ঢাকা ৯ মাঘ ১৪৩১, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫

এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
এআই হ্যাকাথনে অংশ নিতে পারবেন শিক্ষার্থীরাও
অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছ এআই হ্যাকাথন। ছবি: সংগৃহীত

দেশের সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ভিভাসফট লিমিটেড পেশাদারদের জন্য আয়োজন করতে যাচ্ছে এআই হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এই প্রতিযোগিতায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নিয়ে কাজ করা পেশাদারদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য স্নাতক, স্টার্টআপ, উদ্ভাবক দল ও প্রযুক্তিবিদরাও অংশ নিতে পারবেন। কোনো প্রকার নিবন্ধন ফি ছাড়াই যে কেউ এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

অংশগ্রহণকারীরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়ন করার সুযোগ পাবেন। বিজয়ীদের জন্য থাকছে আকর্ষণীয় পুরস্কার। আয়োজকরা মনে করছেন এই আয়োজন বাংলাদেশের এআই খাতে নতুন মাত্রা যোগ করবে ও তরুণদের উৎসাহিত করবে।

ভিভাসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা শাফকাত আসিফ বলেন, ‘ভিভাসফটের এআই হ্যাকাথন একটি বিশেষ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পাবেন। পাশাপাশি, অন্যদের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার ও নেটওয়ার্ক গড়ে তোলারও সুযোগ থাকছে। এটি শুধু একটি প্রতিযোগিতা নয়, বরং এআই নিয়ে সৃজনশীলতা বিকাশ ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিশ্বজুড়ে বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এই আয়োজন আমাদের উদ্ভাবকদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’

এই প্রতিযোগিতা তিনটি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম পর্যায়ে অংশগ্রহণকারীরা তাদের আইডিয়া জমা দেবেন। এরপর নির্বাচিত আইডিয়াগুলো নিয়ে প্রজেক্ট তৈরি করে জমা দিতে হবে। সবশেষে, চূড়ান্ত পর্ব অর্থাৎ অন-সাইট হ্যাকাথন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অংশগ্রহণকারীরা তাদের প্রোটোটাইপ (প্রাথমিক সংস্করণ) প্রদর্শন করবেন এবং বাস্তব জীবনের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবেন।

আইডিয়া জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০ ডিসেম্বর ২০২৪। প্রোটোটাইপ প্রজেক্ট জমা দেওয়ার সময় ১৭ জানুয়ারি ২০২৫। পরবর্তীতে, ২৫-২৬ জানুয়ারি ২০২৫ সালে চূড়ান্ত হ্যাকাথন পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায় কোম্পানির হেডঅফিসে। নিবন্ধন ও বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ভিভাসফট ওয়েবসাইটের হ্যাকাথন পেইজে।

/আবরার জাহিন

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ বিপাকে ব্যবহারকারীরা

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪৭ পিএম
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ বিপাকে ব্যবহারকারীরা
শনিবার রাতে অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা সত্যি হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মালিকানা পরিবর্তন না করায় শনিবার রাতে অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোর থেকে টিকটক অ্যাপটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে নতুন করে আর টিকটক অ্যাপটি ডাউনলোড করা যাচ্ছে না।  

নিষেধাজ্ঞার প্রভাব  

যেসব ব্যবহারকারীর ফোনে আগে থেকে টিকটক অ্যাপটি ইনস্টল করা আছে, তারা অ্যাপটি চালু করতে গেলে একটি পপ-আপ মেসেজ দেখতে পাবেন। মেসেজটিতে বলা হচ্ছে, ‘দুঃখিত, টিকটক এ মুহূর্তে ব্যবহার করা যাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক নিষিদ্ধ করে একটি আইন পাস হয়েছে। ফলে আপনি আপাতত টিকটক ব্যবহার করতে পারবেন না। আমরা আশা করছি, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় দায়িত্বগ্রহণের পর টিকটক আবার চালু করার সমাধান নিয়ে কাজ করবেন। দয়া করে আমাদের সঙ্গে থাকুন।’

অ্যাপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর টিকটক তাদের ওয়েবসাইটে একটি অনুরূপ বার্তা দিয়েছে। ব্যবহারকারীদের তাদের ডেটা ডাউনলোড করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে টিকটকের জনপ্রিয় ভিডিও এডিটিং অ্যাপ ক্যাপকাটও যুক্তরাষ্ট্রে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। 

