধতি তৈরি করেছেন, যা কোটি কোটি বছর ধরে তথ্য সংরক্ষণ করতে সক্ষম। এই পদ্ধতিতে প্রতি ঘন সেন্টিমিটারে ১ দশমিক ৮৫ টেরাবাইট তথ্য ধারণ করা যায়, যা আগের যেকোনো রেকর্ডকে ছাড়িয়ে গেছে।

আগেও লেজারের সাহায্যে হীরায় তথ্য সংরক্ষণের পদ্ধতি ছিল। তবে নতুন পদ্ধতিতে তথ্য ধারণের ঘনত্ব অনেক বেশি। এর ফলে একটি স্ট্যান্ডার্ড ব্লু-রে ডিস্কের সমান আকারের হীরার অপটিক্যাল ডিস্কে প্রায় ১০০ টেরাবাইট তথ্য সংরক্ষণ করা যাবে, যা প্রায় ২ হাজার টি ব্লু-রে ডিস্কের সমান। আর এই তথ্য কয়েক দশকের মতো স্বাভাবিক ব্লু-রে ডিস্কের মতো নষ্ট হবে না, বরং কোটি কোটি বছর ধরে ঠিক থাকবে।

চীনের হেফেই অবস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইয়া ওয়াং বলেন, ‘আমাদের প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে হীরার অভ্যন্তরীণ তথ্য সংরক্ষণ কাঠামো স্থিতিশীল করতে পারলে, কোনো রক্ষণাবেক্ষণ ছাড়াই কক্ষ তাপমাত্রায় কোটি কোটি বছর ধরে তথ্য সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে।’

ওয়াং ও তার সহকর্মীরা মাত্র কয়েক মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের ছোট হীরা নিয়ে কাজ করেছেন। তবে তারা জানান, ভবিষ্যতে আরও বড় আকারের ডিস্কের মাধ্যমে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা যেতে পারে। তাদের পদ্ধতিতে অতি দ্রুতগতির লেজারের স্পন্দন ব্যবহার করে হীরার কার্বন পরমাণুগুলোর অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ফলে একক পরমাণুর সমান ফাঁকা স্থান তৈরি হয়, যা স্থিতিশীল উজ্জ্বলতা প্রদর্শন করে। এই উজ্জ্বলতা প্যাটার্নের সাহায্যে তথ্য কোড করা হয়। সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট

এআই নয়, গেমের ভবিষ্যত মানুষের হাতেই

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৪০ পিএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৫১ পিএম
এআই নয়, গেমের ভবিষ্যত মানুষের হাতেই
ছবি: সংগৃহীত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) গেমিং-শিল্পে বিপ্লব ঘটানোর সম্ভাবনা রাখে, তবে তিনি বিশ্বাস করেন এটি কখনোই মানুষের তৈরি গেমগুলোর মতো ‘মানবিক আবেদন’ সৃষ্টি করতে পারবে না বলে মনে করেন গেম নির্মাতা-প্রতিষ্ঠান সনি প্লে-স্টেশনের প্রধান হারম্যান হুলস্ট।

মঙ্গলবার (৩ নভেম্বর) সনি প্লে-স্টেশন কনসোলের ৩০ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে হারম্যান হুলস্ট এবং তার সহ-সিইও হিদেয়াকি নিশিনো ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন।

সনি গত কয়েক বছরের বেশ উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। প্লে-স্টেশন ৫ কনসোল এবং গেমগুলোর অবিশ্বাস্য সাফল্য সত্ত্বেও বড় ধরনের কর্মচারী ছাঁটাই করা হয়েছে। যা পুরো গেমিং-শিল্পে একটি সাধারণ প্রবণতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

গেম ডেভেলপাররা মনে করেন, করোনার মহামারির পর চাহিদা কমে যাওয়ার ফলে এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন তারা।

তবে কিছু ব্যক্তি মনে করেন, এআই প্রযুক্তির মাধ্যমে গেম তৈরি মানুষের কর্মস্থলের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াবে।  
এআই প্রযুক্তির অগ্রগতির মাধ্যমে গেম ডেভেলপমেন্টের অনেক সাধারণ অংশ স্বয়ংক্রিয় করা সম্ভব হলেও, সৃজনশীল কাজেও এআইকে ব্যবহার করা হতে পারে। এই বিষয়টি গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে গেমিং-শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস আর্টিস্টরা তাদের কাজকে প্রতিস্থাপন করতে পারে এমন আশঙ্কায় ধর্মঘট শুরু করেছে।

