ঢাকা ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪

ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ করছে কোন অ্যাপ

প্রকাশ: ১২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১০ পিএম
ফোনের ব্যাটারি বেশি খরচ করছে কোন অ্যাপ
ফোনের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির আয়ুষ্কালে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে ব্যাটারির অতিরিক্ত ব্যবহার। ছবি: সংগৃহীত

স্মার্টফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া একটি সাধারণ সমস্যা। এর পেছনে কারণ হিসেবে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনকে দায়ী করা যেতে পারে। বিশেষ করে থার্ড পার্টি অ্যাপগুলো অনেক সময় অতিরিক্ত ব্যাটারি ব্যবহার করতে পারে, যা ফোনের পারফরম্যান্স ও ব্যাটারির আয়ুষ্কালে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তাই কোন অ্যাপ বেশি শক্তি খরচ করছে তা জানা গুরুত্বপূর্ণ। জনপ্রিয় প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ সম্প্রতি বিভিন্ন ফোনে এই তথ্য খুঁজে বের করার উপায় সম্পর্কে জানিয়েছে। ফোনের মডেল অনুযায়ী জেনে নিন পদ্ধতিগুলো।

স্যামসাং ফোন

প্রথমে সেটিংস অ্যাপে প্রবেশ করুন। সেখানে ব্যাটারি অপশনটি খুঁজুন। যদি পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম ‘অ্যান্ড্রয়েড ১৩’ সংস্করণ ব্যবহার করেন, তবে ব্যাটারি অ্যান্ড ডিভাইস কেয়ার অপশনে গিয়ে ব্যাটারি অপশনটি পাবেন। এবার ভিউ ডিটেইলস অপশনে ট্যাপ করুন। ব্যাটারি ইউসেজ গ্রাফের নিচে অ্যাপের তালিকাটি দেখুন। চার্জ শেষ হওয়ার পর বা শেষ সাত দিনের ব্যাটারি ব্যবহারের তথ্য দেখে কোনো অ্যাপের অতিরিক্ত ব্যাটারি খরচ শনাক্ত করতে পারবেন।

আইফোন

সেটিংস অ্যাপে যান। ব্যাটারি অপশনটি নির্বাচন করুন। এরপর ব্যাটারি ইউসেজ বাই অপশনটি স্ক্রল করুন। নির্দিষ্ট অ্যাপের তথ্য দেখতে চাইলে, সেটির ওপর চাপুন বা শো অ্যাকটিভিটি অপশনে ট্যাপ করে ব্যাটারি ব্যবহারের বিস্তারিত জেনে নিন।

গুগল পিক্সেল ফোন

সেটিংস অ্যাপে গিয়ে ব্যাটারি অপশন নির্বাচন করুন। সেখানে ব্যাটারি ইউসেজ অপশনে ট্যাপ করুন। ড্রপ ডাউন মেনু থেকে ভিউ বাই অ্যাপ অপশনটি বেছে নিন। এরপর ব্যাটারি ইউসেজ সিন্স লাস্ট ফুল চার্জ বিভাগে গিয়ে কোনো অ্যাপ কতটা ব্যাটারি ব্যবহার করেছে, তা বুঝতে পারবেন।

ওয়ান প্লাস ফোন

সেটিংসে যান। এবার ব্যাটারি অপশনটি নির্বাচন করুন। ব্যাটারি ইউসেজ ডিটেইলস অপশনে ট্যাপ করুন। গ্রাফে প্রদর্শিত ব্যাটারি ব্যবহারের তালিকা দেখে যে অ্যাপগুলো বেশি শক্তি খরচ করছে তা সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন।

অতিরিক্ত ব্যাটারি ব্যবহার ডিভাইসের ওভারহিটিং ও পারফরম্যান্স কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে। কোন অ্যাপ বেশি ব্যাটারি খরচ করছে, তা জানার মাধ্যমে সেই অ্যাপটির ব্যবহার কমান বা ডিভাইস থেকে ডিলিট করে দিন। কোন অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে অপ্রয়োজনীয়ভাবে চলছে এবং ব্যাটারি খরচ করছে, তা খুঁজে বের করে বন্ধ করুন। এতে করে ফোনের ব্যাটারি আরও দীর্ঘ সময় টেকসই হবে।