কেন বন্ধ হলো টিকটক?  
নিষেধাজ্ঞাটি এসেছে ‘প্রটেক্টিং আমেরিকানস ফ্রম ফরেন অ্যাডভার্সারি কন্ট্রোলড অ্যাপস অ্যাক্ট’ নামের একটি আইন পাসের মাধ্যমে। আমেরিকার ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ছয় মাস আগে আইনটি পাস করেছিলেন। এতে চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি বাইটড্যান্সের সঙ্গে টিকটককে সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।   

বাইটড্যান্স এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে, যেখানে তারা দাবি করে, এই আইন তাদের প্রথম সংশোধনীর অধিকার লঙ্ঘন করছে। তবে আদালত অ্যাপটি নিষিদ্ধ রাখার পক্ষে রায় দেয়।  আইন অনুযায়ী, অ্যাপ স্টোর ও গুগল প্লে স্টোরকে টিকটক সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি টিকটক অ্যাপটি না সরিয়ে ফেলে, তা হলে তাদের যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি টিকটক ব্যবহারকারীর জন্য ৫ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হবে।

ভবিষ্যতের সম্ভাবনা  
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও কিছু আশার আলো দেখা যাচ্ছে। টিকটককে পুনরায় চালু করার জন্য বিভিন্ন প্রস্তাব আলোচনায় রয়েছে।  এ ছাড়া বিভিন্ন বিনিয়োগকারী, যেমন কেভিন ও’লিয়ারি এবং এআই প্রযুক্তি কোম্পানি পারপ্লেক্সিটি যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম চালু রাখার জন্য প্রস্তাব দিয়েছে। 

নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক  

টিকটককে নিষিদ্ধ করার পেছনে প্রধান কারণ হলো তথ্য চুরির অভিযোগ। আগে একাধিকবার অ্যাপটি বন্ধ করার চেষ্টা করা হলেও এই প্রথমবার তা সফল হয়েছে। টিকটকের নিষেধাজ্ঞা শুধু প্রযুক্তিজগতে নয়, রাজনীতিতেও ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ভবিষ্যতে টিকটক যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসতে পারবে কি না, তা নির্ভর করছে নতুন প্রশাসনের সিদ্ধান্তের ওপর।   

ওয়াননোট টেমপ্লেট ডাউনলোডের সেরা তিনটি ওয়েবসাইট

প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:০৫ পিএম
ওয়াননোট টেমপ্লেট ডাউনলোডের সেরা তিনটি ওয়েবসাইট
মাইক্রোসফট ওয়াননোট একটি শক্তিশালী নোটবুক অ্যাপ। ছবি: সংগৃহীত

মাইক্রোসফট ওয়াননোট একটি শক্তিশালী নোটবুক অ্যাপ, যা নোট নেওয়া, পরিকল্পনা তৈরি ও দৈনন্দিন কাজের ব্যবস্থাপনায় বেশ জনপ্রিয়। তবে বিল্ট-ইন টেমপ্লেটগুলো বেশ সাধারণ হয়ে থাকে। যারা আরও কার্যকর ডিজাইনের টেমপ্লেট খুঁজছেন, তাদের জন্য কিছু নির্ভরযোগ্য উৎস রয়েছে। এমন তিনটি ওয়েবসাইট সম্পর্কে তুলে ধরা হলো। 

নোটগ্রাম (Notegram): নোটগ্রাম একটি ওয়েব অ্যাপ, যেখানে বিনামূল্যে ওয়াননোট টেমপ্লেট পাওয়া যায়। এতে ডাউনলোড বা কোনো প্লাগইনের প্রয়োজন হয় না। কেবল মাইক্রোসফট অ্যাকাউন্ট দিয়ে সাইন ইন করে পছন্দের টেমপ্লেটটি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিফল্ট ওয়াননোট নোটবুকে যুক্ত হবে। এটি যেকোনো ডিভাইস থেকে সহজে ব্যবহার করা যায়। নোটগ্রামে ক্যালেন্ডার, প্ল্যানার, জার্নাল ও কাস্টমার সার্ভিসের জন্য টেমপ্লেট রয়েছে।