হুলস্ট এআই-এর প্রভাবের কথা মেনে নিয়ে বলেছেন, মানুষের তৈরি গেম ডেভেলপারদের জন্য ভবিষ্যতে সবসময় একটি জায়গা থাকবে।

তিনি বিবিসিকে বলেন ‘আমি মনে করি, গেমিংয়ে দুই ধরনের অংশ থাকবে; এর একটি এআই দ্বারা পরিচালিত উদ্ভাবনী কৌশল এবং অন্যটি মানুষের তৈরি চিন্তাশীল কনটেন্ট।’
 
তিনি আরও বলেন ‘এআই এবং মানবিক আবেদনের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে বের করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’

১৯৯৪ সালে জাপানে চালু হয় সনি প্লে-স্টেশন। পরে ১৯৯৫ সালে যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে এর যাত্রা করার পর এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। সনি আজ পর্যন্ত চারটি প্লে-স্টেশন কনসোলের মাধ্যমে বিশ্বের সর্বোচ্চ বিক্রি হওয়া গেমিং কনসোলগুলির একটি ইতিহাস তৈরি করেছে।

এছাড়া, নিশিনো তার শৈশবকালের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে বলেন, ‘আমি যখন গেমিং শুরু করি, তখন আমার নিজের কোনো কনসোল ছিল না। আমি বন্ধুর বাড়িতে গিয়ে খেলতাম।’

অপরদিকে, হুলস্ট তার শখের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘আমার মা একটি খেলনা দোকানের মালিক ছিলেন। তিনি প্রযুক্তি নিয়ে ভয় পেতেন এবং আমি তাকে গেম ডিভাইসগুলো ডেমো দিতে সাহায্য করতাম।’

তারা দুজনে বলেন, প্লে-স্টেশন ভবিষ্যতে গেমিং এবং বিনোদন-শিল্পের নতুন পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রযুক্তি এবং মানবিক সৃষ্টির মিশ্রণ থাকবে।

কনকর্ড গেমের ব্যর্থতা এবং প্লে-স্টেশনের নেতৃত্ব সংকট

এ বছর জুনে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে হুলস্ট এবং নিশিনো অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। এআই সৃষ্ট তাদের অত্যন্ত প্রতীক্ষিত শুটিং গেম ‘কনকর্ড’ বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়ে। গেমটি যারা কিনে খেলেছিলেন তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হয় এবং একইসঙ্গে তাদের স্টুডিওটিও বন্ধ করে দিতে হয়।

হুলস্ট বলেন, ‘কনকর্ডের কিছু দিক অসাধারণ ছিল কিন্তু কিছু অংশ খেলোয়াড়দের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারেনি, যার ফলে আমরা গেমটি অফলাইনে নিয়ে আসি।’

প্লে-স্টেশন পোর্টাল এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ

প্লে-স্টেশন এখন গেমের সীমানা ছাড়িয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আরও সক্রিয় হতে চায়। তারা আগের সময়ের মতো গেমভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে চায়। এর আগে যেমন ১৯৯৩ সালের সুপার মারিও ব্রোস এবং ১৯৯৪ সালের স্ট্রিট ফাইটার গেমভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হলেও তা সমালোচকদের দ্বারা নিন্দিত হয়েছিল। তবে সাম্প্রতিক নির্মিত যেমন মারিও, সোনিক, এবং পোকেমন সিনেমাগুলো সফলতা পেয়েছে।

এছাড়া, সনির ২০২৩ সালের দ্য লাস্ট অব আস সিরিজ এবং ২০২২ সালের আনচার্ড চলচ্চিত্রে অংশীদার হিসেবে ছিল। যা সনি নিয়ন্ত্রিত নটি ডগ স্টুডিওর গেমস থেকে তৈরি।

হুলস্ট তার ভবিষ্যত দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বলেন, ‘আমি আশা করি প্লে-স্টেশন শুধুমাত্র গেমিং ক্যাটাগরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং এটি বড় ধরনের বিনোদন শিল্পের মধ্যে জায়গা করে নেবে।’ সূত্র: বিবিসি

তাওফিক/অমিয়/

আইফোনে কার্টুন ছবি তৈরি করা যাবে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’-এর সাহায্যে

প্রকাশ: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ এএম
আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ এএম
আইফোনে কার্টুন ছবি তৈরি করা যাবে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’-এর সাহায্যে
আইফোনে তৈরি করা যাবে কার্টুন ছবি। ছবি: সংগৃহীত

এবার আইফোনে কার্টুনের মতো ছবি তৈরি করা যাবে। বিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সম্প্রতি আইওএস ১৮.২-এর বেটা সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এই নতুন অপারেটিং সিস্টেমে ‘ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড’ নামের একটি আকর্ষণীয় ফিচার রয়েছে। এটি ব্যবহার করে টেক্সট প্রম্পটের মাধ্যমে কার্টুন স্টাইলের ছবি তৈরি করা যাবে।

ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড হলো অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক টুলগুলোর একটি অংশ, যা ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’ নামে পরিচিত। এই নতুন ফিচার ব্যবহার করে কোনো কিছু লিখে বর্ণনা দেওয়া যাবে। এরপর এআই সেই বর্ণনার ভিত্তিতে একটি কার্টুন স্টাইলের ছবি তৈরি করবে।

এই ফিচার মেসেজেস অ্যাপের টেক্সট বক্সের বাম পাশে থাকা প্লাস (+) বোতামটি চেপে অথবা হোম স্ক্রিনে থাকা একটি বিশেষ অ্যাপের মাধ্যমে ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপটির আইকনটি দেখতে সাদা বিড়াল বা শিয়ালের মতো, তবে এটি এখনো নিশ্চিত নয়। 
ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড ব্যবহার করা অনেকটা অন্যান্য ছবি তৈরির অ্যাপের মতো সহজ। প্রথমে একটি টেক্সট ইনপুটের জায়গায় কাঙ্ক্ষিত চিত্রের বর্ণনা দিতে হবে। যেমন ‘জন্মদিনের কেকের ওপর মোমবাতি ফুঁ দিচ্ছে একটি কুকুর’।

যদি প্রাপ্ত ছবি আপনার পছন্দমতো না হয়, তাহলে আরও বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে ছবি পরিবর্তন করতে পারবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন অপশনও দেখাবে, যা থেকে আপনি পছন্দমতো চিত্র নির্বাচন করতে পারবেন।

আপনি নিজের, আপনার পোষা প্রাণীর বা পরিবারের কোনো সদস্যের ছবি আপলোড করে সেই ছবির ভিত্তিতে এআইভিত্তিক ছবি তৈরি করতে পারবেন। এতে আপনি পার্টি হ্যাট পরা অথবা সমুদ্রসৈকতের ব্যাকগ্রাউন্ড যোগ করতে পারবেন। এ ছাড়া ছবির আর্ট স্টাইল পরিবর্তন করার সুবিধাও রয়েছে।

ইমেজ প্লেগ্রাউন্ড বর্তমানে আইওএস ১৮.২-এর পাবলিক বেটা সংস্করণে ব্যবহার করা যাচ্ছে। যারা অ্যাপলের বিটা সফটওয়্যার প্রোগ্রামে নিবন্ধিত, তারা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ফিচারটি ডিসেম্বর মাসে সবার জন্য উন্মুক্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন

প্রকাশ: ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:০১ পিএম
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারে যা জানা প্রয়োজন
হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ দৈনন্দিন যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে এই অ্যাপটি ব্যবহার করার আগে কিছু বিষয় জেনে নেওয়া জরুরি। প্রযুক্তি ওয়েবসাইট মেকইউজঅব-এর এক প্রতিবেদনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীদের সতর্ক করা হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে, যা নজর রাখা উচিত।

অ্যাকাউন্ট ব্যান

হোয়াটসঅ্যাপের পরিষেবা শর্তাবলি লঙ্ঘন করলে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্প্যাম, স্ক্যাম, ম্যালওয়্যার ছড়ানো বা অফিসিয়াল নয় এমন অ্যাপ ব্যবহারের কারণে এমনটা ঘটতে পারে। এ ছাড়া আনঅফিসিয়াল সংস্করণ বা স্বয়ংক্রিয় মেসেজিং টুল ব্যবহারের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞার শঙ্কা থাকে। এজন্য অ্যাকাউন্ট নিরাপদ রাখতে হোয়াটসঅ্যাপের শর্তাবলি জানা ও মেনে চলা অত্যন্ত জরুরি। 

ডেটা শেয়ারিং

ফেসবুকসহ মেটা মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তথ্য ভাগাভাগি করে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে মোবাইল নম্বর, আইপি অ্যাড্রেসসহ অন্যান্য তথ্য ফেসবুকসহ মেটার অন্যান্য প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে শেয়ার করা হতে পারে। প্রয়োজন হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার অনুরোধে এই তথ্যও শেয়ার করা হতে পারে। বিজনেস অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সময় সার্চ ও কেনাকাটার ইতিহাস পর্যালোচনা করাও হতে পারে। তাই ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে হোয়াটসঅ্যাপের প্রাইভেসি নীতিমালা সম্পর্কে ধারণা থাকা গুরুত্বপূর্ণ। 