/আবরার জাহিন

১ম পর্ব নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক অ্যাপ

প্রকাশ: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৬ পিএম
নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সহায়ক অ্যাপ
লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে নোশন ও হ্যাবিটিকা অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

নতুন বছর মানে নতুন পরিকল্পনা। ‘নতুন বছর, নতুন আমি’ এই প্রতিজ্ঞা করলেও বছরের শুরুতে নেওয়া সংকল্প বাস্তবায়ন করতে না পারার অভিজ্ঞতা অনেকের রয়েছে। এ সমস্যা সমাধান করে আপনার লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে কিছু অ্যাপ। এখানে দুটি অ্যাপের কথা তুলে ধরা হলো, যা নতুন বছরের পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ও জবাবদিহি নিশ্চিতে সহায়ক হতে পারে।

কাজ ও সময় ব্যবস্থাপনার সহজ সমাধান নোশন 

নোশন এমন একটি প্ল্যাটফর্ম যা ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত কাজগুলো সংগঠিত করতে সাহায্য করে। এটি বহুমুখীপ্ল্যাটফর্ম, যেখানে কাজ, পড়াশোনা বা সৃজনশীল প্রকল্পের জন্য আলাদা ওয়ার্কস্পেস তৈরি করা যায়।

নোশনে রয়েছে বিভিন্ন টেমপ্লেট, যা রুটিন তৈরিতে সহায়তা করে। এর মাধ্যমে দৈনন্দিন রুটিন তৈরি ও লক্ষ্য পূরণে খুব সহজে অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করা সম্ভব। যদি আপনার লক্ষ্য হয় নতুন বছরে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলা, তাহলে বই পড়ার তালিকা তৈরিতে এটি কার্যকর হবে। প্রতিদিনের পরিকল্পনার জন্য নোশন ক্যালেন্ডারও ব্যবহার করা যায়। এর ফ্রি সংস্করণ বেশির ভাগ ব্যবহারকারীর জন্য যথেষ্ট।

নতুন অভ্যাস তৈরিতে হ্যাবিটিকা

নতুন বছরের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিদিনের অভ্যাসের ভূমিকা অনেক বেশি থাকে। অনেক সময় মনে হয়, বড় কিছু করতে হবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে। তবে বেশির ভাগ সময় ছোট ছোট অভ্যাসের দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক বা নেতিবাচক প্রভাব পড়ে আমাদের লক্ষ্যে। তাই অভ্যাস ট্র্যাক করা জরুরি। এ ক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে হ্যাবিটিকা অ্যাপ।

হ্যাবিটিকা দৈনন্দিন অভ্যাস ট্র্যাক করতে গেমের মতো অভিজ্ঞতা দেয়। লক্ষ্য পূরণে ছোট ছোট অভ্যাসের গুরুত্ব বুঝিয়ে এটি চরিত্র উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। এ ছাড়া অ্যাপের মধ্যে নানা ধরনের লক্ষ্য অর্জনের সুযোগ পাবেন। কম মদ্যপান ও প্রতিদিন মেডিটেশন করার মতো অভ্যাস তৈরি করতে পারেন এই অ্যাপ ব্যবহারকারীরা। অভ্যাস তৈরির মাত্রা নির্ধারণের সুযোগ থাকায় এটি বেশ ব্যবহারবান্ধব।

গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:০৪ পিএম
গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে
গুগল এরই মধ্যে সার্চ প্লাটফর্মে এআই ভিত্তিক ফিচার যুক্ত করেছে। ছবি: সংগৃহীত

২০২৫ সালে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে বড় পরিবর্তন আসছে। গুগলের সিইও সুন্দর পিচাই সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের ডিলবুক সামিটে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গুগল এখন আগের চেয়ে আরও জটিল প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে।’ নতুন এই কর্মদক্ষতা ২০২৫ সালের শুরুর দিকে দেখা যাবে বলে জানান পিচাই।