অসকম্প (Auscomp): পেইড ওয়াননোট টেমপ্লেটের বড় সংগ্রহ রয়েছে অসকম্পে। এখানে বিশেষ প্রকল্প, শখ বা লাইফস্টাইলের জন্য তৈরি টেমপ্লেট রয়েছে। মাঝে মাঝে বিনামূল্যেও টেমপ্লেট সরবরাহ করে থাকে এটি। এর টেমপ্লেটগুলো সময় ব্যবস্থাপনা ও লক্ষ্য পূরণের জন্য কার্যকর। এ ছাড়া ব্যক্তিগত ডেটা সংরক্ষণের এই টেমপ্লেটগুলো কাজে আসে। প্রতিটি টেমপ্লেট প্রি-কনফিগার করা থাকে ও ইনস্টলেশন পদ্ধতি খুব সহজ। 

ওয়াননোট জেম (OneNote Gem): ওয়াননোট জেম টেমপ্লেটের মাধ্যমে ওয়াননোটের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করা যায়। ব্যক্তিগত ও পেশাগত ব্যবহারের জন্য এখানে ১৫টিরও বেশি টেমপ্লেট রয়েছে। ওয়াননোট জেমের টেমপ্লেটগুলোর মধ্যে রয়েছে সাপ্তাহিক পরিকল্পনা, জিটিডি টেমপ্লেট ও দৈনিক সময়সূচি। এসব টেমপ্লেটের সঙ্গে প্রি-ফিল্ড নোটবুকও সরবরাহ করা হয়, যা পেশাজীবী, শিক্ষার্থী ও শখের কাজে যুক্ত ব্যক্তিদের জন্য বিশেষভাবে কার্যকর। 

ওয়াননোট জেমের টেমপ্লেট ইনস্টল করা খুব সহজ। ডাউনলোড করার পর টেমপ্লেট ফাইলটিতে ডাবল-ক্লিক করলে এটি ওয়াননোটে চালু হবে। এ ছাড়া অনলাইন ইমপোর্টার ব্যবহার করেও এটি নোটবুকে যুক্ত করা যায়। একবার ইনস্টল হয়ে গেলে, টেমপ্লেটগুলো সহজে কাস্টমাইজ করে ব্যবহার করা সম্ভব।

/আবরার জাহিন

স্মিশিং হামলা নিষ্ক্রিয় করতে পারে আইফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:৩৮ পিএম
স্মিশিং হামলা নিষ্ক্রিয় করতে পারে আইফোনের সুরক্ষা ব্যবস্থা
আইমেসেজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে চালানো হচ্ছে এসএমএস ফিশিং হামলা। ছবি: সংগৃহীত

অ্যাপল আইমেসেজ ব্যবহারকারীদের লক্ষ্য করে একটি বিপজ্জনক স্মিশিং (এসএমএস ফিশিং) হামলা চালানো হচ্ছে। এই আক্রমণ সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যবহার করে আইমেসেজের বিল্ট-ইন ফিশিং সুরক্ষা ব্যবস্থা অকার্যকর করছে। এটি লাখ লাখ ব্যবহারকারীকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। তবে একটি নিরাপত্তা ফিচার পরিবর্তন করে নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে পারেন।

আইমেসেজ সুরক্ষা ব্যবস্থা কীভাবে নিষ্ক্রিয় করে  স্মিশিং আক্রমণ

অ্যাপলের আইমেসেজে বিল্ট-ইন সুরক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে, যা অপরিচিত প্রেরকের পাঠানো লিঙ্ক ব্লক করে। এটি ক্ষতিকর লিঙ্ক থেকে ব্যবহারকারীদের রক্ষা করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। তবে সাইবার অপরাধীরা একটি উপায় খুঁজে বের করেছে, যা ব্যবহারকারীদের এই সুরক্ষা ফিচার অকার্যকর করতে প্রলুব্ধ করে। 

স্মিশিং আক্রমণে ভুয়া বার্তা পাঠানো হয়, যা ব্যবহারকারীদের ‘Y (হ্যাঁ) বা N (না)’ দিয়ে উত্তর দিতে বলে। বার্তাগুলোতে ভুয়া ডেলিভারি সতর্কতা বা বকেয়া টোলের বার্তা দেওয়া হয়। ব্যবহারকারী উত্তর দিলে, আইমেসেজ সেটি পরিচিত প্রেরক হিসেবে চিহ্নিত করে এবং লিঙ্ক সক্রিয় হয়ে যায়।  