মেটার ডেটা সংগ্রহ

হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজের বিষয়বস্তু পড়তে না পারলেও মেসেজিং কার্যক্রমের মেটাডাটা সংগ্রহ করে। এতে মেসেজের সময়, ফ্রিকোয়েন্সি প্রভৃতি তথ্য জানা সম্ভব হয়, যা মেটা অধিভুক্ত কোম্পানির সঙ্গে শেয়ার করা হয়। যদিও মেসেজের কনটেন্ট গোপন থাকে, তবে মেটা ডেটা কীভাবে ব্যবহৃত হয়, তা স্পষ্ট নয়। এজন্য অনেক প্রাইভেসি সচেতন ব্যক্তি হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। 

হ্যাকিংয়ের ঝুঁকি

অপরিচিত লিংকে ক্লিক করা বা তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ব্যবহার করলে হ্যাকাররা অ্যাকাউন্টে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এসব অ্যাপ মেসেজিং অভিজ্ঞতা উন্নত করলেও নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সন্দেহজনক লিংক থেকে দূরে থাকা এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

/আবরার জাহিন

মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ

প্রকাশ: ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
মৃত্যুর দিন-তারিখ জানাবে অ্যাপ
ডেথ ক্লক নামের অ্যাপ জানাবে মৃত্যুর দিন-তারিখ। ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনে প্রযুক্তির প্রভাব এতটাই বেড়েছে যে, এবার মৃত্যুর দিনও গণনা করছে একটি অ্যাপ। কল্পবিজ্ঞানের মতো শোনালেও স্মার্টফোনের অ্যাপের মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানা সম্ভব হবে। ‘ডেথ ক্লক’ নামের এই অ্যাপ ব্যবহারকারীর জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের বিভিন্ন তথ্য বিশ্লেষণ করে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখ জানাবে।

২০০৬ সালে প্রযুক্তিবিষয়ক সংবাদ মাধ্যম টেকক্রাঞ্চ এক প্রতিবেদনে ‘আইপড ডেথ ক্লক’ অ্যাপ সম্পর্কে তুলে ধরেছে। তবে নতুন এই অ্যাপের নির্মাতা ব্রেট ফ্র্যানসন ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন, অ্যাপটিতে ১ হাজার ২০০ এর বেশি প্রত্যাশিত জীবনসংক্রান্ত গবেষণার ওপর ভিত্তি করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যাপটি স্ট্যান্ডার্ড লাইফ টেবিলের তুলনায় বেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে।

অ্যাপটি ব্যবহার করার সময় ব্যবহারকারীদের বয়স, লিঙ্গ, জাতিসত্তা, পরিবারের স্বাস্থ্যের ইতিহাস, মানসিক স্বাস্থ্য ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের মতো বিস্তারিত তথ্য চায়। এরপর এই তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য মৃত্যুর দিন সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একজন ব্যবহারকারীর ক্ষেত্রে অ্যাপটি দেখিয়েছে, তিনি ৯০ বছর বয়সে ২০৭৪ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করবেন। তবে স্বাস্থ্যকর অভ্যাস গড়ে তুললে তার আয়ু হতে পারে ১০৩ বছর পর্যন্ত।

বছরে ৪০ ডলার সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে এই অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে। অ্যাপ ব্যবহারকারীর মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখের পাশাপাশি দীর্ঘ জীবনযাপনের জন্য কী কী করা উচিত, সে সম্পর্কেও পরামর্শ দেবে।

অ্যাপটির মাধ্যমে নিজের মৃত্যুর তারিখ জানার পাশাপাশি আর্থিক পরিকল্পনাও করা সহজ হবে। ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্থিক পরিকল্পনাবিদ রায়ান জাব্রোস্কি বলেছেন, বয়স্ক মানুষদের সবচেয়ে বড় চিন্তা হলো তাদের মৃত্যুর পর তাদের সঞ্চিত অর্থ কী হবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে তারা নিজেদের জন্য আরও ভালোভাবে আর্থিক পরিকল্পনা করতে পারবেন।

তবে এই অ্যাপের নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। কারণ মৃত্যু একটি জটিল বিষয়। এটি অনেকগুলো কারণের ওপর নির্ভর করে। এ ছাড়া মানুষের জীবনধারা ও স্বাস্থ্যের পরিবর্তন হতে থাকে। ফলে মৃত্যুর সম্ভাব্য তারিখও পরিবর্তিত হতে পারে। এই অ্যাপ শুধু একটি অনুমাননির্ভর তারিখ জানায়। এটি কোনোভাবে নিশ্চিত নয়, আপনি কখন মারা যাবেন। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