এর আগে গুগল ও এআই প্রতিযোগিতা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা বলেছিলেন, ‘গুগলকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এআই প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ঘোষণা করা উচিত ছিল।’ এর জবাবে সুন্দর পিচাই গুগল ও মাইক্রোসফটের এআই মডেলগুলোর মধ্যে তুলনার প্রস্তাব দেন। তিনি উল্লেখ করেন, মাইক্রোসফট মূলত ওপেনএআইয়ের মডেলের ওপর নির্ভরশীল, যেখানে গুগল নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। এ সময় পিচাই এআই প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন তুলে ধরে বলেন, ‘আমরা একটি বড় পরিবর্তনের প্রাথমিক পর্যায়ে আছি। সামনের দিনে আরও উদ্ভাবন আসছে এবং আমরা নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত।’ 

গুগল এরই মধ্যে সার্চ প্লাটফর্মে এআই ভিত্তিক ফিচার যুক্ত করেছে। সার্চ প্ল্যাটফর্মে এআই জেনারেটেড সারাংশ ও ভিডিওভিত্তিক অনুসন্ধানের জন্য উন্নত লেন্স টুল যুক্ত করেছে। নতুন জেমিনাই এআই মডেল নিয়েও কাজ করছে গুগল, যা এআই প্রযুক্তির ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা আরও বাড়াবে। 

সুন্দর পিচাই গুগলের বিখ্যাত ফ্রি মিল পলিসি নিয়েও কথা বলেছেন। তিনি জানান, ‘এ খাবার শুধু কর্মীদের সুবিধা দেয় না, বরং সৃজনশীল চিন্তা উদ্ভাবনে ভূমিকা রাখে। গুগলে কাজের শুরুর দিনগুলোয় সহকর্মীদের সঙ্গে খাওয়ার সময় অনেক নতুন ধারণা উদ্ভাবন হয়েছে।’   

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, গুগল সার্চে আসন্ন পরিবর্তন এআই প্রতিযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটিকে আরও এগিয়ে দেবে। এআই প্রযুক্তির উন্নতি গুগলকে আরও উদ্ভাবনী ও ব্যবহারকারীর চাহিদা পূরণে দক্ষ করে তুলবে।  সূত্র: এনডিটিভি

ফ্রি ভিপিএন ব্যবহারে বাড়ছে নিরাপত্তাঝুঁকি

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩০ এএম
আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৭ পিএম
ফ্রি ভিপিএন ব্যবহারে বাড়ছে নিরাপত্তাঝুঁকি
ফ্রি ভিপিএন অনেক সাইবার অপরাধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বব্যাপী ফ্রি ভিপিএন বা ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক অ্যাপ ব্যবহারের প্রবণতা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ক্যাসপারস্কির সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের তুলনায় তৃতীয় প্রান্তিকে এ হার আড়াই গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আশঙ্কার বিষয় হলো, এসব ফ্রি ভিপিএনের অনেকগুলো সাইবার অপরাধীদের হাতিয়ার হয়ে উঠছে। বছরের শেষ দিকেও এর ব্যবহার বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

ভিপিএন ব্যবহারকারীদের আইপি ঠিকানা লুকিয়ে গোপনীয়তা রক্ষা ও ব্লক করা কনটেন্ট অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে। তবে সাইবার অপরাধীরা কিছু ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করে বড় ধরনের বটনেট তৈরি করছে। ২০২৪ সালে বন্ধ করে দেওয়া ‘৯১১ এস৫’ নামের বিশাল বটনেট এই সমস্যার একটি বড় উদাহরণ। এই বটনেটটি ‘মাস্কভিপিএন’ ও ‘সাইনভিপিএন’ এর মতো ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করে ১৯০টি দেশের ১ কোটি ৯০ লাখ আইপি ঠিকানাকে হ্যাকিং, প্রতারণা ও অর্থ পাচারের জন্য ব্যবহার করেছে। এসব ভিপিএন গোপনে ব্যবহারকারীদের ডিভাইসকে প্রক্সি সার্ভারে পরিণত করত। 