ব্লিপিং কম্পিউটারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব বার্তায় ব্যবহারকারীদের বলা হয়, ‘টেক্সট বার্তাটি বন্ধ করে পুনরায় চালু করুন অথবা লিঙ্কটি কপি করে সাফারি ব্রাউজারে ওপেন করুন।’ এতে ব্যবহারকারীরা ফিশিং সাইটে প্রবেশ করে, যেখানে তাদের ব্যক্তিগত ও আর্থিক তথ্য চুরি করা হয়। এসব তথ্য পরে ব্যক্তিগত পরিচয় চুরি, ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতি ও অন্যান্য অপরাধে ব্যবহৃত হয়।  

কেন ব্যবহারকারীরা এই ফাঁদে পা দেন  

অনেক ব্যবহারকারী সাধারণত বৈধ অ্যাপয়েন্টমেন্ট বা সতর্কতার জন্য ‘STOP, YES, বা NO’ দিয়ে উত্তর দেন। আক্রমণকারীরা এই আচরণ কাজে লাগিয়ে ব্যবহারকারীদের বুঝতে দেয় না যে, তারা একটি ফিশিং বার্তায় প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন। এমনকি লিঙ্কে ক্লিক না করলেও, উত্তর দেওয়ায় সাইবার অপরাধীরা বুঝতে পারে যে, আপনি এমন বার্তায় সাড়া দেন। এটি আপনাকে ভবিষ্যতের স্মিশিং আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানাতে পারে।  

কীভাবে সুরক্ষিত থাকবেন

অপরিচিত নম্বর থেকে পাঠানো বার্তার জবাব দিলে অ্যাপলের বিল্ট-ইন সুরক্ষা ফিচার নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। বিশেষ করে বার্তাটি যদি কোনো অপ্রত্যাশিত পার্সেল বা অজানা জরিমানার বিষয়ে হয়। অপরিচিত সূত্র থেকে প্রাপ্ত লিঙ্কগুলোকে সব সময় ক্ষতিকর হিসেবে বিবেচনা করুন ও ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।  আপনার কাছে কোনো পার্সেল বা জরিমানা থাকার বিষয়ে সন্দেহ হলে আইমেসেজ বন্ধ করুন। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট থেকে গ্রাহকসেবার তথ্য যাচাই করুন। বার্তার লিঙ্ক ব্যবহার করে ওয়েবসাইট ওপেন করবেন না।   

এ ধরনের বার্তায় সতর্ক থাকুন, যা আপনাকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে চাপ দেয়, সীমিত সময়ের জন্য অফার দেয় বা প্রতিক্রিয়া না দিলে নেতিবাচক ফলাফলের হুমকি দেয়। বেশিরভাগ ফিশিং স্ক্যাম এমনভাবে ডিজাইন করা হয়, যাতে আপনি চিন্তাভাবনার আগে প্রতিক্রিয়া জানাতে বাধ্য হন। যেন বুঝে ওঠার আগেই আক্রমণকারীদের কাছে আপনার তথ্য তুলে দেন।  সতর্কতা ও সঠিক পদক্ষেপের মাধ্যমে স্মিশিং আক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।

টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার

প্রকাশ: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৮ এএম
আপডেট: ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:২২ এএম
টেকসই উন্নয়নে বেসিসের সেমিনার
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের আইসিটি খাতে অসাধারণ সাফল্য, সম্ভাবনা এবং আগামীর গতিশীল বিশ্বের বৈশ্বিক ডিজিটাল হাবে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) শনিবার (১৮ জানুয়ারি) বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র, পূর্বাচলে আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ: দ্য ইমার্জিং আইসিটি পাওয়ার হাউজ’ শীর্ষক সেমিনার।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের পলিসি অ্যাডভাইজার (সমন্বয় এবং সংস্কার) ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, জাইকার বাংলাদেশ প্রধান ইচিগুচি তোমোহিদে, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বেবী রানি কর্মকার। 

এ ছাড়াও সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশে জেট্রোর প্রধান প্রতিনিধি ইউজি আন্দো, কোট্রার নির্বাহী পরিচালক সামসু কিম এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। 

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে বেসিস প্রশাসক ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৩৭টিরও বেশি দেশে ৮৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আইসিটি পরিষেবা রপ্তানি করেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করতে, সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সব স্টেকহোল্ডারদের সমন্বিত প্রচেষ্টার আহ্বান জানান তিনি। 

সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিস সহায়ক কমিটির চেয়ারম্যান রাফেল কবির। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা বাস্তবায়নে দক্ষ জনশক্তি তৈরি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ 