ক্যাসপারস্কির সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ভাসিলি কোলেসনিকভ বলেন, ‘স্মার্টফোন ও কম্পিউটারসহ সব প্ল্যাটফর্মে ভিপিএন অ্যাপের চাহিদা বাড়ছে। অনেকে মনে করেন, যদি কোনো ভিপিএন অ্যাপ অফিসিয়াল স্টোর যেমন গুগল প্লেতে পাওয়া যায়, তবে সেটি নিরাপদ। সহজে তাদের লোকেশনে ব্লক করা কনটেন্ট আনলক করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। আর যদি এটি ফ্রি হয়, তবে আরও ভালো। তবে এটি প্রায়ই ফাঁদ হয়ে দাঁড়ায়। সাম্প্রতিক ঘটনা ও আমাদের গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ক্ষতিকর ভিপিএন অ্যাপের সংখ্যা বাড়ছে। সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের এই ধরনের হুমকি সম্পর্কে সতর্ক থাকা উচিত। এ ছাড়া বিশ্বস্ত ও পরীক্ষিত ভিপিএন সার্ভিসের পাশাপাশি একটি সিকিউরিটি সলিউশন ব্যবহার করা উচিত।’

ক্যাসপারস্কি জানিয়েছে, ইন্টারনেটে নিরাপদ থাকতে ক্যাসপারস্কি প্রিমিয়াম বা ক্যাসপারস্কি ভিপিএন সিকিউর কানেকশন ব্যবহার করা যেতে পারে। ফ্রি ভার্সন প্রতিদিন ৩০০ এমবি ট্রাফিক ব্যবহার করতে দেয়, যা সীমিত হলেও নিরাপদ ব্রাউজিং নিশ্চিত করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ফ্রি ভিপিএন ব্যবহার করলে নিরাপত্তার পরিবর্তে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। তাই ইন্টারনেটে গোপনীয়তা ও ডিভাইস সুরক্ষার জন্য বিশ্বস্ত সেবা বেছে নেওয়া জরুরি।

/আবরার জাহিন

এআই চ্যাটবটে যেসব তথ্য দিলে বিপদ

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০১ পিএম
এআই চ্যাটবটে যেসব তথ্য দিলে বিপদ
এআই চ্যাটবট শতভাগ নির্ভুল নয়। ছবি: সংগৃহীত

ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরও সহজ করেছে চ্যাটজিপিটি, জেমিনাই ও অন্যান্য এআই চ্যাটবট। তবে এ ধরনের চ্যাটবটের জনপ্রিয়তা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য বেহাত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা কিছু স্পর্শকাতর তথ্য এআই চ্যাটবটে না দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।

আর্থিক তথ্য শেয়ার নয়

চ্যাটবট আর্থিক বিষয়ে জটিল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তবে এখানে আর্থিক বিবরণী শেয়ার করা ঝুঁকিপূর্ণ। কারণ চ্যাটবটের প্রশিক্ষণের জন্য সংরক্ষিত ডেটা যদি হ্যাক হয়, তা হলে স্প্যামারদের হাতে গেলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির শিকার হতে পারেন ব্যবহারকারা।

ব্যক্তিগত ও অন্তরঙ্গ চিন্তাভাবনা

শারীরিক ও মানসিক সমস্যার সমাধানে অনেকে চ্যাটবটের শরণাপন্ন হন। তবে এআই চ্যাটবট শতভাগ নির্ভুল নয়। ভুল পরামর্শের ঝুঁকি থাকায় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে পেশাদারের সাহায্য নেওয়া নিরাপদ। পাশাপাশি এসব তথ্য সংরক্ষিত থাকার ফলে গোপনীয়তা লঙ্ঘনের আশঙ্কাও থেকে যায়।

কর্মক্ষেত্রের তথ্য

অফিসের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে চ্যাটবট কার্যকর হলেও গোপনীয় তথ্য শেয়ার করা বিপদ ডেকে আনতে পারে। এ কারণে অ্যাপল, স্যামসাং ও গুগলের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো কর্মক্ষেত্রে এআই চ্যাটবট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

পাসওয়ার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য

অনলাইনে পাসওয়ার্ড বা ঠিকানার মতো স্পর্শকাতর তথ্য শেয়ারে সব সময় সতর্ক থাকা উচিত। ২০২২ সালে চ্যাটজিপিটির বড় ধরনের তথ্য ফাঁসের ঘটনা থেকে বোঝা যায়, চ্যাটবটে এমন তথ্য ইনপুট দেওয়া বিপজ্জনক হতে পারে।

মোবাইলে সরাসরি ইন্টারনেট সেবা দেবে স্টারলিংক

প্রকাশ: ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৬ পিএম
মোবাইলে সরাসরি ইন্টারনেট সেবা দেবে স্টারলিংক
স্টারলিংকের ডিরেক্ট-টু-সেল প্রকল্পের মাধ্যমে দুর্গম এলাকাতেও মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা। ছবি: সংগৃহীত

বিশ্বের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মোবাইল নেটওয়ার্ক পৌঁছে দিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে স্পেসএক্স। স্টারলিংকের ডিরেক্ট-টু-সেল প্রকল্পের প্রথম স্যাটেলাইট গুচ্ছ বা কনস্টেলেশন সফলভাবে পৃথিবীর নিম্ন কক্ষপথে স্থাপন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। বিশেষ ধরনের স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এখন থেকে সাধারণ মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট সেবা দেবে স্পেসএক্স। এতে দুর্গম এলাকাগুলোতেও মোবাইল নেটওয়ার্কের ব্যবহারের নতুন সম্ভাবনা তৈরি হলো।

চলতি সপ্তাহে স্পেসএক্স তাদের ফ্যালকন-নাইন রকেটের মাধ্যমে ২০টি নতুন স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করেছে। এর মধ্যে ১৩টি স্যাটেলাইট বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যা অতিরিক্ত কোনো যন্ত্রপাতি ছাড়া সরাসরি মোবাইল ফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম।

স্পেসএক্স ও টি-মোবাইলের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশন (এফসিসি) অনুমোদন দিয়েছে। ২০২২ সালে এ অংশীদারত্বের ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠান দুটি। যেখানে উভয় প্রতিষ্ঠান পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে মোবাইল ফোন সংযোগ নিশ্চিত করার পরিকল্পনার কথা জানায়।

স্পেসএক্স জানিয়েছে, এই স্যাটেলাইটগুলো মহাকাশে মোবাইল টাওয়ারের মতো কাজ করবে। এগুলো সাধারণ রোমিং পার্টনার হিসেবে টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হবে। এর মাধ্যমে ডেড জোন দূর হবে এবং সংকটের সময় গ্রাহকরা সহজে যোগাযোগ করতে পারবেন।

স্পেসএক্স গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোষ্টে জানিয়েছে, এসব স্যাটেলাইট লেজার ব্যাকহলের মাধ্যমে স্টারলিংক স্যাটেলাইট গুচ্ছের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ বছরের শুরুতে টি-মোবাইলের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি প্রথমবারের মতো টেক্সট বার্তা প্রেরণ ও গ্রহণ করে।

বর্তমানে স্টারলিংকের লো আর্থ অরবিটে ৬ হাজার ৭৯৯টি সক্রিয় স্যাটেলাইট রয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩৩০টি সরাসরি সেলফোনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সক্ষম। স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এ প্রযুক্তি ব্যবহার করে কোনো পরিবর্তন ছাড়া মোবাইল ফোনে ১০ এমবিপিএস পর্যন্ত ব্যান্ডউইথ পাওয়া যাবে। ভবিষ্যতের স্যাটেলাইট গুচ্ছ আরও উচ্চতর গতিসম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

ডিরেক্ট-টু-সেল সেবা ২০২৫ সালের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এটি শুধু টি-মোবাইলের জন্য সীমাবদ্ধ থাকবে না।

'), descriptionParas[2].nextSibling); } if (descriptionParas.length > 6 && bannerData[arrayKeyTwo] != null) { if (bannerData[arrayKeyTwo].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyTwo].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyTwo].file)), descriptionParas[5].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyTwo].custom_code), descriptionParas[5].nextSibling); } } if (descriptionParas.length > 9 && bannerData[arrayKeyThree] != null) { if (bannerData[arrayKeyThree].type == 'image') { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertImageAd(bannerData[arrayKeyThree].url, ('./uploads/ad/' + bannerData[arrayKeyThree].file)), descriptionParas[8].nextSibling); } else { descriptionParas[0].parentNode.insertBefore(insertDfpCodeAd(bannerData[arrayKeyThree].custom_code), descriptionParas[8].nextSibling); } } });