সেমিনারটি সঞ্চালনা করেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য ফিদা হক। বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য রাইসুল কবির ও বেসিস সদস্য সৈয়দ মোশাররফ আলী তথ্যপ্রযুক্তিতে তাদের নিজ নিজ কোম্পানির সফলতার গল্প তুলে ধরেন। 

সেমিনারে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বৈশ্বিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ২০৩০ সালের মধ্যে ৬ থেকে ৮ মিলিয়ন দক্ষ তথ্যপ্রযুক্তি পেশাদার তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে আমাদের।’ 

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক বেবী রানি কর্মকার তরুণ উদ্ভাবকদের সৃজনশীলতা এবং প্রযুক্তিনির্ভর একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের নির্মাণে তাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এই বছরের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ) ২০২৫-এ দর্শনার্থীদের প্রবেশের সময় উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, যা প্রযুক্তি ব্যবহারের দারুণ উদাহরণ। 

সেমিনারে ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বেসিস সহায়ক কমিটির সদস্য (অর্থ) ফৌজিয়া নিগার সুলতানা। 

সেমিনারে এই সেক্টরের বিশাল সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়। ই-ট্যাক্স ফাইলিং সিস্টেম, ভূমি নামজারি প্রক্রিয়া এবং টেলিহেলথ কন্টাক্ট সেন্টারের মতো রূপান্তরমূলক প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নের গল্প তুলে ধরা হয়- যা মূলত বেসিস সদস্যদের দ্বারা পরিচালিত।

ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা

প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০১:২৩ পিএম
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ম্যালওয়্যারের হানা
ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। ছবি: সংগৃহীত

হাজারো ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে নতুন ধরনের ম্যালওয়্যারের সন্ধান পাওয়া গেছে, যা গোপনে ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ওয়েবসাইটের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয়। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ম্যালওয়্যারটি ক্ষতিকর প্লাগইনের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও সংবেদনশীল তথ্য চুরি করছে। 

বিশ্বব্যাপী ওয়েবসাইট তৈরির জন্য বহুল ব্যবহৃত প্ল্যাটফর্ম ওয়ার্ডপ্রেসে এ হামলা সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় হুমকি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সাইবার নিরাপত্তা গবেষক হিমাংশু আনন্দ বলেন, ‘কমপক্ষে পাঁচ হাজার ওয়ার্ডপ্রেস ওয়েবসাইটে সম্প্রতি একটি ক্ষতিকর স্ক্রিপ্ট (কোড) পাওয়া গেছে। এই কোড ওয়েবসাইট মালিকের অজান্তেই গোপনে অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরি করে। উদ্বেগের বিষয় হলো, এই অ্যাকাউন্টের লগইন তথ্য স্ক্রিপ্টের মধ্যে লেখা থাকে, যা হ্যাকারদের জন্য ওয়েবসাইট নিয়ন্ত্রণে নেওয়া সহজ করে দেয়।’  

স্ক্রিপ্টটি ভুয়া অ্যাডমিন অ্যাকাউন্ট তৈরির পর ওয়েবসাইটে একটি ক্ষতিকর প্লাগইন ইনস্টল করে। এটি ওয়েবসাইটের গোপন তথ্য চুরি করে, যার মধ্যে অ্যাডমিন লগইন ডিটেইলস ও ওয়েবসাইটের কার্যক্রমের বিবরণ রয়েছে। এসব তথ্য পরে দূরের একটি সার্ভারে পাঠানো হয়।  উল্লেখ্য, প্লাগইন হলো এমন একটি টুল যা ওয়েবসাইটে নতুন ফিচার যোগ করে বা বিদ্যমান ফিচার পরিবর্তন করে।

ওয়ার্ডপ্রেসের প্লাগইন ব্যবহারের সুবিধা থাকলেও, এটি সাইবার আক্রমণের অন্যতম প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা ওয়েবসাইট পরিচালকদের নিরাপত্তা বাড়াতে এবং অননুমোদিত অ্যাক্সেস রোধে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ও নিয়মিত আপডেট করার পরামর্শ দিয়েছেন।  

ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারীদের নিজেদের সাইট নিরাপদ রাখতে অবিলম্বে সব প্লাগইন যাচাই করার ও সন্দেহজনক কার্যক্রম নজরে এলে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের ম্যালওয়্যার আরও জটিল আকারে ফিরে আসতে পারে। তাই নিরাপত্তাব্যবস্থা আরও জোরদার করা এখন সময়ের দাবি। সূত্র: টেকক্রাঞ্চ  

/আবরার জাহিন